দেশের কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৩৪
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৫৭

দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘দেশের কারাগারে মোট বন্দী ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৯৩৭ এবং নারী বন্দী ১ হাজার ৯২৯ জন।’ অন্যদিকে দেশের ৬৮টি কারাগারে ৭৭ হাজার ২০৩ জন বন্দী রয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
আজ রোববার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যশোর, সিলেট, দিনাজপুর, ফেনী, পিরোজপুরে ও মাদারীপুর কারাগার ছাড়া দেশের সব কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বন্দী আটক রয়েছে।

কারাগারে ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি চলমান প্রক্রিয়া বলে জানান তিনি। ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, খুলনা, নরসিংদী ও জামালপুর কারাগার নির্মাণ বা সম্প্রসারণের কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, নির্মাণাধীন কারাগারগুলোর কাজ শেষ হলে ধারণক্ষমতা পাঁচ হাজার বৃদ্ধি পাবে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে দেশের ৬৮ কারাগারে বন্দীদের চিত্র সংসদে তুলে ধরেন। এর মধ্যে দেশের কাশিমপুর মহিলা (একমাত্র) কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ২০০ হলেও এখন ৬৩৪ জন বন্দী আটক রয়েছে। অন্যদিকে দেশের কারাগারে নারী বন্দী ২ হাজার ৯৮১ জন আটক রয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন হলেও ৯ হাজার ৭৬৫ জন বন্দী আটক রয়েছে। 

এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে সারা দেশে ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম আইস ও ১৬৭টি এলএসডি এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ১১৪ কেজি ৪৮৭ গ্রাম আইস এবং ১২৯টি এলএসডি স্ট্রিপ জব্দ করা হয়েছে।

২০২২ সালে ১ লাখ ৩২১টি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান। এসব মামলায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৫৮ হাজার ১৬১টি মামলায় ৭২ হাজার ১৫৬ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী মিয়ানমারের নাফ নদ হয়ে আমাদের দেশে ইয়াবা ও আইস অনুপ্রবেশ করে। ইয়াবা ও আইস প্রতিরোধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অধীনে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার সমন্বয়ে টেকনাফ বিশেষ জোন স্থাপন করা হয়েছে।’ 

সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য ইতিমধ্যে সারা দেশে ৩১ হাজার ৮০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগারে অপরাধের কুফল-সংক্রান্ত সচেতনতামূলক ডকুমেন্টারি বা চলচ্চিত্র নিয়মিত প্রদর্শন করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত