এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলা উচ্চ আদালতে পাঁচ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) এবং আসামিদের করা আপিলের শুনানি চলছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, চলতি বছরেই হাইকোর্টে এই মামলা নিষ্পত্তি হবে।
ভয়ংকর ও বিভীষিকাময় ওই গ্রেনেড হামলার আজ ১৯ বছর। ২০০৪ সালের এই দিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার সমাবেশে চালানো হয়েছিল গ্রেনেড হামলা। একের পর এক গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়েছিল ওই এলাকা। হামলার ভয়াবহতায় স্তব্ধ হয়েছিল গোটা দেশ। ওই হামলায় নিহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ আহত হন কয়েক শ নেতা-কর্মী। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার তখন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ তখন বিরোধী দল এবং শেখ হাসিনা তখন ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা। হামলায় আহত অনেকে শরীরে এখনো স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন।
মামলাটির অবস্থা জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি অসুস্থ থাকায় এখন শুনানি বন্ধ রয়েছে। তিনি সুস্থ হলে আবার শুনানি শুরু হবে। শুনানি শুরু হলে ১০-১২ কার্যদিবস লাগতে পারে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয় ২০০৮ সালের ১১ জুন। এতে আসামি করা হয় ২২ জনকে। পরে ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ফলে এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। তবে ৩ জনের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাঁদের পরে এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পৃথক দুই মামলায় একই সঙ্গে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য এই দুই মামলার ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার নথি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে পাঠানো হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয়। বিজি প্রেস থেকে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে হাইকোর্টে আসে। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ ঠিক করে দেন প্রধান বিচারপতি। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের করা আবেদনের শুনানি শুরু হয়। বর্তমানে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে শুনানি চলছে।
ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২৪ জনের সাক্ষ্য পড়া শেষ করেছি। সাক্ষ্য পড়া শেষে বিচারিক আদালতের রায় পড়ব। পরে আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করবে। তারা শেষ করলে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি তুলে ধরবে। বিচারিক আদালতের সাজা যেন বহাল থাকে, রাষ্ট্রপক্ষ সেই চেষ্টা করবে।’
২১ আগস্ট হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন আসামি এখনো পলাতক। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ক্ষতিপূরণ পাননি জজ মিয়া
এই মামলায় চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চার বছর কারাভোগ করা জালাল ওরফে জজ মিয়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়ায় এখনো ক্ষতিপূরণ পাননি। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট গত বছরের ২৫ অক্টোবর রুল জারি করেন।
জজ মিয়ার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো রুলের জবাব দেওয়া হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব রুল শুনানির উদ্যোগ নেবেন তিনি। এর রায় এলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি একটি বার্তা যাবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ রকম করার সাহস না পায়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলা উচ্চ আদালতে পাঁচ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) এবং আসামিদের করা আপিলের শুনানি চলছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, চলতি বছরেই হাইকোর্টে এই মামলা নিষ্পত্তি হবে।
ভয়ংকর ও বিভীষিকাময় ওই গ্রেনেড হামলার আজ ১৯ বছর। ২০০৪ সালের এই দিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার সমাবেশে চালানো হয়েছিল গ্রেনেড হামলা। একের পর এক গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়েছিল ওই এলাকা। হামলার ভয়াবহতায় স্তব্ধ হয়েছিল গোটা দেশ। ওই হামলায় নিহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ আহত হন কয়েক শ নেতা-কর্মী। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার তখন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ তখন বিরোধী দল এবং শেখ হাসিনা তখন ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা। হামলায় আহত অনেকে শরীরে এখনো স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন।
মামলাটির অবস্থা জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি অসুস্থ থাকায় এখন শুনানি বন্ধ রয়েছে। তিনি সুস্থ হলে আবার শুনানি শুরু হবে। শুনানি শুরু হলে ১০-১২ কার্যদিবস লাগতে পারে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয় ২০০৮ সালের ১১ জুন। এতে আসামি করা হয় ২২ জনকে। পরে ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ফলে এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। তবে ৩ জনের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাঁদের পরে এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পৃথক দুই মামলায় একই সঙ্গে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য এই দুই মামলার ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার নথি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে পাঠানো হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয়। বিজি প্রেস থেকে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে হাইকোর্টে আসে। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ ঠিক করে দেন প্রধান বিচারপতি। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের করা আবেদনের শুনানি শুরু হয়। বর্তমানে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে শুনানি চলছে।
ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২৪ জনের সাক্ষ্য পড়া শেষ করেছি। সাক্ষ্য পড়া শেষে বিচারিক আদালতের রায় পড়ব। পরে আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করবে। তারা শেষ করলে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি তুলে ধরবে। বিচারিক আদালতের সাজা যেন বহাল থাকে, রাষ্ট্রপক্ষ সেই চেষ্টা করবে।’
২১ আগস্ট হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন আসামি এখনো পলাতক। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ক্ষতিপূরণ পাননি জজ মিয়া
এই মামলায় চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চার বছর কারাভোগ করা জালাল ওরফে জজ মিয়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়ায় এখনো ক্ষতিপূরণ পাননি। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট গত বছরের ২৫ অক্টোবর রুল জারি করেন।
জজ মিয়ার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো রুলের জবাব দেওয়া হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব রুল শুনানির উদ্যোগ নেবেন তিনি। এর রায় এলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি একটি বার্তা যাবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ রকম করার সাহস না পায়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ৮ বছরে এই সংকট নিরসনে বড় প্রতিবেশীর কাছ থেকে সহযোগিতা, প্রত্যাশার চেয়ে কম। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনেরও বঙ্গোপসাগর ঘিরে আলাদা আলাদা
৩ মিনিট আগেবিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নামে যৌথভাবে একটি উদ্যোগ শুরু করেছে ভ্যাটিকান। বিশ্ব মানবতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে ‘পোপ ফ্রান্সিস থ্রি জিরোস ক্লাব’—নামের উদ্যোগটি চালু
৪ ঘণ্টা আগেভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি দেয়নি হেফাজতে ইসলাম বরং মুসলিমদের উত্তেজিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হেফাজত দায়িত্ব নিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম আর নেই। আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
৬ ঘণ্টা আগে