এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
বাগেরহাটে আদালতের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। আদালতের ৪৬ শতাংশ জমি দখল ঠেকাতে জিডিসহ নানা চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। পরে জমি দখলমুক্ত করতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন সংশ্লিষ্টরা। পরে এক শুনানি শেষে বাগেরহাট জেলা আদালতের জমিতে আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে লক্ষ্মীপুরে আদালতের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে। এবার একই অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাট বারের নেতাদের বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশেই পর্যায়ক্রমে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে অনেক জেলায় নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, অনেকগুলো চলমান রয়েছে। এমনিতেই বিচারকদের আবাসন সমস্যা রয়েছে। তাই আদালতের যেসব জমি রয়েছে তা আদালতের কাজেই ব্যবহার করতে হবে। সেগুলো কারোরই দখল করার কোনো সুযোগ নেই। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। তখন উচ্চ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, যা দুঃখজনক। আমরা চাই বেঞ্চকে সব সময় সহযোগিতা করবে বার ।
এর আগে আদালতের জমি দখল করে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল ২০১৬ সালে। ওই সময় ভবন নির্মাণে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ভাঙচুর করা হয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দরজা-জানালা। পরে ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ বার কাউন্সিলের নেতারা আদালত পরিদর্শনে যান। বারের নেতারা ওই সময় ভবন নির্মাণ না করার অঙ্গীকার করলেও পরবর্তীতে তা অব্যাহত রাখে। পরে বিষয়টি নিয়ে রিট করলে ওই ভবন অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বাগেরহাটের জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন সম্প্রতি জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাজ্জাদুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনুমোদন ছাড়া আইনজীবী সমিতির নির্মাণাধীন ভবনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বাগেরহাটের জেলা আইনজীবী সমিতি, আইন সচিব, ভূমি সচিব, গণপূর্ত সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ওই জমিটি বিচারকদের আবাসিক ভবনের জন্য নির্ধারণ করে রাখা ছিল। কিন্তু কোনো রকম অনুমোদন ছাড়াই জেলা আইনজীবী সমিতি সেখানে ভবন নির্মাণ শুরু করে। এর আগে আদালতের জমির একটি অংশ ভূমি মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়। সেখানে জেলা আইনজীবী সমিতির জন্য ৬তলা ভবনও নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তারা নিজেরা সেটি ব্যবহার না করে ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছে। যা নজির বিহীন।
আদালতের জমি দখলের অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ১ অক্টোবর বাগেরহাট সদর মডেল থানায় জিডি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. রকিবুল হাসান। আর বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়কে জানানো হলে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নারী ও শিশু আদালতের বিচারককে প্রধান করে ওই সময় ৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দেন জেলা জজ। কিন্তু বিষয়টি সুরাহা হওয়ার আগেই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে আইনজীবী সমিতি।
বাগেরহাটে আদালতের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। আদালতের ৪৬ শতাংশ জমি দখল ঠেকাতে জিডিসহ নানা চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। পরে জমি দখলমুক্ত করতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন সংশ্লিষ্টরা। পরে এক শুনানি শেষে বাগেরহাট জেলা আদালতের জমিতে আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে লক্ষ্মীপুরে আদালতের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে। এবার একই অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাট বারের নেতাদের বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশেই পর্যায়ক্রমে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে অনেক জেলায় নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, অনেকগুলো চলমান রয়েছে। এমনিতেই বিচারকদের আবাসন সমস্যা রয়েছে। তাই আদালতের যেসব জমি রয়েছে তা আদালতের কাজেই ব্যবহার করতে হবে। সেগুলো কারোরই দখল করার কোনো সুযোগ নেই। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। তখন উচ্চ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, যা দুঃখজনক। আমরা চাই বেঞ্চকে সব সময় সহযোগিতা করবে বার ।
এর আগে আদালতের জমি দখল করে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল ২০১৬ সালে। ওই সময় ভবন নির্মাণে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ভাঙচুর করা হয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দরজা-জানালা। পরে ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ বার কাউন্সিলের নেতারা আদালত পরিদর্শনে যান। বারের নেতারা ওই সময় ভবন নির্মাণ না করার অঙ্গীকার করলেও পরবর্তীতে তা অব্যাহত রাখে। পরে বিষয়টি নিয়ে রিট করলে ওই ভবন অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বাগেরহাটের জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন সম্প্রতি জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাজ্জাদুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনুমোদন ছাড়া আইনজীবী সমিতির নির্মাণাধীন ভবনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বাগেরহাটের জেলা আইনজীবী সমিতি, আইন সচিব, ভূমি সচিব, গণপূর্ত সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ওই জমিটি বিচারকদের আবাসিক ভবনের জন্য নির্ধারণ করে রাখা ছিল। কিন্তু কোনো রকম অনুমোদন ছাড়াই জেলা আইনজীবী সমিতি সেখানে ভবন নির্মাণ শুরু করে। এর আগে আদালতের জমির একটি অংশ ভূমি মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়। সেখানে জেলা আইনজীবী সমিতির জন্য ৬তলা ভবনও নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তারা নিজেরা সেটি ব্যবহার না করে ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছে। যা নজির বিহীন।
আদালতের জমি দখলের অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ১ অক্টোবর বাগেরহাট সদর মডেল থানায় জিডি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. রকিবুল হাসান। আর বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়কে জানানো হলে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নারী ও শিশু আদালতের বিচারককে প্রধান করে ওই সময় ৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দেন জেলা জজ। কিন্তু বিষয়টি সুরাহা হওয়ার আগেই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে আইনজীবী সমিতি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি দেয়নি হেফাজতে ইসলাম বরং মুসলিমদের উত্তেজিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হেফাজত দায়িত্ব নিয়েছে
১৬ মিনিট আগেসাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম আর নেই। আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
১ ঘণ্টা আগেহোটেল সোনারগাঁওয়ে চলছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধিসহ ৮০০ শোর অংশগ্রহণকারী রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগে