মো. শফিকুল ইসলাম
করোনায় বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। যদিও সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে; কিন্তু এর মধ্যে থেমে থাকেনি শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন। ধর্ষণের শিকার হয়ে, ডেঙ্গু, বাল্যবিবাহ, পানিতে ডুবে শিশুদের মারা যাওয়ার খবর আমাদের আহত, ক্ষতবিক্ষত করে চলেছে। প্রায়ই খবরের কাগজে এসব দুর্ঘটনা দেখতে পাই, যা খুবই দুঃখজনক।
কী যে খারাপ সময় অতিবাহিত করছে দেশ ও জাতি! সরকার, অভিভাবক এবং আমরা সবাই শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এসব থেকে আমাদের খুব শিগগির মুক্তি পাওয়া দরকার। না হলে আমাদের আগামী দিনের স্বপ্ন হারিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। এই শিশুরাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের আমাদের রক্ষা করতে হবে।
রক্ষা করা সরকার এবং আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
শিশু নির্যাতন একটি সামাজিক সমস্যা। শুধু আইন দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সামাজিকভাবেই এটি মোকাবিলা করতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে ৮১৫টি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণের মামলা ছিল ৭২৭টি। এ ছাড়াও গত বছর ধর্ষণের কারণে ১২ শিশু মারা যায়। ২০১৮ সালে ধর্ষণে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মাসে গড়ে ৮৪টি শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালে যৌন নির্যাতন বেড়েছে ৭০ শতাংশ এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ১ হাজার ৩৮৩ শিশু। ২০১৮ সালের চেয়ে গত বছর শিশু ধর্ষণ ৭৬ দশমিক ০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন মনে হয় আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনজীবনে স্থবিরতার মধ্যেও ২০২০ সালে সারা দেশে মোট ৬২৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ শিশুর।
সমাজে শিশু নির্যাতন বা ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধ প্রবণতা এমন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শিশুদের মনে এক আতঙ্ক এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। শিশুরা যেখানে যায়, সেখানে তারা ভীতিতে বসবাস করে, যা কোনোভাবে হওয়া উচিত নয়। এভাবে শিশুরা আতঙ্ক নিয়ে বেড়ে উঠলে তাদের ভেতরে সুস্থ বুদ্ধি, মননশীল চিন্তা-চেতনা বা সৃজনশীল মেধার বিকাশ হওয়া কঠিন।
এ ছাড়াও ধর্ষণ বন্ধে শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ, আমাদের দেশে ছেলে আর মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল থাকায় তারা একসঙ্গে বেড়ে উঠতে পারে না। ফলে তাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি একধরনের কৌতূহল সৃষ্টি হয়। নানান ধরনের নেতিবাচক চিন্তা শিশুদের মনে আসে। ছেলেদের মনে ধর্ষণ বা খারাপ কাজের প্রবণতা সৃষ্টি হয়ে থাকে অনেক সময়। তাই আমি মনে করি, শিশুকাল থেকে ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক স্কুল না থাকাই ভালো। যাতে একে অপরকে বন্ধু এবং নিকটতম সঙ্গী ভাবতে পারে।
এ বছর ১ থেকে ১০ বছরের শিশুরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে গত মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০৪টি শিশু ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ৪টি শিশুর মৃত্যু হয়। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩৮টি শিশু। এর মধ্যে ৬টি শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাই শিশুদের প্রতি বেশি নজর দিতে হবে, যাতে তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত না হয়।
বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চের বাংলাদেশে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, প্রতিবছর প্রায় ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। তবে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা তিন-চতুর্থাংশের বেশি।
গণমাধ্যমে জানতে পারি, বাংলাদেশে প্রতিদিন অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় গড়ে ৪০ জন। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মারা যায় গড়ে ৩০ জন। ফলে প্রতিবছর প্রায় ১১ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। এ ছাড়াও গত ১৯ মাসে ৯৬৭টি ঘটনায় ১ হাজার ৫১২ জন পানিতে ডুবে বা নৌ-দুর্ঘটনায় মারা যায়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৩২ জন পানিতে ডুবে এবং ১৮০ জন নৌ-দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। এসব ঘটনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১০ বছরের কম।
কোভিড-১৯ সংকট শিশুদের ওপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যেমন, দারিদ্র্যের ঝুঁকি বাড়িয়েছে, শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে অনেক নেতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে এবং সহিংসতা এবং অপব্যবহারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও এক জরিপে দেখা গেছে,করোনার
মধ্যে বাল্যবিবাহের ১১৭টি ঘটনা ঘটেছে এবং ৩৩টি বাল্যবিবাহের চেষ্টার মুখোমুখি হয়েছে।
শিশুরা এই করোনায় মানসিকভাবে বেশি বিপদগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মা-বাবাকে শিশুদের সময় দিয়ে এই সমস্যা থেকে বের করতে হবে। করোনায় তারা মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা তাদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই পিতামাতাকে তাঁদের সন্তানদের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে হবে, যাতে শিশুরা ভুল পথে না যেতে পারে।
ফুল যেমন পাপড়ি মেলে সৌরভ ছড়ানোর অপেক্ষায় থাকে, তেমনি শিশুরাও একদিন ফুলের মতো সৌরভ ছড়াবে–এই অপেক্ষায় থাকে দেশ। কিন্তু প্রতিদিন নির্মম কিছু দুর্ঘটনা দেখতে পাই, যা মেনে নিতে কষ্ট হয়। বিকশিত হওয়ার আগে অনেক নিষ্পাপ শিশুকে আমরা অকালে হারিয়ে ফেলি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিশুদের ধর্ষণ ও নির্যাতন, পানিতে ডুবে বা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া খুবই দুঃখজনক। এসব আমাদের প্রবল উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এক একটি শিশু এক একটি স্বপ্ন ও ফুল। সর্বোপরি সরকারকে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ধর্ষকদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও অন্যান্য বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে–এটাই আমাদের দাবি।
লেখক: সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
করোনায় বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। যদিও সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে; কিন্তু এর মধ্যে থেমে থাকেনি শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন। ধর্ষণের শিকার হয়ে, ডেঙ্গু, বাল্যবিবাহ, পানিতে ডুবে শিশুদের মারা যাওয়ার খবর আমাদের আহত, ক্ষতবিক্ষত করে চলেছে। প্রায়ই খবরের কাগজে এসব দুর্ঘটনা দেখতে পাই, যা খুবই দুঃখজনক।
কী যে খারাপ সময় অতিবাহিত করছে দেশ ও জাতি! সরকার, অভিভাবক এবং আমরা সবাই শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এসব থেকে আমাদের খুব শিগগির মুক্তি পাওয়া দরকার। না হলে আমাদের আগামী দিনের স্বপ্ন হারিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। এই শিশুরাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের আমাদের রক্ষা করতে হবে।
রক্ষা করা সরকার এবং আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
শিশু নির্যাতন একটি সামাজিক সমস্যা। শুধু আইন দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সামাজিকভাবেই এটি মোকাবিলা করতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে ৮১৫টি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণের মামলা ছিল ৭২৭টি। এ ছাড়াও গত বছর ধর্ষণের কারণে ১২ শিশু মারা যায়। ২০১৮ সালে ধর্ষণে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মাসে গড়ে ৮৪টি শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালে যৌন নির্যাতন বেড়েছে ৭০ শতাংশ এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ১ হাজার ৩৮৩ শিশু। ২০১৮ সালের চেয়ে গত বছর শিশু ধর্ষণ ৭৬ দশমিক ০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন মনে হয় আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনজীবনে স্থবিরতার মধ্যেও ২০২০ সালে সারা দেশে মোট ৬২৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ শিশুর।
সমাজে শিশু নির্যাতন বা ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধ প্রবণতা এমন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শিশুদের মনে এক আতঙ্ক এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। শিশুরা যেখানে যায়, সেখানে তারা ভীতিতে বসবাস করে, যা কোনোভাবে হওয়া উচিত নয়। এভাবে শিশুরা আতঙ্ক নিয়ে বেড়ে উঠলে তাদের ভেতরে সুস্থ বুদ্ধি, মননশীল চিন্তা-চেতনা বা সৃজনশীল মেধার বিকাশ হওয়া কঠিন।
এ ছাড়াও ধর্ষণ বন্ধে শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ, আমাদের দেশে ছেলে আর মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল থাকায় তারা একসঙ্গে বেড়ে উঠতে পারে না। ফলে তাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি একধরনের কৌতূহল সৃষ্টি হয়। নানান ধরনের নেতিবাচক চিন্তা শিশুদের মনে আসে। ছেলেদের মনে ধর্ষণ বা খারাপ কাজের প্রবণতা সৃষ্টি হয়ে থাকে অনেক সময়। তাই আমি মনে করি, শিশুকাল থেকে ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক স্কুল না থাকাই ভালো। যাতে একে অপরকে বন্ধু এবং নিকটতম সঙ্গী ভাবতে পারে।
এ বছর ১ থেকে ১০ বছরের শিশুরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে গত মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০৪টি শিশু ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ৪টি শিশুর মৃত্যু হয়। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩৮টি শিশু। এর মধ্যে ৬টি শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাই শিশুদের প্রতি বেশি নজর দিতে হবে, যাতে তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত না হয়।
বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চের বাংলাদেশে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, প্রতিবছর প্রায় ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। তবে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা তিন-চতুর্থাংশের বেশি।
গণমাধ্যমে জানতে পারি, বাংলাদেশে প্রতিদিন অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় গড়ে ৪০ জন। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মারা যায় গড়ে ৩০ জন। ফলে প্রতিবছর প্রায় ১১ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। এ ছাড়াও গত ১৯ মাসে ৯৬৭টি ঘটনায় ১ হাজার ৫১২ জন পানিতে ডুবে বা নৌ-দুর্ঘটনায় মারা যায়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৩২ জন পানিতে ডুবে এবং ১৮০ জন নৌ-দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। এসব ঘটনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১০ বছরের কম।
কোভিড-১৯ সংকট শিশুদের ওপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যেমন, দারিদ্র্যের ঝুঁকি বাড়িয়েছে, শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে অনেক নেতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে এবং সহিংসতা এবং অপব্যবহারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও এক জরিপে দেখা গেছে,করোনার
মধ্যে বাল্যবিবাহের ১১৭টি ঘটনা ঘটেছে এবং ৩৩টি বাল্যবিবাহের চেষ্টার মুখোমুখি হয়েছে।
শিশুরা এই করোনায় মানসিকভাবে বেশি বিপদগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মা-বাবাকে শিশুদের সময় দিয়ে এই সমস্যা থেকে বের করতে হবে। করোনায় তারা মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা তাদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই পিতামাতাকে তাঁদের সন্তানদের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে হবে, যাতে শিশুরা ভুল পথে না যেতে পারে।
ফুল যেমন পাপড়ি মেলে সৌরভ ছড়ানোর অপেক্ষায় থাকে, তেমনি শিশুরাও একদিন ফুলের মতো সৌরভ ছড়াবে–এই অপেক্ষায় থাকে দেশ। কিন্তু প্রতিদিন নির্মম কিছু দুর্ঘটনা দেখতে পাই, যা মেনে নিতে কষ্ট হয়। বিকশিত হওয়ার আগে অনেক নিষ্পাপ শিশুকে আমরা অকালে হারিয়ে ফেলি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিশুদের ধর্ষণ ও নির্যাতন, পানিতে ডুবে বা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া খুবই দুঃখজনক। এসব আমাদের প্রবল উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এক একটি শিশু এক একটি স্বপ্ন ও ফুল। সর্বোপরি সরকারকে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ধর্ষকদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও অন্যান্য বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে–এটাই আমাদের দাবি।
লেখক: সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
দলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১৮ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কিছু যে হয়নি, তা নয়। তবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে অস্থিরতার লক্ষণ অস্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই তিন দফায় উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘খোলনলচে’। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করেছি। বাংলা বাগধারায় আমরা পড়েছি ‘খোলনলচে পালটানো’। বাংলা অভিধানে খোল শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেঅফিসে যাতায়াতের সময় স্টাফ বাসে পরিচয়ের সূত্রে ফারজানা আক্তার আজিমপুরে নিজের বাসায় সাবলেট দিয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার শাপলা নামের এক নারীকে। কিন্তু ফাতেমা যে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য, সেটা তাঁর জানা ছিল না।
১৮ ঘণ্টা আগে