মানবর্দ্ধন পাল
জল-জেলে-জাল, হাওর-নদী-খাল, এই শব্দগুলোর মধ্যে সুগভীর স্বজনতা আছে। শব্দের অর্থের বিচারে না হলেও ভাবের পরম্পরায় এরা আত্মীয় এবং সগোত্র। এই শব্দ এবং দৃশ্যগুলো কানের পর্দা বা চোখের রেটিনায় তরঙ্গ তুললেই মনে পড়বে মানিকের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র কথা, অদ্বৈতর ‘তিতাস একটি নদীর নাম’-এর কথা এবং হরিশংকর জলদাসের ‘কৈবর্তকথা’, ‘জলদাসীর গল্প’ কিংবা ‘ডুবসাঁতার’-এর কথা। হালের লেখক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের ‘জাল থেকে জালে’ উপন্যাসটির কথাও দোলা দেবে অনেকের মনে। এসব গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথার মূল পটভূমি জল-জাল-জেলে নিয়ে। যাঁরা এসব বিষয়ে গভীর ও বিস্তৃতভাবে খোঁজখবর নিতে চান তাঁদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হরিশংকর জলদাসের গবেষণাগ্রন্থ ‘নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্তজনজীবন’। তবে এ পর্বের যৎসামান্য কথামালা এত বড় প্রেক্ষাপটে নয়, চুপসে-যাওয়া বেলুনের মতো কেবল একটি শব্দ ‘জাল’ নিয়ে। তাও আবার সেই সব ঋদ্ধিমান লেখকের রচনার আলোকে নয়, মৎস্য-শিকারিদের ধীবরবৃত্তির বিবরণও নয়, শুধু ‘জাল’ শব্দটির অন্তর্লোক অন্বেষণ।
আবহমান কালের বাঙালি জীবনের একটি অন্যতম প্রবচন: মাছে-ভাতে বাঙালি। ভাত তো মাটিতে জন্মা শস্য থেকে উৎপন্ন কিন্তু মাছ জলজ শস্য। আর এই জলশস্য আহরণের প্রধান অবলম্বন জাল। শব্দটি তৎসম, অর্থাৎ সংস্কৃত। এর মূল অর্থ ফাঁদ। সুতা বা লোহার তার দিয়ে নির্মিত যন্ত্রবিশেষ, যা দিয়ে জীবজন্তু জীবিত ধরা যায়। কোনো কিছু স্বল্পায়াসে ও সুকৌশলে করায়ত্ত করার ব্যবস্থাবিশেষ। আকৃতিতে ক্ষুদ্র হলে বলা হয় ‘জালিকা’। ‘ইকা’ প্রত্যয়টি তদ্ধিতান্ত শব্দে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। যেমন পুস্তিকা, নাটিকা, মালিকা ইত্যাদি। তবে জাল-এর সঙ্গে ই-কার যুক্ত করলে ‘জালি’ শব্দের অর্থ হয় একাধিক–কখনো তিন কোনা ছোট জাল, যাকে খেয়াজালও বলে। এর অন্য অর্থ জালের মতো বোনা বস্ত্রখণ্ড, কখনো অলংকার আবার কখনো কচি লাউ-কুমড়া। তাই জসীমউদ্দীনের কবিতায় পাই: ‘জালি লাউয়ের ডগার মত বাহু দুখান সরু’।
বাংলাদেশে অন্ত্যজ শ্রেণির এক বৃহৎ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবিকার প্রধান অবলম্বন জাল। নদীমাতৃক এ দেশে মাছ শিকারের উপকরণ হিসেবে জালের আছে নানা প্রকার, নানা নাম। আকার-আকৃতির ভেদ ও রকমারিতে জালের আছে বিভিন্ন নাম। তার সামান্য পরিচয় নেওয়া যাক: আটোল, উখা, ইলশে, কুঁড়া, খুচান, খোট, খেপলা, খেয়া, গাঁতি, ঘুনি, ঘুরন, চাঁই, চাকনি, চালা, চুনা, ছিটকে, জগৎবেড়, জোর, টানা, ধর্মজাল, বোচনা, পাঁতি, ফেটা, বিন, ভাসা, মৈরে, শ্যাংলা, সিউনি ইত্যাদি আরও কত-কী! অঞ্চলভেদে এসবের অন্য নামও আছে। জালের বিভিন্ন অংশেরও আলাদা নাম আছে। যেমন ‘জালের কাঠি’ (জাল ভারী করতে এর প্রান্তভাগে যুক্ত লোহা, সিসা বা পোড়ামাটির গোলা), ‘ডুরি’ (জাল গুটিয়ে তোলার সুতা), এই ডুরির চমৎকার বর্ণনা আছে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে। ইলিশের জাল গভীর নদীতে বিছিয়ে ডুরিটি ধরে রাখা হয়। ইলিশের ঝাঁক জালের ওপর দিয়ে গেলেই পাকা জেলে হাতেধরা ডুরিতে সংকেত পায়। তখন জালের মুখ বন্ধ করে জাল টেনে তোলা হয়। আরও আছে, ‘পতর/পাতি/ফাঁদকাঠি’ (জালের ফাঁদ পাতার পাতলা বাঁখারি), ‘ফরদ/ফালি’ (একটানায় বোনা জালের অংশ), ‘বেটে’ (জাল বোনার সুতা), ‘জাল গুটানি’ (জালে যা ধরা পড়েছে তা সুতা টেনে জাল গুটিয়ে সংগ্রহ করা)। জাল ও জালের অংশের এতসব নাম এবং অর্থ আমাদের মতো সাধারণের অনেকাংশে অজানা। জানার কথাও নয়। কেবল মৎস্যজীবীরাই বোঝেন এর মাহাত্ম্য ও কার্যকারিতা।
এবার দেখা যাক আমাদের পূর্বজ লেখক-মহাজনেরা ‘জাল’ কীভাবে এবং কোন অর্থে প্রয়োগ করেছেন।
জালের সঙ্গে মাছের সম্পর্ক বিরোধাত্মক, শত্রুতার। আর জালের সঙ্গে জেলের সম্পর্ক মিত্রতার, জীবন নির্বাহের এবং অর্থনীতির। ভারতীয় পুরাণে যে মৎস্য-অবতার ও মৎস্যকন্যার বৃত্তান্ত পাওয়া যায় তা কল্পলোকের বলেই বাস্তব জালে ধরা পড়ে না। কিন্তু হালের সুন্দরী মৎস্যকন্যারা এখন ঝাঁকে-ঝাঁকে ধরা পড়ছে দুদু মিয়াদের জালে। শুধু ‘সুষম সুন্দর দেহসৌষ্ঠবের অধিকারী’ মৎস্যকন্যারাই নয়, রাক্ষুসে মৎস্য-অবতাররাও। জাল ও জালিয়াতির অপকর্ম তো দেশজুড়ে সর্বত্র–টাকায় জাল, পণ্যে জাল, প্রসাধনে জাল, দলিলে জাল, উইলে জাল, সনদে জাল, অভিসন্দর্ভে জাল! জাল ও জালায়নের কি অন্ত আছে! সমাজে সর্বত্রই জালে জালময়। কত জাল পাতা হয় কিন্তু সব জালে শিকার ধরা পড়ে না। পড়লেও জাল ছিঁড়ে, পোলো ভেঙে বেরিয়ে যায়! আবার জালের বাইরে দিয়েও লাগে অনেকে–যারা নিরপরাধ। কী অপ্রিয় সত্যই না প্রকাশিত হয় বাউলগানে: ‘চোরা থুইয়া নিচোরা বান্ধে/চোরা নাচে সবার মাঝে।’ রাষ্ট্রনীতির জালে যৎসামান্য ধরাও পড়ছে সেই সব দুষ্কৃতকারী জালিয়াত। তবে সব ক্ষেত্রে জাল গুটিয়ে আনা সম্ভব হয় না! রাজনীতির জাল, কূটনীতির জাল, ষড়যন্ত্রের জাল–সাধারণের বোধের অগম্য কত জালের কথাই শোনা যায়! সেসবে জাল দেওয়ার লোকেরও অভাব নেই।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, গ্রন্থকার
জল-জেলে-জাল, হাওর-নদী-খাল, এই শব্দগুলোর মধ্যে সুগভীর স্বজনতা আছে। শব্দের অর্থের বিচারে না হলেও ভাবের পরম্পরায় এরা আত্মীয় এবং সগোত্র। এই শব্দ এবং দৃশ্যগুলো কানের পর্দা বা চোখের রেটিনায় তরঙ্গ তুললেই মনে পড়বে মানিকের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র কথা, অদ্বৈতর ‘তিতাস একটি নদীর নাম’-এর কথা এবং হরিশংকর জলদাসের ‘কৈবর্তকথা’, ‘জলদাসীর গল্প’ কিংবা ‘ডুবসাঁতার’-এর কথা। হালের লেখক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের ‘জাল থেকে জালে’ উপন্যাসটির কথাও দোলা দেবে অনেকের মনে। এসব গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথার মূল পটভূমি জল-জাল-জেলে নিয়ে। যাঁরা এসব বিষয়ে গভীর ও বিস্তৃতভাবে খোঁজখবর নিতে চান তাঁদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হরিশংকর জলদাসের গবেষণাগ্রন্থ ‘নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্তজনজীবন’। তবে এ পর্বের যৎসামান্য কথামালা এত বড় প্রেক্ষাপটে নয়, চুপসে-যাওয়া বেলুনের মতো কেবল একটি শব্দ ‘জাল’ নিয়ে। তাও আবার সেই সব ঋদ্ধিমান লেখকের রচনার আলোকে নয়, মৎস্য-শিকারিদের ধীবরবৃত্তির বিবরণও নয়, শুধু ‘জাল’ শব্দটির অন্তর্লোক অন্বেষণ।
আবহমান কালের বাঙালি জীবনের একটি অন্যতম প্রবচন: মাছে-ভাতে বাঙালি। ভাত তো মাটিতে জন্মা শস্য থেকে উৎপন্ন কিন্তু মাছ জলজ শস্য। আর এই জলশস্য আহরণের প্রধান অবলম্বন জাল। শব্দটি তৎসম, অর্থাৎ সংস্কৃত। এর মূল অর্থ ফাঁদ। সুতা বা লোহার তার দিয়ে নির্মিত যন্ত্রবিশেষ, যা দিয়ে জীবজন্তু জীবিত ধরা যায়। কোনো কিছু স্বল্পায়াসে ও সুকৌশলে করায়ত্ত করার ব্যবস্থাবিশেষ। আকৃতিতে ক্ষুদ্র হলে বলা হয় ‘জালিকা’। ‘ইকা’ প্রত্যয়টি তদ্ধিতান্ত শব্দে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। যেমন পুস্তিকা, নাটিকা, মালিকা ইত্যাদি। তবে জাল-এর সঙ্গে ই-কার যুক্ত করলে ‘জালি’ শব্দের অর্থ হয় একাধিক–কখনো তিন কোনা ছোট জাল, যাকে খেয়াজালও বলে। এর অন্য অর্থ জালের মতো বোনা বস্ত্রখণ্ড, কখনো অলংকার আবার কখনো কচি লাউ-কুমড়া। তাই জসীমউদ্দীনের কবিতায় পাই: ‘জালি লাউয়ের ডগার মত বাহু দুখান সরু’।
বাংলাদেশে অন্ত্যজ শ্রেণির এক বৃহৎ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবিকার প্রধান অবলম্বন জাল। নদীমাতৃক এ দেশে মাছ শিকারের উপকরণ হিসেবে জালের আছে নানা প্রকার, নানা নাম। আকার-আকৃতির ভেদ ও রকমারিতে জালের আছে বিভিন্ন নাম। তার সামান্য পরিচয় নেওয়া যাক: আটোল, উখা, ইলশে, কুঁড়া, খুচান, খোট, খেপলা, খেয়া, গাঁতি, ঘুনি, ঘুরন, চাঁই, চাকনি, চালা, চুনা, ছিটকে, জগৎবেড়, জোর, টানা, ধর্মজাল, বোচনা, পাঁতি, ফেটা, বিন, ভাসা, মৈরে, শ্যাংলা, সিউনি ইত্যাদি আরও কত-কী! অঞ্চলভেদে এসবের অন্য নামও আছে। জালের বিভিন্ন অংশেরও আলাদা নাম আছে। যেমন ‘জালের কাঠি’ (জাল ভারী করতে এর প্রান্তভাগে যুক্ত লোহা, সিসা বা পোড়ামাটির গোলা), ‘ডুরি’ (জাল গুটিয়ে তোলার সুতা), এই ডুরির চমৎকার বর্ণনা আছে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে। ইলিশের জাল গভীর নদীতে বিছিয়ে ডুরিটি ধরে রাখা হয়। ইলিশের ঝাঁক জালের ওপর দিয়ে গেলেই পাকা জেলে হাতেধরা ডুরিতে সংকেত পায়। তখন জালের মুখ বন্ধ করে জাল টেনে তোলা হয়। আরও আছে, ‘পতর/পাতি/ফাঁদকাঠি’ (জালের ফাঁদ পাতার পাতলা বাঁখারি), ‘ফরদ/ফালি’ (একটানায় বোনা জালের অংশ), ‘বেটে’ (জাল বোনার সুতা), ‘জাল গুটানি’ (জালে যা ধরা পড়েছে তা সুতা টেনে জাল গুটিয়ে সংগ্রহ করা)। জাল ও জালের অংশের এতসব নাম এবং অর্থ আমাদের মতো সাধারণের অনেকাংশে অজানা। জানার কথাও নয়। কেবল মৎস্যজীবীরাই বোঝেন এর মাহাত্ম্য ও কার্যকারিতা।
এবার দেখা যাক আমাদের পূর্বজ লেখক-মহাজনেরা ‘জাল’ কীভাবে এবং কোন অর্থে প্রয়োগ করেছেন।
জালের সঙ্গে মাছের সম্পর্ক বিরোধাত্মক, শত্রুতার। আর জালের সঙ্গে জেলের সম্পর্ক মিত্রতার, জীবন নির্বাহের এবং অর্থনীতির। ভারতীয় পুরাণে যে মৎস্য-অবতার ও মৎস্যকন্যার বৃত্তান্ত পাওয়া যায় তা কল্পলোকের বলেই বাস্তব জালে ধরা পড়ে না। কিন্তু হালের সুন্দরী মৎস্যকন্যারা এখন ঝাঁকে-ঝাঁকে ধরা পড়ছে দুদু মিয়াদের জালে। শুধু ‘সুষম সুন্দর দেহসৌষ্ঠবের অধিকারী’ মৎস্যকন্যারাই নয়, রাক্ষুসে মৎস্য-অবতাররাও। জাল ও জালিয়াতির অপকর্ম তো দেশজুড়ে সর্বত্র–টাকায় জাল, পণ্যে জাল, প্রসাধনে জাল, দলিলে জাল, উইলে জাল, সনদে জাল, অভিসন্দর্ভে জাল! জাল ও জালায়নের কি অন্ত আছে! সমাজে সর্বত্রই জালে জালময়। কত জাল পাতা হয় কিন্তু সব জালে শিকার ধরা পড়ে না। পড়লেও জাল ছিঁড়ে, পোলো ভেঙে বেরিয়ে যায়! আবার জালের বাইরে দিয়েও লাগে অনেকে–যারা নিরপরাধ। কী অপ্রিয় সত্যই না প্রকাশিত হয় বাউলগানে: ‘চোরা থুইয়া নিচোরা বান্ধে/চোরা নাচে সবার মাঝে।’ রাষ্ট্রনীতির জালে যৎসামান্য ধরাও পড়ছে সেই সব দুষ্কৃতকারী জালিয়াত। তবে সব ক্ষেত্রে জাল গুটিয়ে আনা সম্ভব হয় না! রাজনীতির জাল, কূটনীতির জাল, ষড়যন্ত্রের জাল–সাধারণের বোধের অগম্য কত জালের কথাই শোনা যায়! সেসবে জাল দেওয়ার লোকেরও অভাব নেই।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, গ্রন্থকার
দলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১৪ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কিছু যে হয়নি, তা নয়। তবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে অস্থিরতার লক্ষণ অস্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই তিন দফায় উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘খোলনলচে’। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করেছি। বাংলা বাগধারায় আমরা পড়েছি ‘খোলনলচে পালটানো’। বাংলা অভিধানে খোল শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেঅফিসে যাতায়াতের সময় স্টাফ বাসে পরিচয়ের সূত্রে ফারজানা আক্তার আজিমপুরে নিজের বাসায় সাবলেট দিয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার শাপলা নামের এক নারীকে। কিন্তু ফাতেমা যে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য, সেটা তাঁর জানা ছিল না।
১৪ ঘণ্টা আগে