ঢাবি প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার প্রতিনিধিদের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাওয়াত করা হয় না। তাঁরা দাওয়াত ছাড়াই চলে আসেন। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসিতে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের স্মরণে’ শীর্ষক ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে কী বিপদে আমরা আছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউরোপের নেতাদের আমরা তো দাওয়াত করি না। কোথা থেকে এত মেহমান আসেন। ইউরোপ-আমেরিকার মেহমান না বলে চলে আসেন। আসতে চান আমাদের বলেন, আমরা আদর-যত্ন করে রাখব। কী জানতে চান বলেন, প্রয়োজনে আমাদের জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। আপনারা কথা বলেন, ধমক মারেন, নিষেধাজ্ঞা দেন, এখন আবার ভিসা নীতি দেন। কিন্তু এই হুমকি বিএনপির ব্যাপারে কেন বলেন না? ওখানে কি ভিসা নীতি নেই? আপনাদের তো মূল কথা নির্বাচনে যে বাধা দেবে, তার বিরুদ্ধে ভিসা নীতি। এই কাজ তো বিএনপি করছে। আমরা তো করছি না। আমরা তো নির্বাচন চাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নির্বাচনের আগে-পরে শান্তি চাই। যারা নির্বাচনের নামে আগুন-সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করবে, আমরাও দেখব এই নিষেধাজ্ঞার মানে কী, এই ভিসা নীতি কার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) তারেক রহমানকে বলেন, সাহস থাকলে দেশে আসতে। রাজপথে ফয়সালা হোক। কানাডার আদালত বিএনপিকে পাঁচবার সন্ত্রাসী বলেছে। বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিদেশেও চিহ্নিত। এই টেরোরিস্টের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। তারা এখন বলে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র। ফ্যাসিবাদী কাকে বলে? এটার পুরো চরিত্রই বিএনপির ক্ষমতার আমলকে পুরো ফুটিয়ে তোলে। ফ্যাসিবাদের জ্বলন্ত প্রমাণ বিএনপি। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তারা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’
কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, নির্বাচনব্যবস্থা যেটা শেখ হাসিনার হাতে জাতি পাচ্ছে, বিএনপি স্বপ্নেও সেটা পেরেছে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘তোমরা (বিএনপির) গণতন্ত্র ধ্বংস করছ। কোটি কোটি টাকা পাচার করেছ। হাওয়া ভবনের লুটপাট করছ। দুর্নীতির কথা তোমাদের মুখে শোভা পায় না। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বিএনপি। তারাই এ দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, ভোট চুরির রাজনীতি শুরু করেছে, ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের সুবচন শুনতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস করে গণতন্ত্রের কথা বলে। দুর্নীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিভিং লিগ্যাসি হিসেবে এই জনপদ যত দিন থাকবে তাঁর নাম প্রতিধ্বনিত হবে। এটা বোধ হয় সৃষ্টিকর্তার অমর সৃষ্টি। এই দেশের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর মুখনিঃসৃত শব্দ মুক্তি আর স্বাধীনতা। স্বাধীনতার লিগ্যাসি বঙ্গবন্ধুর নামেই উচ্চারিত হবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম এটাও তাঁর লিগ্যাসি, এটা বহন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের এই লিগ্যাসি আরও পরিষ্কার হবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বড় দোষ সত্য কথা বলা। ১৫ আগস্টের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা, বড় বড় সত্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। আমরা অনেকে ভয় করি, নেত্রী কেন এসব বলেন? বিশ্ব মোড়লদের খেঁপাচ্ছেন। কিন্তু নেত্রীর কাছে সব খবর আছে। এখানে একটা বড় খেলা আছে। অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের (বিশ্ব মোড়ল) মাথাব্যথা নেই।’
এ সময় বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক চাইলে পাকিস্তানে চলে যান। দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার প্রতিনিধিদের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাওয়াত করা হয় না। তাঁরা দাওয়াত ছাড়াই চলে আসেন। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসিতে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের স্মরণে’ শীর্ষক ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে কী বিপদে আমরা আছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউরোপের নেতাদের আমরা তো দাওয়াত করি না। কোথা থেকে এত মেহমান আসেন। ইউরোপ-আমেরিকার মেহমান না বলে চলে আসেন। আসতে চান আমাদের বলেন, আমরা আদর-যত্ন করে রাখব। কী জানতে চান বলেন, প্রয়োজনে আমাদের জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। আপনারা কথা বলেন, ধমক মারেন, নিষেধাজ্ঞা দেন, এখন আবার ভিসা নীতি দেন। কিন্তু এই হুমকি বিএনপির ব্যাপারে কেন বলেন না? ওখানে কি ভিসা নীতি নেই? আপনাদের তো মূল কথা নির্বাচনে যে বাধা দেবে, তার বিরুদ্ধে ভিসা নীতি। এই কাজ তো বিএনপি করছে। আমরা তো করছি না। আমরা তো নির্বাচন চাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নির্বাচনের আগে-পরে শান্তি চাই। যারা নির্বাচনের নামে আগুন-সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করবে, আমরাও দেখব এই নিষেধাজ্ঞার মানে কী, এই ভিসা নীতি কার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) তারেক রহমানকে বলেন, সাহস থাকলে দেশে আসতে। রাজপথে ফয়সালা হোক। কানাডার আদালত বিএনপিকে পাঁচবার সন্ত্রাসী বলেছে। বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিদেশেও চিহ্নিত। এই টেরোরিস্টের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। তারা এখন বলে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র। ফ্যাসিবাদী কাকে বলে? এটার পুরো চরিত্রই বিএনপির ক্ষমতার আমলকে পুরো ফুটিয়ে তোলে। ফ্যাসিবাদের জ্বলন্ত প্রমাণ বিএনপি। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তারা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’
কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, নির্বাচনব্যবস্থা যেটা শেখ হাসিনার হাতে জাতি পাচ্ছে, বিএনপি স্বপ্নেও সেটা পেরেছে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘তোমরা (বিএনপির) গণতন্ত্র ধ্বংস করছ। কোটি কোটি টাকা পাচার করেছ। হাওয়া ভবনের লুটপাট করছ। দুর্নীতির কথা তোমাদের মুখে শোভা পায় না। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বিএনপি। তারাই এ দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, ভোট চুরির রাজনীতি শুরু করেছে, ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের সুবচন শুনতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস করে গণতন্ত্রের কথা বলে। দুর্নীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিভিং লিগ্যাসি হিসেবে এই জনপদ যত দিন থাকবে তাঁর নাম প্রতিধ্বনিত হবে। এটা বোধ হয় সৃষ্টিকর্তার অমর সৃষ্টি। এই দেশের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর মুখনিঃসৃত শব্দ মুক্তি আর স্বাধীনতা। স্বাধীনতার লিগ্যাসি বঙ্গবন্ধুর নামেই উচ্চারিত হবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম এটাও তাঁর লিগ্যাসি, এটা বহন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের এই লিগ্যাসি আরও পরিষ্কার হবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বড় দোষ সত্য কথা বলা। ১৫ আগস্টের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা, বড় বড় সত্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। আমরা অনেকে ভয় করি, নেত্রী কেন এসব বলেন? বিশ্ব মোড়লদের খেঁপাচ্ছেন। কিন্তু নেত্রীর কাছে সব খবর আছে। এখানে একটা বড় খেলা আছে। অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের (বিশ্ব মোড়ল) মাথাব্যথা নেই।’
এ সময় বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক চাইলে পাকিস্তানে চলে যান। দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের নামকরণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পঙ্গুত্ববরণকারীদের মধ্যে হুইল...
৩৭ মিনিট আগেবস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আর কখনোই মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন
১ ঘণ্টা আগেনবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে শক্তিশালী ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১০ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জ্বালানি খাত নিয়ে সরকারের করণীয় বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
২ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে দেখা করতে যান। সেখানে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল
৩ ঘণ্টা আগে