মুজতবা আহমেদ মুরশেদ
ভারতে কোভিড-১৯ রাক্ষুসে হয়ে উঠেছে। মুসলিম-হিন্দু, সাধারণ মানুষ, ধনী কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। বিদীর্ণ হচ্ছে হৃদয় আমাদেরও। প্রতিদিন উৎকণ্ঠা নিয়ে নিজের দেশ ও ভারতের নিউজ চ্যানেলে চোখ রাখছি। প্রতিবেশী দেশটিতে আমার অনেক বন্ধু আছে। পরিবারসহ তাঁদের সবার নিরাপত্তা আর সুস্থতার কথা ভাবছি, কিন্তু কিছুই করার উপায় নেই।
ভারতের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে শান্তি পেতাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের টিকা আর অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে আমরাই ভারত থেকে আমদানি করি। টিকা পেতে অগ্রিম অর্থ দিয়ে চুক্তি করেছি, তাও পাচ্ছি না। নিজেদের কাছে থাকলে সে নিয়ে মেডিকেল টিম যেতে পারত। যথার্থই, এ শুধু উপায়হীন দেখে যাওয়া, শুনে যাওয়া।
আমাদের প্রার্থনা, ভারতে মৃত্যুর মিছিল থামুক। একই সঙ্গে বলি, সেখানকার সার্বিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে এখনই বাংলাদেশের মানুষের সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার কতটা প্রয়োজন, তা বোধে না কুলালে অনবরত চোখের পানি মোছার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। সময় মনে হয় না বেশি দূরে। আমাদের নীতিনির্ধারকেরা যেন আর ভুল না করেন বাড়তি অক্সিজেন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত এবং চীন-রাশিয়ার সহযোগিতায় টিকা তৈরির পদক্ষেপ নিতে। আর সময়ক্ষেপণ নয়।
আমি পুরো পরিবারসহ করোনার ছোবলে পড়েছি গত বছর। হারিয়েছি নিজের বড় ভাইকে। কী অসহনীয় ক্ষত বুকে, আমিই জানি! কতটা ভয়ংকরভাবে শরীর ভেঙে পড়ে, তা কাউকে বোঝানো সম্ভব নয়। আমার দেশের জনগণের প্রতি অনুরোধ—ঘরে থাকুন, যতটা সম্ভব মাস্ক পরুন। বাইরে গেলে একে অপরের খুব কাছে যাবেন না।
আমি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দু ডোজই নিয়েছি। দ্বিতীয়টি নিয়েছি ১২ এপ্রিল। তবু সর্বোচ্চ সর্তক হয়ে নিরুপায় প্রয়োজনে হাটবাজার করি।
মানসিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। টেবিলে বসে লিখতে মন সায় দেয় না। না কবিতা, না গল্প—কিচ্ছু লিখতে ভালো লাগে না। জানি না কবে এমন মানসিক বিমূঢ়তা কাটবে আমার। পুরোটাই গৃহবন্দী জীবন। কোনো আনুষ্ঠানিকতা করতেও মন সায় দেয় না। করিও না।
আমার চারপাশে কত কাছের শিল্পী, সাহিত্যিক আর বন্ধুকে দূর থেকে বিদায় দিলাম, সে সংখ্যা হিসাব করতে বুক খামচে ধরে। মনের ভেতর প্রবল আর্তনাদ নিয়ে চোখ মুছি। জানি না, এই যে লিখছি, এ কথাগুলো কী কারও কাছে কোনো অর্থ বহন করবে! সতর্ক হবেন কি তাঁরা, যাঁদের প্রয়োজন সতর্ক হওয়ার?
ভারতে কোভিড-১৯ রাক্ষুসে হয়ে উঠেছে। মুসলিম-হিন্দু, সাধারণ মানুষ, ধনী কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। বিদীর্ণ হচ্ছে হৃদয় আমাদেরও। প্রতিদিন উৎকণ্ঠা নিয়ে নিজের দেশ ও ভারতের নিউজ চ্যানেলে চোখ রাখছি। প্রতিবেশী দেশটিতে আমার অনেক বন্ধু আছে। পরিবারসহ তাঁদের সবার নিরাপত্তা আর সুস্থতার কথা ভাবছি, কিন্তু কিছুই করার উপায় নেই।
ভারতের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে শান্তি পেতাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের টিকা আর অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে আমরাই ভারত থেকে আমদানি করি। টিকা পেতে অগ্রিম অর্থ দিয়ে চুক্তি করেছি, তাও পাচ্ছি না। নিজেদের কাছে থাকলে সে নিয়ে মেডিকেল টিম যেতে পারত। যথার্থই, এ শুধু উপায়হীন দেখে যাওয়া, শুনে যাওয়া।
আমাদের প্রার্থনা, ভারতে মৃত্যুর মিছিল থামুক। একই সঙ্গে বলি, সেখানকার সার্বিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে এখনই বাংলাদেশের মানুষের সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার কতটা প্রয়োজন, তা বোধে না কুলালে অনবরত চোখের পানি মোছার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। সময় মনে হয় না বেশি দূরে। আমাদের নীতিনির্ধারকেরা যেন আর ভুল না করেন বাড়তি অক্সিজেন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত এবং চীন-রাশিয়ার সহযোগিতায় টিকা তৈরির পদক্ষেপ নিতে। আর সময়ক্ষেপণ নয়।
আমি পুরো পরিবারসহ করোনার ছোবলে পড়েছি গত বছর। হারিয়েছি নিজের বড় ভাইকে। কী অসহনীয় ক্ষত বুকে, আমিই জানি! কতটা ভয়ংকরভাবে শরীর ভেঙে পড়ে, তা কাউকে বোঝানো সম্ভব নয়। আমার দেশের জনগণের প্রতি অনুরোধ—ঘরে থাকুন, যতটা সম্ভব মাস্ক পরুন। বাইরে গেলে একে অপরের খুব কাছে যাবেন না।
আমি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দু ডোজই নিয়েছি। দ্বিতীয়টি নিয়েছি ১২ এপ্রিল। তবু সর্বোচ্চ সর্তক হয়ে নিরুপায় প্রয়োজনে হাটবাজার করি।
মানসিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। টেবিলে বসে লিখতে মন সায় দেয় না। না কবিতা, না গল্প—কিচ্ছু লিখতে ভালো লাগে না। জানি না কবে এমন মানসিক বিমূঢ়তা কাটবে আমার। পুরোটাই গৃহবন্দী জীবন। কোনো আনুষ্ঠানিকতা করতেও মন সায় দেয় না। করিও না।
আমার চারপাশে কত কাছের শিল্পী, সাহিত্যিক আর বন্ধুকে দূর থেকে বিদায় দিলাম, সে সংখ্যা হিসাব করতে বুক খামচে ধরে। মনের ভেতর প্রবল আর্তনাদ নিয়ে চোখ মুছি। জানি না, এই যে লিখছি, এ কথাগুলো কী কারও কাছে কোনো অর্থ বহন করবে! সতর্ক হবেন কি তাঁরা, যাঁদের প্রয়োজন সতর্ক হওয়ার?
যেকোনো সামাজিক বিষয় বা সামাজিক সমস্যা নিয়ে আমরা যখন আলোচনা করি, তখন কখনো কখনো তত্ত্ব দিয়ে তার ব্যাখ্যা করি, আবার কখনো কখনো বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয় বা সমস্যার বিশ্লেষণ করি। তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা...
১ ঘণ্টা আগেগাজার সবচেয়ে সুপরিচিত ফুটবল স্টেডিয়ামটি এখন বিশৃঙ্খলায় ভরা। মাঠ ও বসার জায়গায় বাস্তুচ্যুত লোকের বন্যা। সবার পিঠে ব্যাগ আর কিছু কাপড়। কেউ অসুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করছেন বা আহত আত্মীয়দের নিয়ে চলেছেন। আবার কেউ কেউ একা হাঁটছেন, খালি পায়েই হেঁটে চলেছেন।
২ ঘণ্টা আগেসিসা একটি নরম ধাতু। এটি ঈষৎ নীলাভ ধূসর বর্ণের। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮২। ধাতুটি এতটাই নরম যে একটি ছুরির সাহায্যে একে কাটা যায়। সিসা কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর বিষ। এই বিষের ভেতরেই বাস করছে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ। বাংলাদেশের বাতাসে যেমন সিসার উপস্থিতি দেখা গেছে, তেমনি মাটিতে-পানিতেও পাওয়া গেছে...
২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার কথা বলে পাপিয়া আক্তার রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি যে ‘ভুয়া’ ছাত্রী, সেটি বুঝতে পেরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। হয়তো তাঁর শাস্তিও হবে। পাপিয়া শুধু অচেনা রোগী ও তাদের স্বজনদের নয়, তাঁর স্বামীকেও ধোঁকা...
২ ঘণ্টা আগে