নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের মানুষ আজ এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের সূচনা করেছে। সে আন্দোলন নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আন্দোলন। আর আওয়ামী লীগের আন্দোলন রাজনৈতিক জমিদারি জারি রাখা। অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই ন্যায়সংগত উল্লেখ করে মানুষ আগামীকাল শনিবার থেকে আর প্রতিবাদ নয়, বরং প্রতিরোধের আন্দোলন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
আজ শুক্রবার সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা জানিয়েছেন রাজনৈতিক জোটটির নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘মানুষ আগামীকাল থেকে প্রতিরোধ করা শুরু করবে। সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব শক্তি আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সব প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করবে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গুন্ডা, পুলিশ দিয়ে বাধা দেওয়া, হামলার চেষ্টা করবেন না। করলে গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘এক দফা বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই এক দফা বাস্তবায়িত হলেই আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ গড়তে পারব।’
বিরোধীদের সমাবেশের দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সরকার রাজপথ রক্তাক্ত করতে চায় উল্লেখ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘শান্তি সমাবেশ অন্যদিন করেন না কেন? আমরা যেদিন কর্মসূচি করি সেদিনই কেন করেন? গন্ডগোল করার জন্য? সাবধান। সন্ত্রাস করতে আসলে জনগণ ছেড়ে দেবে না। সরকার চরম সংঘর্ষের দিকে সবাইকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘সরকার শুধু দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারীদের অবস্থা দেখে। সাধারণ মানুষের অবস্থা দেখে না।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু এই সত্য প্রধানমন্ত্রী মেনে নিতে পারছেন না। সময় পাল্টে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দিন পাল্টে গেছে। আগে বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ করে দিত। এবার একটা ঘোড়াও বন্ধ করতে পারেনি। সময় সব সময় একরকম থাকে না। আগে মানুষ দেখা হলে জিজ্ঞেস করত, শেখ হাসিনা কবে যাবে? এখন জিজ্ঞেস করে, কত দূর?’
অবিলম্বে সরকারকে যথাযথ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা কি আইয়ুব খান বা এরশাদের মতো বিদায় নিতে চান? এই সিদ্ধান্ত সরকারি দলকে নিতে হবে। এখনো রাস্তা খোলা আছে। কীভাবে পদত্যাগ করবেন এবং কীভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন—এ দুই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেন। তাহলে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা থাকবে। যদি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন, তবে তাদের বিদায় দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।’
আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকের পেটে তারা লাথি মেরেছে। প্রধানমন্ত্রী কালো টাকার ব্যবসায়ীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে তারা একটা রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত করেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মানুষের শরীর নষ্ট করে, মেয়াদ উত্তীর্ণ সরকার দেশ নষ্ট করে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা থেকে যাবেন, ততই আপনার জন্য ভালো। আপনাকে না নামিয়ে যারা রাজপথে আছেন, তাঁরা রাজপথ ছেড়ে যাবেন না।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন আহমেদ স্বপন প্রমুখ।
দেশের মানুষ আজ এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের সূচনা করেছে। সে আন্দোলন নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আন্দোলন। আর আওয়ামী লীগের আন্দোলন রাজনৈতিক জমিদারি জারি রাখা। অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই ন্যায়সংগত উল্লেখ করে মানুষ আগামীকাল শনিবার থেকে আর প্রতিবাদ নয়, বরং প্রতিরোধের আন্দোলন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
আজ শুক্রবার সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা জানিয়েছেন রাজনৈতিক জোটটির নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘মানুষ আগামীকাল থেকে প্রতিরোধ করা শুরু করবে। সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব শক্তি আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সব প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করবে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গুন্ডা, পুলিশ দিয়ে বাধা দেওয়া, হামলার চেষ্টা করবেন না। করলে গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘এক দফা বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই এক দফা বাস্তবায়িত হলেই আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ গড়তে পারব।’
বিরোধীদের সমাবেশের দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সরকার রাজপথ রক্তাক্ত করতে চায় উল্লেখ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘শান্তি সমাবেশ অন্যদিন করেন না কেন? আমরা যেদিন কর্মসূচি করি সেদিনই কেন করেন? গন্ডগোল করার জন্য? সাবধান। সন্ত্রাস করতে আসলে জনগণ ছেড়ে দেবে না। সরকার চরম সংঘর্ষের দিকে সবাইকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘সরকার শুধু দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারীদের অবস্থা দেখে। সাধারণ মানুষের অবস্থা দেখে না।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু এই সত্য প্রধানমন্ত্রী মেনে নিতে পারছেন না। সময় পাল্টে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দিন পাল্টে গেছে। আগে বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ করে দিত। এবার একটা ঘোড়াও বন্ধ করতে পারেনি। সময় সব সময় একরকম থাকে না। আগে মানুষ দেখা হলে জিজ্ঞেস করত, শেখ হাসিনা কবে যাবে? এখন জিজ্ঞেস করে, কত দূর?’
অবিলম্বে সরকারকে যথাযথ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা কি আইয়ুব খান বা এরশাদের মতো বিদায় নিতে চান? এই সিদ্ধান্ত সরকারি দলকে নিতে হবে। এখনো রাস্তা খোলা আছে। কীভাবে পদত্যাগ করবেন এবং কীভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন—এ দুই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেন। তাহলে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা থাকবে। যদি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন, তবে তাদের বিদায় দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।’
আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকের পেটে তারা লাথি মেরেছে। প্রধানমন্ত্রী কালো টাকার ব্যবসায়ীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে তারা একটা রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত করেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মানুষের শরীর নষ্ট করে, মেয়াদ উত্তীর্ণ সরকার দেশ নষ্ট করে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা থেকে যাবেন, ততই আপনার জন্য ভালো। আপনাকে না নামিয়ে যারা রাজপথে আছেন, তাঁরা রাজপথ ছেড়ে যাবেন না।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন আহমেদ স্বপন প্রমুখ।
ইউনূস সরকার ট্রাফিক জ্যামে ঘুরপাক খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা
১ ঘণ্টা আগেদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য কালবিলম্ব না করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে নির্বাচন রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি...
১ দিন আগেতিন মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জন আকাঙ্ক্ষার প্রতি বোধ হয় ভ্রুক্ষেপ করা হচ্ছে না। তারা যেটা ভালো মনে করছে, সেটাই হয়তো চাপিয়ে দিতে চাইছে।’ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্ট
১ দিন আগে‘পুলিশ সংস্কার’ বিষয়ক বিএনপির গঠিত কমিটি থেকে প্রস্তাবনা দলটির চেয়ারপারসন অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও গত বৃহস্পতিবারই (১৪ নভেম্বর) জমা দেওয়া হয় এই প্রস্তাবনা। কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়
১ দিন আগে