উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতাত্ত্বিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমরা বড় বড় ধনীর পক্ষে নই। ওরা খালি ঠকায়। ওরা দিনরাত দাম বাড়ায়। ৫ টাকার জিনিসপত্র ৫০ টাকা বিক্রি করে পাবলিকের পকেট কেটে নেই। আমরা সেই দল না। আপনারা পছন্দ করেন আর না করেন, আমরা বড়লোকের পক্ষে নাই।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাসদ ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনু এ মন্তব্য করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি জানি বাজারে চাল, ডাল, তেল, নুন, মুরগি, ডিম, মাছ সব দাম ডাবল হয়ে গেছে। আমি যখন দোকানদারকে জিজ্ঞেস করি, ভাই ডিমের উৎপাদন কমে গেল নাকি? চালের উৎপাদন কি কমছে নাকি? তাহলে দাম বাড়ল কেন? যদি সরবরাহ না থাকে তাহলে দাম বাড়ে। চাল, ডাল আমরা নিজেরাই উৎপাদন করছি। এগুলো তো আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে না। তেলের দাম, ডিজেলের দাম বাড়ল মানলাম। কিন্তু মুরগি, চাল, ডাল, মাছের সরবরাহ আছে। তাহলে দাম বাড়ল কেন? তবুও সব জিনিস পত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। এটা তো হতে পারে না, এতে ঘাপলা আছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে না হয়তো তেলের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু অন্য কিছু তো আমরা তৈরি করি, তাহলে এসবের দাম বাড়ল কেন?
ইনু বলেন, বৈশ্বিক সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট, ডলারের সংকট, বিদ্যুতের সংকট, জ্বালানি তেলের সংকট, নিত্য পণ্যের বাজারের সংকট, এই সব সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের আছে। কারণ আমরা দুই বছর কোভিড মোকাবিলা করলাম। সারা বিশ্ব হুমড়ি খেয়ে পড়ল। কিন্তু বাংলাদেশ তো মাশাল্লাহ ভালোই ছিল। কোভিডে কিছু লোক মারা গেছে। কিন্তু আমেরিকার মত ১০ লাখ লোক তো মারা যায়নি। তখন আমাদের উৎপাদন তো ঠিকই ছিল, শ্রমিকদেরকে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। আমরা খেয়ে পড়ে বেঁচে ছিলাম। তাহলে আজকে এই বাজারের সমস্যার সমাধান করতে পারব না কেন? করতে হবে। এর জন্য কারা দায়ী, যারা দাম বাড়ায় মজুতদার, বাজারের সিন্ডিকেট, লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করি। তাহলেই তো সমস্যার সমাধান হয়।
জনগণের কাছে প্রশ্ন রেখে জাসদ সভাপতি বলেন, আপনারা কি লুটরাজের পক্ষে থাকবেন, নাকি বিপক্ষে থাকবেন? তাহলে কালকেই জাসদের কাছে ক্ষমতা দেন। তাহলে সমাজতন্ত্রের ডান্ডা হাতে করে সব ঠান্ডা করে দেব। সেজন্যই আমি বলি সমাজতন্ত্রের নীতির ভিত্তিতে চলমান সংকট, বৈশ্বিক আশঙ্কা মোকাবিলা করা সম্ভব। শুধুমাত্র সমাজতন্ত্রের নীতিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করে এসব সমস্যার সমাধান সবই করা সম্ভব। আমরা মনে করি যারা ক্ষতিগ্রস্ত জাসদ তাদের পক্ষ নেয়, যারা দায়ী তাদের ধ্বংস করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি হাসানুল হক ইনু আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা এসব সংকটের জন্য দায়ী, যারা মানুষের পকেট কাটছে, মানুষের পেটে লাথি মারছে, তাদের আপনি প্রশাসনের ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করেন। সমাজতন্ত্রের চশমা দিয়ে দেখেন সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে জাসদ সভাপতি বলেন, যখন মানুষ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করছে, বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা করছে, দ্রব্যমূল্যের সংকট মোকাবিলা করেছে, তখন এটাকে পুঁজি করে ক্ষমতার খেলা খেলতে নেই। যখন গ্রামে আগুন লাগে তখন আরেকটা ঘর দখলের জন্য দৌড়াব নাকি আগুন নেভাবো? বিএনপি জামায়াত ইসলামের দিকে তাকালে তাই দেখছি। ওরা আগুন নেভানের কাজ না করে আমার বাড়ি দখল করতে এসেছে। মানুষের সংকটের সময় রাজনীতি করতে নেই। কীভাবে সংকট মোকাবিলা করবে প্রস্তাব দিন। সমাজতন্ত্রের ডান্ডা হাতে ধরেন যারা দায়ী তাদের ঠান্ডা করেন। বিএনপি জামায়াতের কাছে কোনো দাবি দাওয়া নাই, কোনো প্রস্তাব নাই। তারা বৈশ্বিক সংকটের আগুনের ভেতরে রুটির ছেকার চেষ্টা করছে। এই রুটি বিএনপি, জামাত, তারেক, খালেদা জিয়া খাবে। এর ভাগ আমাদের কাছে আসবে না।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সব সংকট মোকাবিলা করার ক্ষমতা ইনশাল্লাহ আমাদের আছে। দুই বছরে কোভিডের কারণে হয়তো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু লোক মারা গেছে। কিন্তু আমেরিকার মতো ১০ লাখ লোক মারা যায়নি। দেশের সবকিছু উৎপাদন হয়েছে। দেশও চলেছে।’
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতাত্ত্বিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমরা বড় বড় ধনীর পক্ষে নই। ওরা খালি ঠকায়। ওরা দিনরাত দাম বাড়ায়। ৫ টাকার জিনিসপত্র ৫০ টাকা বিক্রি করে পাবলিকের পকেট কেটে নেই। আমরা সেই দল না। আপনারা পছন্দ করেন আর না করেন, আমরা বড়লোকের পক্ষে নাই।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাসদ ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনু এ মন্তব্য করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি জানি বাজারে চাল, ডাল, তেল, নুন, মুরগি, ডিম, মাছ সব দাম ডাবল হয়ে গেছে। আমি যখন দোকানদারকে জিজ্ঞেস করি, ভাই ডিমের উৎপাদন কমে গেল নাকি? চালের উৎপাদন কি কমছে নাকি? তাহলে দাম বাড়ল কেন? যদি সরবরাহ না থাকে তাহলে দাম বাড়ে। চাল, ডাল আমরা নিজেরাই উৎপাদন করছি। এগুলো তো আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে না। তেলের দাম, ডিজেলের দাম বাড়ল মানলাম। কিন্তু মুরগি, চাল, ডাল, মাছের সরবরাহ আছে। তাহলে দাম বাড়ল কেন? তবুও সব জিনিস পত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। এটা তো হতে পারে না, এতে ঘাপলা আছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে না হয়তো তেলের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু অন্য কিছু তো আমরা তৈরি করি, তাহলে এসবের দাম বাড়ল কেন?
ইনু বলেন, বৈশ্বিক সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট, ডলারের সংকট, বিদ্যুতের সংকট, জ্বালানি তেলের সংকট, নিত্য পণ্যের বাজারের সংকট, এই সব সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের আছে। কারণ আমরা দুই বছর কোভিড মোকাবিলা করলাম। সারা বিশ্ব হুমড়ি খেয়ে পড়ল। কিন্তু বাংলাদেশ তো মাশাল্লাহ ভালোই ছিল। কোভিডে কিছু লোক মারা গেছে। কিন্তু আমেরিকার মত ১০ লাখ লোক তো মারা যায়নি। তখন আমাদের উৎপাদন তো ঠিকই ছিল, শ্রমিকদেরকে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। আমরা খেয়ে পড়ে বেঁচে ছিলাম। তাহলে আজকে এই বাজারের সমস্যার সমাধান করতে পারব না কেন? করতে হবে। এর জন্য কারা দায়ী, যারা দাম বাড়ায় মজুতদার, বাজারের সিন্ডিকেট, লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করি। তাহলেই তো সমস্যার সমাধান হয়।
জনগণের কাছে প্রশ্ন রেখে জাসদ সভাপতি বলেন, আপনারা কি লুটরাজের পক্ষে থাকবেন, নাকি বিপক্ষে থাকবেন? তাহলে কালকেই জাসদের কাছে ক্ষমতা দেন। তাহলে সমাজতন্ত্রের ডান্ডা হাতে করে সব ঠান্ডা করে দেব। সেজন্যই আমি বলি সমাজতন্ত্রের নীতির ভিত্তিতে চলমান সংকট, বৈশ্বিক আশঙ্কা মোকাবিলা করা সম্ভব। শুধুমাত্র সমাজতন্ত্রের নীতিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করে এসব সমস্যার সমাধান সবই করা সম্ভব। আমরা মনে করি যারা ক্ষতিগ্রস্ত জাসদ তাদের পক্ষ নেয়, যারা দায়ী তাদের ধ্বংস করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি হাসানুল হক ইনু আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা এসব সংকটের জন্য দায়ী, যারা মানুষের পকেট কাটছে, মানুষের পেটে লাথি মারছে, তাদের আপনি প্রশাসনের ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করেন। সমাজতন্ত্রের চশমা দিয়ে দেখেন সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে জাসদ সভাপতি বলেন, যখন মানুষ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করছে, বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা করছে, দ্রব্যমূল্যের সংকট মোকাবিলা করেছে, তখন এটাকে পুঁজি করে ক্ষমতার খেলা খেলতে নেই। যখন গ্রামে আগুন লাগে তখন আরেকটা ঘর দখলের জন্য দৌড়াব নাকি আগুন নেভাবো? বিএনপি জামায়াত ইসলামের দিকে তাকালে তাই দেখছি। ওরা আগুন নেভানের কাজ না করে আমার বাড়ি দখল করতে এসেছে। মানুষের সংকটের সময় রাজনীতি করতে নেই। কীভাবে সংকট মোকাবিলা করবে প্রস্তাব দিন। সমাজতন্ত্রের ডান্ডা হাতে ধরেন যারা দায়ী তাদের ঠান্ডা করেন। বিএনপি জামায়াতের কাছে কোনো দাবি দাওয়া নাই, কোনো প্রস্তাব নাই। তারা বৈশ্বিক সংকটের আগুনের ভেতরে রুটির ছেকার চেষ্টা করছে। এই রুটি বিএনপি, জামাত, তারেক, খালেদা জিয়া খাবে। এর ভাগ আমাদের কাছে আসবে না।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সব সংকট মোকাবিলা করার ক্ষমতা ইনশাল্লাহ আমাদের আছে। দুই বছরে কোভিডের কারণে হয়তো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু লোক মারা গেছে। কিন্তু আমেরিকার মতো ১০ লাখ লোক মারা যায়নি। দেশের সবকিছু উৎপাদন হয়েছে। দেশও চলেছে।’
মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন জেলায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে স্মরণ করা হয়েছে। গতকাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর সমাধিস্থলে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় জমে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।
৬ ঘণ্টা আগেইউনূস সরকার ট্রাফিক জ্যামে ঘুরপাক খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা
১০ ঘণ্টা আগেদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য কালবিলম্ব না করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে নির্বাচন রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি...
১ দিন আগে