সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন
‘চোর, চোর, চোর, আমার ফোন নিয়ে গেল, চোর...কেউ ধরেন ভাই।’
বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে কিছুক্ষণ চিৎকার করেও লাভ হলো না কোনো। একটা চ্যাংড়া ছেলে আমার হাত থেকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে মোবাইলটা নিয়ে জ্যামে বসে থাকা যানবাহনগুলোর ফাঁকফোকর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল। পেছনে পেছনে তার সহযোগী চ্যাংড়াটাও দৌড় দিল। কাকরাইল মোড়ের দিকে আমি তাকিয়ে রইলাম ফ্যালফ্যাল করে। কেউ তাদের পিছু ধাওয়া করেনি। আমার চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি সাহায্য করতে। আমি নিজেই কি ধাওয়া করতে পেরেছি?
হঠাৎ বাসের ভেতর থেকেই একজন বলে উঠল, ‘অনেকক্ষণ ধরে ফলো করতেছিল, আপনি বাস থেকে নামেন, সামনে থানা আছে।’ আমার তখন মাথা গরম, বুক ধড়ফড় করছে। কিন্তু পরে যখন মাথা ঠান্ডা হলো, তখন ভাবলাম, ‘আরে ভাই, ফলো করেছে যেহেতু জানতেনই, তাহলে আগে বললেন না কেন?’
যাকগে, পাগলের মতো থানা খুঁজছি। রাস্তার পাশের কোনো এক ভবন থেকে দুজন নিরাপত্তারক্ষী বের হয়ে এসে আমাকে জ্ঞান দেওয়া শুরু করলেন যে বাসের জানালার পাশে বসে মোবাইলে কথা বলতে হয় না ইত্যাদি ইত্যাদি। বললাম, ‘ভাই, আমার ভুল হয়েছে, এবার থানাটা দেখান।’ তারা আমাকে থানার রাস্তা দেখিয়ে দিলেন। মাঝপথে এক পুলিশকে দেখি মোটরবাইকে করে যাচ্ছেন। তাঁকে থামিয়ে ঘটনার শিরোনাম বললাম। তিনিও আমাকে থানা দেখিয়ে সেখানে যেতে বলে নিজে প্রস্থান করলেন।
দুই. চোখে ঘোলা দেখছি। দৌড়াচ্ছি। পেয়ে গেলাম রমনা মডেল থানা। সামনে কাকে যে পেলাম বুঝলাম না। হাঁপাতে হাঁপাতে বললাম, ‘ভাই, আমার মোবাইল ছিনতাই হয়েছে, জিডি কোথায় করব?’ প্রথম কক্ষটাই দেখিয়ে দিলেন তিনি। আমি সেখানে ঢুকে হাঁপাচ্ছি আর কাঁপছি। কেউ একজন আমার অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে’ আর বসতে দিলেন। আমি ঘটনা বলার পর সাধারণ ডায়েরি করার জন্য একখানা ফরম দিলেন এক এএসআই। আমি শুধু তাঁর নেমপ্লেটটার দিকে তাকিয়ে আছি। বাকি সবকিছু ঘোলা লাগছে। তাঁর নাম ইমাম।
তো তিনি আমাকে সাহায্য করলেন। বাসায় ফোন করতে দিলেন। মোবাইলের আইএমইআই নম্বর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে তো জিডি করে লাভ নেই। আমি বললাম, ‘ভাই, আপনারা চাইলে কি না পারেন? এই ছোট্ট কাজটা পারবেন না?’
‘সময় লাগবে’, আমাকে জানানো হলো। আমি বললাম, ‘কত সময়? এক সপ্তাহ, এক মাস, দুই মাস, তিন মাস? আমি অপেক্ষা করব। কিন্তু বিশ্বাস করি, আপনারা চাইলেই আমার ফোনটা উদ্ধার করে দিতে পারবেন।’ কিন্তু আইএমইআই নম্বর ছাড়া তো সম্ভব না। তাহলে উপায়? ফোন নম্বর দিয়ে খোঁজ করা যেতে পারে লোকেশন। তবে সিম খুলে ফেলে দিলে তখন সম্ভব না। সব জেনেও আশায় আমি জিডি করে এলাম।
তিন. বাসায় ঢোকার আগে সিম রিপ্লেস করে নিলাম। বাসায় এসে মেইল আর ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড বদলে দিলাম ল্যাপটপের সাহায্যে। হঠাৎ ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে গুগল আইডি থেকে আমার ছিনতাই হওয়া মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পেয়ে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে জিডির কপিতে থাকা এসআই জমশেদের নম্বরে ফোন দিয়ে জানালাম। তাঁকে নম্বরটা খুদেবার্তার মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলাম। এর মধ্যে গুগল আইডি দিয়ে মোবাইল ট্রেস করতে লাগলাম। আমি তো আর হ্যাকার না, যেভাবে বুঝেছি সেভাবেই এগিয়েছি। হঠাৎ একটা অপশন চোখে পড়ল, আমি চাইলে আমার ডিভাইসটা চিরতরে লক করে দিতে পারি। আমি ছাড়া অন্য কেউ খুলতে পারবে না। কারণ পাসওয়ার্ড শুধু আমি জানব। কেউ খুলতে চাইলে তাকে আমার মোবাইল একটা তথ্য দেখাবে ফোনটি ফিরিয়ে দিতে, সঙ্গে আমার ইমারজেন্সি ফোন নম্বর।
এখন অপেক্ষায় আছি, একজন অতিসাধারণ নাগরিকের কষ্টের টাকায় কেনা একটা শখের ফোন উদ্ধার হওয়ার।
রমনা থানার পুলিশ বলেছে, তাদের এখানে এই মুহূর্তে কাজ শুরু করার জন্য যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি লাগে, তা নেই। সেগুলো থাকে সিআইডির কাছে। সিআইডির সাহায্য পেতে হলে আমাকে মামলা করতে হবে। আর মামলা করতে হলে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে হবে। নাম ছাড়া মামলা হবে না। আমি কি ছিনতাইকারীকে চিনি? কার বিরুদ্ধে মামলা করব?
এমনকি জিডিতে লিখতে হয়েছে ‘আমার ফোন হারিয়ে গেছে’, ‘ছিনতাই’ শব্দটাই লিখতে দেয়নি পুলিশ। থানায় কর্তব্যরত একজন আক্ষেপ করে বললেন, ‘শোনেন আপা, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই পাকিস্তানিরা আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়ে গেছে। তাই আমরা বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে অনেক বছর পিছিয়ে আছি। আমাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি হাতে পেতে আরও পাঁচ-ছয় বছর সময় লাগবে। সাধ থাকলেও সাধ্য নাই।’ আমি বুঝতে পারছিলাম না তখন কী বলা উচিত।
কিন্তু এখন তো আইএমইআই নম্বরটাও দিয়েছি। মন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া ফোন উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ, আমারটা পারবে না? আমার ভোটেই তো এমপি, মন্ত্রী নির্বাচিত হয়।
চার. এই বিড়ম্বনা শুধু আমার নয়। রাজধানীর নানা রাস্তায় ওত পেতে থাকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল। একটু অসাবধান হলেই এরা ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকারের ওপর। কষ্টের টাকায় কেনা মোবাইল ফোনসেট এক নিমেষে টান দিয়ে নিয়ে যায়। তারপর সেই মোবাইল খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। গুগলে মোবাইলের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখলে কিছুটা সুবিধা হয়। লক করে দিলে সেই ফোন বিক্রি করেও তেমন লাভ নেই। কেউ তা কিনবে না। তাতে যিনি হারিয়েছেন মোবাইল, তাঁরও কোনো লাভ হবে না।
পাঁচ. ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ আইনের পাশাপাশি রয়েছে কিছু অলিখিত আইন। পথে চলতে হলে সেগুলো মেনে চলতে হয়। যেমন আপনি যদি গাড়ি চালান, তাহলে আপনাকে শুধু পথের আইন মেনে গাড়ি চালাতে হবে, তা নয়, অন্য কেউ আইন ভেঙে আপনার গাড়ির ওপরে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তা থেকে রক্ষার উপায় আপনাকেই বের করতে হবে। অর্থাৎ অন্যের অপরাধ সামাল দেওয়ার একটা দায়িত্ব অলিখিতভাবে আপনার ওপর বর্তায়। তেমনি বাঁ দিক দিয়ে মোটরসাইকেলগুলো গাড়িকে হামেশাই ওভারটেক করে যাচ্ছে, তাতে যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। কিন্তু আমরা তা মেনে নিয়েছি। আর বাসের গুমোট পরিবেশে একটু জানালা খুলে বসলে আপনাকেই মনে রাখতে হবে, আপনার হাতের মূল্যবান কিছু
থাকলে অন্য কোনো ভদ্রলোক তা ছিনতাই করতে পারে।
আসলে আইনের সুরক্ষা কে কোথায় কীভাবে করবে, তা নিয়েই তো পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে থাকে। এই সব অব্যবস্থাপনা ডিঙিয়েও আশায় থাকতে চাই—আমার মোবাইলটাও ঠিক খুঁজে পাওয়া যাবে নিশ্চয়, যাঁরা খুঁজছেন, তাঁদের সদিচ্ছা এখানে অনেক জরুরি।
লেখক: সহ-সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
‘চোর, চোর, চোর, আমার ফোন নিয়ে গেল, চোর...কেউ ধরেন ভাই।’
বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে কিছুক্ষণ চিৎকার করেও লাভ হলো না কোনো। একটা চ্যাংড়া ছেলে আমার হাত থেকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে মোবাইলটা নিয়ে জ্যামে বসে থাকা যানবাহনগুলোর ফাঁকফোকর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল। পেছনে পেছনে তার সহযোগী চ্যাংড়াটাও দৌড় দিল। কাকরাইল মোড়ের দিকে আমি তাকিয়ে রইলাম ফ্যালফ্যাল করে। কেউ তাদের পিছু ধাওয়া করেনি। আমার চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি সাহায্য করতে। আমি নিজেই কি ধাওয়া করতে পেরেছি?
হঠাৎ বাসের ভেতর থেকেই একজন বলে উঠল, ‘অনেকক্ষণ ধরে ফলো করতেছিল, আপনি বাস থেকে নামেন, সামনে থানা আছে।’ আমার তখন মাথা গরম, বুক ধড়ফড় করছে। কিন্তু পরে যখন মাথা ঠান্ডা হলো, তখন ভাবলাম, ‘আরে ভাই, ফলো করেছে যেহেতু জানতেনই, তাহলে আগে বললেন না কেন?’
যাকগে, পাগলের মতো থানা খুঁজছি। রাস্তার পাশের কোনো এক ভবন থেকে দুজন নিরাপত্তারক্ষী বের হয়ে এসে আমাকে জ্ঞান দেওয়া শুরু করলেন যে বাসের জানালার পাশে বসে মোবাইলে কথা বলতে হয় না ইত্যাদি ইত্যাদি। বললাম, ‘ভাই, আমার ভুল হয়েছে, এবার থানাটা দেখান।’ তারা আমাকে থানার রাস্তা দেখিয়ে দিলেন। মাঝপথে এক পুলিশকে দেখি মোটরবাইকে করে যাচ্ছেন। তাঁকে থামিয়ে ঘটনার শিরোনাম বললাম। তিনিও আমাকে থানা দেখিয়ে সেখানে যেতে বলে নিজে প্রস্থান করলেন।
দুই. চোখে ঘোলা দেখছি। দৌড়াচ্ছি। পেয়ে গেলাম রমনা মডেল থানা। সামনে কাকে যে পেলাম বুঝলাম না। হাঁপাতে হাঁপাতে বললাম, ‘ভাই, আমার মোবাইল ছিনতাই হয়েছে, জিডি কোথায় করব?’ প্রথম কক্ষটাই দেখিয়ে দিলেন তিনি। আমি সেখানে ঢুকে হাঁপাচ্ছি আর কাঁপছি। কেউ একজন আমার অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে’ আর বসতে দিলেন। আমি ঘটনা বলার পর সাধারণ ডায়েরি করার জন্য একখানা ফরম দিলেন এক এএসআই। আমি শুধু তাঁর নেমপ্লেটটার দিকে তাকিয়ে আছি। বাকি সবকিছু ঘোলা লাগছে। তাঁর নাম ইমাম।
তো তিনি আমাকে সাহায্য করলেন। বাসায় ফোন করতে দিলেন। মোবাইলের আইএমইআই নম্বর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে তো জিডি করে লাভ নেই। আমি বললাম, ‘ভাই, আপনারা চাইলে কি না পারেন? এই ছোট্ট কাজটা পারবেন না?’
‘সময় লাগবে’, আমাকে জানানো হলো। আমি বললাম, ‘কত সময়? এক সপ্তাহ, এক মাস, দুই মাস, তিন মাস? আমি অপেক্ষা করব। কিন্তু বিশ্বাস করি, আপনারা চাইলেই আমার ফোনটা উদ্ধার করে দিতে পারবেন।’ কিন্তু আইএমইআই নম্বর ছাড়া তো সম্ভব না। তাহলে উপায়? ফোন নম্বর দিয়ে খোঁজ করা যেতে পারে লোকেশন। তবে সিম খুলে ফেলে দিলে তখন সম্ভব না। সব জেনেও আশায় আমি জিডি করে এলাম।
তিন. বাসায় ঢোকার আগে সিম রিপ্লেস করে নিলাম। বাসায় এসে মেইল আর ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড বদলে দিলাম ল্যাপটপের সাহায্যে। হঠাৎ ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে গুগল আইডি থেকে আমার ছিনতাই হওয়া মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পেয়ে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে জিডির কপিতে থাকা এসআই জমশেদের নম্বরে ফোন দিয়ে জানালাম। তাঁকে নম্বরটা খুদেবার্তার মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলাম। এর মধ্যে গুগল আইডি দিয়ে মোবাইল ট্রেস করতে লাগলাম। আমি তো আর হ্যাকার না, যেভাবে বুঝেছি সেভাবেই এগিয়েছি। হঠাৎ একটা অপশন চোখে পড়ল, আমি চাইলে আমার ডিভাইসটা চিরতরে লক করে দিতে পারি। আমি ছাড়া অন্য কেউ খুলতে পারবে না। কারণ পাসওয়ার্ড শুধু আমি জানব। কেউ খুলতে চাইলে তাকে আমার মোবাইল একটা তথ্য দেখাবে ফোনটি ফিরিয়ে দিতে, সঙ্গে আমার ইমারজেন্সি ফোন নম্বর।
এখন অপেক্ষায় আছি, একজন অতিসাধারণ নাগরিকের কষ্টের টাকায় কেনা একটা শখের ফোন উদ্ধার হওয়ার।
রমনা থানার পুলিশ বলেছে, তাদের এখানে এই মুহূর্তে কাজ শুরু করার জন্য যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি লাগে, তা নেই। সেগুলো থাকে সিআইডির কাছে। সিআইডির সাহায্য পেতে হলে আমাকে মামলা করতে হবে। আর মামলা করতে হলে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে হবে। নাম ছাড়া মামলা হবে না। আমি কি ছিনতাইকারীকে চিনি? কার বিরুদ্ধে মামলা করব?
এমনকি জিডিতে লিখতে হয়েছে ‘আমার ফোন হারিয়ে গেছে’, ‘ছিনতাই’ শব্দটাই লিখতে দেয়নি পুলিশ। থানায় কর্তব্যরত একজন আক্ষেপ করে বললেন, ‘শোনেন আপা, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই পাকিস্তানিরা আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়ে গেছে। তাই আমরা বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে অনেক বছর পিছিয়ে আছি। আমাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি হাতে পেতে আরও পাঁচ-ছয় বছর সময় লাগবে। সাধ থাকলেও সাধ্য নাই।’ আমি বুঝতে পারছিলাম না তখন কী বলা উচিত।
কিন্তু এখন তো আইএমইআই নম্বরটাও দিয়েছি। মন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া ফোন উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ, আমারটা পারবে না? আমার ভোটেই তো এমপি, মন্ত্রী নির্বাচিত হয়।
চার. এই বিড়ম্বনা শুধু আমার নয়। রাজধানীর নানা রাস্তায় ওত পেতে থাকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল। একটু অসাবধান হলেই এরা ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকারের ওপর। কষ্টের টাকায় কেনা মোবাইল ফোনসেট এক নিমেষে টান দিয়ে নিয়ে যায়। তারপর সেই মোবাইল খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। গুগলে মোবাইলের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখলে কিছুটা সুবিধা হয়। লক করে দিলে সেই ফোন বিক্রি করেও তেমন লাভ নেই। কেউ তা কিনবে না। তাতে যিনি হারিয়েছেন মোবাইল, তাঁরও কোনো লাভ হবে না।
পাঁচ. ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ আইনের পাশাপাশি রয়েছে কিছু অলিখিত আইন। পথে চলতে হলে সেগুলো মেনে চলতে হয়। যেমন আপনি যদি গাড়ি চালান, তাহলে আপনাকে শুধু পথের আইন মেনে গাড়ি চালাতে হবে, তা নয়, অন্য কেউ আইন ভেঙে আপনার গাড়ির ওপরে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তা থেকে রক্ষার উপায় আপনাকেই বের করতে হবে। অর্থাৎ অন্যের অপরাধ সামাল দেওয়ার একটা দায়িত্ব অলিখিতভাবে আপনার ওপর বর্তায়। তেমনি বাঁ দিক দিয়ে মোটরসাইকেলগুলো গাড়িকে হামেশাই ওভারটেক করে যাচ্ছে, তাতে যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। কিন্তু আমরা তা মেনে নিয়েছি। আর বাসের গুমোট পরিবেশে একটু জানালা খুলে বসলে আপনাকেই মনে রাখতে হবে, আপনার হাতের মূল্যবান কিছু
থাকলে অন্য কোনো ভদ্রলোক তা ছিনতাই করতে পারে।
আসলে আইনের সুরক্ষা কে কোথায় কীভাবে করবে, তা নিয়েই তো পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে থাকে। এই সব অব্যবস্থাপনা ডিঙিয়েও আশায় থাকতে চাই—আমার মোবাইলটাও ঠিক খুঁজে পাওয়া যাবে নিশ্চয়, যাঁরা খুঁজছেন, তাঁদের সদিচ্ছা এখানে অনেক জরুরি।
লেখক: সহ-সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
দলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১৩ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কিছু যে হয়নি, তা নয়। তবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে অস্থিরতার লক্ষণ অস্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই তিন দফায় উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘খোলনলচে’। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করেছি। বাংলা বাগধারায় আমরা পড়েছি ‘খোলনলচে পালটানো’। বাংলা অভিধানে খোল শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেঅফিসে যাতায়াতের সময় স্টাফ বাসে পরিচয়ের সূত্রে ফারজানা আক্তার আজিমপুরে নিজের বাসায় সাবলেট দিয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার শাপলা নামের এক নারীকে। কিন্তু ফাতেমা যে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য, সেটা তাঁর জানা ছিল না।
১৪ ঘণ্টা আগে