ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ২০ রান। বোলিংয়ে এলেন জেসন হোল্ডার। ওভারের প্রথম প্রথম বলেই করলেন ‘নো বল’। এই বলে এক রান নিয়ে ব্যবধানে ৬ বলে ১৮ রানে আনলেন উইকেটে থাকা স্যাম বিলিংস। 

পরের বলটি ওভারের প্রথম বৈধ ডেলিভারি। এই বলটি ছিল ডট বল। এরপরেই ৪ বলে হোল্ডার যা করলেন তাতে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭ রানে ম্যাচ জেতেনি হোল্ডারও ঢুকে গেছেন ইতিহাসের পাতায়। ৪ বলেই যে ফিরিয়েছেন ৪ ইংলিশ ব্যাটারকে। 

একে একে ক্রিস জর্ডান, স্যাম বিলিংস, আদিল রাশিদ ও সাকিব মাহমুদ হোল্ডারের শিকারে পরিণত হয়েছেন। হ্যাটট্রিকসহ টানা চার উইকেট নিয়ে একাই বিধ্বস্ত করে দিয়েছেন ইংলিশদের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রশিদ খান, লাসিথ মালিঙ্গা ও  কার্টিস ক্যাম্পারের পর ডাবল হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন এই ক্যারিবীয়ান অলরাউন্ডার। 

ব্রিজটাউনে রোববার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের কেউই ফিফটি করতে না পারলেও বিশোর্ধ্ব রান করেছেন ৫ ব্যাটার। কাইল মায়ার্সের ১৯ বলে ৩১ আর পঞ্চম উইকেটে কাইরন পোলার্ডের ২৫ বলে অপরাজিত ৪১ ও রোভম্যান পাওয়েলের ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের সুবাদে ভালো স্কোর পায় উইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ২টি করে উইকেট নেন। 

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৯.৫ ওভারে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জেমস ভিন্স ৫৫ ও স্যাম বিলিংস করেন ৪১। হোল্ডার ২.৫ ওভার বল করে ২৭ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে হোল্ডারের হাতে। ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩৫ রান এবং ১৫টি উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরাও হোল্ডার।