নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার ৯টি নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাঁরই আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। আজ বুধবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
গত ৩১ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন করা হলে আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। যথারীতি জামিন শুনানির জন্য মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ২টার দিকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে শুনানি হয়। আইনজীবীরা জামিন শুনানি করেন।
একপর্যায়ে আদালত বলেন, এসব মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। এই অবস্থায় জামিন শুনানি কীভাবে হবে? আদালত আইনজীবীদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে বলেন।
ঢাকার আদালতের আইনজীবীরা জানান, প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী একজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলে ওইসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। অথবা রাষ্ট্রপক্ষ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় পরদিন ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন বারবার নামঞ্জুর হয়।
ওই দিন বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় আরও ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায়ও মির্জা ফখরুলকে আসামি করা হয়।
পরে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা এই ১০ মামলায়ও জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু এসব আবেদনও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিনের আবেদন ফেরত দেন।
পরে এসব মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর রিট আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। রিটে ১০টির মধ্যে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার ৩টি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। উক্ত রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে জামিনের আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে পল্টন থানার আরেকটি নাশকতার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর আবারও ৯ মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি সেই মামলায় আদালত জামিন দিতে পারেন না। গ্রেপ্তার দেখানো একটা ‘প্রসিডিউর’ (মামলার কার্যপ্রণালি)। সেই কারণে আদালত বলেছেন আগে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে। আমরা তাই জামিন শুনানির সময় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করি।’
অ্যাডভোকেট মেজবাহ আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো পুলিশের সাজানো ঘটনা। মির্জা ফখরুল ওইসব ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তারপরও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ধীরে ধীরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে ভেতরে আটকে রাখতে চায়। তাই মির্জা ফখরুলের পক্ষে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আইনগত লড়াই করে তাঁকে জামিনে মুক্ত করাই উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, নয় মামলায় জামিনের আবেদন শুনানির জন্য বুধবার আবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই মামলাগুলোয় দেখা যায়, প্রত্যেকটি মামলায় মির্জা ফখরুলের নাম রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হত্যা মামলা, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, ওয়ালটন রমনা এলাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতার অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার ৯টি নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাঁরই আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। আজ বুধবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
গত ৩১ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন করা হলে আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। যথারীতি জামিন শুনানির জন্য মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ২টার দিকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে শুনানি হয়। আইনজীবীরা জামিন শুনানি করেন।
একপর্যায়ে আদালত বলেন, এসব মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। এই অবস্থায় জামিন শুনানি কীভাবে হবে? আদালত আইনজীবীদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে বলেন।
ঢাকার আদালতের আইনজীবীরা জানান, প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী একজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলে ওইসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। অথবা রাষ্ট্রপক্ষ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় পরদিন ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন বারবার নামঞ্জুর হয়।
ওই দিন বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় আরও ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায়ও মির্জা ফখরুলকে আসামি করা হয়।
পরে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা এই ১০ মামলায়ও জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু এসব আবেদনও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিনের আবেদন ফেরত দেন।
পরে এসব মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর রিট আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। রিটে ১০টির মধ্যে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার ৩টি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। উক্ত রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে জামিনের আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে পল্টন থানার আরেকটি নাশকতার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর আবারও ৯ মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি সেই মামলায় আদালত জামিন দিতে পারেন না। গ্রেপ্তার দেখানো একটা ‘প্রসিডিউর’ (মামলার কার্যপ্রণালি)। সেই কারণে আদালত বলেছেন আগে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে। আমরা তাই জামিন শুনানির সময় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করি।’
অ্যাডভোকেট মেজবাহ আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো পুলিশের সাজানো ঘটনা। মির্জা ফখরুল ওইসব ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তারপরও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ধীরে ধীরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে ভেতরে আটকে রাখতে চায়। তাই মির্জা ফখরুলের পক্ষে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আইনগত লড়াই করে তাঁকে জামিনে মুক্ত করাই উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, নয় মামলায় জামিনের আবেদন শুনানির জন্য বুধবার আবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই মামলাগুলোয় দেখা যায়, প্রত্যেকটি মামলায় মির্জা ফখরুলের নাম রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হত্যা মামলা, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, ওয়ালটন রমনা এলাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতার অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
আওয়ামী লীগকে আফ্রিকান মাগুর মাছের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছ, যা পেত সবই খেয়ে ফেলত। বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসা ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১৭ লাখ কোটিই পাচার করেছে আওয়ামী লীগ।’
২৭ মিনিট আগেঅভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
২১ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১ দিন আগে