নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাস হলো ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ ’। নতুন এই আইনকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা বলছেন, এ আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন শতভাগ আমলানির্ভর হবে। এভাবে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হলেও তাতে বিতর্ক বন্ধ হবে না।
জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে সংসদে এ বিল নিয়ে আলোচনা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, পীর ফজলুর রহমান, বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।
তবে তাঁদের আপত্তি অভিযোগ মানতে নারাজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলীয় সাংসদদের ২২টি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করে কণ্ঠভোটে ইসি আইন পাস হয়।
জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম বলেন, ‘আইনমন্ত্রী অনেক আগেই বলেছিলেন, ইসি নিয়োগের আইন করতে অনেক সময় লাগবে। কারণ উনি বুঝেছিলেন সময় কেন লাগবে? সেটা লাগবে কারণ সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধান সংশোধন না করে, ৪৮-এর ৩ ধারা বাইপাস করে কোনো আইন তৈরি করা যাবে না। যদি সেটা হয় তাহলে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। সময় লাগবে এটা উনি বুঝেই বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি কণ্ঠভোটে পাস করিয়ে দেন তাহলে এটা সব থেকে বাজে উদাহরণ হবে।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বিলটা গণতান্ত্রিকভাবে আসুক। এই বিল আনার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মতো শতভাগ আমলানির্ভর হবে নির্বাচন কমিশন। এখনো যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতেও বিচারপতি। দেশে কি বিচারপতি আর আমলা ছাড়া বিশ্বাস করার মতো মানুষ নাই? রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কি বিশ্বাস করেন না? স্পিকারকে বিশ্বাস করেন না? সংসদ সদস্যদের কি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়?’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় সাংবিধানিক পদের লোকগুলো সাংবিধানিক কাউন্সিল করে নিয়োগ করতে পারে। নেপালেও একই অবস্থা। কেন আমরা না। আপনাদের (আওয়ামী লীগ) তো সেনানিবাসে জন্ম হয় নাই। দেশ স্বাধীন করার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। আপনারা কেন বিচারপতি আর আমলাদের ওপর নির্ভর করবেন?’
তিনি বলেন, ‘এই বিলের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি রাখেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কর্তৃক যে দুই জন সেখানে, আমরা নিশ্চিত কোনো আমলাই দেওয়া হবে। সেই দুজনের নিয়োগের ভার রাষ্ট্রপতির হাতে না দিয়ে স্পিকারকে দায়িত্ব দেন। আর সংসদের দুজন সদস্যকে যেন রাখা হয়। তাতে কিছুটা হলেও আমরা বলতে পারব আমাদের অংশগ্রহণ আছে। সংসদ হচ্ছে সকল কর্মকাণ্ডের মূল। আর সেই সংসদের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না এটা খুবই দুঃখজনক।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, ‘ওয়েস্ট মিনিস্টার ফরম অব গভর্নমেন্ট যেখানে প্রধানমন্ত্রী সর্বময়। তিনি সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন, নারীকে পুরুষ বানানো ছাড়া আর পুরুষকে নারী বানানো ছাড়া! যদি সেটা মেনে নিয়ে এই আইন করে তাহলে ঠিক আছে। তবে রাষ্ট্রপতি শব্দটা কেন আনলাম, রাষ্ট্রপতি শব্দটা কেন দিলাম। আর যদি প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্ষমতার একটা অংশ রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে দেবেন যেটা সংবিধানের ৪৮ (৩)-এ দুটি ক্ষমতা দেওয়া আছে। তার সঙ্গে আর একটি ক্ষমতা দেবেন তাহলে সেটি স্পষ্ট করে বলতে হবে। অর্থাৎ অনুচ্ছেদ (৪৮), (৯৫) এবং (৫৬)-এর রেফারেন্স আছে, তার সঙ্গে ১১৮ যুক্ত করতে হবে। সংবিধান সংশোধন না করে এই আইন করা অসাংবিধানিক হবে।’
রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘সংবিধানে সুস্পষ্ট অনুচ্ছেদের আলোকে আইন করার উদ্যোগ নেয়নি। তাড়াতাড়ি এই আইন পাস করা ঠিক হবে না। তাহলে আবারও দেশে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হবে।’
বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আইনের ব্যাপারে জনগণের ধারণা একেবারে সুস্পষ্ট যে, সরকার আইন প্রণয়নের নামে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করছে। কোনো সন্দেহ নাই যে, আইনটির সঙ্গে ২০১৭ সালে ২৫ জানুয়ারি যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন তার সঙ্গে খুব একটা অমিল নাই।’
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না বলে উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘অবশ্যই আইনটি ৪৮ (৩)-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিতর্কের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিতর্কের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। এই ব্যক্তিগুলো সকলেই প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগপ্রাপ্ত। তাই প্রধানমন্ত্রীর আনুগত্য করাই একেবারে দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করবেন না। জনগণ হতাশ, জনগণ এটি চায় না। জনগণের দাবি হচ্ছে, অবশ্যই একটি তত্ত্বাবধায়ক এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন বাধ্যতামূলক। কিন্তু সব অংশীজনের মতামত ছাড়া তাড়াহুড়ো করে এত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আইন পাস করা আই ওয়াশের বেশি কিছু নয়। এই আইন যে শুধু বিএনপি বা অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রত্যাখ্যান করেছে তাই নয়, সুশীল সমাজ, আইনজ্ঞ, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকেই এটির কঠোর সমালোচনা করেছে।’
বিএনপির এ এমপি আরও বলেন, ‘খসড়া আইনটির সঙ্গে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে কোনো পার্থক্য নেই বললেই চলে। এই কমিটিতে সরকারি দল সংসদের প্রধান বিরোধী দল, তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে একজন করে প্রতিনিধি যদি থাকত তাহলে স্বচ্ছতা থাকত। এখনকার মতো সেটিও কোনো স্বাধীন কমিশন হবে না হবে সরকারের নির্বাচন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নিয়োগটি দিন শেষে হবে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে। কমিশন গঠন করছেন নাকি সরকারের পছন্দের লোকদের বসাচ্ছেন সেটি স্পষ্ট নয়। সুতরাং সার্চ কমিটি গঠন থেকে কমিশন গঠন পর্যন্ত পুরোটাই অস্পষ্ট।’
গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান বলেন, ‘দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল সংবিধানের আলোকে এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে যেখানে দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত দলগুলোকে ডেকেছিলেন, আমরা সেখানে ১৭ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার আলোকে দাবি উত্থাপন করেছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম, রাষ্ট্রপতি এবার হয়তো ব্যতিক্রম কিছু করবেন। কিন্তু যারা সংলাপে গিয়েছিলেন তাঁরা এই ধরনের আইন চান নাই। মানুষ তার আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশা থেকে বঞ্চিত হবে।’
নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাস হলো ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ ’। নতুন এই আইনকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা বলছেন, এ আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন শতভাগ আমলানির্ভর হবে। এভাবে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হলেও তাতে বিতর্ক বন্ধ হবে না।
জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে সংসদে এ বিল নিয়ে আলোচনা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, পীর ফজলুর রহমান, বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।
তবে তাঁদের আপত্তি অভিযোগ মানতে নারাজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলীয় সাংসদদের ২২টি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করে কণ্ঠভোটে ইসি আইন পাস হয়।
জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম বলেন, ‘আইনমন্ত্রী অনেক আগেই বলেছিলেন, ইসি নিয়োগের আইন করতে অনেক সময় লাগবে। কারণ উনি বুঝেছিলেন সময় কেন লাগবে? সেটা লাগবে কারণ সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধান সংশোধন না করে, ৪৮-এর ৩ ধারা বাইপাস করে কোনো আইন তৈরি করা যাবে না। যদি সেটা হয় তাহলে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। সময় লাগবে এটা উনি বুঝেই বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি কণ্ঠভোটে পাস করিয়ে দেন তাহলে এটা সব থেকে বাজে উদাহরণ হবে।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বিলটা গণতান্ত্রিকভাবে আসুক। এই বিল আনার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মতো শতভাগ আমলানির্ভর হবে নির্বাচন কমিশন। এখনো যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতেও বিচারপতি। দেশে কি বিচারপতি আর আমলা ছাড়া বিশ্বাস করার মতো মানুষ নাই? রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কি বিশ্বাস করেন না? স্পিকারকে বিশ্বাস করেন না? সংসদ সদস্যদের কি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়?’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় সাংবিধানিক পদের লোকগুলো সাংবিধানিক কাউন্সিল করে নিয়োগ করতে পারে। নেপালেও একই অবস্থা। কেন আমরা না। আপনাদের (আওয়ামী লীগ) তো সেনানিবাসে জন্ম হয় নাই। দেশ স্বাধীন করার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। আপনারা কেন বিচারপতি আর আমলাদের ওপর নির্ভর করবেন?’
তিনি বলেন, ‘এই বিলের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি রাখেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কর্তৃক যে দুই জন সেখানে, আমরা নিশ্চিত কোনো আমলাই দেওয়া হবে। সেই দুজনের নিয়োগের ভার রাষ্ট্রপতির হাতে না দিয়ে স্পিকারকে দায়িত্ব দেন। আর সংসদের দুজন সদস্যকে যেন রাখা হয়। তাতে কিছুটা হলেও আমরা বলতে পারব আমাদের অংশগ্রহণ আছে। সংসদ হচ্ছে সকল কর্মকাণ্ডের মূল। আর সেই সংসদের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না এটা খুবই দুঃখজনক।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, ‘ওয়েস্ট মিনিস্টার ফরম অব গভর্নমেন্ট যেখানে প্রধানমন্ত্রী সর্বময়। তিনি সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন, নারীকে পুরুষ বানানো ছাড়া আর পুরুষকে নারী বানানো ছাড়া! যদি সেটা মেনে নিয়ে এই আইন করে তাহলে ঠিক আছে। তবে রাষ্ট্রপতি শব্দটা কেন আনলাম, রাষ্ট্রপতি শব্দটা কেন দিলাম। আর যদি প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্ষমতার একটা অংশ রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে দেবেন যেটা সংবিধানের ৪৮ (৩)-এ দুটি ক্ষমতা দেওয়া আছে। তার সঙ্গে আর একটি ক্ষমতা দেবেন তাহলে সেটি স্পষ্ট করে বলতে হবে। অর্থাৎ অনুচ্ছেদ (৪৮), (৯৫) এবং (৫৬)-এর রেফারেন্স আছে, তার সঙ্গে ১১৮ যুক্ত করতে হবে। সংবিধান সংশোধন না করে এই আইন করা অসাংবিধানিক হবে।’
রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘সংবিধানে সুস্পষ্ট অনুচ্ছেদের আলোকে আইন করার উদ্যোগ নেয়নি। তাড়াতাড়ি এই আইন পাস করা ঠিক হবে না। তাহলে আবারও দেশে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হবে।’
বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আইনের ব্যাপারে জনগণের ধারণা একেবারে সুস্পষ্ট যে, সরকার আইন প্রণয়নের নামে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করছে। কোনো সন্দেহ নাই যে, আইনটির সঙ্গে ২০১৭ সালে ২৫ জানুয়ারি যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন তার সঙ্গে খুব একটা অমিল নাই।’
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না বলে উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘অবশ্যই আইনটি ৪৮ (৩)-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিতর্কের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিতর্কের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। এই ব্যক্তিগুলো সকলেই প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগপ্রাপ্ত। তাই প্রধানমন্ত্রীর আনুগত্য করাই একেবারে দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করবেন না। জনগণ হতাশ, জনগণ এটি চায় না। জনগণের দাবি হচ্ছে, অবশ্যই একটি তত্ত্বাবধায়ক এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন বাধ্যতামূলক। কিন্তু সব অংশীজনের মতামত ছাড়া তাড়াহুড়ো করে এত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আইন পাস করা আই ওয়াশের বেশি কিছু নয়। এই আইন যে শুধু বিএনপি বা অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রত্যাখ্যান করেছে তাই নয়, সুশীল সমাজ, আইনজ্ঞ, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকেই এটির কঠোর সমালোচনা করেছে।’
বিএনপির এ এমপি আরও বলেন, ‘খসড়া আইনটির সঙ্গে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে কোনো পার্থক্য নেই বললেই চলে। এই কমিটিতে সরকারি দল সংসদের প্রধান বিরোধী দল, তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে একজন করে প্রতিনিধি যদি থাকত তাহলে স্বচ্ছতা থাকত। এখনকার মতো সেটিও কোনো স্বাধীন কমিশন হবে না হবে সরকারের নির্বাচন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নিয়োগটি দিন শেষে হবে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে। কমিশন গঠন করছেন নাকি সরকারের পছন্দের লোকদের বসাচ্ছেন সেটি স্পষ্ট নয়। সুতরাং সার্চ কমিটি গঠন থেকে কমিশন গঠন পর্যন্ত পুরোটাই অস্পষ্ট।’
গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান বলেন, ‘দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল সংবিধানের আলোকে এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে যেখানে দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত দলগুলোকে ডেকেছিলেন, আমরা সেখানে ১৭ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার আলোকে দাবি উত্থাপন করেছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম, রাষ্ট্রপতি এবার হয়তো ব্যতিক্রম কিছু করবেন। কিন্তু যারা সংলাপে গিয়েছিলেন তাঁরা এই ধরনের আইন চান নাই। মানুষ তার আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশা থেকে বঞ্চিত হবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্ট চালিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেপতিত সরকার সংখ্যা বানানোর খেলায়ও মেতে উঠেছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতি-সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রণয়ন জাতীয় কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, সংখ্যা বদলে ফেলে তারা ভোটের ফল ঠিক করত। মুদ্রাস্ফীতিসহ বিভিন্ন উপাত্তের সংখ্যা বদলে ফেলে তারা দেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষের চোখে...
৩ ঘণ্টা আগে