ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনের ৫টিতে নির্বাচন করছেন বর্তমান সরকারের চারজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী। রাজনীতির মাঠে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে না আসায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও দলের নেতা-কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপিসহ নতুন নিবন্ধিত দলগুলোও রয়েছে নির্বাচনে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়িয়েছে জাকের পার্টি। ফলে সার্বিক বিবেচনায় অন্যান্য আসনের চেয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আসনগুলোয় বিশেষ নজর সিলেটবাসীর।
বিভাগের সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৪ আসনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মৌলভীবাজার-১ আসনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। পাঁচজনই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য।
এর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রীর আসনে তাঁদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো শক্তিশালী প্রার্থী নেই। তিনজনই নির্বাচনী ঝামেলামুক্ত ও নির্ভার, এমনটাই মনে করছেন ভোটাররা। পরিকল্পনামন্ত্রীর আসনে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেন ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী। ফলে এই চার মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় নেই ভোট উৎসব। প্রচার শুরুর ষষ্ঠ দিন শনিবারও এসব আসনে নৌকার প্রার্থী ছাড়া কাউকে তেমন মাঠে দেখা যায়নি। নেই তেমন পোস্টার-লিফলেটও। তবে বিমান প্রতিমন্ত্রীর আসনে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
জানতে চাইলে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘সিলেট বিভাগে চার প্রভাবশালী মন্ত্রীর আসনেই নির্বাচনী কোনো আমেজ নেই। প্রতিটি আসনে দেখা যায় একক প্রচার। সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের পোস্টার ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোস্টার নজরে পড়েনি। অন্যগুলোর অবস্থাও একই রকম।’
আর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব মানুষ জনকল্যাণে নিয়োজিত না তাঁদের সাধারণ মানুষ চিনবে কীভাবে? অমুক প্রার্থীর এই গুণ আছে, তাঁকে ভোট দেওয়া যায়, এ রকম তো নাই। তাহলে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বিকল্প যে ভোট দেবেন এমন কেউ তো নেই। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আসনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরাও এমনই। এটা তো শুধু প্রার্থী দেখানোর জন্য প্রার্থী করা। ১৫৪টা যে হয়েছিল, এ রকম যেন এবার না হয়, সে জন্য। সরকার দল থেকে তো বলা হয়েছে কেউ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস না করেন। কারণ, ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে তুমুল তর্ক-বিতর্ক, সমালোচনা হয়েছে।’
জানা গেছে, সিলেট বিভাগের মধ্যে এবার হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনেই হবে সবচেয়ে জমজমাট নির্বাচন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিপদে-আপদে পাশে থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি ফুটবল ও সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরে প্রতিবাদের মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোচিত তিনি। নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো জনসমর্থন রয়েছে সুমনের পক্ষে। এমনটিই জানিয়েছেন ভোটাররা। ফলে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে মাহবুব আলীর। নির্বাচনে নৌকা ও ঈগল পাখির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন স্থানীয়রা। অন্য প্রার্থীদের ভোটের মাঠে চোখে পড়ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মাহবুব উল আলম হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কে ভালো প্রার্থী, কে খারাপ প্রার্থী তা জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিচার করবে। এর আগে তো বলা যাবে না। এখন সব প্রার্থীই সমান। মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যারা দেশের উন্নয়নবিরোধী, তাঁরা সরকারের সফলতা দেখতে পান না। জনগণের সুখ-শান্তি চান না। গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও উন্নয়নবাঁধাগ্রস্ত করতে চান। তাঁরা ভোট উৎসব দেখবে কীভাবে?’
সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনের ৫টিতে নির্বাচন করছেন বর্তমান সরকারের চারজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী। রাজনীতির মাঠে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে না আসায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও দলের নেতা-কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপিসহ নতুন নিবন্ধিত দলগুলোও রয়েছে নির্বাচনে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়িয়েছে জাকের পার্টি। ফলে সার্বিক বিবেচনায় অন্যান্য আসনের চেয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আসনগুলোয় বিশেষ নজর সিলেটবাসীর।
বিভাগের সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৪ আসনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মৌলভীবাজার-১ আসনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। পাঁচজনই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য।
এর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রীর আসনে তাঁদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো শক্তিশালী প্রার্থী নেই। তিনজনই নির্বাচনী ঝামেলামুক্ত ও নির্ভার, এমনটাই মনে করছেন ভোটাররা। পরিকল্পনামন্ত্রীর আসনে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেন ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী। ফলে এই চার মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় নেই ভোট উৎসব। প্রচার শুরুর ষষ্ঠ দিন শনিবারও এসব আসনে নৌকার প্রার্থী ছাড়া কাউকে তেমন মাঠে দেখা যায়নি। নেই তেমন পোস্টার-লিফলেটও। তবে বিমান প্রতিমন্ত্রীর আসনে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
জানতে চাইলে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘সিলেট বিভাগে চার প্রভাবশালী মন্ত্রীর আসনেই নির্বাচনী কোনো আমেজ নেই। প্রতিটি আসনে দেখা যায় একক প্রচার। সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের পোস্টার ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোস্টার নজরে পড়েনি। অন্যগুলোর অবস্থাও একই রকম।’
আর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব মানুষ জনকল্যাণে নিয়োজিত না তাঁদের সাধারণ মানুষ চিনবে কীভাবে? অমুক প্রার্থীর এই গুণ আছে, তাঁকে ভোট দেওয়া যায়, এ রকম তো নাই। তাহলে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বিকল্প যে ভোট দেবেন এমন কেউ তো নেই। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আসনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরাও এমনই। এটা তো শুধু প্রার্থী দেখানোর জন্য প্রার্থী করা। ১৫৪টা যে হয়েছিল, এ রকম যেন এবার না হয়, সে জন্য। সরকার দল থেকে তো বলা হয়েছে কেউ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস না করেন। কারণ, ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে তুমুল তর্ক-বিতর্ক, সমালোচনা হয়েছে।’
জানা গেছে, সিলেট বিভাগের মধ্যে এবার হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনেই হবে সবচেয়ে জমজমাট নির্বাচন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিপদে-আপদে পাশে থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি ফুটবল ও সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরে প্রতিবাদের মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোচিত তিনি। নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো জনসমর্থন রয়েছে সুমনের পক্ষে। এমনটিই জানিয়েছেন ভোটাররা। ফলে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে মাহবুব আলীর। নির্বাচনে নৌকা ও ঈগল পাখির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন স্থানীয়রা। অন্য প্রার্থীদের ভোটের মাঠে চোখে পড়ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মাহবুব উল আলম হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কে ভালো প্রার্থী, কে খারাপ প্রার্থী তা জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিচার করবে। এর আগে তো বলা যাবে না। এখন সব প্রার্থীই সমান। মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যারা দেশের উন্নয়নবিরোধী, তাঁরা সরকারের সফলতা দেখতে পান না। জনগণের সুখ-শান্তি চান না। গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও উন্নয়নবাঁধাগ্রস্ত করতে চান। তাঁরা ভোট উৎসব দেখবে কীভাবে?’
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য কালবিলম্ব না করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে নির্বাচন রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি...
১০ ঘণ্টা আগেতিন মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জন আকাঙ্ক্ষার প্রতি বোধ হয় ভ্রুক্ষেপ করা হচ্ছে না। তারা যেটা ভালো মনে করছে, সেটাই হয়তো চাপিয়ে দিতে চাইছে।’ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্ট
১১ ঘণ্টা আগে‘পুলিশ সংস্কার’ বিষয়ক বিএনপির গঠিত কমিটি থেকে প্রস্তাবনা দলটির চেয়ারপারসন অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও গত বৃহস্পতিবারই (১৪ নভেম্বর) জমা দেওয়া হয় এই প্রস্তাবনা। কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়
১২ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগকে আফ্রিকান মাগুর মাছের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছ, যা পেত সবই খেয়ে ফেলত। বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসা ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১৭ লাখ কোটিই পাচার করেছে আওয়ামী লীগ।’
১৩ ঘণ্টা আগে