নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ। গণসমাবেশের আগে আজ শুক্রবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটি। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এই সমাবেশ থেকে আমরা আগামী দিনে এই সরকারের বিদায়ের জন্য কতগুলো দফা ঘোষণা করব। একইভাবে আমাদের সঙ্গে যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করতে প্রস্তুত, যাদের সঙ্গে আমাদের এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে যে দশ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে, সে অনুযায়ী যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকার গণসমাবেশ থেকে সরকার বিদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে ঢাকাবাসীকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সমাবেশের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতাও চাওয়া হয়।
সমাবেশে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনগণকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান খন্দকার মোশাররফ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গণসমাবেশের প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল। স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। কিন্তু তারা দুজনই অনুপস্থিত। এ অবস্থায় সমাবেশ কতখানি সফল হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ বলেন, ‘কে প্রধান অতিথি থাকছেন সেটা সমাবেশের দিনই জানা যাবে। এটা দলীয় কোনো সমাবেশ নয়। এটা জনগণের সমাবেশ। তাই আমরা মনে করি, আমরা কে থাকলাম, কে থাকলাম না, সেটা বড় কথা না। জনগণই সমাবেশ সফল করবে।’
সমাবেশের স্থান নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘গড়িমসি করার উদ্দেশ্য একটাই, সমাবেশে যাতে বেশি লোক না আসে, সমাবেশ যাতে ব্যাহত হয়, এ জন্যই সমাবেশের জায়গা নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে। সমাবেশ বানচাল করতে সরকার নানা অপপ্রচার করছে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিগত দিনে আমরা ৯টি বিভাগে সফলভাবে সমাবেশ করেছি। নানা বাধা উপেক্ষা করে নেতা-কর্মী ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এসব সমাবেশ সফল হয়েছে। সরকার ভীত হয়ে ঢাকার সমাবেশ নিয়ে হীন ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু জনগণ বাধা উপেক্ষা করেই ঢাকার সমাবেশ সফল করবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। আলোচনার কথা বলে বিএনপির মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা রাজনৈতিক শালীনতাবিবর্জিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ। গণসমাবেশের আগে আজ শুক্রবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটি। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এই সমাবেশ থেকে আমরা আগামী দিনে এই সরকারের বিদায়ের জন্য কতগুলো দফা ঘোষণা করব। একইভাবে আমাদের সঙ্গে যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করতে প্রস্তুত, যাদের সঙ্গে আমাদের এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে যে দশ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে, সে অনুযায়ী যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকার গণসমাবেশ থেকে সরকার বিদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে ঢাকাবাসীকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সমাবেশের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতাও চাওয়া হয়।
সমাবেশে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনগণকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান খন্দকার মোশাররফ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গণসমাবেশের প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল। স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। কিন্তু তারা দুজনই অনুপস্থিত। এ অবস্থায় সমাবেশ কতখানি সফল হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ বলেন, ‘কে প্রধান অতিথি থাকছেন সেটা সমাবেশের দিনই জানা যাবে। এটা দলীয় কোনো সমাবেশ নয়। এটা জনগণের সমাবেশ। তাই আমরা মনে করি, আমরা কে থাকলাম, কে থাকলাম না, সেটা বড় কথা না। জনগণই সমাবেশ সফল করবে।’
সমাবেশের স্থান নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘গড়িমসি করার উদ্দেশ্য একটাই, সমাবেশে যাতে বেশি লোক না আসে, সমাবেশ যাতে ব্যাহত হয়, এ জন্যই সমাবেশের জায়গা নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে। সমাবেশ বানচাল করতে সরকার নানা অপপ্রচার করছে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিগত দিনে আমরা ৯টি বিভাগে সফলভাবে সমাবেশ করেছি। নানা বাধা উপেক্ষা করে নেতা-কর্মী ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এসব সমাবেশ সফল হয়েছে। সরকার ভীত হয়ে ঢাকার সমাবেশ নিয়ে হীন ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু জনগণ বাধা উপেক্ষা করেই ঢাকার সমাবেশ সফল করবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। আলোচনার কথা বলে বিএনপির মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা রাজনৈতিক শালীনতাবিবর্জিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে দেখা করতে যান। সেখানে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল
১০ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে একটু আশাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অনেকে আশান্বিত হয়েছেন। আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটা রূপ রেখে দে
৪ ঘণ্টা আগেমৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন জেলায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে স্মরণ করা হয়েছে। গতকাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর সমাধিস্থলে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় জমে।
১৮ ঘণ্টা আগেজাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।
২০ ঘণ্টা আগে