নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনেও প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘নিজেরা আর মামুরা খেলায়ও ৪৮টা মারামারি হয়ে গেছে।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ ও সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নিজেরা আর মামুরা খেলায়ও ৪৮টা মারামারি হয়েছে গেছে। একজনকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। আরও কত মারামারি হয় কে জানে। নিজেরা নিজেরা নির্বাচনেও এই অবস্থা। বিরোধী দল যদি মাঠে থাকত তাহলে কী হতো? বিরোধী দল নির্বাচনে গেলে দেশ সন্ত্রাসের তাণ্ডবলীলায় পরিণত হতো।’
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগামীতে আরও শোচনীয় হবে জানিয়ে সাকি বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকেরা কাপড় বানায়, জিনিসপত্র বানিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে। কিন্তু সেসব রপ্তানির টাকা পুরোটা দেশে আসে না। ব্যবসায়ী, নেতারা বিদেশে টাকার পাহাড় গড়েছে। ১০০ টাকায় ৬০ টাকা চুরি। ব্যাংকে আপনার আমার টাকা থাকে, সেই ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে ফেলা হয়েছে। এই টাকা আর ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই লুটপাট টিকিয়ে রাখতেই তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাকি বলেন, ‘এভাবেই চলতে দিতে না চাইলে ৭ তারিখের তামাশা বন্ধ করতে হবে। যদি দেশপ্রেম থাকে, জনগণের প্রতি দায় থাকে তাহলে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না। ৭ তারিখে কেউ ভোট দিতে যাবেন না, এটাই এখন দেশের মানুষের প্রত্যয়।’
সংবিধান অনুযায়ীও বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় আছে জানিয়ে সাকি বলেন, এই দেশে সংবিধানের অধীনেও সংকট সমাধানের ব্যবস্থা আছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংসদ ভেঙে দিলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে সাকি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, ৭০ ভাগ মানুষ নৌকায় ভোট দিতে রেডি? তাহলে ৭০ ভাগ জনগণের ওপর ভরসা রাখেন। জনগণ যদি আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, আমরা সালাম দিয়ে আপনাদের সরকার মেনে নেব। কিন্তু সাহস নাই, জনগণকে উনারা ভয় পান। কারণ, জনগণ ব্যালটে সিল দেওয়ার ক্ষমতা পেলে এই আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে। নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে ডামি প্রার্থীর। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে আরেক প্রার্থীর। আর বলছে, বিরোধী দল সন্ত্রাস করছে।
সাইফুল হক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে কোনো রাজনৈতিক দল নেই। তারা একটা সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে পুরো দেশকে আজকে তারা সংকটের মুখে ফেলেছে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, এই নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না, এই ট্রেন খাদে পড়বে। যে নির্বাচনে আগে থেকেই সব নির্ধারিত থাকে তাকে ভোট বলা যায় না। এটা নাটক। এই নাটকে সবাই ভিলেন, এখানে কোনো নায়ক নাই।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের ভোটচুরির বিরুদ্ধে গণতন্ত্র মঞ্চ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে বলে জানান তিনি। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ।
সরকার বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনেও প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘নিজেরা আর মামুরা খেলায়ও ৪৮টা মারামারি হয়ে গেছে।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ ও সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নিজেরা আর মামুরা খেলায়ও ৪৮টা মারামারি হয়েছে গেছে। একজনকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। আরও কত মারামারি হয় কে জানে। নিজেরা নিজেরা নির্বাচনেও এই অবস্থা। বিরোধী দল যদি মাঠে থাকত তাহলে কী হতো? বিরোধী দল নির্বাচনে গেলে দেশ সন্ত্রাসের তাণ্ডবলীলায় পরিণত হতো।’
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগামীতে আরও শোচনীয় হবে জানিয়ে সাকি বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকেরা কাপড় বানায়, জিনিসপত্র বানিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে। কিন্তু সেসব রপ্তানির টাকা পুরোটা দেশে আসে না। ব্যবসায়ী, নেতারা বিদেশে টাকার পাহাড় গড়েছে। ১০০ টাকায় ৬০ টাকা চুরি। ব্যাংকে আপনার আমার টাকা থাকে, সেই ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে ফেলা হয়েছে। এই টাকা আর ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই লুটপাট টিকিয়ে রাখতেই তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাকি বলেন, ‘এভাবেই চলতে দিতে না চাইলে ৭ তারিখের তামাশা বন্ধ করতে হবে। যদি দেশপ্রেম থাকে, জনগণের প্রতি দায় থাকে তাহলে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না। ৭ তারিখে কেউ ভোট দিতে যাবেন না, এটাই এখন দেশের মানুষের প্রত্যয়।’
সংবিধান অনুযায়ীও বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় আছে জানিয়ে সাকি বলেন, এই দেশে সংবিধানের অধীনেও সংকট সমাধানের ব্যবস্থা আছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংসদ ভেঙে দিলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে সাকি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, ৭০ ভাগ মানুষ নৌকায় ভোট দিতে রেডি? তাহলে ৭০ ভাগ জনগণের ওপর ভরসা রাখেন। জনগণ যদি আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, আমরা সালাম দিয়ে আপনাদের সরকার মেনে নেব। কিন্তু সাহস নাই, জনগণকে উনারা ভয় পান। কারণ, জনগণ ব্যালটে সিল দেওয়ার ক্ষমতা পেলে এই আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে। নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে ডামি প্রার্থীর। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে আরেক প্রার্থীর। আর বলছে, বিরোধী দল সন্ত্রাস করছে।
সাইফুল হক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে কোনো রাজনৈতিক দল নেই। তারা একটা সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে পুরো দেশকে আজকে তারা সংকটের মুখে ফেলেছে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, এই নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না, এই ট্রেন খাদে পড়বে। যে নির্বাচনে আগে থেকেই সব নির্ধারিত থাকে তাকে ভোট বলা যায় না। এটা নাটক। এই নাটকে সবাই ভিলেন, এখানে কোনো নায়ক নাই।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের ভোটচুরির বিরুদ্ধে গণতন্ত্র মঞ্চ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে বলে জানান তিনি। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ।
আজ থেকে দুই বছর আগেই বিএনপি সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সুতরাং সংস্কারের পর নির্বাচনের আয়োজন করা কোনো যৌক্তিক কথা নয়।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সন্দেহ আসতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আবারও জোর দিলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপি ক্ষমতায় গেলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের নামকরণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পঙ্গুত্ববরণকারীদের মধ্যে হুইল...
২১ ঘণ্টা আগেবস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আর কখনোই মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন
২১ ঘণ্টা আগে