নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় নাই’—এমন মন্তব্য করে আন্দোলন চালু রাখার প্রত্যয় জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত (আন্দোলন) হতে পারে, কিন্তু সার্বিকভাবে কখনো ব্যর্থ হয় নাই। আজকে না হয় কালকে এই ফ্যাসিস্ট দখলদার সরকারের পতন ঘটবেই এই জনতার হাতে। এদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
আজ শনিবার রাজধানীতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাসে, পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে লিফলেট বিতরণের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন মির্জা আব্বাস।
সরকার পতনের আন্দোলনে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করতে করতে এই পর্যন্ত এসেছি। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। এখন পরবর্তী যে প্রজন্ম আছে, তাদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মনোবল ঠিক রাখতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। আপনারা অনেক সহ্য করেছেন, আরও সহ্য করতে হব। যদি বলেন কত দিন সহ্য করতে হবে, এটা বলা সম্ভব না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে, বাড়বে। আমরা এটাই জনগণকে জানাতে চাই শুধু, আর কিছুই না। আমাদের এই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন, আমাদের এই অহিংস আন্দোলন, গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন, বাকস্বাধীনতার আন্দোলন, ভোটের অধিকারের আন্দোলন সারা বাংলাদেশে চলবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুসোলিনি-স্ট্যালিনরা বহুদিন রাজত্ব করেছে। কিন্তু পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারে নাই। আজকে যে সরকার আছে, এটাকে সরকার বলা যাবে না। এরা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় টিকে আছে লুটপাট করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে আছে চুরি করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে আছে এ দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।’
২৮ অক্টোবরে রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘সরকারের পূর্বপরিকল্পিত’ দাবি করে আব্বাস বলেন, ‘২৮ তারিখ কী হয়েছিল? সেই প্রথম থেকে একটা নকশা করে, এটা ডিজাইন করে যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে, এই চক্রান্ত প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। সে জন্য দুই বছর আগে থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হয়।’
কারাগারে নেতা-কর্মীদের ওপরে ‘নিপীড়ন-নির্যাতনের’ অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে, এটা আর সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। এ সরকারের পতন ঘটবেই।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাদরেজ জামান, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিন রাজধানীর বেইলি রোডে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় নাই’—এমন মন্তব্য করে আন্দোলন চালু রাখার প্রত্যয় জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত (আন্দোলন) হতে পারে, কিন্তু সার্বিকভাবে কখনো ব্যর্থ হয় নাই। আজকে না হয় কালকে এই ফ্যাসিস্ট দখলদার সরকারের পতন ঘটবেই এই জনতার হাতে। এদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
আজ শনিবার রাজধানীতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাসে, পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে লিফলেট বিতরণের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন মির্জা আব্বাস।
সরকার পতনের আন্দোলনে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করতে করতে এই পর্যন্ত এসেছি। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। এখন পরবর্তী যে প্রজন্ম আছে, তাদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মনোবল ঠিক রাখতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। আপনারা অনেক সহ্য করেছেন, আরও সহ্য করতে হব। যদি বলেন কত দিন সহ্য করতে হবে, এটা বলা সম্ভব না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে, বাড়বে। আমরা এটাই জনগণকে জানাতে চাই শুধু, আর কিছুই না। আমাদের এই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন, আমাদের এই অহিংস আন্দোলন, গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন, বাকস্বাধীনতার আন্দোলন, ভোটের অধিকারের আন্দোলন সারা বাংলাদেশে চলবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুসোলিনি-স্ট্যালিনরা বহুদিন রাজত্ব করেছে। কিন্তু পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারে নাই। আজকে যে সরকার আছে, এটাকে সরকার বলা যাবে না। এরা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় টিকে আছে লুটপাট করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে আছে চুরি করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে আছে এ দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।’
২৮ অক্টোবরে রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘সরকারের পূর্বপরিকল্পিত’ দাবি করে আব্বাস বলেন, ‘২৮ তারিখ কী হয়েছিল? সেই প্রথম থেকে একটা নকশা করে, এটা ডিজাইন করে যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে, এই চক্রান্ত প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। সে জন্য দুই বছর আগে থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হয়।’
কারাগারে নেতা-কর্মীদের ওপরে ‘নিপীড়ন-নির্যাতনের’ অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে, এটা আর সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। এ সরকারের পতন ঘটবেই।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাদরেজ জামান, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিন রাজধানীর বেইলি রোডে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের নামকরণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পঙ্গুত্ববরণকারীদের মধ্যে হুইল...
৯ ঘণ্টা আগেবস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আর কখনোই মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন
১০ ঘণ্টা আগেনবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে শক্তিশালী ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১০ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জ্বালানি খাত নিয়ে সরকারের করণীয় বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
১১ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে দেখা করতে যান। সেখানে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল
১২ ঘণ্টা আগে