বিরস
এক লোকের খায়েশ হয়েছে, যা খুশি তা-ই সে করতে পারবে, এ রকম একটা শক্তি তার দরকার। তখন সে বহু খোঁজখবর করে একজন কামেল পীরের কাছে গিয়ে বলল, আমি এমন একটা ক্ষমতা চাই যার ফলে আমার যা ইচ্ছা হবে, তা-ই যেন করতে পারি। আমি চিরদিন আপনার মুরিদ হয়ে থাকব। পীর বললেন, বিষয়টা খুব ভালো হবে না। লোকটা বলে, তবু শেখান। লোকটি নাছোড়বান্দার মতো বারবার আবদার করতে থাকায় পীর একটা মন্ত্র শিখিয়ে দেন লোকটিকে।
পাকপবিত্র শরীরে খালি মাটিতে বসে ৪০ দিন মন্ত্র জপ করলে এক দৈত্য আসবে। সেই দৈত্যের কাছে তুমি যা চাইবে, তা-ই দৈত্য তোমাকে দেবে। শর্ত হলো, তাকে কাজ দিতে না পারলে সে তোমার ঘাড় মটকে দেবে।
পীরের পরামর্শমতো মন্ত্র জপার পর ঠিকই লোকটির ইচ্ছাপূরণের জন্য এক বিশালকায় দৈত্য এসে উপস্থিত হলো। লোকটি কী চাই, কী চাই করতে করতে একটা সাততলা বাড়ি বানিয়ে দিতে বলল। মুহূর্তে সাততলা বাড়ি হয়ে গেল।
এরপর লোকটি একটু ভেবে বড়সড় একটি পুকুর চাইল, নানা বৃক্ষশোভিত বাগান চাইল, এক বছরের খাদ্য ও দামি দামি কাপড় চাইল। এসব চাওয়ার
পর লোকটি আর কী চাইবে ভেবে পাচ্ছিল না। এদিকে নতুন হুকুম না পেয়ে দৈত্য এবার লোকটির ঘাড় মটকাতে এলে সে পালানোর জন্য দিল দৌড়।
দৌড়, দৌড়। কিন্তু দৈত্যের সঙ্গে সে পারবে কেন?
ধ্যানমগ্ন পীরের শিষ্যের বেগতিক অবস্থা দেখে দয়া হলো। তিনি তাড়াতাড়ি শিষ্যকে বললেন, দৈত্যকে তোমার বাড়িতে যে কুকুর আছে তার সামনে নিয়ে যাও এবং দৈত্যকে বলো, কিছু ঘি জোগাড় করতে। তারপর দৈত্যকে ঘি দিয়ে তোমার কুকুরের লেজ সোজা করতে বলো। দৈত্য নির্দেশমতো কাজে লেগে গেল। সে যতবার কুকুরের লেজ সোজা করে, ততবার তা বেঁকে যায়। একটি অন্তহীন কাজ দিয়ে দৈত্যের হাত থেকে শিষ্যের ঘাড় বাঁচালেন পীর।
আমাদের দেশে এখন কোনো কোনো রাজনীতিবিদ নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থে দৈত্য তৈরি করেন, কিন্তু তাকে বশে রাখার কৌশল জানেন না। ফলে দৈত্যরা একসময় যারতার, এমনকি কখনো কখনো মুনিবের ঘাড় মটকে দিতেও দ্বিধা করে না!
খ.
একবার ইউরোপের বেশ কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি হিমালয় জয় করতে আসেন। সেখানে ওই সময় এক চ্যালাসহ বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী-কাম রাজনীতিবিদও গেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ভদ্রলোকের সঙ্গে ইউরোপিয়ানদের সহজেই খাতির হয়ে গেল। তাঁরা মোট ১০ জন একসঙ্গে হিমালয় অভিযান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।
কিন্তু পাহাড়ের কিছু অংশ ওঠার পর ভীষণ বিপদে পড়ে গেলেন ১০ অভিযাত্রী। বেয়ে ওঠার দড়িটা খানিকটা দুর্বল হয়ে গেছে। যেকোনো দুজনকে দড়ি থেকে ফেলে না দিলে সবাই একসঙ্গে খাদে পড়ে যাবেন–এমন অবস্থা। কিন্তু কেউই হাত থেকে দড়ি ছাড়তে নারাজ। বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ দেখলেন পরিস্থিতি বেশি সুবিধার নয়।
ইউরোপীয় আটজন একজোট হয়ে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও তাঁর চ্যালাকে হাত থেকে দড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করতে পারেন। তখন তিনি সবার উদ্দেশে বক্তৃতা শুরু করলেন, কেন তাঁদের মতো মহান পণ্ডিতদের জীবন তাঁর এবং তাঁর চ্যালার মতো তুচ্ছ মানুষের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান এবং তিনি তাঁর সঙ্গীসহ ওই আট ইউরোপীয় পণ্ডিতের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পেরে কেমন ধন্য বোধ করছেন।
ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতার বক্তৃতার এই পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে সবাই হাততালি দিয়ে উঠলেন এবং মুহূর্তে অতল গহ্বরে হারিয়ে গেলেন!
গ.
কলা ও লেবুর মধ্যে তুমুল ঝগড়ার একপর্যায়ে কলা লেবুকে বলল, লোকে তো তোকে টিপেটিপে রস বের করে খায়।
লেবু একগাল হেসে বলল, হ্যাঁ, আর তোকে যে শরীরের ছাল তুলে গিলে খায়!
এক লোকের খায়েশ হয়েছে, যা খুশি তা-ই সে করতে পারবে, এ রকম একটা শক্তি তার দরকার। তখন সে বহু খোঁজখবর করে একজন কামেল পীরের কাছে গিয়ে বলল, আমি এমন একটা ক্ষমতা চাই যার ফলে আমার যা ইচ্ছা হবে, তা-ই যেন করতে পারি। আমি চিরদিন আপনার মুরিদ হয়ে থাকব। পীর বললেন, বিষয়টা খুব ভালো হবে না। লোকটা বলে, তবু শেখান। লোকটি নাছোড়বান্দার মতো বারবার আবদার করতে থাকায় পীর একটা মন্ত্র শিখিয়ে দেন লোকটিকে।
পাকপবিত্র শরীরে খালি মাটিতে বসে ৪০ দিন মন্ত্র জপ করলে এক দৈত্য আসবে। সেই দৈত্যের কাছে তুমি যা চাইবে, তা-ই দৈত্য তোমাকে দেবে। শর্ত হলো, তাকে কাজ দিতে না পারলে সে তোমার ঘাড় মটকে দেবে।
পীরের পরামর্শমতো মন্ত্র জপার পর ঠিকই লোকটির ইচ্ছাপূরণের জন্য এক বিশালকায় দৈত্য এসে উপস্থিত হলো। লোকটি কী চাই, কী চাই করতে করতে একটা সাততলা বাড়ি বানিয়ে দিতে বলল। মুহূর্তে সাততলা বাড়ি হয়ে গেল।
এরপর লোকটি একটু ভেবে বড়সড় একটি পুকুর চাইল, নানা বৃক্ষশোভিত বাগান চাইল, এক বছরের খাদ্য ও দামি দামি কাপড় চাইল। এসব চাওয়ার
পর লোকটি আর কী চাইবে ভেবে পাচ্ছিল না। এদিকে নতুন হুকুম না পেয়ে দৈত্য এবার লোকটির ঘাড় মটকাতে এলে সে পালানোর জন্য দিল দৌড়।
দৌড়, দৌড়। কিন্তু দৈত্যের সঙ্গে সে পারবে কেন?
ধ্যানমগ্ন পীরের শিষ্যের বেগতিক অবস্থা দেখে দয়া হলো। তিনি তাড়াতাড়ি শিষ্যকে বললেন, দৈত্যকে তোমার বাড়িতে যে কুকুর আছে তার সামনে নিয়ে যাও এবং দৈত্যকে বলো, কিছু ঘি জোগাড় করতে। তারপর দৈত্যকে ঘি দিয়ে তোমার কুকুরের লেজ সোজা করতে বলো। দৈত্য নির্দেশমতো কাজে লেগে গেল। সে যতবার কুকুরের লেজ সোজা করে, ততবার তা বেঁকে যায়। একটি অন্তহীন কাজ দিয়ে দৈত্যের হাত থেকে শিষ্যের ঘাড় বাঁচালেন পীর।
আমাদের দেশে এখন কোনো কোনো রাজনীতিবিদ নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থে দৈত্য তৈরি করেন, কিন্তু তাকে বশে রাখার কৌশল জানেন না। ফলে দৈত্যরা একসময় যারতার, এমনকি কখনো কখনো মুনিবের ঘাড় মটকে দিতেও দ্বিধা করে না!
খ.
একবার ইউরোপের বেশ কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি হিমালয় জয় করতে আসেন। সেখানে ওই সময় এক চ্যালাসহ বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী-কাম রাজনীতিবিদও গেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ভদ্রলোকের সঙ্গে ইউরোপিয়ানদের সহজেই খাতির হয়ে গেল। তাঁরা মোট ১০ জন একসঙ্গে হিমালয় অভিযান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।
কিন্তু পাহাড়ের কিছু অংশ ওঠার পর ভীষণ বিপদে পড়ে গেলেন ১০ অভিযাত্রী। বেয়ে ওঠার দড়িটা খানিকটা দুর্বল হয়ে গেছে। যেকোনো দুজনকে দড়ি থেকে ফেলে না দিলে সবাই একসঙ্গে খাদে পড়ে যাবেন–এমন অবস্থা। কিন্তু কেউই হাত থেকে দড়ি ছাড়তে নারাজ। বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ দেখলেন পরিস্থিতি বেশি সুবিধার নয়।
ইউরোপীয় আটজন একজোট হয়ে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও তাঁর চ্যালাকে হাত থেকে দড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করতে পারেন। তখন তিনি সবার উদ্দেশে বক্তৃতা শুরু করলেন, কেন তাঁদের মতো মহান পণ্ডিতদের জীবন তাঁর এবং তাঁর চ্যালার মতো তুচ্ছ মানুষের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান এবং তিনি তাঁর সঙ্গীসহ ওই আট ইউরোপীয় পণ্ডিতের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পেরে কেমন ধন্য বোধ করছেন।
ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতার বক্তৃতার এই পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে সবাই হাততালি দিয়ে উঠলেন এবং মুহূর্তে অতল গহ্বরে হারিয়ে গেলেন!
গ.
কলা ও লেবুর মধ্যে তুমুল ঝগড়ার একপর্যায়ে কলা লেবুকে বলল, লোকে তো তোকে টিপেটিপে রস বের করে খায়।
লেবু একগাল হেসে বলল, হ্যাঁ, আর তোকে যে শরীরের ছাল তুলে গিলে খায়!
দলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১৮ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কিছু যে হয়নি, তা নয়। তবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে অস্থিরতার লক্ষণ অস্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই তিন দফায় উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘খোলনলচে’। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করেছি। বাংলা বাগধারায় আমরা পড়েছি ‘খোলনলচে পালটানো’। বাংলা অভিধানে খোল শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেঅফিসে যাতায়াতের সময় স্টাফ বাসে পরিচয়ের সূত্রে ফারজানা আক্তার আজিমপুরে নিজের বাসায় সাবলেট দিয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার শাপলা নামের এক নারীকে। কিন্তু ফাতেমা যে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য, সেটা তাঁর জানা ছিল না।
১৮ ঘণ্টা আগে