নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির কর্মসূচি পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোন লাভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহেও গাড়ি বন্ধ করেছিল, ঠেকাতে পারেনি, প্রতিরোধ করতে পারেনি। তারা গাড়ি বন্ধ করুক আর যাই বন্ধ করুক, খুলনাতেও দেখবেন একইভাবে গণতন্ত্রের দাবিতে সবাই এসে উপস্থিত হবে।’
আজ বুধবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় দল ও ইসলামিক পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সমাবেশের আগের দিন (২১ অক্টোবর) এবং সমাবেশের দিন (২২ অক্টোবর) আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। গত মঙ্গলবার রাতে যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তে গণসমাবেশের কর্মসূচি পালনে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা—জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এতটুকু প্রভাবও পড়বে না। ময়মনসিংহে দেখেছেন যে, কীভাবে মানুষ এসেছে। ট্রলারে করে, নৌকায় করে, বিভিন্নভাবে। রিকশাওয়ালা নিয়ে এসেছেন, ভাড়া পর্যন্ত নেননি, এটাই হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো হরতালও মানব না, আমরা কোনো কারফিউও মানব না। আমরা সেখানে উপস্থিত হব।’
বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কি তাদের কোনো কথা রাখতে পেরেছে? রাখতে পারেনি। কারণ তারা বিশ্বাসই করে যে, যা বলব তা করব না। ঠিক উল্টোটা করে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই।’
‘বিএনপি এক এগারো সৃষ্টির দিবাস্বপ্ন দেখছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা ওরা করেছে তো, কাজেই সেই অভ্যাস তাদের আছে। সে জন্যই তারা এ কথা মনে করে। আমরা দিবাস্বপ্ন দেখি না। আমরা স্বপ্ন দেখি একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। আমরা স্বপ্ন দেখি মানুষের ভোটাধিকারকে নিশ্চিত করার। আমরা স্বপ্ন দেখি সত্যিকার একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার।’
‘আওয়ামী লীগকে রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই’–ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তারা রাজপথে নামতেই পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে সমস্ত বিরোধী দলগুলোকেও, সমস্ত অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকার হিসেবে তাদের দায়িত্ব।’
সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে এর আগে জাতীয় দল ও ইসলামিক পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও এই সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পতনে ঐকমত্যে যাওয়ার জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। ইতিমধ্যে ১৪টি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। যে দাবিগুলো আমরা উত্থাপন করেছি, সেই দাবিগুলোর সঙ্গে একমত হয়ে সব দলই যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার জন্য একমত হয়েছে।
দাবিনামা ঠিক করার পাশাপাশি আগামী দিনের করণীয় নিয়েও সংলাপে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে দুর্নীতি শুরু হয়েছে, ১৫ বছর ধরে চলছে, ভয়াবহ রকমের দুর্নীতি। সেই দুর্নীতি যারা ঘটাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে একটা কমিশন গঠন করা হবে।
জাতীয় দলের সভাপতি এহসানুল হুদা বলেন, আগামীতে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির পাশে থাকার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। গত ১৪ বছরে আমরা যেভাবে বিএনপির পাশে ছিলাম, আগামীতেও রাজপথের আন্দোলনে অংশ নেব।
ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম বলেন, এই সরকারকে বহাল রেখে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাদের পতন ঘটিয়েই সেটা সম্ভব হবে। জনগণ অধীর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বসে আছে কবে তাদের পতন হবে। সরকার পতনের সেই আন্দোলনে আমরা বিএনপির পাশে থাকব।
বিএনপির কর্মসূচি পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোন লাভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহেও গাড়ি বন্ধ করেছিল, ঠেকাতে পারেনি, প্রতিরোধ করতে পারেনি। তারা গাড়ি বন্ধ করুক আর যাই বন্ধ করুক, খুলনাতেও দেখবেন একইভাবে গণতন্ত্রের দাবিতে সবাই এসে উপস্থিত হবে।’
আজ বুধবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় দল ও ইসলামিক পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সমাবেশের আগের দিন (২১ অক্টোবর) এবং সমাবেশের দিন (২২ অক্টোবর) আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। গত মঙ্গলবার রাতে যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তে গণসমাবেশের কর্মসূচি পালনে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা—জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এতটুকু প্রভাবও পড়বে না। ময়মনসিংহে দেখেছেন যে, কীভাবে মানুষ এসেছে। ট্রলারে করে, নৌকায় করে, বিভিন্নভাবে। রিকশাওয়ালা নিয়ে এসেছেন, ভাড়া পর্যন্ত নেননি, এটাই হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো হরতালও মানব না, আমরা কোনো কারফিউও মানব না। আমরা সেখানে উপস্থিত হব।’
বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কি তাদের কোনো কথা রাখতে পেরেছে? রাখতে পারেনি। কারণ তারা বিশ্বাসই করে যে, যা বলব তা করব না। ঠিক উল্টোটা করে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই।’
‘বিএনপি এক এগারো সৃষ্টির দিবাস্বপ্ন দেখছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা ওরা করেছে তো, কাজেই সেই অভ্যাস তাদের আছে। সে জন্যই তারা এ কথা মনে করে। আমরা দিবাস্বপ্ন দেখি না। আমরা স্বপ্ন দেখি একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। আমরা স্বপ্ন দেখি মানুষের ভোটাধিকারকে নিশ্চিত করার। আমরা স্বপ্ন দেখি সত্যিকার একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার।’
‘আওয়ামী লীগকে রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই’–ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তারা রাজপথে নামতেই পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে সমস্ত বিরোধী দলগুলোকেও, সমস্ত অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকার হিসেবে তাদের দায়িত্ব।’
সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে এর আগে জাতীয় দল ও ইসলামিক পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও এই সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পতনে ঐকমত্যে যাওয়ার জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। ইতিমধ্যে ১৪টি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। যে দাবিগুলো আমরা উত্থাপন করেছি, সেই দাবিগুলোর সঙ্গে একমত হয়ে সব দলই যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার জন্য একমত হয়েছে।
দাবিনামা ঠিক করার পাশাপাশি আগামী দিনের করণীয় নিয়েও সংলাপে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে দুর্নীতি শুরু হয়েছে, ১৫ বছর ধরে চলছে, ভয়াবহ রকমের দুর্নীতি। সেই দুর্নীতি যারা ঘটাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে একটা কমিশন গঠন করা হবে।
জাতীয় দলের সভাপতি এহসানুল হুদা বলেন, আগামীতে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির পাশে থাকার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। গত ১৪ বছরে আমরা যেভাবে বিএনপির পাশে ছিলাম, আগামীতেও রাজপথের আন্দোলনে অংশ নেব।
ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম বলেন, এই সরকারকে বহাল রেখে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাদের পতন ঘটিয়েই সেটা সম্ভব হবে। জনগণ অধীর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বসে আছে কবে তাদের পতন হবে। সরকার পতনের সেই আন্দোলনে আমরা বিএনপির পাশে থাকব।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য কালবিলম্ব না করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে নির্বাচন রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি...
১৭ ঘণ্টা আগেতিন মাস বয়সী অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জন আকাঙ্ক্ষার প্রতি বোধ হয় ভ্রুক্ষেপ করা হচ্ছে না। তারা যেটা ভালো মনে করছে, সেটাই হয়তো চাপিয়ে দিতে চাইছে।’ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্ট
১৯ ঘণ্টা আগে‘পুলিশ সংস্কার’ বিষয়ক বিএনপির গঠিত কমিটি থেকে প্রস্তাবনা দলটির চেয়ারপারসন অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও গত বৃহস্পতিবারই (১৪ নভেম্বর) জমা দেওয়া হয় এই প্রস্তাবনা। কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়
১৯ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগকে আফ্রিকান মাগুর মাছের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছ, যা পেত সবই খেয়ে ফেলত। বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসা ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১৭ লাখ কোটিই পাচার করেছে আওয়ামী লীগ।’
২০ ঘণ্টা আগে