মাদারীপুর প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রত্যেক খাতে উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুব সমাজের জন্য কাজের ব্যবস্থা করেছি। কম্পিউটার ও ডিজিটাল ডিভাইস এগুলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমরা বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব! দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম, বাংলাদেশ ১৫ বছরে বদলে গেছে! অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সবদিকেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। এই হলো বদলে যাওয়া বাংলাদেশ! আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে বিনিয়োগ হবে, দেশি-বিদেশি। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে-তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি। এই তারুণ্যই আমরা উপযুক্তভাবে তৈরি করতে চাই, স্মার্ট তরুণ সমাজ হিসেবে। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়তে চাই।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। সৈয়দ আবুল হোসেন যখন যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। তখন হঠাৎ বিশ্বব্যাংক একটা অভিযোগ নিয়ে অসলো, পদ্মা সেতুর টাকায় দুর্নীতি হয়েছে। তখন পদ্মা সেতু নির্মাণ এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি, দক্ষিণাঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কেউ দুর্নীতি করবে, এটা কখনই বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছিল, আমাদের একটি ব্যাংকের এমডি, সে পদ হারাতে চাচ্ছিল না। বয়স হয়েছে, তারপরও পদ হারাতে চাচ্ছিল না। বসে বসে সেই ব্যক্তিই এই ষড়যন্ত্র করেছিল। তখন, বিশ্বব্যাংক বলল দুর্নীতি হয়েছে। ঠিক তখনই আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তোমরা প্রমাণ করো। বিশ্বব্যাংক পরে কিন্তু প্রমাণ করতে পারে নাই।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এই দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই আদালতে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছিল, পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হয় নাই। আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম, এই সেতু করব নিজের টাকায়। এই ঘোষণা দিয়ে বেশি লোকেরই সমর্থন পাইনি। তখন জিদ ধরে বসেছিলাম, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব। আল্লাহর রহমতে নিজের টাকায় আজ পদ্মা সেতু করেছি। পদ্মা সেতুর সুফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খুব অল্পসময়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে পারে। নৌকা মার্কা জয়যুক্ত হয়েছে বলেই সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক একটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কায় আছে বলেই এই উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে ও জেলা পর্যায়ে এমনকি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের যা যা প্রয়োজন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন—কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-২ আসনের নৌকা প্রার্থী শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ, মাদারীপুর সদরের কালকিনি ও ডাসার (একাংশ) উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। এই আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোসা. তাহমিনা বেগম।
মাদারীপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৬ প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রত্যেক খাতে উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুব সমাজের জন্য কাজের ব্যবস্থা করেছি। কম্পিউটার ও ডিজিটাল ডিভাইস এগুলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমরা বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব! দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম, বাংলাদেশ ১৫ বছরে বদলে গেছে! অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সবদিকেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। এই হলো বদলে যাওয়া বাংলাদেশ! আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে বিনিয়োগ হবে, দেশি-বিদেশি। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে-তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি। এই তারুণ্যই আমরা উপযুক্তভাবে তৈরি করতে চাই, স্মার্ট তরুণ সমাজ হিসেবে। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়তে চাই।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। সৈয়দ আবুল হোসেন যখন যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। তখন হঠাৎ বিশ্বব্যাংক একটা অভিযোগ নিয়ে অসলো, পদ্মা সেতুর টাকায় দুর্নীতি হয়েছে। তখন পদ্মা সেতু নির্মাণ এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি, দক্ষিণাঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কেউ দুর্নীতি করবে, এটা কখনই বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছিল, আমাদের একটি ব্যাংকের এমডি, সে পদ হারাতে চাচ্ছিল না। বয়স হয়েছে, তারপরও পদ হারাতে চাচ্ছিল না। বসে বসে সেই ব্যক্তিই এই ষড়যন্ত্র করেছিল। তখন, বিশ্বব্যাংক বলল দুর্নীতি হয়েছে। ঠিক তখনই আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তোমরা প্রমাণ করো। বিশ্বব্যাংক পরে কিন্তু প্রমাণ করতে পারে নাই।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এই দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই আদালতে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছিল, পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হয় নাই। আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম, এই সেতু করব নিজের টাকায়। এই ঘোষণা দিয়ে বেশি লোকেরই সমর্থন পাইনি। তখন জিদ ধরে বসেছিলাম, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব। আল্লাহর রহমতে নিজের টাকায় আজ পদ্মা সেতু করেছি। পদ্মা সেতুর সুফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খুব অল্পসময়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে পারে। নৌকা মার্কা জয়যুক্ত হয়েছে বলেই সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক একটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কায় আছে বলেই এই উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে ও জেলা পর্যায়ে এমনকি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের যা যা প্রয়োজন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন—কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-২ আসনের নৌকা প্রার্থী শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ, মাদারীপুর সদরের কালকিনি ও ডাসার (একাংশ) উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। এই আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোসা. তাহমিনা বেগম।
মাদারীপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৬ প্রার্থী।
আওয়ামী লীগকে আফ্রিকান মাগুর মাছের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছ, যা পেত সবই খেয়ে ফেলতো। বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসা ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১৭ লাখ কোটিই পাচার করেছে আওয়ামী লীগ।’
১৮ মিনিট আগেঅভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
২০ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১ দিন আগে