নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কিছু বললেই জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার অজুহাতে এই আইনে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সরকারদলীয় লোকেরা সবচেয়ে বেশি এই আইনে মামলা করে বিভিন্ন জনকে হয়রানি করছেন। এই আইনের সকল প্রয়োগই অপপ্রয়োগ। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আজ বৃহস্পতিবার বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা কালো আইন এবং এর সকল প্রয়োগই অপপ্রয়োগ। আমাদের সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং চিন্তার স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এই আইন আমাদের সংবিধানের মূল চেতনার বিরোধী। এই আইনের কারণে এসব স্বাধীনতার অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কম্পিউটার রিলেটেড যে অপরাধগুলো আছে, সেগুলোর জন্য আইন থাকবে। কিন্তু আইনে কথা বলা বিষয়ক যে ধারাগুলো রয়েছে সেগুলো অধিকাংশের পরিবর্তন দরকার। আইনে জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা যাবে না বলা আছে। এখন যে ভুয়া নির্বাচন করছে, গুম করছে, তাতে জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না? আর আমি যদি বলি ২০১৮ সালের নির্বাচন ভুয়া, তাহলেই বলা হচ্ছে জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার অজুহাতে জেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কোন আইনকে কালো আইন বলি? যে আইনে অস্পষ্ট থাকে এবং যে আইন বিশেষ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য করা হয়। সরকার এবং সরকারের পক্ষের লোকেরা এই মামলা করেছে। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে যারা ভিন্ন মতাবলম্বী তাদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের ১০০ বার চিন্তা করে কথা বলতে হচ্ছে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংস্কার প্রয়োজন।’
এনটিভির হেড অব নিউজ জহিরুল আলম বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। একজন সাংবাদিক যখন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন, তখন তাঁকে নানারকম কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এই আইনে একজন সাংবাদিককে গুপ্তচর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদের দরকার, কিন্তু এই আইনের মধ্যে অনেক রকম ফাঁকফোকর আছে। যাতে সত্যিকার অর্থে জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। শুধুমাত্র কার্টুন আকার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করে তাঁকে জেলে নেওয়া হবে, তা আমি সমর্থন করি না। অপরাধ কমানোর জন্য আইন করা মানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে হবে, তা নয়।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘সমাজ-রাষ্ট্রকে সুশৃঙ্খল রাখার জন্য আইন করা হয়। কিন্তু কখন সেটা কালো আইনে পরিণত হয়? যখন সেটা মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটায়। বিএনপি আমলে প্রধানমন্ত্রীসহ নানারকম কার্টুন আঁকা হতো। আর এখন? এই আইনের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো একই বিষয়ে একাধিক মামলা হওয়া। যার উদ্দেশ্য হলো হয়রানি করা। যেমন—৬১ জেলায় ৬১টা মামলা হবে, আর সে জেলাগুলোয় যেতে হবে। এইভাবে হয়রানি চলবে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘কম্পিউটার বিষয়ক অপরাধের বিচারের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ আইন-২০০৬ রয়েছে। হ্যাকিংসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আইন ছিল। দরকার হলে সেটাকে আরও যুগোপযোগী করা যায়। তবে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিল চাই। আইন হয় নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য, কিন্তু এই আইন তার স্পিরিট হারিয়ে ফেলছে। একই বিষয়ে একাধিক মামলা হতে পারবে না সংবিধানে বলা থাকলেও, এই আইনে একই বিষয়ে একাধিক মামলা হচ্ছে।’
মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এই সরকার সবচেয়ে বেশি বেশি মিডিয়ার অনুমোদন দিয়েছে। সবাই যেন তথ্য পায়, সে জন্য তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে। অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করছেন, যেটা মাহ্ফুজ আনাম এবং লতিফ ছিদ্দিকীর বেলায় ঘটেছে। আমরা চাই বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা হোক। তবে কোনো আইন কিন্তু চিরন্তন না। তবে এই আইনে যে ধারাগুলো অপব্যবহার হচ্ছে, সেটা নিয়ে বিবেচনা করা যায়। তবে সকলের মতামত নিয়ে এই আইনকে আরও বিন্যাস করা প্রয়োজন।’
আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কিছু বললেই জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার অজুহাতে এই আইনে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সরকারদলীয় লোকেরা সবচেয়ে বেশি এই আইনে মামলা করে বিভিন্ন জনকে হয়রানি করছেন। এই আইনের সকল প্রয়োগই অপপ্রয়োগ। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আজ বৃহস্পতিবার বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা কালো আইন এবং এর সকল প্রয়োগই অপপ্রয়োগ। আমাদের সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং চিন্তার স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এই আইন আমাদের সংবিধানের মূল চেতনার বিরোধী। এই আইনের কারণে এসব স্বাধীনতার অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কম্পিউটার রিলেটেড যে অপরাধগুলো আছে, সেগুলোর জন্য আইন থাকবে। কিন্তু আইনে কথা বলা বিষয়ক যে ধারাগুলো রয়েছে সেগুলো অধিকাংশের পরিবর্তন দরকার। আইনে জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা যাবে না বলা আছে। এখন যে ভুয়া নির্বাচন করছে, গুম করছে, তাতে জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না? আর আমি যদি বলি ২০১৮ সালের নির্বাচন ভুয়া, তাহলেই বলা হচ্ছে জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার অজুহাতে জেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কোন আইনকে কালো আইন বলি? যে আইনে অস্পষ্ট থাকে এবং যে আইন বিশেষ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য করা হয়। সরকার এবং সরকারের পক্ষের লোকেরা এই মামলা করেছে। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে যারা ভিন্ন মতাবলম্বী তাদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের ১০০ বার চিন্তা করে কথা বলতে হচ্ছে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংস্কার প্রয়োজন।’
এনটিভির হেড অব নিউজ জহিরুল আলম বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। একজন সাংবাদিক যখন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন, তখন তাঁকে নানারকম কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এই আইনে একজন সাংবাদিককে গুপ্তচর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদের দরকার, কিন্তু এই আইনের মধ্যে অনেক রকম ফাঁকফোকর আছে। যাতে সত্যিকার অর্থে জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। শুধুমাত্র কার্টুন আকার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করে তাঁকে জেলে নেওয়া হবে, তা আমি সমর্থন করি না। অপরাধ কমানোর জন্য আইন করা মানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে হবে, তা নয়।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘সমাজ-রাষ্ট্রকে সুশৃঙ্খল রাখার জন্য আইন করা হয়। কিন্তু কখন সেটা কালো আইনে পরিণত হয়? যখন সেটা মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটায়। বিএনপি আমলে প্রধানমন্ত্রীসহ নানারকম কার্টুন আঁকা হতো। আর এখন? এই আইনের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো একই বিষয়ে একাধিক মামলা হওয়া। যার উদ্দেশ্য হলো হয়রানি করা। যেমন—৬১ জেলায় ৬১টা মামলা হবে, আর সে জেলাগুলোয় যেতে হবে। এইভাবে হয়রানি চলবে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘কম্পিউটার বিষয়ক অপরাধের বিচারের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ আইন-২০০৬ রয়েছে। হ্যাকিংসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আইন ছিল। দরকার হলে সেটাকে আরও যুগোপযোগী করা যায়। তবে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিল চাই। আইন হয় নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য, কিন্তু এই আইন তার স্পিরিট হারিয়ে ফেলছে। একই বিষয়ে একাধিক মামলা হতে পারবে না সংবিধানে বলা থাকলেও, এই আইনে একই বিষয়ে একাধিক মামলা হচ্ছে।’
মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এই সরকার সবচেয়ে বেশি বেশি মিডিয়ার অনুমোদন দিয়েছে। সবাই যেন তথ্য পায়, সে জন্য তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে। অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করছেন, যেটা মাহ্ফুজ আনাম এবং লতিফ ছিদ্দিকীর বেলায় ঘটেছে। আমরা চাই বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা হোক। তবে কোনো আইন কিন্তু চিরন্তন না। তবে এই আইনে যে ধারাগুলো অপব্যবহার হচ্ছে, সেটা নিয়ে বিবেচনা করা যায়। তবে সকলের মতামত নিয়ে এই আইনকে আরও বিন্যাস করা প্রয়োজন।’
আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নামে যৌথভাবে একটি উদ্যোগ শুরু করেছে ভ্যাটিকান। বিশ্ব মানবতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে ‘পোপ ফ্রান্সিস থ্রি জিরোস ক্লাব’—নামের উদ্যোগটি চালু
৪ ঘণ্টা আগেভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি দেয়নি হেফাজতে ইসলাম বরং মুসলিমদের উত্তেজিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হেফাজত দায়িত্ব নিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম আর নেই। আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
৫ ঘণ্টা আগেহোটেল সোনারগাঁওয়ে চলছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধিসহ ৮০০ শোর অংশগ্রহণকারী রয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে