বিরস
এক ব্যক্তি মৃত্যুর পর নরকে গিয়ে শাস্তি এড়ানোর উপায় ভাবতে লাগল। তার ধারণা, সব দেশের মানুষকে হয়তো একই রকম শাস্তি দেওয়া হয় না। যেসব দেশের মানুষ ধর্মকর্ম বেশি করে, সেসব দেশের মানুষের জন্য বুঝি কবরের আজাবে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা আছে। লোকটি প্রথমে বিশ্বের বেশি শক্তিধর দেশ আমেরিকার নরকের সামনে গিয়ে কিছুটা যম ভিড় দেখে নরকের দ্বাররক্ষীকে জিজ্ঞেস করল, এখানে শাস্তিটাস্তি রেয়াতের কোনো ব্যবস্থা আছে কী?
দ্বাররক্ষী রুক্ষ গলায় জবাব দেয়: এখানে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়।
-কী ধরনের শাস্তি সাধারণত দেওয়া হয়?
দ্বাররক্ষীর জবাব: প্রথমে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে এক ঘণ্টা শক দেওয়া হয়। তারপর পেরেকের বিছানায় এক ঘণ্টা শুয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়। এরপর পিঠে চাবুকের ৫০টা ঘা দেয়।
শাস্তির বিবরণ শুনে লোকটি ভয়ে আঁতকে উঠল এবং ভাবল, রাশিয়ার নরকে হয়তো শাস্তি একটু নরম হতে পারে। কিন্তু রাশিয়ার নরকের দ্বাররক্ষীও একই ধরনের শাস্তির কথা বলল।
এরপর লোকটি এশিয়ার একটি দেশের নরকের সামনে গিয়ে দেখল, সেখানে দেশের নরকে আপনাকে স্বাগত লেখা। দরজার সামনে বিশাল লাইন দেখে লোকটি ভাবল, এখানে নিশ্চয়ই কম শাস্তি দেওয়া হয়। তাই এখানে এত বড় লাইন। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য লোকটি উৎসাহ নিয়ে দ্বাররক্ষীর কাছে জানতে চাইল সেখানে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়।
রক্ষী বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে জবাব দিল, প্রথমে এক ঘণ্টা ইলেকট্রিক শক, তারপর এক ঘণ্টা পেরেক লাগানো বিছানায় বাধ্যতামূলক শোয়া এবং শেষে পিঠে চাবুকের ৫০ ঘা।
লোকটি অবাক হয়ে শুকনো গলায় আবার প্রশ্ন করে, সব দেশের নরকে শাস্তির ধরন একই রকম। তাহলে এ দেশের নরকে এত ভিড় কেন?
মুখে এক খিলি পান ঢুকিয়ে আরামসে চিবুতে চিবুতে রক্ষী বলল, এখানে ইলেকট্রিক চেয়ার আছে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আগে, বিদ্যুতের খুঁটি বা খাম্বা তৈরি করা হয়েছে। পেরেকের বিছানা থেকে পেরেক চুরি হয়ে গেছে। আর যে ব্যক্তি চাবুক মারার দায়িত্বে, তিনি সরকারি চাকুরে। তিনি এসে খাতায় সই করে হাওয়া খেতে বেরিয়ে যান। দু-এক দিন ডিউটি করলেও দু-একটি চাবুক মেরে হাঁফিয়ে ওঠেন এবং রেজিস্টার খাতায় ৫০ ঘা লিখে বিশ্রামে যান। আর এখানে নরকগামীদের নামের ফাইলের স্তূপ এত স্ফীতকায় যে নাম কবে ডাকা হবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।
লোকটি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে ভাবল, আর ঘোরাঘুরি করে লাভ নেই। এই নরকই তার জন্য নিরাপদ!
খ. দুই গবেষক আলোচনা করছেন। একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা, সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার উদ্ভাবক মার্ক্স-অ্যাঙ্গেলস এবং প্রতিষ্ঠাতা লেনিনকে কি আমরা বিজ্ঞানী বলতে পারি?
-কখনোই না। -কেন?
-কারণ বিজ্ঞানীরা তাঁদের ধারণা প্রথম প্রয়োগ করেন গিনিপিগের ওপর, কখনোই মানুষের ওপর নয়। করোনার টিকা আবিষ্কারের পর কি তা প্রথমেই মানুষের ওপর প্রয়োগের কোনো তথ্য জানা গেছে?
গ. লেখাপড়া শেষ করে এক তরুণ গ্রামের বাড়ি গেছে। স্থানীয় একজন মুরব্বি জানতে চাইলেন, এরপর কী করার কথা ভাবছ?
-সৎ রাজনীতি করার কথা ভাবছি।
-খুব ভালো। তুমি সফল হবে।
-কীভাবে বুঝলেন?
-কারণ সৎ রাজনীতিক হওয়ার লাইনে কেউ সম্ভবত তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তুমি ফাঁকা মাঠে গোল দেবে!
এক ব্যক্তি মৃত্যুর পর নরকে গিয়ে শাস্তি এড়ানোর উপায় ভাবতে লাগল। তার ধারণা, সব দেশের মানুষকে হয়তো একই রকম শাস্তি দেওয়া হয় না। যেসব দেশের মানুষ ধর্মকর্ম বেশি করে, সেসব দেশের মানুষের জন্য বুঝি কবরের আজাবে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা আছে। লোকটি প্রথমে বিশ্বের বেশি শক্তিধর দেশ আমেরিকার নরকের সামনে গিয়ে কিছুটা যম ভিড় দেখে নরকের দ্বাররক্ষীকে জিজ্ঞেস করল, এখানে শাস্তিটাস্তি রেয়াতের কোনো ব্যবস্থা আছে কী?
দ্বাররক্ষী রুক্ষ গলায় জবাব দেয়: এখানে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়।
-কী ধরনের শাস্তি সাধারণত দেওয়া হয়?
দ্বাররক্ষীর জবাব: প্রথমে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে এক ঘণ্টা শক দেওয়া হয়। তারপর পেরেকের বিছানায় এক ঘণ্টা শুয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়। এরপর পিঠে চাবুকের ৫০টা ঘা দেয়।
শাস্তির বিবরণ শুনে লোকটি ভয়ে আঁতকে উঠল এবং ভাবল, রাশিয়ার নরকে হয়তো শাস্তি একটু নরম হতে পারে। কিন্তু রাশিয়ার নরকের দ্বাররক্ষীও একই ধরনের শাস্তির কথা বলল।
এরপর লোকটি এশিয়ার একটি দেশের নরকের সামনে গিয়ে দেখল, সেখানে দেশের নরকে আপনাকে স্বাগত লেখা। দরজার সামনে বিশাল লাইন দেখে লোকটি ভাবল, এখানে নিশ্চয়ই কম শাস্তি দেওয়া হয়। তাই এখানে এত বড় লাইন। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য লোকটি উৎসাহ নিয়ে দ্বাররক্ষীর কাছে জানতে চাইল সেখানে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়।
রক্ষী বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে জবাব দিল, প্রথমে এক ঘণ্টা ইলেকট্রিক শক, তারপর এক ঘণ্টা পেরেক লাগানো বিছানায় বাধ্যতামূলক শোয়া এবং শেষে পিঠে চাবুকের ৫০ ঘা।
লোকটি অবাক হয়ে শুকনো গলায় আবার প্রশ্ন করে, সব দেশের নরকে শাস্তির ধরন একই রকম। তাহলে এ দেশের নরকে এত ভিড় কেন?
মুখে এক খিলি পান ঢুকিয়ে আরামসে চিবুতে চিবুতে রক্ষী বলল, এখানে ইলেকট্রিক চেয়ার আছে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আগে, বিদ্যুতের খুঁটি বা খাম্বা তৈরি করা হয়েছে। পেরেকের বিছানা থেকে পেরেক চুরি হয়ে গেছে। আর যে ব্যক্তি চাবুক মারার দায়িত্বে, তিনি সরকারি চাকুরে। তিনি এসে খাতায় সই করে হাওয়া খেতে বেরিয়ে যান। দু-এক দিন ডিউটি করলেও দু-একটি চাবুক মেরে হাঁফিয়ে ওঠেন এবং রেজিস্টার খাতায় ৫০ ঘা লিখে বিশ্রামে যান। আর এখানে নরকগামীদের নামের ফাইলের স্তূপ এত স্ফীতকায় যে নাম কবে ডাকা হবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।
লোকটি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে ভাবল, আর ঘোরাঘুরি করে লাভ নেই। এই নরকই তার জন্য নিরাপদ!
খ. দুই গবেষক আলোচনা করছেন। একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা, সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার উদ্ভাবক মার্ক্স-অ্যাঙ্গেলস এবং প্রতিষ্ঠাতা লেনিনকে কি আমরা বিজ্ঞানী বলতে পারি?
-কখনোই না। -কেন?
-কারণ বিজ্ঞানীরা তাঁদের ধারণা প্রথম প্রয়োগ করেন গিনিপিগের ওপর, কখনোই মানুষের ওপর নয়। করোনার টিকা আবিষ্কারের পর কি তা প্রথমেই মানুষের ওপর প্রয়োগের কোনো তথ্য জানা গেছে?
গ. লেখাপড়া শেষ করে এক তরুণ গ্রামের বাড়ি গেছে। স্থানীয় একজন মুরব্বি জানতে চাইলেন, এরপর কী করার কথা ভাবছ?
-সৎ রাজনীতি করার কথা ভাবছি।
-খুব ভালো। তুমি সফল হবে।
-কীভাবে বুঝলেন?
-কারণ সৎ রাজনীতিক হওয়ার লাইনে কেউ সম্ভবত তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তুমি ফাঁকা মাঠে গোল দেবে!
দলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১০ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কিছু যে হয়নি, তা নয়। তবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে অস্থিরতার লক্ষণ অস্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই তিন দফায় উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘খোলনলচে’। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করেছি। বাংলা বাগধারায় আমরা পড়েছি ‘খোলনলচে পালটানো’। বাংলা অভিধানে খোল শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেঅফিসে যাতায়াতের সময় স্টাফ বাসে পরিচয়ের সূত্রে ফারজানা আক্তার আজিমপুরে নিজের বাসায় সাবলেট দিয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার শাপলা নামের এক নারীকে। কিন্তু ফাতেমা যে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য, সেটা তাঁর জানা ছিল না।
১০ ঘণ্টা আগে