বিভুরঞ্জন সরকার
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ঠিক কী পরিকল্পনা বা কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। সরকার বা দলের পক্ষ থেকে কোনো মন্ত্রী বা নেতা প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিছু কিছু খবর বের হচ্ছে যা থেকে সরকারি দলের ভাবনা-চিন্তা সম্পর্কে আঁচ-অনুমান করা যায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে।
আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জয় ছাড়া কিছু ভাবছে না। তবে ক্ষমতায় থাকলে সব দেশেই সব দলের জনপ্রিয়তায় টান পড়ে। সব মানুষকে কোনো সরকারই পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারে না। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে মানুষের একটি স্বাভাবিক ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকেই। বাংলাদেশেও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও আছে। দেশের সব মানুষও আওয়ামী লীগের সমর্থক নয়। তবে দেশের মানুষ এই সরকারের পরিবর্তন চায় কি না এবং পরিবর্তন চাইলে সেটা নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ উপায়ে না কি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। এমন কোনো জনমত জরিপের কথা আমাদের জানা নেই।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, ভোট ছাড়া আর কোনো উপায়ে সরকার পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ নেই। আবার বিএনপি বলছে, তারা সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতমুখী অবস্থান কীভাবে একমুখী হবে তা কেউ বলতে পারছে না।
আওয়ামী লীগের কেউ কেউ মনে করেন, সরকারের চাপে রাখার কৌশল হিসেবে বিএনপি মুখে যাই বলুক না কেন, শেষপর্যন্ত নির্বাচনে না গিয়ে দলটির উপায় থাকবে না। সরকার চাইবে বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং সেটা আওয়ামী লীগের শর্তে। এমন কথাও বাজারে চালু আছে যে দরকার হলে এবার আওয়ামী লীগ ১০০-১২০ আসন ছেড়ে দেওয়ার কথাও বিবেচনা করবে। দল টিকিয়ে রাখতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে, না হলে বিএনপিতে ভাঙন অনিবার্য। ভাত ছিটিয়ে কাক জোগাড় করার নীতি আওয়ামী লীগ নিতে পারে এবং সেটা যে সম্ভব তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে।
আমেরিকাসহ কিছু পশ্চিমা দেশের যেমন বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, তেমনি পৃথিবীতে এখন সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামায় না—এমন শক্তিশালী দেশের সংখ্যাও কম নয়। সবাইকে নিয়ে ভোট করার চাপ যেমন সরকারের ওপর থাকবে, তেমনি ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের চাপ এড়ানোর উপায় একেবার নেই, তা নয়। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারলে তার একটি সুফল শেখ হাসিনার সরকার ঘরে তুলতে পারবে বলেও কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন।
বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো সরকার পতনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকছে। এতে সংঘাতের আশঙ্কায় এক ধরনের উত্তেজনা থাকছে। আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মসূচিগুলোকে শান্তি সমাবেশ হিসেবে অভিহিত করছে। শান্তি সমাবেশ থেকে নেতারা বিরোধী দলের কর্মসূচি থেকে ‘দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ বিষয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নৌকাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের আগামী আট মাস পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এই ভালো আচরণ করার পরামর্শটি অনেকের নজরে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের একশ্রেণির নেতা কর্মী যে মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করে না, এটা যে শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টিতেও আছে, এটা একটা ভালো দিক। তবে মাত্র আট মাস ভালো আচরণ করলে কি মানুষের মনোভাব বদল হবে? তবু আমরা দেখতে চাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ভালো আচরণ।
প্রসঙ্গত বলে রাখা যায়, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সম্ভবত কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোকাবিলা করেই বিজয় অর্জন করতে হবে। খালি মাঠে গোল দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। যদি ভালো বিকল্প প্রার্থী থাকে তাহলে মানুষ আওয়ামী লীগের খারাপ প্রার্থীকে ভোট কেন দেবে? সে জন্যই সম্ভবত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পাড়াপ্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে বলা হচ্ছে। দেখার বিষয় এই নির্দেশনা মানা হয়, না কি এ কান দিয়ে শুনে ও কান দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ে কেন্দ্রীয় কমান্ড না মানার একটি প্রবণতা কি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি?
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ধর্মভিত্তিক ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে নানামুখী কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে বলে সংবাদপত্রে খবর বের হয়েছে। কী সে কৌশল? সরকারের সঙ্গে নেই—এমন ইসলামি দলগুলো যাতে বিএনপির আন্দোলনে না ভিড়ে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো ইসলামি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির তৎপরতাও আছে। ইসলামি কিছু দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা কিংবা তাদের দিয়ে প্রয়োজনে একটি আলাদা জোট গড়ার কথাও ভাবনায় রয়েছে। দরকার হলে ইসলামি কোনো কোনো দলকে চাপে রাখার বিষয়টিও হিসাবে আছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বোঝাপড়া হবে বা আদৌ হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
জামায়াতের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বুঝ করা হলে আওয়ামী লীগের জন্য সেটা কতটা মধুর পরিণতি হবে তা নিয়ে সংশয় আছে উভয় তরফেই। চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন অনেক জায়গায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠায় এই দলের ব্যাপারেও আওয়ামী লীগের আগ্রহ আছে। আবার আওয়ামী লীগের ওপর ধর্মভিত্তিক দল ও সংগঠনের প্রভাব বাড়ায় ১৪ দলের বামপন্থী শরিকদেরও অস্বস্তি আছে। তবে আওয়ামী লীগ বা সরকারের সিদ্ধান্ত হবে ভোটের হিসাবনিকাশ বিবেচনায় রেখেই।
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ‘সালানা জলসা’কে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার যে ঘটনা ঘটেছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ধর্মবিশ্বাসের প্রশ্নে মানুষ কেমন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে যে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা ক্রিয়াশীল ছিল, সেখান থেকে আমরা অনেক সরে এসেছি। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ধর্মনিরপেক্ষতা চেয়েছিলেন, সেটা থেকে তাঁর দল আওয়ামী লীগও হয়তো সরে এসেছে।
তাই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে গড়া ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল তাঁরই কন্যার নেতৃত্বে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার ভুয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ অধ্যুষিত গ্রামে আগুন লাগানো হয়, বিগ্রহ ভাঙচুর হয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট হয়, মানুষ হত্যা করা হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি থাকে, নারীর পোশাক, কপালে টিপ পরা, পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন, বাউল গান—এগুলোও হয়ে ওঠে মানুষের ধর্মানুভূতি বিবেচনার মাপকাঠি।
এদিকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সম্প্রতি এক সমাবেশে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু এ ঘোষণার বাস্তবায়ন আমরা কোথাও দেখছি না। সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি জাতীয় ঐক্যমঞ্চ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ মঞ্চ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে এ দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে, তার নিশ্চয়তা প্রদান করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।’
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মতুয়া সম্মেলনসহ সারা দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের ওপর নতুন করে যে হামলা, হুমকি, দেববিগ্রহ ভাঙচুর ও ধর্ম অবমাননার যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে রানা দাশগুপ্ত আরও বলেছেন, ‘সরকার সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করার এবং বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করার, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন এবং সমতলে আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার অঙ্গীকার করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন। সুতরাং সময় আর বেশি দিন নেই। এ সময়ের মধ্যে যদি অঙ্গীকারগুলোর বাস্তবায়ন না করা যায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যদি মনে করে তারা আরও একবার প্রতারিত হয়েছেন এবং এ প্রতারণার প্রতিবাদে তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, এমন সিদ্ধান্ত যদি নেয়, তার জন্য নির্বাচনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সে জন্য সংখ্যালঘুদের কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট বর্জনের বিষয়টি সামনে এলে সেটার বিরূপ প্রভাব আওয়ামী লীগের ওপরই বেশি পড়বে বলে মনে করা অমূলক নয়। সাধারণভাবে সংখ্যালঘুদের আওয়ামী লীগের ‘ভোট ব্যাংক’ বলে এক ধরনের প্রচার আছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা মনে করছেন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনাগুলো যেভাবে ঘটছে তাতে মনে হয় সামনের দিনগুলো তাদের জন্য আরও অনিরাপদ হতে পারে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বাপর পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু জীবন যাতে অহেতুক উদ্বেগের মধ্যে না পড়ে, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় ঐকমত্য হওয়া জরুরি হলেও সে সুযোগ কি দেশে আছে? সরকার ও সরকারি দলের মধ্যেও সব পর্যায়ে এসব বিষয়ে সমান সচেতনতা আছে কি না, সেটাও এখন এক বড় প্রশ্ন।
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ৬ মার্চ আক্রান্ত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের তোপের মুখে পড়েছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তাঁরা মন্ত্রীকে বলেছেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগে যারা জড়িত তারা আপনার আশেপাশেই আছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
পঞ্চগড়ের ঘটনার জন্য মন্ত্রীরা বিএনপি-জামায়াতকে সরাসরি দায়ী করলেও আক্রান্তরা রেলমন্ত্রীর ‘আশপাশে’ থাকা দুচার জনকে অভিযুক্ত করায় কী প্রমাণ হচ্ছে? তা ছাড়া নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার এবং সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার ফলে বারবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। আগামী নির্বাচনে রাজনীতি, ধর্ম, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো বিষয়গুলোও আওয়ামী লীগকে ভোগাবে।
আকস্মিকভাবে কখন কী ঘটবে তা আগে থেকে বোঝা না-ও যেতে পারে। চেনা প্রতিপক্ষ ছাড়াও অচেনা প্রতিপক্ষের সঙ্গেও লড়তে হতে পারে। আওয়ামী লীগের মধ্যেও নিজের প্রতিপক্ষ লুকিয়ে থাকার বিষয়টিও উপেক্ষা করার মতো নয়।
জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ঠিক কী পরিকল্পনা বা কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। সরকার বা দলের পক্ষ থেকে কোনো মন্ত্রী বা নেতা প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিছু কিছু খবর বের হচ্ছে যা থেকে সরকারি দলের ভাবনা-চিন্তা সম্পর্কে আঁচ-অনুমান করা যায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে।
আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জয় ছাড়া কিছু ভাবছে না। তবে ক্ষমতায় থাকলে সব দেশেই সব দলের জনপ্রিয়তায় টান পড়ে। সব মানুষকে কোনো সরকারই পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারে না। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে মানুষের একটি স্বাভাবিক ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকেই। বাংলাদেশেও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও আছে। দেশের সব মানুষও আওয়ামী লীগের সমর্থক নয়। তবে দেশের মানুষ এই সরকারের পরিবর্তন চায় কি না এবং পরিবর্তন চাইলে সেটা নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ উপায়ে না কি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। এমন কোনো জনমত জরিপের কথা আমাদের জানা নেই।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, ভোট ছাড়া আর কোনো উপায়ে সরকার পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ নেই। আবার বিএনপি বলছে, তারা সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতমুখী অবস্থান কীভাবে একমুখী হবে তা কেউ বলতে পারছে না।
আওয়ামী লীগের কেউ কেউ মনে করেন, সরকারের চাপে রাখার কৌশল হিসেবে বিএনপি মুখে যাই বলুক না কেন, শেষপর্যন্ত নির্বাচনে না গিয়ে দলটির উপায় থাকবে না। সরকার চাইবে বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং সেটা আওয়ামী লীগের শর্তে। এমন কথাও বাজারে চালু আছে যে দরকার হলে এবার আওয়ামী লীগ ১০০-১২০ আসন ছেড়ে দেওয়ার কথাও বিবেচনা করবে। দল টিকিয়ে রাখতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে, না হলে বিএনপিতে ভাঙন অনিবার্য। ভাত ছিটিয়ে কাক জোগাড় করার নীতি আওয়ামী লীগ নিতে পারে এবং সেটা যে সম্ভব তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে।
আমেরিকাসহ কিছু পশ্চিমা দেশের যেমন বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, তেমনি পৃথিবীতে এখন সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামায় না—এমন শক্তিশালী দেশের সংখ্যাও কম নয়। সবাইকে নিয়ে ভোট করার চাপ যেমন সরকারের ওপর থাকবে, তেমনি ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের চাপ এড়ানোর উপায় একেবার নেই, তা নয়। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারলে তার একটি সুফল শেখ হাসিনার সরকার ঘরে তুলতে পারবে বলেও কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন।
বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো সরকার পতনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকছে। এতে সংঘাতের আশঙ্কায় এক ধরনের উত্তেজনা থাকছে। আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মসূচিগুলোকে শান্তি সমাবেশ হিসেবে অভিহিত করছে। শান্তি সমাবেশ থেকে নেতারা বিরোধী দলের কর্মসূচি থেকে ‘দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ বিষয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নৌকাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের আগামী আট মাস পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এই ভালো আচরণ করার পরামর্শটি অনেকের নজরে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের একশ্রেণির নেতা কর্মী যে মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করে না, এটা যে শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টিতেও আছে, এটা একটা ভালো দিক। তবে মাত্র আট মাস ভালো আচরণ করলে কি মানুষের মনোভাব বদল হবে? তবু আমরা দেখতে চাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ভালো আচরণ।
প্রসঙ্গত বলে রাখা যায়, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সম্ভবত কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোকাবিলা করেই বিজয় অর্জন করতে হবে। খালি মাঠে গোল দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। যদি ভালো বিকল্প প্রার্থী থাকে তাহলে মানুষ আওয়ামী লীগের খারাপ প্রার্থীকে ভোট কেন দেবে? সে জন্যই সম্ভবত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পাড়াপ্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে বলা হচ্ছে। দেখার বিষয় এই নির্দেশনা মানা হয়, না কি এ কান দিয়ে শুনে ও কান দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ে কেন্দ্রীয় কমান্ড না মানার একটি প্রবণতা কি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি?
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ধর্মভিত্তিক ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে নানামুখী কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে বলে সংবাদপত্রে খবর বের হয়েছে। কী সে কৌশল? সরকারের সঙ্গে নেই—এমন ইসলামি দলগুলো যাতে বিএনপির আন্দোলনে না ভিড়ে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো ইসলামি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির তৎপরতাও আছে। ইসলামি কিছু দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা কিংবা তাদের দিয়ে প্রয়োজনে একটি আলাদা জোট গড়ার কথাও ভাবনায় রয়েছে। দরকার হলে ইসলামি কোনো কোনো দলকে চাপে রাখার বিষয়টিও হিসাবে আছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বোঝাপড়া হবে বা আদৌ হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
জামায়াতের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বুঝ করা হলে আওয়ামী লীগের জন্য সেটা কতটা মধুর পরিণতি হবে তা নিয়ে সংশয় আছে উভয় তরফেই। চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন অনেক জায়গায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠায় এই দলের ব্যাপারেও আওয়ামী লীগের আগ্রহ আছে। আবার আওয়ামী লীগের ওপর ধর্মভিত্তিক দল ও সংগঠনের প্রভাব বাড়ায় ১৪ দলের বামপন্থী শরিকদেরও অস্বস্তি আছে। তবে আওয়ামী লীগ বা সরকারের সিদ্ধান্ত হবে ভোটের হিসাবনিকাশ বিবেচনায় রেখেই।
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ‘সালানা জলসা’কে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার যে ঘটনা ঘটেছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ধর্মবিশ্বাসের প্রশ্নে মানুষ কেমন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে যে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা ক্রিয়াশীল ছিল, সেখান থেকে আমরা অনেক সরে এসেছি। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ধর্মনিরপেক্ষতা চেয়েছিলেন, সেটা থেকে তাঁর দল আওয়ামী লীগও হয়তো সরে এসেছে।
তাই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে গড়া ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল তাঁরই কন্যার নেতৃত্বে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার ভুয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ অধ্যুষিত গ্রামে আগুন লাগানো হয়, বিগ্রহ ভাঙচুর হয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট হয়, মানুষ হত্যা করা হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি থাকে, নারীর পোশাক, কপালে টিপ পরা, পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন, বাউল গান—এগুলোও হয়ে ওঠে মানুষের ধর্মানুভূতি বিবেচনার মাপকাঠি।
এদিকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সম্প্রতি এক সমাবেশে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু এ ঘোষণার বাস্তবায়ন আমরা কোথাও দেখছি না। সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি জাতীয় ঐক্যমঞ্চ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ মঞ্চ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে এ দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে, তার নিশ্চয়তা প্রদান করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।’
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মতুয়া সম্মেলনসহ সারা দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের ওপর নতুন করে যে হামলা, হুমকি, দেববিগ্রহ ভাঙচুর ও ধর্ম অবমাননার যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে রানা দাশগুপ্ত আরও বলেছেন, ‘সরকার সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করার এবং বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করার, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন এবং সমতলে আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার অঙ্গীকার করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন। সুতরাং সময় আর বেশি দিন নেই। এ সময়ের মধ্যে যদি অঙ্গীকারগুলোর বাস্তবায়ন না করা যায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যদি মনে করে তারা আরও একবার প্রতারিত হয়েছেন এবং এ প্রতারণার প্রতিবাদে তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, এমন সিদ্ধান্ত যদি নেয়, তার জন্য নির্বাচনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সে জন্য সংখ্যালঘুদের কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট বর্জনের বিষয়টি সামনে এলে সেটার বিরূপ প্রভাব আওয়ামী লীগের ওপরই বেশি পড়বে বলে মনে করা অমূলক নয়। সাধারণভাবে সংখ্যালঘুদের আওয়ামী লীগের ‘ভোট ব্যাংক’ বলে এক ধরনের প্রচার আছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা মনে করছেন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনাগুলো যেভাবে ঘটছে তাতে মনে হয় সামনের দিনগুলো তাদের জন্য আরও অনিরাপদ হতে পারে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বাপর পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু জীবন যাতে অহেতুক উদ্বেগের মধ্যে না পড়ে, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় ঐকমত্য হওয়া জরুরি হলেও সে সুযোগ কি দেশে আছে? সরকার ও সরকারি দলের মধ্যেও সব পর্যায়ে এসব বিষয়ে সমান সচেতনতা আছে কি না, সেটাও এখন এক বড় প্রশ্ন।
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ৬ মার্চ আক্রান্ত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের তোপের মুখে পড়েছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তাঁরা মন্ত্রীকে বলেছেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগে যারা জড়িত তারা আপনার আশেপাশেই আছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
পঞ্চগড়ের ঘটনার জন্য মন্ত্রীরা বিএনপি-জামায়াতকে সরাসরি দায়ী করলেও আক্রান্তরা রেলমন্ত্রীর ‘আশপাশে’ থাকা দুচার জনকে অভিযুক্ত করায় কী প্রমাণ হচ্ছে? তা ছাড়া নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার এবং সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার ফলে বারবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। আগামী নির্বাচনে রাজনীতি, ধর্ম, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো বিষয়গুলোও আওয়ামী লীগকে ভোগাবে।
আকস্মিকভাবে কখন কী ঘটবে তা আগে থেকে বোঝা না-ও যেতে পারে। চেনা প্রতিপক্ষ ছাড়াও অচেনা প্রতিপক্ষের সঙ্গেও লড়তে হতে পারে। আওয়ামী লীগের মধ্যেও নিজের প্রতিপক্ষ লুকিয়ে থাকার বিষয়টিও উপেক্ষা করার মতো নয়।
জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
শেখ হাসিনার পতিত স্বৈরাচারী সরকার সাড়ে ১৫ বছর ধরে এ দেশের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি প্রশংসনীয় গতিতে বাড়ার গল্প সাজিয়ে শাসন করেছে। মাথাপিছু জিডিপি প্রকৃতপক্ষে একটি মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ কনসেপ্ট। এটার সবচেয়ে মারাত্মক সীমাবদ্ধতা হলো, এটা একটা গড়, যেটা স্বল্পসংখ্যক ধনী এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ নিম্ন-মধ্যবিত্ত
১০ ঘণ্টা আগেআমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীকে জলবায়ু-বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআমেরিকার ১৩২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে একবার হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রাম্প।
১০ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বড্ড কষ্ট বুকে নিয়েই ‘সব শালারা বাটপার’ স্লোগানটি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পাচ্ছেন না। ঠিকাদারেরা ভেলকিবাজি করছেন।ক্যাম্পাসের জন্য জমিও অধিগ্রহণ করা হয়নি।
১০ ঘণ্টা আগে