নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈশ্বিক এ সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল, কৃষি ও শিল্প উৎপাদন সচল, বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা, সাধারণ মানুষের আয় ও জীবিকা ধরে রাখাই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (একাংশ)। বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের ধাক্কা মোকাবিলায় এবং ভবিষ্যতের যে কোনো সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি আগামী ছয় মাসের জন্য সরকারকে বিশেষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলে মনে করছে দলটি।
আজ শুক্রবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় সরকারের প্রতি এমন পরামর্শ দেন দলটির নেতারা। দলীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশগ্রহণ করেন সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, আফরোজা হক রীনা, আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন ও ওবায়দুর রহমান চুন্নু।
দলটি মনে করে মহামারি করোনার অভিঘাত কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপরিণামদর্শী নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে খাদ্যশস্য, জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য, নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের আন্তর্জাতিক বাজার ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মত বাংলাদেশের মানুষের জীবনেও সংকট ও দুর্ভোগ বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক সংকট বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে বর্তমানে যে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে সেটা মোকাবিলা করা সম্ভব এবং এই সক্ষমতা জাতীয় অর্থনীতির আছে বলে মনে করছে দলটি। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন অস্থিরতা ও দিশেহারা ভাব পরিহার করা। সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খলা দূর করা।
বর্তমান সংকটের প্রকৃত হিসাব-নিকাশ, সমীক্ষা, চিত্র এবং এগুলোর সমাধানের বাস্তব ও যৌক্তিক পথ ও উপায় কি? তা সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের সামনে সুস্পষ্ট, স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়নি বলে মনে করে জাসদ। দলটি মনে করে, সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কথাবার্তায় অস্থিরতা, দিশেহারা ভাব, সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খলারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
গণমাধ্যমও সংকটের প্রকৃত চিত্র ও সমাধানের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয় তুলে ধরার চেয়ে সংকটের ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কাকেই ফলাও করে তুলে ধরছে বলে দাবি জাসদের। দলটি মনে করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভুল তথ্য, অপ তথ্য, আংশিক তথ্য, মিথ্যা প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত ব্যক্তিরাও সংকট সমাধানের সুনির্দিষ্ট পথ দেখানোর বদলে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একতরফা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপি-জামাতসহ কতিপয় দল সংকট সমাধানের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্টকে পুঁজি করে সরকার উৎখাত ও ক্ষমতা দখলের জঘন্য অমানবিক রাজনীতি করছে বলে দাবি জাসদের।
সংকট মোকাবিলায় ছয়টি প্রস্তাব হল:
১. সরকারকে অস্থিরতা ও দিশেহারা ভাব ঝেড়ে ফেলে বর্তমান সংকটের প্রকৃত হিসাব-নিকাশ, সমীক্ষা, চিত্র এবং এগুলোর সমাধানের বাস্তব ও যৌক্তিক পথ এবং উপায় সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের সামনে সুস্পষ্ট, স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা।
২. আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য উঠানামায় অস্থির হয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত কৃষি ও শিল্প উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জনপরিবহন ও পরিবহনসহ সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে। ফলে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রাজস্ব আয় সামান্য বাড়লেও সামগ্রিক অর্থনীতিতে সেই রাজস্ব আয়ের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণ বেশি। তাই আগামী ছয় মাসের জন্য জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। জ্বালানি তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার এবং প্রয়োজনে বাজেটের বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ সমন্বয় করে জ্বালানি খাত, কৃষি খাত, সারের দাম কমাতে ভর্তুকি দিতে হবে।
৩. জ্বালানি খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর আত্মঘাতী পথ থেকে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি রাজস্ব বাড়ানোর জন্য সম্পদের ওপর সরাসরি কর বৃদ্ধি, কর-ভ্যাট আদায়ে অটোমেশন চালু, জাতীয় পরিচয়পত্র ও গণশুনানির তথ্য ধরে করের আওতায় বহির্ভূত কর ফাঁকিদাতাদের চিহ্নিত করে করের আওতায় আনা, দেশের নয় লক্ষ হাট-বাজারের করের আওতাভুক্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে করের আওতায় আনতে হবে।
৪. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান বাস্তব চিত্র স্বচ্ছ ও সুস্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরে এ খাতে নীতি-কৌশলগত ভুল ত্রুটি, সমন্বয়হীনতা, অপচয়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অলাভজনক ব্যয়, পদ্ধতিগত লোকসান, দুর্নীতি, লুটপাটের যত অভিযোগ সামনে এসেছে সেগুলোর যৌক্তিক জবাব দিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতির পুনর্মূল্যায়ন করে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। তার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে পুনর্গঠন করতে হবে।
৫. ‘বিলাস দ্রব্য’, ‘অপ্রয়োজনীয় আমদানির সংজ্ঞা’ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে ডলার সহ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের ঘোষণা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন, ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় ও বিক্রয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক বাজারে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে তা কঠোরভাবে দূর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে হবে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে রেমিট্যান্সের ওপর প্রদত্ত প্রণোদনা ২% থেকে ৩% এ উন্নীত করতে হবে। ডলারের মূল্য নির্ধারণ খোলা বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে হবে। প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যে ডলারের বিকল্প হিসাবে দেশীয়/স্থানীয়/গ্রহণযোগ্য মুদ্রা ব্যবহারের বিকল্প পথ গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংকের সুদ হার পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
৬. নিরুপায় ও অসহায়, আয়হীন, কর্মহীন মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাত ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রসারিত করতে হবে। নিম্ন আয়, স্বল্প আয়, সীমিত আয়ের মানুষদের ক্রয় ক্ষমতা ধরে রাখতে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। টিসিবির মাধ্যমে ‘খোলা বিক্রয়’ ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। কল-কারখানা-শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
জাসদ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলা করেছেন, জাতীয় অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী ধারায় পরিচালিত করেছেন-সেই প্রজ্ঞা ও সাহস নিয়ে আন্তর্জাতিক সংকটে জাতীয় অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী ধারায় পরিচালিত করেছেন-সেই প্রজ্ঞা ও সাহস নিয়ে আন্তর্জাতিক সংকটে জাতীয় অর্থনীতিতে যে সাময়িক বাড়তে চাপ তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করে জনগণকে স্বস্তি প্রদানে তাঁর সক্ষমতা প্রদর্শনে সফল হবেন।
বৈশ্বিক এ সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল, কৃষি ও শিল্প উৎপাদন সচল, বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা, সাধারণ মানুষের আয় ও জীবিকা ধরে রাখাই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (একাংশ)। বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের ধাক্কা মোকাবিলায় এবং ভবিষ্যতের যে কোনো সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি আগামী ছয় মাসের জন্য সরকারকে বিশেষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলে মনে করছে দলটি।
আজ শুক্রবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় সরকারের প্রতি এমন পরামর্শ দেন দলটির নেতারা। দলীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশগ্রহণ করেন সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, আফরোজা হক রীনা, আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন ও ওবায়দুর রহমান চুন্নু।
দলটি মনে করে মহামারি করোনার অভিঘাত কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপরিণামদর্শী নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে খাদ্যশস্য, জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য, নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের আন্তর্জাতিক বাজার ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মত বাংলাদেশের মানুষের জীবনেও সংকট ও দুর্ভোগ বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক সংকট বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে বর্তমানে যে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে সেটা মোকাবিলা করা সম্ভব এবং এই সক্ষমতা জাতীয় অর্থনীতির আছে বলে মনে করছে দলটি। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন অস্থিরতা ও দিশেহারা ভাব পরিহার করা। সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খলা দূর করা।
বর্তমান সংকটের প্রকৃত হিসাব-নিকাশ, সমীক্ষা, চিত্র এবং এগুলোর সমাধানের বাস্তব ও যৌক্তিক পথ ও উপায় কি? তা সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের সামনে সুস্পষ্ট, স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়নি বলে মনে করে জাসদ। দলটি মনে করে, সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কথাবার্তায় অস্থিরতা, দিশেহারা ভাব, সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খলারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
গণমাধ্যমও সংকটের প্রকৃত চিত্র ও সমাধানের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয় তুলে ধরার চেয়ে সংকটের ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কাকেই ফলাও করে তুলে ধরছে বলে দাবি জাসদের। দলটি মনে করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভুল তথ্য, অপ তথ্য, আংশিক তথ্য, মিথ্যা প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত ব্যক্তিরাও সংকট সমাধানের সুনির্দিষ্ট পথ দেখানোর বদলে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একতরফা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপি-জামাতসহ কতিপয় দল সংকট সমাধানের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্টকে পুঁজি করে সরকার উৎখাত ও ক্ষমতা দখলের জঘন্য অমানবিক রাজনীতি করছে বলে দাবি জাসদের।
সংকট মোকাবিলায় ছয়টি প্রস্তাব হল:
১. সরকারকে অস্থিরতা ও দিশেহারা ভাব ঝেড়ে ফেলে বর্তমান সংকটের প্রকৃত হিসাব-নিকাশ, সমীক্ষা, চিত্র এবং এগুলোর সমাধানের বাস্তব ও যৌক্তিক পথ এবং উপায় সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের সামনে সুস্পষ্ট, স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা।
২. আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য উঠানামায় অস্থির হয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত কৃষি ও শিল্প উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জনপরিবহন ও পরিবহনসহ সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে। ফলে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রাজস্ব আয় সামান্য বাড়লেও সামগ্রিক অর্থনীতিতে সেই রাজস্ব আয়ের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণ বেশি। তাই আগামী ছয় মাসের জন্য জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। জ্বালানি তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার এবং প্রয়োজনে বাজেটের বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ সমন্বয় করে জ্বালানি খাত, কৃষি খাত, সারের দাম কমাতে ভর্তুকি দিতে হবে।
৩. জ্বালানি খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর আত্মঘাতী পথ থেকে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি রাজস্ব বাড়ানোর জন্য সম্পদের ওপর সরাসরি কর বৃদ্ধি, কর-ভ্যাট আদায়ে অটোমেশন চালু, জাতীয় পরিচয়পত্র ও গণশুনানির তথ্য ধরে করের আওতায় বহির্ভূত কর ফাঁকিদাতাদের চিহ্নিত করে করের আওতায় আনা, দেশের নয় লক্ষ হাট-বাজারের করের আওতাভুক্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে করের আওতায় আনতে হবে।
৪. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান বাস্তব চিত্র স্বচ্ছ ও সুস্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরে এ খাতে নীতি-কৌশলগত ভুল ত্রুটি, সমন্বয়হীনতা, অপচয়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অলাভজনক ব্যয়, পদ্ধতিগত লোকসান, দুর্নীতি, লুটপাটের যত অভিযোগ সামনে এসেছে সেগুলোর যৌক্তিক জবাব দিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতির পুনর্মূল্যায়ন করে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। তার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে পুনর্গঠন করতে হবে।
৫. ‘বিলাস দ্রব্য’, ‘অপ্রয়োজনীয় আমদানির সংজ্ঞা’ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে ডলার সহ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের ঘোষণা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন, ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় ও বিক্রয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক বাজারে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে তা কঠোরভাবে দূর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে হবে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে রেমিট্যান্সের ওপর প্রদত্ত প্রণোদনা ২% থেকে ৩% এ উন্নীত করতে হবে। ডলারের মূল্য নির্ধারণ খোলা বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে হবে। প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যে ডলারের বিকল্প হিসাবে দেশীয়/স্থানীয়/গ্রহণযোগ্য মুদ্রা ব্যবহারের বিকল্প পথ গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংকের সুদ হার পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
৬. নিরুপায় ও অসহায়, আয়হীন, কর্মহীন মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাত ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রসারিত করতে হবে। নিম্ন আয়, স্বল্প আয়, সীমিত আয়ের মানুষদের ক্রয় ক্ষমতা ধরে রাখতে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। টিসিবির মাধ্যমে ‘খোলা বিক্রয়’ ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। কল-কারখানা-শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
জাসদ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলা করেছেন, জাতীয় অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী ধারায় পরিচালিত করেছেন-সেই প্রজ্ঞা ও সাহস নিয়ে আন্তর্জাতিক সংকটে জাতীয় অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী ধারায় পরিচালিত করেছেন-সেই প্রজ্ঞা ও সাহস নিয়ে আন্তর্জাতিক সংকটে জাতীয় অর্থনীতিতে যে সাময়িক বাড়তে চাপ তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করে জনগণকে স্বস্তি প্রদানে তাঁর সক্ষমতা প্রদর্শনে সফল হবেন।
বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নামে যৌথভাবে একটি উদ্যোগ শুরু করেছে ভ্যাটিকান। বিশ্ব মানবতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে ‘পোপ ফ্রান্সিস থ্রি জিরোস ক্লাব’—নামের উদ্যোগটি চালু
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি দেয়নি হেফাজতে ইসলাম বরং মুসলিমদের উত্তেজিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হেফাজত দায়িত্ব নিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম আর নেই। আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
৪ ঘণ্টা আগেহোটেল সোনারগাঁওয়ে চলছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধিসহ ৮০০ শোর অংশগ্রহণকারী রয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে