নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আফগানিস্তানের পতাকা পাশে রেখে রশিদ খানের টুইট যে কারও মন ছুঁয়ে যাওয়ার কথা! একটু ‘শান্তি’ চেয়েছেন বিশ্বক্রিকেটে আফগানদের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।
মোহাম্মদ নবী-রশিদ খানরা তো বেড়েই উঠেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদ দেখতে দেখতে। যেখানে কান ফাটানো আগ্নেয়াস্ত্রের আওয়াজে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকে আশপাশ। এবার সেই আফগান জনপদে তালেবানদের অভ্যুত্থান হয়েছে। আর এতে স্বাভাবিক জনজীবনের সঙ্গে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে দেশটির ক্রিকেটও।
রশিদ খানের শান্তির আকুতি এটিই প্রথম নয়। নিজেদের দেশের চলমান এই সংকট নিয়ে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এর আগেও টুইট করেছিলেন তিনি। টুইটে রশিদ লিখেছিলেন, ‘প্রিয় বিশ্বনেতারা, আমার দেশ এই মুহূর্তে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে। প্রতিদিন হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ঘরবাড়ি, সম্পত্তি সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার পরিবার ঘরছাড়া হচ্ছে। আফগানদের হত্যা ও আফগানিস্তানকে ধ্বংস করা বন্ধ করুন। আমরা শান্তি চাই।’
সেই শান্তি এখনো ফেরেনি। দেশটিতে নতুন করে তালেবানদের দখলের প্রভাব পড়তে যাচ্ছে ক্রিকেটেও। ক্রিকেট দিয়েই বিশ্বজুড়ে নতুন জাগরণ হয়েছে আফগানদের। সাদা বলের ক্রিকেটে তো ভালো খেলছেই, দুই বছর আগে পা রেখেছে তারা টেস্ট ক্রিকেটেও। রশিদ খানদের সামনে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অক্টোবর-নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্টটা তাঁরা খেলবেন সরাসরি। যেখানে বাংলাদেশকে খেলতে হচ্ছে বাছাইপর্ব। বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজেদের দেশের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি সারার কথা রশিদ খানদের। এমন সময় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলের পর তালেবানরা ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে আফগান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে। আগামী ৩১ আগস্ট ঢাকায় আসার কথা আফগান যুবাদের। এই সফরে বাংলাদেশ যুবাদের সঙ্গে পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি চার দিনের ম্যাচ খেলার কথা রশিদ খানদের উত্তরসূরিদের। সিরিজটা সামনে রেখে এ সপ্তাহে সিলেটে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করার কথা বাংলাদেশ যুবাদের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য এখনো আশাবাদী, সিরিজটা ঠিকঠাক হয়ে যাবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ সিরিজ নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা করা আছে, সেটা এখনো ঠিক আছে।’
বিসিবির সঙ্গে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক সব সময়ই ভালো। দেশটিতে এখন যে অস্থিরতা চলছে, তাতে ক্রিকেটীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, সেটি অবশ্য এখনই বলা কঠিন নিজাম উদ্দিনের পক্ষে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী এতটুকুই বলেছেন, ‘একটা চিন্তা তো থাকেই। তবে একটা দেশের বিষয় নিয়ে আরেকটা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে বেশি চিন্তা করার সুযোগও কম। এই (সরকার) পরিবর্তনে যদি সে দেশের (ক্রিকেট) বোর্ডের ওপর প্রভাব পড়ে তবে (প্রভাব) পড়তে পারে। যদি বোর্ড ঠিক থাকে, বোর্ডের সঙ্গে পরিবর্তিত সরকারের সেই সম্পর্কটা থাকে আর তাদের সরকার যদি ইতিবাচক হয়, তবে এটা নিয়ে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’
তালেবানরা আফগানিস্তানের দায়িত্বভার নিলে রশিদদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় দেখা যেতে পারে। এর মধ্যে আফগানিস্তানের পাঁচটি স্টেডিয়ামের তিনটিই দখলে নিয়েছে তালেবানরা। অবশ্য ক্রিকেটের চেয়ে খেলোয়াড়েরা নিজেদের ও তাঁদের পরিবার বাঁচাতেই বেশি ভাবছেন।
রশিদ-নবীদের ভাগ্যে আসলেই কী আছে, সেটি এখন সময়ের হাতেই ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
আফগানিস্তানের পতাকা পাশে রেখে রশিদ খানের টুইট যে কারও মন ছুঁয়ে যাওয়ার কথা! একটু ‘শান্তি’ চেয়েছেন বিশ্বক্রিকেটে আফগানদের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।
মোহাম্মদ নবী-রশিদ খানরা তো বেড়েই উঠেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদ দেখতে দেখতে। যেখানে কান ফাটানো আগ্নেয়াস্ত্রের আওয়াজে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকে আশপাশ। এবার সেই আফগান জনপদে তালেবানদের অভ্যুত্থান হয়েছে। আর এতে স্বাভাবিক জনজীবনের সঙ্গে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে দেশটির ক্রিকেটও।
রশিদ খানের শান্তির আকুতি এটিই প্রথম নয়। নিজেদের দেশের চলমান এই সংকট নিয়ে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এর আগেও টুইট করেছিলেন তিনি। টুইটে রশিদ লিখেছিলেন, ‘প্রিয় বিশ্বনেতারা, আমার দেশ এই মুহূর্তে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে। প্রতিদিন হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ঘরবাড়ি, সম্পত্তি সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার পরিবার ঘরছাড়া হচ্ছে। আফগানদের হত্যা ও আফগানিস্তানকে ধ্বংস করা বন্ধ করুন। আমরা শান্তি চাই।’
সেই শান্তি এখনো ফেরেনি। দেশটিতে নতুন করে তালেবানদের দখলের প্রভাব পড়তে যাচ্ছে ক্রিকেটেও। ক্রিকেট দিয়েই বিশ্বজুড়ে নতুন জাগরণ হয়েছে আফগানদের। সাদা বলের ক্রিকেটে তো ভালো খেলছেই, দুই বছর আগে পা রেখেছে তারা টেস্ট ক্রিকেটেও। রশিদ খানদের সামনে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অক্টোবর-নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্টটা তাঁরা খেলবেন সরাসরি। যেখানে বাংলাদেশকে খেলতে হচ্ছে বাছাইপর্ব। বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজেদের দেশের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি সারার কথা রশিদ খানদের। এমন সময় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলের পর তালেবানরা ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে আফগান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে। আগামী ৩১ আগস্ট ঢাকায় আসার কথা আফগান যুবাদের। এই সফরে বাংলাদেশ যুবাদের সঙ্গে পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি চার দিনের ম্যাচ খেলার কথা রশিদ খানদের উত্তরসূরিদের। সিরিজটা সামনে রেখে এ সপ্তাহে সিলেটে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করার কথা বাংলাদেশ যুবাদের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য এখনো আশাবাদী, সিরিজটা ঠিকঠাক হয়ে যাবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ সিরিজ নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা করা আছে, সেটা এখনো ঠিক আছে।’
বিসিবির সঙ্গে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক সব সময়ই ভালো। দেশটিতে এখন যে অস্থিরতা চলছে, তাতে ক্রিকেটীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, সেটি অবশ্য এখনই বলা কঠিন নিজাম উদ্দিনের পক্ষে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী এতটুকুই বলেছেন, ‘একটা চিন্তা তো থাকেই। তবে একটা দেশের বিষয় নিয়ে আরেকটা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে বেশি চিন্তা করার সুযোগও কম। এই (সরকার) পরিবর্তনে যদি সে দেশের (ক্রিকেট) বোর্ডের ওপর প্রভাব পড়ে তবে (প্রভাব) পড়তে পারে। যদি বোর্ড ঠিক থাকে, বোর্ডের সঙ্গে পরিবর্তিত সরকারের সেই সম্পর্কটা থাকে আর তাদের সরকার যদি ইতিবাচক হয়, তবে এটা নিয়ে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’
তালেবানরা আফগানিস্তানের দায়িত্বভার নিলে রশিদদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় দেখা যেতে পারে। এর মধ্যে আফগানিস্তানের পাঁচটি স্টেডিয়ামের তিনটিই দখলে নিয়েছে তালেবানরা। অবশ্য ক্রিকেটের চেয়ে খেলোয়াড়েরা নিজেদের ও তাঁদের পরিবার বাঁচাতেই বেশি ভাবছেন।
রশিদ-নবীদের ভাগ্যে আসলেই কী আছে, সেটি এখন সময়ের হাতেই ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে অ্যান্টিগায় প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সফরকারী বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার যেন এখনো ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। ফুটবল দলের সদস্যসহ কোচিং স্টাফ-সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ৩২ জনকে ফ্রিজ উপহার দিয়েছে তারা। আজ বিকেলে মতিঝিলের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগেসরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকদের বেশির ভাগই আড়ালে চলে যান। সভাপতির পদ ছাড়েন নাজমুল হাসান পাপন। পদ হারান আরও ১০ পরিচালক। কয়েকজন করেছেন পদত্যাগ।
১২ ঘণ্টা আগে