আবেদীন কাদের
২৪ এপ্রিল ছিল বই দিবস। কথাটা মনে করিয়ে দিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রাবন্ধিক আহমাদ মাযহার বই পড়ার স্মৃতি নিয়ে একটি সুন্দর প্রবন্ধ লিখে। আমি সারাক্ষণ ভাবি, আমাদের মতো বেদনাক্রান্ত দরিদ্র মানুষদের বেঁচে থাকার জন্য বই-ই হয়তো সত্যিকার সাহায্য করেছে। আমরা জীবনের অধিকাংশ ঋতুই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে কাটালাম, সেখানে বই কিছুটা সাহায্য করেছে উজিয়ে যেতে। আমি মাযহারের মতোই ছেলেবেলায় বইপোকা ছিলাম, সেটার জন্য আমি কৃতজ্ঞ আমার বাবার কাছে, আমাদের গ্রামের স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের কাছে, আমার দুই কাজিন এবং প্রিয়তম বন্ধু শেখ শাজাহান ও শেখ আজহারের কাছে। আমরা—শাজাহান আজহার আর আমি একসঙ্গে পড়তাম, দিনের অধিকাংশ সময়ও একসঙ্গেই কাটাতাম। আর আমাদের একমাত্র বিনোদন ছিল সামান্য ফুটবল খেলা ছাড়া শুধু বই।
গ্রামের স্কুলে মোটামুটি ভালোই বই ছিল, আর সেগুলো নিয়ে পড়া যেত সহজেই। তা ছাড়া বাবা ফরিদপুর বা ঢাকায় কোনো কাজে গেলে আমার জন্য অবশ্যই বই নিয়ে আসতেন। কিন্তু বইয়ের ঢল নামে আমার পড়ার টেবিলে কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর। প্রতিদিন বন্ধুরা মিলে স্কুলের সামনে থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বই ভাড়া নিতাম। তিন-চারজন—আমি বারেক, সুব্রত, ফিরোজ, আলো বা আরও দুয়েকজন পেছনের দিকে বসে ডেস্কের মাঝে বইটা রেখে এক দুর্দান্ত ক্ষুধা নিয়ে বইটা শেষ করে ফেলতাম। বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, সমরেশ বসুসহ সব বড় লেখকের বই ১৯৬৭-৬৮ সালে নিউজপ্রিন্টে পাইরেটেড কপি বাংলাবাজারে ফুটপাতে পাওয়া যেত। আমরা না কিনে দোকানির কাছে চার-পাঁচ আনায় ভাড়া নিতাম; শর্ত ছিল মলিন যাতে না হয়, পাতা যেন না ছেঁড়ে। তবে আমাদের ক্লাসের কেউ কেউ কুয়াশা ও মাসুদ রানাও ভাড়া নিত, কিন্তু আমি কুয়াশা বা মাসুদ রানায় তেমন আনন্দ পেতাম না। আমরা বিশ্বস্ততার সঙ্গে শর্ত পালন করতাম এবং স্কুল ছুটির পর বই ফেরত দিতাম। পঞ্চগ্রাম গণদেবতা বা আসামী হাজির ধরনের বই এত মোটা ছিল যে দুদিন বা তিন দিন নিতে হতো।
কলকাতার বই ছাড়া বিপুলসংখ্যক রুশ সাহিত্যের বই পড়েছি সেই সময়ে। বন্ধুদের মধ্যে বারেক আমাকে সবচেয়ে বেশি বই পড়িয়েছে। এ ছাড়া আমাদের সহপাঠী আলোদের বাড়িতে সবাই খুব বই পড়তেন—শিরীন আপা, দাদাভাই, খালাম্মা, সবাই। আমি উল্টোরথ, জলসাঘর বা অন্যান্য পূজাসংখ্যা আলোদের বাড়ি থেকে নিয়ে পড়েছি। আমাদের সহপাঠী ফিরোজ কবীর ও রিয়াজের বাড়িতেও কলকাতার বই এবং পূজাসংখ্যাগুলো নিয়মিত আসত। ওরা, ফিরোজ ও রিয়াজদের পরিবার কলকাতা থেকে বাড়ি বদল করে ঢাকায় এসেছিল, সে কারণে পারিবারিকভাবে ওদের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ছিল। তা ছাড়া কান্তিদের পরিবার বা কামিনী স্যারও বই এনে দিতে পারতেন। কামিনী স্যার যত্ন করে বলতেন, কলেজিয়েট স্কুলের লাইব্রেরির কোন আলমারিতে কোন দেশের সাহিত্যের বই বেশি আছে।
কলেজ জীবনে সারাক্ষণ বই খোঁজা হতো নীলক্ষেতের পুরোনো বইয়ের দোকানে। পরের প্রায় আড়াই দশক আমার ওখান থেকেই সবচেয়ে বেশি বই কেনা হয়েছে, পড়া হয়েছে।
লেখকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বইয়ের সন্ধান দিতেন বা পড়তে দিতেন রফিক আজাদ ভাই, বেলাল চৌধুরী ভাই, আর ৮১ সালের পর বিদেশ থেকে ফিরে যাওয়ার পর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ভাই। সত্তুরের দশকের শেষদিকে হাসান ভাই ইউক্রেনের কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার সময় অনেক বই নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর কাছ থেকেও বই নিয়ে পড়েছি।
আশির দশকে বহুবার মনজুর ভাই দেশের বাইরে গেছেন, ফেরার পথে আমার জন্য পছন্দের বই নিয়ে যেতেন। তাঁদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা বই চিনিয়েছিলেন বলে। সহপাঠী বা বন্ধুদের মধ্যে বশীর জাহিদ জুবেরীও অনেক বইয়ের কথা বলতেন, সন্ধান দিতেন।
বইয়ের প্রতি তীব্র ক্ষুধাকে আমি কিছুটা সহজে মেটাতে সক্ষম হয়েছি নিউইয়র্কে আসার পর। দামও আমার আয়ত্বের মধ্যে, মনের মতো বইও পাওয়া যায় খুঁজলেই। ভিলেজের দিকে সব পুরোনো বইয়ের দোকান আমি তন্ন তন্ন করে ঘুরেছি গত আড়াই দশক। ছেলেবেলার বই পড়ার স্মৃতি মনে করলে আমার একজন বই বিক্রেতার কথা খুব মনে পড়ে।
আমি প্রায় প্রতিদিন স্কুল হোস্টেল হেঁটে বিকেলে প্যারিদাস রোডে বইয়ের দোকানে যেতাম। সেখানে একটি দোকান ছিল রাস্তা থেকে দু-তিনটি সিঁড়ি ওপরে একটা প্রায় অন্ধকার ঘরে। একজন অত্যন্ত বৃদ্ধ হিন্দু ভদ্রলোক আলমারিতে অনেক বই নিয়ে সেখানে বসে থাকতেন, অধিকাংশ পুরোনো বই। তাঁর পরনে ধুতি আর গলায় পুঁতির মালা থাকত, চোখে সরু ফ্রেমের সোনালি চশমা। আমি গেলে এমনিতেই পড়তে দিতেন আলমারি থেকে নিয়ে। একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি ওখানে কাটাতাম। ভদ্রলোক আলমারিগুলোর পেছনেই থাকতেন, একটা রান্নার ঘর ছিল তাঁর। সেখানে চলে যেতেন মাঝে মাঝে, চা বানাতেন। আমাকে অনেক দিন চা খাইয়েছেন। মানুষটি খুব হৃদয়বান ছিলেন। কিন্তু বাইরের জগতের তেমন কোনো খবর রাখতেন না।
তাঁকে দেখলেই আমার স্তেফান জোয়াইয়েগের সেই বিখ্যাত গল্প ‘বুকম্যানডেল’ গল্পের কথা মনে পড়ত। সেই জার্মান বৃদ্ধ বইয়ের দোকানি যিনি যুদ্ধের তিন বছর জানতেনই না যে বাইরে বিশ্বযুদ্ধ। আমি বাংলাবাজারের সেই বই দোকানিকে এই গল্পটি বলেছিলাম। তিনি হেসেছিলেন। এরপর তাঁকে ‘বুকম্যানডেলদা’ বলে ডাকতাম। তিনি হাসতেন। স্বাধীনতার পর বাংলাবাজার গেলেই আমি তাঁর ওখানে যেতাম, দু-চারদিন কথাও বলেছি বসে। তারপর আর যাওয়া হয়নি। এখনো যেকোনো বইয়ের দোকানিকে দেখলে আমার সেই বৃদ্ধ দোকানির মুখখানা মনে পড়ে!
২৪ এপ্রিল ছিল বই দিবস। কথাটা মনে করিয়ে দিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রাবন্ধিক আহমাদ মাযহার বই পড়ার স্মৃতি নিয়ে একটি সুন্দর প্রবন্ধ লিখে। আমি সারাক্ষণ ভাবি, আমাদের মতো বেদনাক্রান্ত দরিদ্র মানুষদের বেঁচে থাকার জন্য বই-ই হয়তো সত্যিকার সাহায্য করেছে। আমরা জীবনের অধিকাংশ ঋতুই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে কাটালাম, সেখানে বই কিছুটা সাহায্য করেছে উজিয়ে যেতে। আমি মাযহারের মতোই ছেলেবেলায় বইপোকা ছিলাম, সেটার জন্য আমি কৃতজ্ঞ আমার বাবার কাছে, আমাদের গ্রামের স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের কাছে, আমার দুই কাজিন এবং প্রিয়তম বন্ধু শেখ শাজাহান ও শেখ আজহারের কাছে। আমরা—শাজাহান আজহার আর আমি একসঙ্গে পড়তাম, দিনের অধিকাংশ সময়ও একসঙ্গেই কাটাতাম। আর আমাদের একমাত্র বিনোদন ছিল সামান্য ফুটবল খেলা ছাড়া শুধু বই।
গ্রামের স্কুলে মোটামুটি ভালোই বই ছিল, আর সেগুলো নিয়ে পড়া যেত সহজেই। তা ছাড়া বাবা ফরিদপুর বা ঢাকায় কোনো কাজে গেলে আমার জন্য অবশ্যই বই নিয়ে আসতেন। কিন্তু বইয়ের ঢল নামে আমার পড়ার টেবিলে কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর। প্রতিদিন বন্ধুরা মিলে স্কুলের সামনে থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বই ভাড়া নিতাম। তিন-চারজন—আমি বারেক, সুব্রত, ফিরোজ, আলো বা আরও দুয়েকজন পেছনের দিকে বসে ডেস্কের মাঝে বইটা রেখে এক দুর্দান্ত ক্ষুধা নিয়ে বইটা শেষ করে ফেলতাম। বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, সমরেশ বসুসহ সব বড় লেখকের বই ১৯৬৭-৬৮ সালে নিউজপ্রিন্টে পাইরেটেড কপি বাংলাবাজারে ফুটপাতে পাওয়া যেত। আমরা না কিনে দোকানির কাছে চার-পাঁচ আনায় ভাড়া নিতাম; শর্ত ছিল মলিন যাতে না হয়, পাতা যেন না ছেঁড়ে। তবে আমাদের ক্লাসের কেউ কেউ কুয়াশা ও মাসুদ রানাও ভাড়া নিত, কিন্তু আমি কুয়াশা বা মাসুদ রানায় তেমন আনন্দ পেতাম না। আমরা বিশ্বস্ততার সঙ্গে শর্ত পালন করতাম এবং স্কুল ছুটির পর বই ফেরত দিতাম। পঞ্চগ্রাম গণদেবতা বা আসামী হাজির ধরনের বই এত মোটা ছিল যে দুদিন বা তিন দিন নিতে হতো।
কলকাতার বই ছাড়া বিপুলসংখ্যক রুশ সাহিত্যের বই পড়েছি সেই সময়ে। বন্ধুদের মধ্যে বারেক আমাকে সবচেয়ে বেশি বই পড়িয়েছে। এ ছাড়া আমাদের সহপাঠী আলোদের বাড়িতে সবাই খুব বই পড়তেন—শিরীন আপা, দাদাভাই, খালাম্মা, সবাই। আমি উল্টোরথ, জলসাঘর বা অন্যান্য পূজাসংখ্যা আলোদের বাড়ি থেকে নিয়ে পড়েছি। আমাদের সহপাঠী ফিরোজ কবীর ও রিয়াজের বাড়িতেও কলকাতার বই এবং পূজাসংখ্যাগুলো নিয়মিত আসত। ওরা, ফিরোজ ও রিয়াজদের পরিবার কলকাতা থেকে বাড়ি বদল করে ঢাকায় এসেছিল, সে কারণে পারিবারিকভাবে ওদের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ছিল। তা ছাড়া কান্তিদের পরিবার বা কামিনী স্যারও বই এনে দিতে পারতেন। কামিনী স্যার যত্ন করে বলতেন, কলেজিয়েট স্কুলের লাইব্রেরির কোন আলমারিতে কোন দেশের সাহিত্যের বই বেশি আছে।
কলেজ জীবনে সারাক্ষণ বই খোঁজা হতো নীলক্ষেতের পুরোনো বইয়ের দোকানে। পরের প্রায় আড়াই দশক আমার ওখান থেকেই সবচেয়ে বেশি বই কেনা হয়েছে, পড়া হয়েছে।
লেখকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বইয়ের সন্ধান দিতেন বা পড়তে দিতেন রফিক আজাদ ভাই, বেলাল চৌধুরী ভাই, আর ৮১ সালের পর বিদেশ থেকে ফিরে যাওয়ার পর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ভাই। সত্তুরের দশকের শেষদিকে হাসান ভাই ইউক্রেনের কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার সময় অনেক বই নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর কাছ থেকেও বই নিয়ে পড়েছি।
আশির দশকে বহুবার মনজুর ভাই দেশের বাইরে গেছেন, ফেরার পথে আমার জন্য পছন্দের বই নিয়ে যেতেন। তাঁদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা বই চিনিয়েছিলেন বলে। সহপাঠী বা বন্ধুদের মধ্যে বশীর জাহিদ জুবেরীও অনেক বইয়ের কথা বলতেন, সন্ধান দিতেন।
বইয়ের প্রতি তীব্র ক্ষুধাকে আমি কিছুটা সহজে মেটাতে সক্ষম হয়েছি নিউইয়র্কে আসার পর। দামও আমার আয়ত্বের মধ্যে, মনের মতো বইও পাওয়া যায় খুঁজলেই। ভিলেজের দিকে সব পুরোনো বইয়ের দোকান আমি তন্ন তন্ন করে ঘুরেছি গত আড়াই দশক। ছেলেবেলার বই পড়ার স্মৃতি মনে করলে আমার একজন বই বিক্রেতার কথা খুব মনে পড়ে।
আমি প্রায় প্রতিদিন স্কুল হোস্টেল হেঁটে বিকেলে প্যারিদাস রোডে বইয়ের দোকানে যেতাম। সেখানে একটি দোকান ছিল রাস্তা থেকে দু-তিনটি সিঁড়ি ওপরে একটা প্রায় অন্ধকার ঘরে। একজন অত্যন্ত বৃদ্ধ হিন্দু ভদ্রলোক আলমারিতে অনেক বই নিয়ে সেখানে বসে থাকতেন, অধিকাংশ পুরোনো বই। তাঁর পরনে ধুতি আর গলায় পুঁতির মালা থাকত, চোখে সরু ফ্রেমের সোনালি চশমা। আমি গেলে এমনিতেই পড়তে দিতেন আলমারি থেকে নিয়ে। একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি ওখানে কাটাতাম। ভদ্রলোক আলমারিগুলোর পেছনেই থাকতেন, একটা রান্নার ঘর ছিল তাঁর। সেখানে চলে যেতেন মাঝে মাঝে, চা বানাতেন। আমাকে অনেক দিন চা খাইয়েছেন। মানুষটি খুব হৃদয়বান ছিলেন। কিন্তু বাইরের জগতের তেমন কোনো খবর রাখতেন না।
তাঁকে দেখলেই আমার স্তেফান জোয়াইয়েগের সেই বিখ্যাত গল্প ‘বুকম্যানডেল’ গল্পের কথা মনে পড়ত। সেই জার্মান বৃদ্ধ বইয়ের দোকানি যিনি যুদ্ধের তিন বছর জানতেনই না যে বাইরে বিশ্বযুদ্ধ। আমি বাংলাবাজারের সেই বই দোকানিকে এই গল্পটি বলেছিলাম। তিনি হেসেছিলেন। এরপর তাঁকে ‘বুকম্যানডেলদা’ বলে ডাকতাম। তিনি হাসতেন। স্বাধীনতার পর বাংলাবাজার গেলেই আমি তাঁর ওখানে যেতাম, দু-চারদিন কথাও বলেছি বসে। তারপর আর যাওয়া হয়নি। এখনো যেকোনো বইয়ের দোকানিকে দেখলে আমার সেই বৃদ্ধ দোকানির মুখখানা মনে পড়ে!
যেকোনো সামাজিক বিষয় বা সামাজিক সমস্যা নিয়ে আমরা যখন আলোচনা করি, তখন কখনো কখনো তত্ত্ব দিয়ে তার ব্যাখ্যা করি, আবার কখনো কখনো বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয় বা সমস্যার বিশ্লেষণ করি। তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা...
৪ ঘণ্টা আগেগাজার সবচেয়ে সুপরিচিত ফুটবল স্টেডিয়ামটি এখন বিশৃঙ্খলায় ভরা। মাঠ ও বসার জায়গায় বাস্তুচ্যুত লোকের বন্যা। সবার পিঠে ব্যাগ আর কিছু কাপড়। কেউ অসুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করছেন বা আহত আত্মীয়দের নিয়ে চলেছেন। আবার কেউ কেউ একা হাঁটছেন, খালি পায়েই হেঁটে চলেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেসিসা একটি নরম ধাতু। এটি ঈষৎ নীলাভ ধূসর বর্ণের। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮২। ধাতুটি এতটাই নরম যে একটি ছুরির সাহায্যে একে কাটা যায়। সিসা কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর বিষ। এই বিষের ভেতরেই বাস করছে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ। বাংলাদেশের বাতাসে যেমন সিসার উপস্থিতি দেখা গেছে, তেমনি মাটিতে-পানিতেও পাওয়া গেছে...
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার কথা বলে পাপিয়া আক্তার রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি যে ‘ভুয়া’ ছাত্রী, সেটি বুঝতে পেরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। হয়তো তাঁর শাস্তিও হবে। পাপিয়া শুধু অচেনা রোগী ও তাদের স্বজনদের নয়, তাঁর স্বামীকেও ধোঁকা...
৪ ঘণ্টা আগে