ফজলুল কবির
দাবার আরেক নাম চতুরঙ্গ। চার অঙ্গ থেকেই এর নাম। এ নিয়ে কোনো বিবাদ নেই। তো এই চার অঙ্গ কী? হাতি, ঘোড়া, রথ ও সেনা। যুদ্ধকৌশলই এর মূলে। তা হাতি–ঘোড়ার পিঠে চড়ে তো আর সাধারণ সেনা যুদ্ধ করে না। করে সেনাপতিরা। আর রথ, তা তো রাজাধিরাজদের জন্যই শুধু বরাদ্দ। তাহলে সেনা বা বোড়েদের কাজ কী? অকাতরে মরার জন্য প্রস্তুত থাকাই তার মূল কাজ। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী। আগে যেমন ছিল, এখনো তা–ই আছে। বর্তমানে চিত্রনায়িকা পরীমণি, বা মডেলদের যেসব নাম উঠে আসছে আলোচনায় এবং যে যে কারণে উঠে আসছে, তা এই সমীকরণটির দিকেই তাকাতে বলছে বারবার।
যুদ্ধের ময়দানে বোড়ে তো থাকে সবার সামনে। তারাই আগে এগিয়ে যায় বা এগিয়ে যেতে হয়।যে যত ঝানু ও দক্ষ যোদ্ধা, সে ময়দানে তত পেছনে থাকে। এ কারণেই ‘পর্দার আড়াল’ নিয়ে এত কথা হয়। ‘পর্দা ফাঁস’ বলে খবরের শিরোনামে যে শব্দজোড় প্রায়ই ব্যবহার হতে দেখা যায়, তার কারণও এখানেই। তো এই পর্দা বিষয়টি সাধারণের কাছে যত আগ্রহের বিষয়ই হোক না কেন, উচ্চমহলের কাছে ততটা হতে দেখা যায় না। এর বহুবিধ কারণ আছে, যা সাধারণ্যে বেশ আলোচিতও হয়, হচ্ছে।
সে আলোচনা ঊহ্য রেখে একটু অন্যদিকে তাকানো যাক।
রাজারা যে খেয়ালি হন, তা তো সবারই জানা। রাজাদের এই খামখেয়ালিপনায় জনতাও বরাবর অভ্যস্ত থাকে। বরং কোনো খেয়ালিভাব না থাকলেই জনতা চিন্তিত হয়—কী হলো, কী হলো ভেবে। আর রাজা যত খেয়ালি হন, তাঁর অমাত্যবর্গও নিজের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে তত খেয়ালিপনা রপ্ত করতে শুরু করে। রাজার খেয়াল তখন দ্বাররক্ষী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। দ্বাররক্ষী সম্পর্কিত নাসিরউদ্দিন হোজ্জার গল্পটা তো সবারই জানা। ওই যে, যা পুরস্কার পাবে, তার অর্ধেক তাকে দেওয়ার শর্তে যে হোজ্জাকে রাজার দরবারে ঢুকতে দিয়েছিল। সেবার না হয় হোজ্জার বুদ্ধিমত্তার কাছে দ্বাররক্ষী ও অনাচার—দুইয়েরই কিছুটা মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিল। কিন্তু এই যুগে?
হ্যাঁ, হোজ্জা এলেন আবার। কোথা থেকে গাধা–সদৃশ একটা কিছুর ওপরে চড়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন নগরের রাস্তায়। এখানে যান, ওখানে যান। নানা মহল থেকে ডাক পড়ে তাঁর। এরে বুদ্ধি দেন, তারে গায়ে খেটে দেন। এরে শেখান তো তার কাছ থেকে শেখেন। আর রাত হলে শুঁড়িখানায় পড়ে থাকেন। একটু বিব্রতও হন। সেকালে যা নিত্য ছিল, একালেও তা–ই আছে। তফাৎ শুধু পর্দা টানায়। তো এতে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও হোজ্জার সামলে উঠতে সময় লাগেনি। এই করে বেশ যাচ্ছিল দিন। কিন্তু একটা স্থায়ী কাজ তো চাই। কী করা যায় ভাবতে ভাবতে হোজ্জা একটা পথও খুঁজে বের করলেন। হোজ্জা দেখলেন, দেশটিতে চুনোপুঁটি থেকে রাঘব–বোয়াল যত অপরাধীই ধরা পড়ে, সবার বাড়িতে একই জিনিস থাকে। আর কোটাল তার সঙ্গী–সাথী নিয়ে সেই একই জিনিস বারবার উদ্ধার করে। তিনি ভাবলেন—এ তো মহাযন্ত্রণা। হয় এখানে আইনের অভাব, নয় তো গল্পের। তা এ দুটোরই তো বিস্তর অভিজ্ঞতা তাঁর পূর্বজন্মে রয়েছে। যে–ই ভাবা, সে–ই কাজ। সঙ্গেই সঙ্গেই তিনি একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলেন—আইন ও গল্প; দুটোই ভালো লেখা হয়। তারপর থেকে হোজ্জাকে পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো তিনি দুইই লিখছেন, অথবা কিছুই লিখছেন না।
গল্পের হোজ্জা কোন দেশে এসেছিলেন, তা জানা না গেলেও তাঁর এই সংকট যে একালে অভিনব নয়, তা যে কেউ স্বীকার করবে। সে যাক। দেশে এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে পরীমণিসহ বিনোদন জগতের কয়েকজনের আটকের ঘটনা। এই নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য আসছে সামনে। ‘অসামাজিক কাজ’, ‘মিনিবার’, ‘মাদক’ ইত্যাদি শব্দগুলো ঘুরেফিরে আসছে। বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র এই কাজগুলো করে আসছে। এবার তাদের ধরা হচ্ছে। লোকেরা টানটান উত্তেজনা নিয়ে সেই উদ্ধারকাজ ও অভিযান দেখছে। সঙ্গে ভাবছে—এত দিন কী করে চলল?
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই প্রশ্নের কোনো উত্তর কেউ দিচ্ছে না। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘বেটার লেট দ্যান নেভার।’ সে হিসেবে সবাই একটু আশ্বস্তও হচ্ছে বটে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এই অভিযানটি কত দূর পর্যন্ত চলবে? এ তো সাদা চোখেই বোঝা যাচ্ছে যে, বড় বড় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংযোগ ও আশ্রয়–প্রশ্রয় ছাড়া এমন কাজগুলো চলতে পারে না। কিন্তু বরাবরই এই পর্দার আড়ালের লোকেরা পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। বোড়ের ভাগ্য নিয়ে আসা বাকিরা শুধু আটকা পড়ছে জালে।
শুরুতেই দাবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই যেন বোড়েরা নিকেশ হচ্ছে। তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজা–মহারাজারা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এখনকার যুগে যেহেতু চার অঙ্গে শুধু রাষ্ট্র হয় না, তাই ছকে আছে আরও বহু পক্ষ। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পক্ষ সম্ভবত প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। মুশকিল হলো ময়দানে সে অর্থে কোনো শত্রুপক্ষ নেই। ফলে এই কৌশলে দীর্ঘ মেয়াদে বিদ্ধ হচ্ছে নিজ ভূমিই। তাতে কার কী আসে যায়।
ইতালির গল্পকার ও সাংবাদিক ইতালো কালভিনো তাঁর ‘দ্য ব্ল্যাক শিপ’ গল্পে লিখেছিলেন, এক রাজ্যের কথা, যেখানে সবাই চোর। সেখানে সমস্যা তখনই হয়, যখন একজন লোক চুরি করতে অস্বীকৃতি জানায়। দেশে এখন আলোচনার কেন্দ্রে থাকা বিষয়টিও কি এমন কিনা, তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও মাদকের খোঁজ তো তখনই মিলল, যখন কেউ কেউ মুখ খুলল। কালভিনোর গল্পের মতো এ ক্ষেত্রেও সমস্যার কেন্দ্রে চলে এল মুখ খোলা কয়েকজনই।
দাবার আরেক নাম চতুরঙ্গ। চার অঙ্গ থেকেই এর নাম। এ নিয়ে কোনো বিবাদ নেই। তো এই চার অঙ্গ কী? হাতি, ঘোড়া, রথ ও সেনা। যুদ্ধকৌশলই এর মূলে। তা হাতি–ঘোড়ার পিঠে চড়ে তো আর সাধারণ সেনা যুদ্ধ করে না। করে সেনাপতিরা। আর রথ, তা তো রাজাধিরাজদের জন্যই শুধু বরাদ্দ। তাহলে সেনা বা বোড়েদের কাজ কী? অকাতরে মরার জন্য প্রস্তুত থাকাই তার মূল কাজ। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী। আগে যেমন ছিল, এখনো তা–ই আছে। বর্তমানে চিত্রনায়িকা পরীমণি, বা মডেলদের যেসব নাম উঠে আসছে আলোচনায় এবং যে যে কারণে উঠে আসছে, তা এই সমীকরণটির দিকেই তাকাতে বলছে বারবার।
যুদ্ধের ময়দানে বোড়ে তো থাকে সবার সামনে। তারাই আগে এগিয়ে যায় বা এগিয়ে যেতে হয়।যে যত ঝানু ও দক্ষ যোদ্ধা, সে ময়দানে তত পেছনে থাকে। এ কারণেই ‘পর্দার আড়াল’ নিয়ে এত কথা হয়। ‘পর্দা ফাঁস’ বলে খবরের শিরোনামে যে শব্দজোড় প্রায়ই ব্যবহার হতে দেখা যায়, তার কারণও এখানেই। তো এই পর্দা বিষয়টি সাধারণের কাছে যত আগ্রহের বিষয়ই হোক না কেন, উচ্চমহলের কাছে ততটা হতে দেখা যায় না। এর বহুবিধ কারণ আছে, যা সাধারণ্যে বেশ আলোচিতও হয়, হচ্ছে।
সে আলোচনা ঊহ্য রেখে একটু অন্যদিকে তাকানো যাক।
রাজারা যে খেয়ালি হন, তা তো সবারই জানা। রাজাদের এই খামখেয়ালিপনায় জনতাও বরাবর অভ্যস্ত থাকে। বরং কোনো খেয়ালিভাব না থাকলেই জনতা চিন্তিত হয়—কী হলো, কী হলো ভেবে। আর রাজা যত খেয়ালি হন, তাঁর অমাত্যবর্গও নিজের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে তত খেয়ালিপনা রপ্ত করতে শুরু করে। রাজার খেয়াল তখন দ্বাররক্ষী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। দ্বাররক্ষী সম্পর্কিত নাসিরউদ্দিন হোজ্জার গল্পটা তো সবারই জানা। ওই যে, যা পুরস্কার পাবে, তার অর্ধেক তাকে দেওয়ার শর্তে যে হোজ্জাকে রাজার দরবারে ঢুকতে দিয়েছিল। সেবার না হয় হোজ্জার বুদ্ধিমত্তার কাছে দ্বাররক্ষী ও অনাচার—দুইয়েরই কিছুটা মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিল। কিন্তু এই যুগে?
হ্যাঁ, হোজ্জা এলেন আবার। কোথা থেকে গাধা–সদৃশ একটা কিছুর ওপরে চড়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন নগরের রাস্তায়। এখানে যান, ওখানে যান। নানা মহল থেকে ডাক পড়ে তাঁর। এরে বুদ্ধি দেন, তারে গায়ে খেটে দেন। এরে শেখান তো তার কাছ থেকে শেখেন। আর রাত হলে শুঁড়িখানায় পড়ে থাকেন। একটু বিব্রতও হন। সেকালে যা নিত্য ছিল, একালেও তা–ই আছে। তফাৎ শুধু পর্দা টানায়। তো এতে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও হোজ্জার সামলে উঠতে সময় লাগেনি। এই করে বেশ যাচ্ছিল দিন। কিন্তু একটা স্থায়ী কাজ তো চাই। কী করা যায় ভাবতে ভাবতে হোজ্জা একটা পথও খুঁজে বের করলেন। হোজ্জা দেখলেন, দেশটিতে চুনোপুঁটি থেকে রাঘব–বোয়াল যত অপরাধীই ধরা পড়ে, সবার বাড়িতে একই জিনিস থাকে। আর কোটাল তার সঙ্গী–সাথী নিয়ে সেই একই জিনিস বারবার উদ্ধার করে। তিনি ভাবলেন—এ তো মহাযন্ত্রণা। হয় এখানে আইনের অভাব, নয় তো গল্পের। তা এ দুটোরই তো বিস্তর অভিজ্ঞতা তাঁর পূর্বজন্মে রয়েছে। যে–ই ভাবা, সে–ই কাজ। সঙ্গেই সঙ্গেই তিনি একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলেন—আইন ও গল্প; দুটোই ভালো লেখা হয়। তারপর থেকে হোজ্জাকে পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো তিনি দুইই লিখছেন, অথবা কিছুই লিখছেন না।
গল্পের হোজ্জা কোন দেশে এসেছিলেন, তা জানা না গেলেও তাঁর এই সংকট যে একালে অভিনব নয়, তা যে কেউ স্বীকার করবে। সে যাক। দেশে এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে পরীমণিসহ বিনোদন জগতের কয়েকজনের আটকের ঘটনা। এই নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য আসছে সামনে। ‘অসামাজিক কাজ’, ‘মিনিবার’, ‘মাদক’ ইত্যাদি শব্দগুলো ঘুরেফিরে আসছে। বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র এই কাজগুলো করে আসছে। এবার তাদের ধরা হচ্ছে। লোকেরা টানটান উত্তেজনা নিয়ে সেই উদ্ধারকাজ ও অভিযান দেখছে। সঙ্গে ভাবছে—এত দিন কী করে চলল?
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই প্রশ্নের কোনো উত্তর কেউ দিচ্ছে না। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘বেটার লেট দ্যান নেভার।’ সে হিসেবে সবাই একটু আশ্বস্তও হচ্ছে বটে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এই অভিযানটি কত দূর পর্যন্ত চলবে? এ তো সাদা চোখেই বোঝা যাচ্ছে যে, বড় বড় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংযোগ ও আশ্রয়–প্রশ্রয় ছাড়া এমন কাজগুলো চলতে পারে না। কিন্তু বরাবরই এই পর্দার আড়ালের লোকেরা পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। বোড়ের ভাগ্য নিয়ে আসা বাকিরা শুধু আটকা পড়ছে জালে।
শুরুতেই দাবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই যেন বোড়েরা নিকেশ হচ্ছে। তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজা–মহারাজারা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এখনকার যুগে যেহেতু চার অঙ্গে শুধু রাষ্ট্র হয় না, তাই ছকে আছে আরও বহু পক্ষ। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পক্ষ সম্ভবত প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। মুশকিল হলো ময়দানে সে অর্থে কোনো শত্রুপক্ষ নেই। ফলে এই কৌশলে দীর্ঘ মেয়াদে বিদ্ধ হচ্ছে নিজ ভূমিই। তাতে কার কী আসে যায়।
ইতালির গল্পকার ও সাংবাদিক ইতালো কালভিনো তাঁর ‘দ্য ব্ল্যাক শিপ’ গল্পে লিখেছিলেন, এক রাজ্যের কথা, যেখানে সবাই চোর। সেখানে সমস্যা তখনই হয়, যখন একজন লোক চুরি করতে অস্বীকৃতি জানায়। দেশে এখন আলোচনার কেন্দ্রে থাকা বিষয়টিও কি এমন কিনা, তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও মাদকের খোঁজ তো তখনই মিলল, যখন কেউ কেউ মুখ খুলল। কালভিনোর গল্পের মতো এ ক্ষেত্রেও সমস্যার কেন্দ্রে চলে এল মুখ খোলা কয়েকজনই।
দলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২০ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কিছু যে হয়নি, তা নয়। তবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে অস্থিরতার লক্ষণ অস্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই তিন দফায় উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘খোলনলচে’। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করেছি। বাংলা বাগধারায় আমরা পড়েছি ‘খোলনলচে পালটানো’। বাংলা অভিধানে খোল শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেঅফিসে যাতায়াতের সময় স্টাফ বাসে পরিচয়ের সূত্রে ফারজানা আক্তার আজিমপুরে নিজের বাসায় সাবলেট দিয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার শাপলা নামের এক নারীকে। কিন্তু ফাতেমা যে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য, সেটা তাঁর জানা ছিল না।
২০ ঘণ্টা আগে