নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারা দেশে গত ১০ বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে শুধু গত ১ বছরেই নিহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস)। সংবাদপত্রে প্রকাশিত (১৫টি জাতীয় এবং ১১টি স্থানীয়) খবরের ওপর ভিত্তি করে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এসআরএসের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪ হাজার ৭১টি আর এতে নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৩৫ জন শ্রমিক। এর মধ্যে গত ১ বছরে (১ জানুয়ারি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩) সারা দেশে ৭১২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৭৫ জন শ্রমিক। ২০২২ সালে একই সময়ে সারা দেশে ৫৪৪টি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৭১২ জন শ্রমিক নিহত হন।
এসআরএসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন পরিবহন খাতে। যাদের সংখ্যা মোট ৩২৯ জন। এরপরই রয়েছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান (যেমন-ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ১৮৫ জন, নির্মাণ খাতে নিহত হয়েছে ১৭৩ জন, কল-কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে এই সংখ্যা ৯৬ জন এবং কৃষি খাতে ৮২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে সংস্থাটি জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৬ জন; বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১৭ জন; আগুন এবং বিভিন্ন বিস্ফোরণে ৭৯ জন; মাঁচা বা ওপর থেকে পড়ে মারা গেছেন ৭০ জন; বজ্রপাতে ৬৩ জন; শক্ত বা ভারী কোনো বস্তুর দ্বারা আঘাত বা তার নিচে চাপা পড়ে ৩৮ জন; পাহাড় বা মাটি, ব্রিজ, ভবন বা ছাদ, দেয়াল ধসে ২৩ জন; রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ট্যাংক বা পানির ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ জন; পানিতে ডুবে ১০ জন; এবং অন্যান্য কারণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জরিপের পর্যবেক্ষণে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিহতের কারণ হিসেবে দেখা যায়, রাস্তাঘাটের গঠন, গাড়ির ফিটনেস, অদক্ষ চালক, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগে বাধা, বেপরোয়া যান চলাচল ইত্যাদি।
নিহতের কারণ হিসেবে এসআরএস আরও দেখেছে, কারখানা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি না নেওয়া, সেফটি বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ না দেওয়া, কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়েই বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেওয়া, ভেজা হাতে মোটর চালু করা, বিদ্যুতের লাইনের নিচে কাজ করা, লোহার রড/ভারী জিনিস উত্তোলন, নিরাপত্তাবেষ্টনী ব্যবহার না করে মাঁচার ওপর কাজ করা; রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে অদক্ষতা এবং সেপটিক ট্যাংক বা পানির ট্যাংকে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতার অভাব। তা ছাড়া কাজ করার সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার না করার কারণেও কিছু দুর্ঘটনা ঘটছে।
এসআরএসের নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে মালিক এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর যথাযথ পরিদর্শনে অবহেলা এবং দায় এড়ানোর প্রবণতা কর্ম দুর্ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।’
সেকেন্দার আলী মিনা আরও বলেন, ‘মালিককে শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে দায় মনে না করে বিনিয়োগ মনে করতে হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে শক্তিশালী ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কারখানা ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নিরাপত্তা নির্দেশনা প্রণয়ন, ঝুঁকি নিরূপণসহ দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করে তা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
সারা দেশে গত ১০ বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে শুধু গত ১ বছরেই নিহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস)। সংবাদপত্রে প্রকাশিত (১৫টি জাতীয় এবং ১১টি স্থানীয়) খবরের ওপর ভিত্তি করে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এসআরএসের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪ হাজার ৭১টি আর এতে নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৩৫ জন শ্রমিক। এর মধ্যে গত ১ বছরে (১ জানুয়ারি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩) সারা দেশে ৭১২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৭৫ জন শ্রমিক। ২০২২ সালে একই সময়ে সারা দেশে ৫৪৪টি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৭১২ জন শ্রমিক নিহত হন।
এসআরএসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন পরিবহন খাতে। যাদের সংখ্যা মোট ৩২৯ জন। এরপরই রয়েছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান (যেমন-ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ১৮৫ জন, নির্মাণ খাতে নিহত হয়েছে ১৭৩ জন, কল-কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে এই সংখ্যা ৯৬ জন এবং কৃষি খাতে ৮২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে সংস্থাটি জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৬ জন; বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১৭ জন; আগুন এবং বিভিন্ন বিস্ফোরণে ৭৯ জন; মাঁচা বা ওপর থেকে পড়ে মারা গেছেন ৭০ জন; বজ্রপাতে ৬৩ জন; শক্ত বা ভারী কোনো বস্তুর দ্বারা আঘাত বা তার নিচে চাপা পড়ে ৩৮ জন; পাহাড় বা মাটি, ব্রিজ, ভবন বা ছাদ, দেয়াল ধসে ২৩ জন; রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ট্যাংক বা পানির ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ জন; পানিতে ডুবে ১০ জন; এবং অন্যান্য কারণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জরিপের পর্যবেক্ষণে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিহতের কারণ হিসেবে দেখা যায়, রাস্তাঘাটের গঠন, গাড়ির ফিটনেস, অদক্ষ চালক, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগে বাধা, বেপরোয়া যান চলাচল ইত্যাদি।
নিহতের কারণ হিসেবে এসআরএস আরও দেখেছে, কারখানা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি না নেওয়া, সেফটি বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ না দেওয়া, কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়েই বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেওয়া, ভেজা হাতে মোটর চালু করা, বিদ্যুতের লাইনের নিচে কাজ করা, লোহার রড/ভারী জিনিস উত্তোলন, নিরাপত্তাবেষ্টনী ব্যবহার না করে মাঁচার ওপর কাজ করা; রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে অদক্ষতা এবং সেপটিক ট্যাংক বা পানির ট্যাংকে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতার অভাব। তা ছাড়া কাজ করার সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার না করার কারণেও কিছু দুর্ঘটনা ঘটছে।
এসআরএসের নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে মালিক এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর যথাযথ পরিদর্শনে অবহেলা এবং দায় এড়ানোর প্রবণতা কর্ম দুর্ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।’
সেকেন্দার আলী মিনা আরও বলেন, ‘মালিককে শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে দায় মনে না করে বিনিয়োগ মনে করতে হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে শক্তিশালী ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কারখানা ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নিরাপত্তা নির্দেশনা প্রণয়ন, ঝুঁকি নিরূপণসহ দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করে তা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম আর নেই। আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
৩০ মিনিট আগেহোটেল সোনারগাঁওয়ে চলছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধিসহ ৮০০ শোর অংশগ্রহণকারী রয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
৩ ঘণ্টা আগে