নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। ব্লেসিং মুজারাবানিকে দারুণ এক অফ ড্রাইভে সীমানাছাড়া করেন তাসকিন আহমেদ। এতে মেজাজ এমনিতেই বিগড়ে ছিল জিম্বাবুয়ে পেসারের। পাল্টা জবাবে পরের বলে বাউন্সার দেন মুজারাবানি। বাউন্সার অবশ্য বেশ সতর্কতার সঙ্গে ছেড়ে দেন তাসকিন। তবে বলটি উইকেটকিপারের কাছে পৌঁছাতেই হাত ঘুরিয়ে, কোমর দুলিয়ে নাচের ভঙ্গি করেন তাসকিন। তাতে যেন মুজারাবানির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা পড়ল!
কিছু একটা বলতে বলতে তেড়ে আসেন তাসকিনের দিকে। তাসকিনও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। মুখোমুখি থেকে মাথা ঠোকাঠুকিও হয়ে গেল দুজনের। টিভিতে সেই দৃশ্য ধরা পড়লেও বোঝার উপায় ছিল না কী নিয়ে আসলে দুজনের তর্কযুদ্ধ।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তাসকিন খোলাসা করলেন ওই মুহূর্তে আসলে কী হয়েছিল, ‘আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল (মুজারাবানি), বাউন্সার মারার চেষ্টা করছিল। ভালো জায়গায় বল করছিল, আমিও ভালো সামলাচ্ছিলাম। বিরক্ত হয়ে ও বেশ কয়েকবার গালি দিয়েছে। তৃতীয়বার যখন গালি দিয়েছিল, তখন আমিও তেড়ে গিয়েছিলাম। বলছিলাম, “আমাকে কেন গালি দিচ্ছ, বল দিয়ে পারলে কিছু করো?” এটাই বলেছি, আর কিছু না।’
তাসকিনকে তাতিয়ে দিয়ে 'ক্ষতিই' হলো মুজারাবানিদের। এ ঘটনার পরেই তো মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাসকিনের সেই বীরত্বমেশানো ১৯১ রানের অসামান্য জুটি। যে জুটি শুধু দুজনকে রেকর্ডের পাতায় বসায়নি, ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকেও পৌঁছে দিয়েছে স্বস্তির রাস্তায়।
তাসকিন শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন। দশ নম্বরে নেমে করেন ১৩৪ বলে ৭৫ রান। ১৬ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে মাহমুদউল্লাহও ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। ছিলেন ১৫০ রানে অপরাজিত।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় তাসকিন কথা বলেছেন নিজের ব্যাটিং নিয়েও, ‘প্রথম দিনের প্রথম সেশন ছাড়া উইকেটটা ব্যাটিং করার জন্য খুব ভালো ছিল। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই সব সময় বলছিলেন, উইকেটটা ভালো হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রান করলে বোলারদের হেল্প হবে—ওটাই মাথায় ছিল।’
পুরো সময়টায় মাহমুদউল্লাহ অনুপ্রাণিত করে গেছেন তাসকিনকে। সেটি টিভি পর্দায় বারবার দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছিল তা শুনুন তাসকিনের মুখেই, ‘রিয়াদ ভাই বারবার বলছিল, উল্টা–পাল্টা না খেলার জন্য, সোজা ব্যাটে খেলার জন্য। আমি সেটাই অনুসরণ করছিলাম। যেহেতু আমি বোলার, মাঝে মাঝে মারতে ইচ্ছে হতে পারে। এ কারণে আমাকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, যেন সোজা ব্যাটে খেলি।’
স্টুয়ার্ড ব্রড কিংবা মিচেল স্টার্করা প্রায় সময় নিচের দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মোড় ঘুরিয়ে দেন খেলার। দারুণ এক ইনিংস খেলার পর তাসকিনের চোখও নিয়মিত সে রকম কিছু করার দিকে। সেই লক্ষ্যের কথাও তাসকিন বলছিলেন, ‘প্রত্যেক বড় টেস্ট দলেই দেখবেন টেলএন্ডাররা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য। আমিও চাই নির্ভরযোগ্য একজন টেলএন্ডার হতে, যেন দলের দ্রুত উইকেট পড়লে বা থিতু হওয়া কোনো ব্যাটসম্যান থাকলে তাকে একটু সাপোর্ট দিয়ে খেলতে পারি। উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। যদি উন্নতি করতে পারি, তাহলে দলের বিপদে কাজে আসতে পারব।’
মাহমুদউল্লাহ তো মাঠে অনুপ্রাণিত করেছেন, আর মাঠের বাইরে কে অনুপ্রাণিত করেছেন তাসকিনকে? সেই নামটি ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। কুকের প্রতি তাই কৃতজ্ঞ তাসকিন, 'বোলারদের ব্যাটিংয়ের জন্য উৎসাহ দেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। শেষ সিরিজে তিনি বলেছিলেন, এবার যেন আমি আসার সময় ব্যাটিং স্পাইক কিনে নিয়ে আসি। সাধারণত আমরা বোলাররা বোলিং বুট পরেই ব্যাটিং করি। এবার ব্যাটিং বুট পরেই নেমেছি, কোচ খুশিও হয়েছেন। আজ (কাল) আসার সময় তিনি বলছিলেন, “দেখেছ, ব্যাটিংয়ে নামার সময় তুমি ব্যাটসম্যানই।” তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে ব্যাটিংয়ে পুশ করার জন্য।’
তাসকিন তাঁর সাফল্যের রহস্যও ব্যাখ্যা করলেন, ‘মাথায় ছিল দলের জন্য আমার কিছু করতে হবে। যেহেতু রিয়াদ ভাই ছিলেন। একজন টেলএন্ডার হিসেবে আমার মূল লক্ষ্যই ছিল তাঁকে সমর্থন দেওয়া। তিনি সব সময় আমাকে কথা বলে বলে খেলাচ্ছিলেন। মূল লক্ষ্য ছিল যেন স্টাম্পের বলটা দেখে খেলা হয়। আমি আমার জায়গায় যখন বল পেয়েছি, তখন মারার চেষ্টা করেছি, সেগুলো বাউন্ডারি হয়েছে। মূলত দলের জন্য খেলার চেষ্টা করেছি।’
হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। ব্লেসিং মুজারাবানিকে দারুণ এক অফ ড্রাইভে সীমানাছাড়া করেন তাসকিন আহমেদ। এতে মেজাজ এমনিতেই বিগড়ে ছিল জিম্বাবুয়ে পেসারের। পাল্টা জবাবে পরের বলে বাউন্সার দেন মুজারাবানি। বাউন্সার অবশ্য বেশ সতর্কতার সঙ্গে ছেড়ে দেন তাসকিন। তবে বলটি উইকেটকিপারের কাছে পৌঁছাতেই হাত ঘুরিয়ে, কোমর দুলিয়ে নাচের ভঙ্গি করেন তাসকিন। তাতে যেন মুজারাবানির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা পড়ল!
কিছু একটা বলতে বলতে তেড়ে আসেন তাসকিনের দিকে। তাসকিনও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। মুখোমুখি থেকে মাথা ঠোকাঠুকিও হয়ে গেল দুজনের। টিভিতে সেই দৃশ্য ধরা পড়লেও বোঝার উপায় ছিল না কী নিয়ে আসলে দুজনের তর্কযুদ্ধ।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তাসকিন খোলাসা করলেন ওই মুহূর্তে আসলে কী হয়েছিল, ‘আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল (মুজারাবানি), বাউন্সার মারার চেষ্টা করছিল। ভালো জায়গায় বল করছিল, আমিও ভালো সামলাচ্ছিলাম। বিরক্ত হয়ে ও বেশ কয়েকবার গালি দিয়েছে। তৃতীয়বার যখন গালি দিয়েছিল, তখন আমিও তেড়ে গিয়েছিলাম। বলছিলাম, “আমাকে কেন গালি দিচ্ছ, বল দিয়ে পারলে কিছু করো?” এটাই বলেছি, আর কিছু না।’
তাসকিনকে তাতিয়ে দিয়ে 'ক্ষতিই' হলো মুজারাবানিদের। এ ঘটনার পরেই তো মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাসকিনের সেই বীরত্বমেশানো ১৯১ রানের অসামান্য জুটি। যে জুটি শুধু দুজনকে রেকর্ডের পাতায় বসায়নি, ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকেও পৌঁছে দিয়েছে স্বস্তির রাস্তায়।
তাসকিন শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন। দশ নম্বরে নেমে করেন ১৩৪ বলে ৭৫ রান। ১৬ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে মাহমুদউল্লাহও ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। ছিলেন ১৫০ রানে অপরাজিত।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় তাসকিন কথা বলেছেন নিজের ব্যাটিং নিয়েও, ‘প্রথম দিনের প্রথম সেশন ছাড়া উইকেটটা ব্যাটিং করার জন্য খুব ভালো ছিল। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই সব সময় বলছিলেন, উইকেটটা ভালো হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রান করলে বোলারদের হেল্প হবে—ওটাই মাথায় ছিল।’
পুরো সময়টায় মাহমুদউল্লাহ অনুপ্রাণিত করে গেছেন তাসকিনকে। সেটি টিভি পর্দায় বারবার দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছিল তা শুনুন তাসকিনের মুখেই, ‘রিয়াদ ভাই বারবার বলছিল, উল্টা–পাল্টা না খেলার জন্য, সোজা ব্যাটে খেলার জন্য। আমি সেটাই অনুসরণ করছিলাম। যেহেতু আমি বোলার, মাঝে মাঝে মারতে ইচ্ছে হতে পারে। এ কারণে আমাকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, যেন সোজা ব্যাটে খেলি।’
স্টুয়ার্ড ব্রড কিংবা মিচেল স্টার্করা প্রায় সময় নিচের দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মোড় ঘুরিয়ে দেন খেলার। দারুণ এক ইনিংস খেলার পর তাসকিনের চোখও নিয়মিত সে রকম কিছু করার দিকে। সেই লক্ষ্যের কথাও তাসকিন বলছিলেন, ‘প্রত্যেক বড় টেস্ট দলেই দেখবেন টেলএন্ডাররা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য। আমিও চাই নির্ভরযোগ্য একজন টেলএন্ডার হতে, যেন দলের দ্রুত উইকেট পড়লে বা থিতু হওয়া কোনো ব্যাটসম্যান থাকলে তাকে একটু সাপোর্ট দিয়ে খেলতে পারি। উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। যদি উন্নতি করতে পারি, তাহলে দলের বিপদে কাজে আসতে পারব।’
মাহমুদউল্লাহ তো মাঠে অনুপ্রাণিত করেছেন, আর মাঠের বাইরে কে অনুপ্রাণিত করেছেন তাসকিনকে? সেই নামটি ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। কুকের প্রতি তাই কৃতজ্ঞ তাসকিন, 'বোলারদের ব্যাটিংয়ের জন্য উৎসাহ দেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। শেষ সিরিজে তিনি বলেছিলেন, এবার যেন আমি আসার সময় ব্যাটিং স্পাইক কিনে নিয়ে আসি। সাধারণত আমরা বোলাররা বোলিং বুট পরেই ব্যাটিং করি। এবার ব্যাটিং বুট পরেই নেমেছি, কোচ খুশিও হয়েছেন। আজ (কাল) আসার সময় তিনি বলছিলেন, “দেখেছ, ব্যাটিংয়ে নামার সময় তুমি ব্যাটসম্যানই।” তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে ব্যাটিংয়ে পুশ করার জন্য।’
তাসকিন তাঁর সাফল্যের রহস্যও ব্যাখ্যা করলেন, ‘মাথায় ছিল দলের জন্য আমার কিছু করতে হবে। যেহেতু রিয়াদ ভাই ছিলেন। একজন টেলএন্ডার হিসেবে আমার মূল লক্ষ্যই ছিল তাঁকে সমর্থন দেওয়া। তিনি সব সময় আমাকে কথা বলে বলে খেলাচ্ছিলেন। মূল লক্ষ্য ছিল যেন স্টাম্পের বলটা দেখে খেলা হয়। আমি আমার জায়গায় যখন বল পেয়েছি, তখন মারার চেষ্টা করেছি, সেগুলো বাউন্ডারি হয়েছে। মূলত দলের জন্য খেলার চেষ্টা করেছি।’
কাতার বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশকে নিজেদের বেশ আপন মনে করেই যেন চলছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় তারা যে অভিভূত, সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজ দেশের সঙ্গে আর্জেন্টাইনরা বাংলাদেশের পতাকাও উড়ায়।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। চোটের কারণে ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ হয়নি অভিজ্ঞ জেসন হোল্ডারের। তবু নিজেদের মাঠে বিপজ্জনক পেস আক্রমণ নিয়েই বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে স্বাগতিকেরা।
৩ ঘণ্টা আগেফিফার প্রথম প্রীতি ম্যাচ মালদ্বীপের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফিরতি দেখা হচ্ছে দল দুটির। জিততে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। দলের মাঝমাঠের তারকা সোহেল রানার কণ্ঠে জয়েরই সুর, ‘প্রথম ম্যাচটা আমরা ভালো খেলেও জিততে পারিনি। অনেকগুলো আক্রমণ করেছি, কিন্তু গোল পাইনি। এই ম্য
৩ ঘণ্টা আগেনভেম্বর চলে যাচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কোনো প্রস্তুতি নেই। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নাকি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন টেনিস কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক কমিটির লক্ষ্য শুধু নির্বাচন আয়োজন। টুর্নামেন্ট আয়োজনের মতো ‘বড়’ সিদ্ধান্ত তা
৪ ঘণ্টা আগে