ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়, ফেবারিটের তকমার যথার্থতা প্রমাণে ধারাবাহিক ব্যর্থ তারা।
গত ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ভারত। এরপর থেকেই তারা আর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। অথচ, ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা আর অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কিছুতেই তাদের ঘাটতি নেই।
তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে তাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স খারাপ নয়। সর্বশেষ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৯টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এর মধ্যে শুধু ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। বাকি টুর্নামেন্টের মধ্যে চারটিতেই সেমিফাইনালে খেলেছে এবং সমান চারটিতে রানার্সআপ হয়েছে। শুধু শিরোপা হাতে উদ্যাপনই করা হয় না তাদের।
গত ১০ বছরের ফল হিসেব ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একদিক থেকে ভারতের তুলনাও শুরু হয়েছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে প্রোটিয়ারা ভালো খেলার পরও ট্রফি জিততে না পারায় ‘চোকার্স’ তকমাটি এখন ভারতের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে। টুর্নামেন্টে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় দল নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা যে বিষয়গুলো সামনে এনেছেন—
বিপুল অর্থ ও আইপিএল
অর্থই অনর্থের মূল! টাকা আর আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়াতেই ভারতের সাফল্য আটকে গেছে অন্যান্য সংস্করণে। আইপিএলের কারণেই অন্যান্য টুর্নামেন্টে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে বলে মনে করছেন অনেকে। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু আগে যখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা নিবিড় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। কিন্তু তা কানে নেননি রোহিত।
আইপিএলকে এত প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘অর্থই সকল অনর্থের মূল।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হেরে গিয়ে কথাটার সত্যতা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুব ভালো ভাবেই প্রমাণ করল।’
ভারতের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার পেছনে আইপিএলকে দায়ী করেছেন ফাহিম। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের বর্তমান টেস্ট দলের প্রায় সব ব্যাটাররাই টেস্ট এবং ফার্স্ট ক্লাস ঘরানার খেলোয়াড়। রাহুল, বিরাট, রাহানে, পূজারা—এরা সবাই টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন নিয়েই বেড়ে উঠেছে এবং সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলেছে। তাদের অতীত রেকর্ড এবং বিগত দিনের খেলার ধরন দেখে পরিষ্কার ভাবেই সেটি বোঝা যায়। কিন্তু এই ছোট ফরম্যাটকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই তারা হারিয়ে ফেলেছে তাদের সেই শিল্পীসত্তা। রং আর তুলির সেই সমন্বয় এখন আর হচ্ছে না। সাদা রং দিয়েও যে মোহনীয় ছবি আঁকা যায় তা সবাই ভুলে যাচ্ছে। এরাই যদি এভাবে এই লাগামহীন টি-টোয়েন্টির বলিতে পরিণত হয় তাহলে টি-টোয়েন্টির মানসিকতায় বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়।’
ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে না পারা
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারত যতটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ততটা আইসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায় না। গ্রুপ পর্বে কিছুটা দেখা গেলেও নকআউটে তার ছিটেফোঁটা থাকে নেই। অথচ ১০ বছর আগে ভারতের হয়ে ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন বীরেন্দ্র শেবাগ, মাঝে যুবরাজ সিং-সুরেশ রায়নারা। রোহিত শর্মা-কোহলিরাও যে খেলেননি তা নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমে এসেছে। ভারতের সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে এটিকে দায়ী করছেন নাসের হুসেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আপনাকে (উইকেটের) বাইরে গিয়ে খেলতে এবং নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। আইসিসির টুর্নামেন্টে এই বিষয়টি ভারতকে পিছিয়ে রাখছে। তারা এমন ভয়ডরহীন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে না অথচ তাদের এমন ক্রিকেটই প্রাপ্য। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে।’
অলরাউন্ডারের অভাব
একজন অলরাউন্ডার দলে কতটা অবদান রাখতে পারেন বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন কপিল দেব, ইমরান খান কিংবা যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা। ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের যে হতাশার ছবি, অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকে দেখছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের হতাশার একমাত্র কারণ অলরাউন্ডারের অভাব। যদি ১৯৮৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে ১৯৮৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চোখ রাখেন দেখবেন ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে অসামান্য অবদান রেখেছিল অলরাউন্ডাররা।’ গত দুই-তিন বছর ধরে সেই জায়গা কেউই পূরণ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন গাভাস্কার।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে বৈচিত্র্য কম
ভারতের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের স্কোয়াড দেখলে দলটির বৈচিত্র্যের অভাবের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ব্যাটিংয়ে ডান-বাঁ দুই ধরনের ব্যাটারই ছিলেন। শুরুতে শেবাগের সঙ্গে গৌতম গম্ভীর মাঝে শচীন টেন্ডুলকার-বিরাট কোহলিকে সঙ্গ দিতেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ-রায়না। এখনকার অর্ডারে সেটার ছাপ নেই। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একমাত্র বাঁহাতি ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাটিংয়ের মতোই বোলিংয়েও ছিল ডান-বাঁয়ের দারুণ কম্বিনেশন। বাঁ হাতি পেসার জহির খান-আশিস নেহেরার সঙ্গে ছিলেন শ্রীশান্ত-মুনাফ প্যাটেল। কিন্তু এখনকার দলে নিয়মিত খেলার মতো কোনো বাঁহাতি পেসার নেই। যা ভারতকে বেশ ভোগাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্টে।
বিশ্বকাপ জিততে হলে...
ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় নিদারুণ হতাশ ভারতীয় সমর্থকেরা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররাও নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন এ ব্যর্থতা। তবে রবি শাস্ত্রী তাঁদের শিরোপাখরা নিয়ে একটা মজার কথাই বলেছেন, ‘আইসিসি ট্রফি জেতা সহজ ছিল না। মাহেন্দ্র সিং ধোনি এটিকে সহজ করে দেখিয়েছিল।’ গত ১০ বছরে বৈশ্বিক শিরোপা না জিতলেও দুবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত (২০১৬ ও ২০১৮ সালে)। শিরোপাখরা ঘোচাতে গাভাস্কারের পরামর্শ, ‘এভাবে চলতে থাকলে ভারত এশিয়া কাপ ছাড়া অন্য কিছু জিতবে না। যদি কোনো ব্যাপার নিয়ে লুকোচুরি করা হয়, তাহলে বৈশ্বিক শিরোপা জেতা সম্ভব নয়। এসব ক্ষেত্রে যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নিয়ে নাও। নতুন কাউকে সুযোগ দাও। ব্যর্থতার বিষয়ে পরে ভাবা যাবে।’
ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়, ফেবারিটের তকমার যথার্থতা প্রমাণে ধারাবাহিক ব্যর্থ তারা।
গত ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ভারত। এরপর থেকেই তারা আর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। অথচ, ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা আর অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কিছুতেই তাদের ঘাটতি নেই।
তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে তাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স খারাপ নয়। সর্বশেষ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৯টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এর মধ্যে শুধু ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। বাকি টুর্নামেন্টের মধ্যে চারটিতেই সেমিফাইনালে খেলেছে এবং সমান চারটিতে রানার্সআপ হয়েছে। শুধু শিরোপা হাতে উদ্যাপনই করা হয় না তাদের।
গত ১০ বছরের ফল হিসেব ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একদিক থেকে ভারতের তুলনাও শুরু হয়েছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে প্রোটিয়ারা ভালো খেলার পরও ট্রফি জিততে না পারায় ‘চোকার্স’ তকমাটি এখন ভারতের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে। টুর্নামেন্টে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় দল নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা যে বিষয়গুলো সামনে এনেছেন—
বিপুল অর্থ ও আইপিএল
অর্থই অনর্থের মূল! টাকা আর আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়াতেই ভারতের সাফল্য আটকে গেছে অন্যান্য সংস্করণে। আইপিএলের কারণেই অন্যান্য টুর্নামেন্টে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে বলে মনে করছেন অনেকে। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু আগে যখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা নিবিড় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। কিন্তু তা কানে নেননি রোহিত।
আইপিএলকে এত প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘অর্থই সকল অনর্থের মূল।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হেরে গিয়ে কথাটার সত্যতা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুব ভালো ভাবেই প্রমাণ করল।’
ভারতের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার পেছনে আইপিএলকে দায়ী করেছেন ফাহিম। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের বর্তমান টেস্ট দলের প্রায় সব ব্যাটাররাই টেস্ট এবং ফার্স্ট ক্লাস ঘরানার খেলোয়াড়। রাহুল, বিরাট, রাহানে, পূজারা—এরা সবাই টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন নিয়েই বেড়ে উঠেছে এবং সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলেছে। তাদের অতীত রেকর্ড এবং বিগত দিনের খেলার ধরন দেখে পরিষ্কার ভাবেই সেটি বোঝা যায়। কিন্তু এই ছোট ফরম্যাটকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই তারা হারিয়ে ফেলেছে তাদের সেই শিল্পীসত্তা। রং আর তুলির সেই সমন্বয় এখন আর হচ্ছে না। সাদা রং দিয়েও যে মোহনীয় ছবি আঁকা যায় তা সবাই ভুলে যাচ্ছে। এরাই যদি এভাবে এই লাগামহীন টি-টোয়েন্টির বলিতে পরিণত হয় তাহলে টি-টোয়েন্টির মানসিকতায় বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়।’
ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে না পারা
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারত যতটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ততটা আইসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায় না। গ্রুপ পর্বে কিছুটা দেখা গেলেও নকআউটে তার ছিটেফোঁটা থাকে নেই। অথচ ১০ বছর আগে ভারতের হয়ে ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন বীরেন্দ্র শেবাগ, মাঝে যুবরাজ সিং-সুরেশ রায়নারা। রোহিত শর্মা-কোহলিরাও যে খেলেননি তা নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমে এসেছে। ভারতের সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে এটিকে দায়ী করছেন নাসের হুসেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আপনাকে (উইকেটের) বাইরে গিয়ে খেলতে এবং নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। আইসিসির টুর্নামেন্টে এই বিষয়টি ভারতকে পিছিয়ে রাখছে। তারা এমন ভয়ডরহীন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে না অথচ তাদের এমন ক্রিকেটই প্রাপ্য। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে।’
অলরাউন্ডারের অভাব
একজন অলরাউন্ডার দলে কতটা অবদান রাখতে পারেন বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন কপিল দেব, ইমরান খান কিংবা যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা। ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের যে হতাশার ছবি, অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকে দেখছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের হতাশার একমাত্র কারণ অলরাউন্ডারের অভাব। যদি ১৯৮৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে ১৯৮৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চোখ রাখেন দেখবেন ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে অসামান্য অবদান রেখেছিল অলরাউন্ডাররা।’ গত দুই-তিন বছর ধরে সেই জায়গা কেউই পূরণ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন গাভাস্কার।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে বৈচিত্র্য কম
ভারতের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের স্কোয়াড দেখলে দলটির বৈচিত্র্যের অভাবের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ব্যাটিংয়ে ডান-বাঁ দুই ধরনের ব্যাটারই ছিলেন। শুরুতে শেবাগের সঙ্গে গৌতম গম্ভীর মাঝে শচীন টেন্ডুলকার-বিরাট কোহলিকে সঙ্গ দিতেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ-রায়না। এখনকার অর্ডারে সেটার ছাপ নেই। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একমাত্র বাঁহাতি ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাটিংয়ের মতোই বোলিংয়েও ছিল ডান-বাঁয়ের দারুণ কম্বিনেশন। বাঁ হাতি পেসার জহির খান-আশিস নেহেরার সঙ্গে ছিলেন শ্রীশান্ত-মুনাফ প্যাটেল। কিন্তু এখনকার দলে নিয়মিত খেলার মতো কোনো বাঁহাতি পেসার নেই। যা ভারতকে বেশ ভোগাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্টে।
বিশ্বকাপ জিততে হলে...
ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় নিদারুণ হতাশ ভারতীয় সমর্থকেরা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররাও নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন এ ব্যর্থতা। তবে রবি শাস্ত্রী তাঁদের শিরোপাখরা নিয়ে একটা মজার কথাই বলেছেন, ‘আইসিসি ট্রফি জেতা সহজ ছিল না। মাহেন্দ্র সিং ধোনি এটিকে সহজ করে দেখিয়েছিল।’ গত ১০ বছরে বৈশ্বিক শিরোপা না জিতলেও দুবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত (২০১৬ ও ২০১৮ সালে)। শিরোপাখরা ঘোচাতে গাভাস্কারের পরামর্শ, ‘এভাবে চলতে থাকলে ভারত এশিয়া কাপ ছাড়া অন্য কিছু জিতবে না। যদি কোনো ব্যাপার নিয়ে লুকোচুরি করা হয়, তাহলে বৈশ্বিক শিরোপা জেতা সম্ভব নয়। এসব ক্ষেত্রে যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নিয়ে নাও। নতুন কাউকে সুযোগ দাও। ব্যর্থতার বিষয়ে পরে ভাবা যাবে।’
২০২৩ সালে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর হতে যাওয়া দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দল দুটি পড়েছে একই গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে আরও একটি এশিয়ার দল।
৭ ঘণ্টা আগেদুদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমন গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপের প্রথম ম্যাচ দেখতে। আজ বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ফুটবল মাঠে হাজির দেশের ক্রিকেটের আরেক নক্ষত্র তামিম ইকবাল। তামিম মাঠে থেকেই দেখলেন বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়।
৮ ঘণ্টা আগেইচ্ছা ছিল, ছিল চেষ্টা আর দারুণ আত্মবিশ্বাস—তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। শুরুর দিকে মালদ্বীপ লিড নিলেও ম্যাচটা ঠিকই ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
৮ ঘণ্টা আগে