নাদেরা সুলতানা নদী
আজ সারাদিন মুনিয়াকে ভেবে অন্যরকম এক বেদনায় পুড়েছি। কেঁদেছে মন। হয়তো আমি একটা মফঃস্বল থেকে উঠে আসা, জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পার হওয়া এবং সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে এইটুকু জীবনেই অনেক চেনা-অচেনা মেয়ের জীবনের বেদনার গল্প কাছ থেকে দেখেছি ও জেনেছি বলেই।
মানুষ হিসেবে আমি খুব সংবেদনশীল মানুষ এবং অবশ্যই কোনো অবস্থাতেই জাজমেন্টাল নই, পারি না হতে। কারণ, আমি বিশ্বাস করি— হঠাৎ কারও জীবনের টুকরো গল্প আমাদের সামনে উঠে এলেও সে গল্পটাই কোনো মানুষের জীবনের একমাত্র গল্প নয়। গল্পের আড়ালে থাকে অনেক না-বলা আলো, অন্ধকারময় দিন-রাত্রি!
অসুস্থ, অস্থির সম্পর্কে কেউ ইচ্ছে করে জড়ায় না। বিশেষ করে নারীজনম সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবসময় পেরে ওঠে না। পরিবার, জীবন অভিজ্ঞতা বা না পাওয়াকে মোকাবিলা করতে গিয়ে কেউ কেউ দিশেহারা বা বোধ-বিবেচনাহীন হয়ে যায় সাময়িক।
সবাই সবটুকু ব্লেসড না যে জীবনে কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা হলে, তা চাপা দিয়ে ‘মুভ অন’ করবে; সেটুকু বাস্তববাদী না বা সাহসী না যে জীবনকে সুস্থ করার জন্যে প্রবল চেষ্টা করবে।
সবচেয়ে বড় কথা, ভুল বা ঘোরের মাঝে থাকা কোনো সময়ে অনেকেই পাশে পায় না কোনো বন্ধু বা পরিবার। আর মানসিক কাউন্সেলিং তো অনেক দূরের বিষয় বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে মেয়ে শরীর বহন করার যাতনা নানামুখী—সে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত যে পরিবার থেকেই আসুক না কেন। শরীরকে বাঁচানোর একটা তীক্ষ্ণ সজাগ দৃষ্টি আর সাবধানতাকে বয়ে নিয়েই যেতে হয় জীবনের পথটুকু।
বেড়ে ওঠার কোনো না কোনো সময়ে এর মধ্যেও ভীষণ অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতা যে হয়ে যায় না, সেটা খুব কম মেয়েই চোখবুজে ফেলে আসা জীবনকে সামনে এনে বলতে পারে।
কোনো মেয়ে যদি কোনো অসহায় পরিবার থেকে উঠে আসে, সেভাবে কোনো অভিভাবক না থাকে এবং দেখতে ভালো হয়, তাকে নিয়ে এই সমাজের হাঁটে, মাঠে, ঘাটে এবং জীবনের সব বাঁকে ওত পেতে থাকে নানা হাতছানি, বিশেষ করে তথাকথিত প্রভাবশালী বা ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা সেই মেয়ের জীবনকে এলোমেলো করে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
এসব অসহায়ত্ব বা অনাচার কেন, কোন অবস্থায় কোনো কোনো মেয়ে মেনে নেয় বা নিতে বাধ্য হয়, এই বাস্তবতা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আমাদের অনেকের নেই, যদিও আমরা তা বিশ্বাস করি না; সবাই সব জানি এমনই ভাব!
তবে যে ধারণাটি পাকাপোক্ত, মেয়ে খারাপ হতে পারবে না কোনো অবস্থাতেই; জগৎসংসার ও পুরুষকুলের কুল রাখা, নিজের মনের প্রেম-মোহ-টান এসব আবেগ স্যাক্রিফাইস করা এবং দিনশেষে সব নারী হবে মহীয়সী নারী হবে—এই চাওয়া বাংলার ঘোরে এবং ঘরে ছিল, আছে এবং থাকবে!
কোনো নারী অপমৃত্যুর স্বীকার হলেও তাঁর চলাফেরা ভালো ছিল না বা লোভী, তা প্রমাণ করতেই যে পুরুষশাসিত ঝাঁপিয়ে পড়বে, তাতে আমি একদমই বিস্মিত নই এবং আমি কিছুই আশা করি না আসলে নতুন করে।
পাপ-পুণ্যের বিচার যখন মানুষ করে, তখন আমাদের সবার জীবনই তুচ্ছ। নারী নষ্ট হলে যেখানে তাঁর জীবন তুচ্ছাতিতুচ্ছ, নিকৃষ্ট; সেখানে বিচারের বাণী চিরকাল নিভৃতেই কাঁদবে, তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে!
আজ সারাদিন মুনিয়াকে ভেবে অন্যরকম এক বেদনায় পুড়েছি। কেঁদেছে মন। হয়তো আমি একটা মফঃস্বল থেকে উঠে আসা, জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পার হওয়া এবং সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে এইটুকু জীবনেই অনেক চেনা-অচেনা মেয়ের জীবনের বেদনার গল্প কাছ থেকে দেখেছি ও জেনেছি বলেই।
মানুষ হিসেবে আমি খুব সংবেদনশীল মানুষ এবং অবশ্যই কোনো অবস্থাতেই জাজমেন্টাল নই, পারি না হতে। কারণ, আমি বিশ্বাস করি— হঠাৎ কারও জীবনের টুকরো গল্প আমাদের সামনে উঠে এলেও সে গল্পটাই কোনো মানুষের জীবনের একমাত্র গল্প নয়। গল্পের আড়ালে থাকে অনেক না-বলা আলো, অন্ধকারময় দিন-রাত্রি!
অসুস্থ, অস্থির সম্পর্কে কেউ ইচ্ছে করে জড়ায় না। বিশেষ করে নারীজনম সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবসময় পেরে ওঠে না। পরিবার, জীবন অভিজ্ঞতা বা না পাওয়াকে মোকাবিলা করতে গিয়ে কেউ কেউ দিশেহারা বা বোধ-বিবেচনাহীন হয়ে যায় সাময়িক।
সবাই সবটুকু ব্লেসড না যে জীবনে কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা হলে, তা চাপা দিয়ে ‘মুভ অন’ করবে; সেটুকু বাস্তববাদী না বা সাহসী না যে জীবনকে সুস্থ করার জন্যে প্রবল চেষ্টা করবে।
সবচেয়ে বড় কথা, ভুল বা ঘোরের মাঝে থাকা কোনো সময়ে অনেকেই পাশে পায় না কোনো বন্ধু বা পরিবার। আর মানসিক কাউন্সেলিং তো অনেক দূরের বিষয় বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে মেয়ে শরীর বহন করার যাতনা নানামুখী—সে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত যে পরিবার থেকেই আসুক না কেন। শরীরকে বাঁচানোর একটা তীক্ষ্ণ সজাগ দৃষ্টি আর সাবধানতাকে বয়ে নিয়েই যেতে হয় জীবনের পথটুকু।
বেড়ে ওঠার কোনো না কোনো সময়ে এর মধ্যেও ভীষণ অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতা যে হয়ে যায় না, সেটা খুব কম মেয়েই চোখবুজে ফেলে আসা জীবনকে সামনে এনে বলতে পারে।
কোনো মেয়ে যদি কোনো অসহায় পরিবার থেকে উঠে আসে, সেভাবে কোনো অভিভাবক না থাকে এবং দেখতে ভালো হয়, তাকে নিয়ে এই সমাজের হাঁটে, মাঠে, ঘাটে এবং জীবনের সব বাঁকে ওত পেতে থাকে নানা হাতছানি, বিশেষ করে তথাকথিত প্রভাবশালী বা ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা সেই মেয়ের জীবনকে এলোমেলো করে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
এসব অসহায়ত্ব বা অনাচার কেন, কোন অবস্থায় কোনো কোনো মেয়ে মেনে নেয় বা নিতে বাধ্য হয়, এই বাস্তবতা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আমাদের অনেকের নেই, যদিও আমরা তা বিশ্বাস করি না; সবাই সব জানি এমনই ভাব!
তবে যে ধারণাটি পাকাপোক্ত, মেয়ে খারাপ হতে পারবে না কোনো অবস্থাতেই; জগৎসংসার ও পুরুষকুলের কুল রাখা, নিজের মনের প্রেম-মোহ-টান এসব আবেগ স্যাক্রিফাইস করা এবং দিনশেষে সব নারী হবে মহীয়সী নারী হবে—এই চাওয়া বাংলার ঘোরে এবং ঘরে ছিল, আছে এবং থাকবে!
কোনো নারী অপমৃত্যুর স্বীকার হলেও তাঁর চলাফেরা ভালো ছিল না বা লোভী, তা প্রমাণ করতেই যে পুরুষশাসিত ঝাঁপিয়ে পড়বে, তাতে আমি একদমই বিস্মিত নই এবং আমি কিছুই আশা করি না আসলে নতুন করে।
পাপ-পুণ্যের বিচার যখন মানুষ করে, তখন আমাদের সবার জীবনই তুচ্ছ। নারী নষ্ট হলে যেখানে তাঁর জীবন তুচ্ছাতিতুচ্ছ, নিকৃষ্ট; সেখানে বিচারের বাণী চিরকাল নিভৃতেই কাঁদবে, তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে!
যেকোনো সামাজিক বিষয় বা সামাজিক সমস্যা নিয়ে আমরা যখন আলোচনা করি, তখন কখনো কখনো তত্ত্ব দিয়ে তার ব্যাখ্যা করি, আবার কখনো কখনো বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয় বা সমস্যার বিশ্লেষণ করি। তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা...
২ ঘণ্টা আগেগাজার সবচেয়ে সুপরিচিত ফুটবল স্টেডিয়ামটি এখন বিশৃঙ্খলায় ভরা। মাঠ ও বসার জায়গায় বাস্তুচ্যুত লোকের বন্যা। সবার পিঠে ব্যাগ আর কিছু কাপড়। কেউ অসুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করছেন বা আহত আত্মীয়দের নিয়ে চলেছেন। আবার কেউ কেউ একা হাঁটছেন, খালি পায়েই হেঁটে চলেছেন।
২ ঘণ্টা আগেসিসা একটি নরম ধাতু। এটি ঈষৎ নীলাভ ধূসর বর্ণের। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮২। ধাতুটি এতটাই নরম যে একটি ছুরির সাহায্যে একে কাটা যায়। সিসা কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর বিষ। এই বিষের ভেতরেই বাস করছে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ। বাংলাদেশের বাতাসে যেমন সিসার উপস্থিতি দেখা গেছে, তেমনি মাটিতে-পানিতেও পাওয়া গেছে...
২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার কথা বলে পাপিয়া আক্তার রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি যে ‘ভুয়া’ ছাত্রী, সেটি বুঝতে পেরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। হয়তো তাঁর শাস্তিও হবে। পাপিয়া শুধু অচেনা রোগী ও তাদের স্বজনদের নয়, তাঁর স্বামীকেও ধোঁকা...
২ ঘণ্টা আগে