অর্ণব সান্যাল
এ দেশে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা অনেক ক্ষেত্রেই নেতা-নেত্রী হিসেবে পরিচিত। নেতা বা নেত্রী হিসেবে অভিহিত করার অন্যতম কারণ নিশ্চয়ই জাতীয় রাজনীতির সংযোগ। তবে লেবাসটা ছাত্ররাজনীতিরই থাকে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিয়েই ব্যস্ত থাকার কথা তাঁদের। কিন্তু ছাত্রনেতারা এখন কেন অন্যের বউ উদ্ধার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন?
অর্থনৈতিক দিক থেকে আমাদের দেশ অনেকখানি এগিয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানকে সাক্ষ্য মেনে অন্তত তর্কের খাতিরে তা গ্রহণ করে নেওয়াই যায়। সমস্যা হলো, সেই এগিয়ে যাওয়ার সমানুপাতে দেশের অন্যান্য খাতে উন্নতি হচ্ছে কি না। যদি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথেই আমরা থাকতাম, তবে হয়তো শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করা নেতা-নেত্রীরা ছাত্রসমাজের সমস্যা সমাধান ও অবস্থার উন্নয়ন নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতেন, অন্যের বউ উদ্ধারে নয়।
কে কার বউ উদ্ধারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, সেদিকে একটু নজর দেওয়া যাক। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, আড়াই লাখ টাকা না দেওয়ায় এফআর হিমাচল পরিবহনের একটি এসি বাস গত ৯ দিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে রেখেছিলেন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী। ৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসটি পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকা থেকে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আটকে রাখা হয়। এ বিষয়ে এফআর পরিবহনের এমডি নোমানের অভিযোগ, তাঁতীবাজার মোড় থেকে কোনো কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয় গেটে নিয়ে যান। পরে মেহেদী নামের একজন তাঁর কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়, টাকা দাবি যিনি করেছেন, তাঁর কিছু করার ক্ষমতা কারও নেই। টাকা না দিয়ে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতেও হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি করেন নোমান।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, বাসমালিক নোমানের বউ আরেকজনের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। বউকে এনে দিতে পারলে মেহেদীকে বাইক, এয়ার টিকিট, স্বর্ণের চেইনসহ নানা কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নোমান। পরে নোমানের বউকে কৌশলে ফিরিয়ে এনে দিলেও মেহেদী ‘কাজের পাওনা’ পাননি। তাই নাকি টাকা পেতে গাড়ি আটকানো হয়েছে।
এক অর্থে কথা ঠিক আছে। অন্যের বউকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফিরিয়ে দেওয়ার কাজের বিনিময়ে টাকা কেউ চাইতেই পারেন। সেটা কার্যাদেশ দেওয়া এবং কার্যাদেশ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হওয়া চুক্তির ব্যাপার। কথা হলো, অন্যের চলে যাওয়া বউ কোনো আইনি প্রক্রিয়া ব্যতিরেকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একজন ছাত্রনেতা কিসের ভিত্তিতে ব্যুৎপত্তি অর্জন করলেন? এর একটি কারণ হতে পারে, ক্ষমতা। অর্থাৎ এ দেশে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দাবি করা ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্বস্থানীয়রা এমন ক্ষমতারই অধিকারী যে তাঁদের দিয়ে আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়েও যেকোনো চূড়ান্ত ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করা যায়।
অথচ এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ছাত্রনেতাদের ব্যস্ত থাকার কথা নয়। কেউ যদি কোনো ছাত্রসংগঠনের নেতা বা নেত্রী হন, তবে তাঁদের প্রথমেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা বা সংকট নিয়ে মাথাব্যথা থাকা উচিত। কিন্তু তাঁরা অন্যের ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা টাকার বিনিময়ে সমাধানে সময় ব্যয় করছেন। আবার তাতে ‘পাওনা’ না পেলে সেই ছাত্ররাজনীতির কল্যাণে পাওয়া প্রভাবকে গাড়ি আটকে রাখার কাজে ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে পাওয়া ‘ক্ষমতা’ ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের কাজে।
আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কথিত ‘নেতা-নেত্রীরা’ ঠিক এ কারণেই নির্যাতক ও নিপীড়কের আসনে বসেছেন। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। যেমন এ বছরের শুরুর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে ‘গেস্টরুমে’ নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সিনিয়রের কাছে জুনিয়র নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে চলতি মাসেই। এই মার্চ মাসেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তাপসী রাবেয়া হলের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর মারধরের পর ভোরে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই হলের ছয় ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এসব থেকে স্পষ্ট যে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতা-নেত্রীরা ঠিক শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে মাথা ঘামান না। সেটি হলে অন্তত অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানোর এত এত অভিযোগ নিয়মিত আসত না।
ফলে ছাত্ররাজনীতি বা বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-নেত্রীরা এখন হয়ে উঠেছেন আতঙ্কজাগানিয়া। সেই আতঙ্কে পুরো প্রক্রিয়াটির প্রতিই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘৃণা জন্মে যাচ্ছে। এর জন্য বিশাল পরিসরের জরিপ করার দরকার আসলে নেই। স্রেফ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করা যেকোনো শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করলেই এর স্বপক্ষে মত পাওয়া যাবে। অথচ এই বাংলাদেশের উন্মেষকালের হিসাব কষতে গেলে কোনোভাবেই ছাত্ররাজনীতিকে খলনায়কের ভূমিকায় ফেলা যায় না। কিন্তু এ প্রজন্মের কাউকে পূর্বসূরিদের কথা শুনিয়ে কি আর ভুলিয়ে রাখা যাবে? মানুষ তো তা-ই বিশ্বাস করে, যা সে প্রত্যক্ষ করে!
এর প্রতিকারের একমাত্র উপায় হতে পারে, ছাত্ররাজনীতিকে আক্ষরিকভাবে দলীয় জাতীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত করা। তাহলে আর অধিক প্রভাব লাভের সিঁড়িতে পা রাখার আকাঙ্ক্ষায় ধরাকে সরা জ্ঞান করার প্রবণতা কমে আসতে পারে। কেবল তখনই হয়তো শুধু শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবতে বসবেন ছাত্রনেতারা। ব্যস্ততা বাড়বে তখন শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ নিয়ে, অন্যের বউ উদ্ধারে নয়।
লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
এ দেশে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা অনেক ক্ষেত্রেই নেতা-নেত্রী হিসেবে পরিচিত। নেতা বা নেত্রী হিসেবে অভিহিত করার অন্যতম কারণ নিশ্চয়ই জাতীয় রাজনীতির সংযোগ। তবে লেবাসটা ছাত্ররাজনীতিরই থাকে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিয়েই ব্যস্ত থাকার কথা তাঁদের। কিন্তু ছাত্রনেতারা এখন কেন অন্যের বউ উদ্ধার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন?
অর্থনৈতিক দিক থেকে আমাদের দেশ অনেকখানি এগিয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানকে সাক্ষ্য মেনে অন্তত তর্কের খাতিরে তা গ্রহণ করে নেওয়াই যায়। সমস্যা হলো, সেই এগিয়ে যাওয়ার সমানুপাতে দেশের অন্যান্য খাতে উন্নতি হচ্ছে কি না। যদি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথেই আমরা থাকতাম, তবে হয়তো শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করা নেতা-নেত্রীরা ছাত্রসমাজের সমস্যা সমাধান ও অবস্থার উন্নয়ন নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতেন, অন্যের বউ উদ্ধারে নয়।
কে কার বউ উদ্ধারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, সেদিকে একটু নজর দেওয়া যাক। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, আড়াই লাখ টাকা না দেওয়ায় এফআর হিমাচল পরিবহনের একটি এসি বাস গত ৯ দিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে রেখেছিলেন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী। ৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসটি পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকা থেকে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আটকে রাখা হয়। এ বিষয়ে এফআর পরিবহনের এমডি নোমানের অভিযোগ, তাঁতীবাজার মোড় থেকে কোনো কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয় গেটে নিয়ে যান। পরে মেহেদী নামের একজন তাঁর কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়, টাকা দাবি যিনি করেছেন, তাঁর কিছু করার ক্ষমতা কারও নেই। টাকা না দিয়ে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতেও হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি করেন নোমান।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, বাসমালিক নোমানের বউ আরেকজনের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। বউকে এনে দিতে পারলে মেহেদীকে বাইক, এয়ার টিকিট, স্বর্ণের চেইনসহ নানা কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নোমান। পরে নোমানের বউকে কৌশলে ফিরিয়ে এনে দিলেও মেহেদী ‘কাজের পাওনা’ পাননি। তাই নাকি টাকা পেতে গাড়ি আটকানো হয়েছে।
এক অর্থে কথা ঠিক আছে। অন্যের বউকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফিরিয়ে দেওয়ার কাজের বিনিময়ে টাকা কেউ চাইতেই পারেন। সেটা কার্যাদেশ দেওয়া এবং কার্যাদেশ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হওয়া চুক্তির ব্যাপার। কথা হলো, অন্যের চলে যাওয়া বউ কোনো আইনি প্রক্রিয়া ব্যতিরেকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একজন ছাত্রনেতা কিসের ভিত্তিতে ব্যুৎপত্তি অর্জন করলেন? এর একটি কারণ হতে পারে, ক্ষমতা। অর্থাৎ এ দেশে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দাবি করা ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্বস্থানীয়রা এমন ক্ষমতারই অধিকারী যে তাঁদের দিয়ে আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়েও যেকোনো চূড়ান্ত ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করা যায়।
অথচ এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ছাত্রনেতাদের ব্যস্ত থাকার কথা নয়। কেউ যদি কোনো ছাত্রসংগঠনের নেতা বা নেত্রী হন, তবে তাঁদের প্রথমেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা বা সংকট নিয়ে মাথাব্যথা থাকা উচিত। কিন্তু তাঁরা অন্যের ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা টাকার বিনিময়ে সমাধানে সময় ব্যয় করছেন। আবার তাতে ‘পাওনা’ না পেলে সেই ছাত্ররাজনীতির কল্যাণে পাওয়া প্রভাবকে গাড়ি আটকে রাখার কাজে ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে পাওয়া ‘ক্ষমতা’ ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের কাজে।
আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কথিত ‘নেতা-নেত্রীরা’ ঠিক এ কারণেই নির্যাতক ও নিপীড়কের আসনে বসেছেন। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। যেমন এ বছরের শুরুর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে ‘গেস্টরুমে’ নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সিনিয়রের কাছে জুনিয়র নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে চলতি মাসেই। এই মার্চ মাসেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তাপসী রাবেয়া হলের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর মারধরের পর ভোরে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই হলের ছয় ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এসব থেকে স্পষ্ট যে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতা-নেত্রীরা ঠিক শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে মাথা ঘামান না। সেটি হলে অন্তত অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানোর এত এত অভিযোগ নিয়মিত আসত না।
ফলে ছাত্ররাজনীতি বা বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-নেত্রীরা এখন হয়ে উঠেছেন আতঙ্কজাগানিয়া। সেই আতঙ্কে পুরো প্রক্রিয়াটির প্রতিই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘৃণা জন্মে যাচ্ছে। এর জন্য বিশাল পরিসরের জরিপ করার দরকার আসলে নেই। স্রেফ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করা যেকোনো শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করলেই এর স্বপক্ষে মত পাওয়া যাবে। অথচ এই বাংলাদেশের উন্মেষকালের হিসাব কষতে গেলে কোনোভাবেই ছাত্ররাজনীতিকে খলনায়কের ভূমিকায় ফেলা যায় না। কিন্তু এ প্রজন্মের কাউকে পূর্বসূরিদের কথা শুনিয়ে কি আর ভুলিয়ে রাখা যাবে? মানুষ তো তা-ই বিশ্বাস করে, যা সে প্রত্যক্ষ করে!
এর প্রতিকারের একমাত্র উপায় হতে পারে, ছাত্ররাজনীতিকে আক্ষরিকভাবে দলীয় জাতীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত করা। তাহলে আর অধিক প্রভাব লাভের সিঁড়িতে পা রাখার আকাঙ্ক্ষায় ধরাকে সরা জ্ঞান করার প্রবণতা কমে আসতে পারে। কেবল তখনই হয়তো শুধু শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবতে বসবেন ছাত্রনেতারা। ব্যস্ততা বাড়বে তখন শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ নিয়ে, অন্যের বউ উদ্ধারে নয়।
লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
সকালের আলোয় মনটা অকারণে আনমনা হয়ে যায়। মনের কোণে হঠাৎ বেজে ওঠে চেনা গানের সুর—‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে...।’ মন ছুটে যায় সেই ছেলেবেলায়, যখন ঋতুবদল ঘটত গানের সুরেই।
৫ মিনিট আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতা পেয়েছে অন্তর্বর্তী এক সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অরাজনৈতিক অথচ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২২ মিনিট আগেশেখ হাসিনার পতিত স্বৈরাচারী সরকার সাড়ে ১৫ বছর ধরে এ দেশের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি প্রশংসনীয় গতিতে বাড়ার গল্প সাজিয়ে শাসন করেছে। মাথাপিছু জিডিপি প্রকৃতপক্ষে একটি মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ কনসেপ্ট। এটার সবচেয়ে মারাত্মক সীমাবদ্ধতা হলো, এটা একটা গড়, যেটা স্বল্পসংখ্যক ধনী এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ নিম্ন-মধ্যবিত্ত
১ দিন আগেআমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীকে জলবায়ু-বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।
১ দিন আগে