সৌমিত জয়দ্বীপ
করোনা কি চলে গিয়েছিল?
- না।
বরং, মাঝে আক্রমণ শিথিল করে আমাদের ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনাকে সময় দিয়েছিল, যেন কর্তারা দুর্বলতাগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে পালিশ করেন৷ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ ছিল৷ আমরা অপরিকল্পিতই রয়ে গেছি।
অপরিকল্পিত-কীভাবে বুঝব সেটা?
- এই যে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে 'লকডাউন' বিষয়ক যত সিদ্ধান্ত হলো, সেগুলো দেখলেই বোঝা যায়।
'লকডাউন' মানে লকডাউন। 'কঠোর লকডাউন', 'সর্বাত্মক লকডাউন', 'সীমিত পরিসরে লকডাউন'-এসব টার্ম কারা উদ্ভাবন করেন জানি না। কিন্তু তারা বেশ রসিক মানুষ, বলতেই হবে।
আপনারা মার্চের শুরুতে যত সুপারিশ ছিল, সব টেবিলে চেপে রাখলেন। ২৭ মার্চের পর সেসব চাপা থাকা ফাইল খুলে ১৮টি নির্দেশনা দিলেন। এর কয়েক দিনের মধ্যে লকডাউন দিলেন। মানুষ মানল না। কেননা, সেই সাংস্কৃতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থানে তারা নেই। আপনারাও সে চেষ্টা করেননি যে সাধারণ মানুষ সেই অবস্থায় যাবে।
তবুও, নিজের কথায় তো অবিচল থাকতে হয়। থাকলেন না।
শুরু থেকেই গার্মেন্টস কর্মীরা আপনাদের 'সৎ-সন্তান', তাদের কাজ করতেই হবে, নইলে বেতন জুটবে না। রুবানা হকরা আবার ৫ হাজার কোটি টাকা চেয়ে বসবেন, এ ভয় তো আছেই!
যাক, লকডাউন চলতে চলতেই 'সীমিত পরিসরে' সিটি কর্পোরেশনগুলোতে গণপরিবহন চালু করলেন। কাদের চাপে? বলছেন, জনদু্র্ভোগ বিবেচনায় খোলা হলো। কিন্তু, পরিবহন মালিক কি বাইরে বের হন? এসি রুমে বাতাস খাচ্ছেন নিশ্চয়ই শাহজাহান খানেরা। মরলে শ্রমিক-জনতা মরুক, তাদের কী!
এর পর, শপিংমলগুলোও খোলা রাখতে বললেন, সীমিত পরিসরে অবশ্যই। কাদের আকাঙ্ক্ষায়? কেন?
তার পর, এখন বলছেন, ১৪ এপ্রিল থেকে 'কঠোর লকডাউন' আসছে। নইলে নাকি পুরো শহরই হাসপাতাল হয়ে যাবে!
সিরিয়াসলি! এত দিন কি তাহলে লকডাউনের ড্রেস রিহার্সাল ছিল!
এই যে কোথাও নাকি জায়গা দেয়া যাচ্ছে না রোগীদের, ডাক্তাররাই বলছেন। তাহলে এতোদিন কোটি কোটি টাকা দিয়ে স্থাপনা গড়া আর উৎসব করার গৌরবগীতি গাইলেন কেন!
হাসপাতাল গড়তেন। খোদ স্বাস্থ্যখাতের যে চিকিৎসা দরকার ছিল, সেটা দিতেন।
কত অপরিকল্পিত আমরা, আমাদের ব্যবস্থাপনা, বোঝা যাচ্ছে তো? লকডাউন নিয়ে কী আজগুবি কায়কারবার আমাদের কর্তাদের!
এখনই হয়তো এই সমালোচনার জন্য সব হা রে রে রে বলে তেড়ে আসবে। কিন্তু, এই অন্ধরা বুঝবেও না, এতে প্রলয় বন্ধ হবে না! এটা মানুষের বাঁচা-মরার প্রশ্ন, রসিকতা না। জীবন বাঁচাতে জবান তাই খোলা রাখতেই হবে।
জীবন, তুই এত তুচ্ছ ক্যানে!
করোনা কি চলে গিয়েছিল?
- না।
বরং, মাঝে আক্রমণ শিথিল করে আমাদের ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনাকে সময় দিয়েছিল, যেন কর্তারা দুর্বলতাগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে পালিশ করেন৷ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ ছিল৷ আমরা অপরিকল্পিতই রয়ে গেছি।
অপরিকল্পিত-কীভাবে বুঝব সেটা?
- এই যে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে 'লকডাউন' বিষয়ক যত সিদ্ধান্ত হলো, সেগুলো দেখলেই বোঝা যায়।
'লকডাউন' মানে লকডাউন। 'কঠোর লকডাউন', 'সর্বাত্মক লকডাউন', 'সীমিত পরিসরে লকডাউন'-এসব টার্ম কারা উদ্ভাবন করেন জানি না। কিন্তু তারা বেশ রসিক মানুষ, বলতেই হবে।
আপনারা মার্চের শুরুতে যত সুপারিশ ছিল, সব টেবিলে চেপে রাখলেন। ২৭ মার্চের পর সেসব চাপা থাকা ফাইল খুলে ১৮টি নির্দেশনা দিলেন। এর কয়েক দিনের মধ্যে লকডাউন দিলেন। মানুষ মানল না। কেননা, সেই সাংস্কৃতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থানে তারা নেই। আপনারাও সে চেষ্টা করেননি যে সাধারণ মানুষ সেই অবস্থায় যাবে।
তবুও, নিজের কথায় তো অবিচল থাকতে হয়। থাকলেন না।
শুরু থেকেই গার্মেন্টস কর্মীরা আপনাদের 'সৎ-সন্তান', তাদের কাজ করতেই হবে, নইলে বেতন জুটবে না। রুবানা হকরা আবার ৫ হাজার কোটি টাকা চেয়ে বসবেন, এ ভয় তো আছেই!
যাক, লকডাউন চলতে চলতেই 'সীমিত পরিসরে' সিটি কর্পোরেশনগুলোতে গণপরিবহন চালু করলেন। কাদের চাপে? বলছেন, জনদু্র্ভোগ বিবেচনায় খোলা হলো। কিন্তু, পরিবহন মালিক কি বাইরে বের হন? এসি রুমে বাতাস খাচ্ছেন নিশ্চয়ই শাহজাহান খানেরা। মরলে শ্রমিক-জনতা মরুক, তাদের কী!
এর পর, শপিংমলগুলোও খোলা রাখতে বললেন, সীমিত পরিসরে অবশ্যই। কাদের আকাঙ্ক্ষায়? কেন?
তার পর, এখন বলছেন, ১৪ এপ্রিল থেকে 'কঠোর লকডাউন' আসছে। নইলে নাকি পুরো শহরই হাসপাতাল হয়ে যাবে!
সিরিয়াসলি! এত দিন কি তাহলে লকডাউনের ড্রেস রিহার্সাল ছিল!
এই যে কোথাও নাকি জায়গা দেয়া যাচ্ছে না রোগীদের, ডাক্তাররাই বলছেন। তাহলে এতোদিন কোটি কোটি টাকা দিয়ে স্থাপনা গড়া আর উৎসব করার গৌরবগীতি গাইলেন কেন!
হাসপাতাল গড়তেন। খোদ স্বাস্থ্যখাতের যে চিকিৎসা দরকার ছিল, সেটা দিতেন।
কত অপরিকল্পিত আমরা, আমাদের ব্যবস্থাপনা, বোঝা যাচ্ছে তো? লকডাউন নিয়ে কী আজগুবি কায়কারবার আমাদের কর্তাদের!
এখনই হয়তো এই সমালোচনার জন্য সব হা রে রে রে বলে তেড়ে আসবে। কিন্তু, এই অন্ধরা বুঝবেও না, এতে প্রলয় বন্ধ হবে না! এটা মানুষের বাঁচা-মরার প্রশ্ন, রসিকতা না। জীবন বাঁচাতে জবান তাই খোলা রাখতেই হবে।
জীবন, তুই এত তুচ্ছ ক্যানে!
যেকোনো সামাজিক বিষয় বা সামাজিক সমস্যা নিয়ে আমরা যখন আলোচনা করি, তখন কখনো কখনো তত্ত্ব দিয়ে তার ব্যাখ্যা করি, আবার কখনো কখনো বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয় বা সমস্যার বিশ্লেষণ করি। তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা...
৬ ঘণ্টা আগেগাজার সবচেয়ে সুপরিচিত ফুটবল স্টেডিয়ামটি এখন বিশৃঙ্খলায় ভরা। মাঠ ও বসার জায়গায় বাস্তুচ্যুত লোকের বন্যা। সবার পিঠে ব্যাগ আর কিছু কাপড়। কেউ অসুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করছেন বা আহত আত্মীয়দের নিয়ে চলেছেন। আবার কেউ কেউ একা হাঁটছেন, খালি পায়েই হেঁটে চলেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেসিসা একটি নরম ধাতু। এটি ঈষৎ নীলাভ ধূসর বর্ণের। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮২। ধাতুটি এতটাই নরম যে একটি ছুরির সাহায্যে একে কাটা যায়। সিসা কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর বিষ। এই বিষের ভেতরেই বাস করছে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ। বাংলাদেশের বাতাসে যেমন সিসার উপস্থিতি দেখা গেছে, তেমনি মাটিতে-পানিতেও পাওয়া গেছে...
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার কথা বলে পাপিয়া আক্তার রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি যে ‘ভুয়া’ ছাত্রী, সেটি বুঝতে পেরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। হয়তো তাঁর শাস্তিও হবে। পাপিয়া শুধু অচেনা রোগী ও তাদের স্বজনদের নয়, তাঁর স্বামীকেও ধোঁকা...
৬ ঘণ্টা আগে