অনলাইন ডেস্ক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভা ৩৭ সদস্যের নাম গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ছাড়া নতুন সরকারে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁরা শপথ নেবেন। তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের।
নতুন মন্ত্রিসভায় রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল ও বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলেরও প্রাধান্য রয়েছে।
বিভাগের হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাধান্য বেশি। ঢাকা জেলায় চারজন পূর্ণমন্ত্রীর সঙ্গে আছে দুজন প্রতিমন্ত্রী। এর বাইরে এই বিভাগে গোপালগঞ্জ দুটি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ একটিসহ মোট ১০টি পূর্ণমন্ত্রী পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও ঢাকা বিভাগের প্রাধান্য বেশি। ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ঢাকা ও গাজীপুরের আছেন দুজন এবং টাঙ্গাইলে একজন মিলে ঢাকা বিভাগেরই আছেন ৫ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে বৃহত্তর কুমিল্লায় চারটি, নোয়াখালীতে একটি এবং চট্টগ্রাম জেলায় দুটিসহ মন্ত্রিত্ব মিলেছে সাতটি। বিদায়ী সরকারে সিলেটের গুরুত্ব এবার অনেকে কম। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের একই অবস্থা। এর বাইরে রংপুর, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ দুটি করে মন্ত্রিত্ব পেয়েছে। বরিশাল বিভাগ একটিও পায়নি।
উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর ও নাটোর, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বরিশাল ও পটুয়াখালীতে একজন করে প্রতিমন্ত্রী এবং সিলেট ও খাগড়াছড়িতে আছেন একজন করে।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ছড়াছড়ি ঢাকায়
রাজধানীর ১৬টি আসনের মধ্যে তিনটির সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২) ও জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন।
রাজধানীর সংসদ সদস্যদের মধ্যে সদ্য বিদায়ী সরকারের একমাত্র মন্ত্রী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন আসাদুজ্জামান। সম্ভবত নিজের পোর্টফোলিও তিনি ধরে রাখবেন।
সাবের হোসেন আওয়ামী লীগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, এর আগে উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার তাঁকে মন্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা।
পুরান ঢাকার টিকাটুলিতে বেড়ে ওঠা ইয়াফেস ওসমানের টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রিসভায় ফিরছেন। গত মেয়াদের আগে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সেই হিসাবে ঢাকা শহর থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন চারজন।
এ ছাড়া দুটি প্রতিমন্ত্রীও পাচ্ছে রাজধানী। ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবার মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে প্রতিমন্ত্রী করছেন শেখ হাসিনা। বিদায়ী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পোর্টফোলিও জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ঢাকা-৩ আসনের নসরুল হামিদ এবারও থাকছেন।
গাজীপুর-১ আসনের এমপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবারও পদ ধরে রেখেছেন। নতুন দুজন প্রতিমন্ত্রী পেয়েছে গাজীপুর। তাঁরা হলেন গাজীপুর-৩ আসনের রুমানা আলী ও গাজীপুর-৪ আসনের সিমিন হোসেন রিমি।
বৃহত্তর ঢাকার মধ্যে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের কেউ মন্ত্রিত্ব পাননি। নরসিংদী-৪ আসনের নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন নতুন সরকারেও মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন।
ঢাকা বিভাগে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য বর্তমানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় এ জেলার কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না।
টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটো প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁর বাবা মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৯ (সে সময়ের ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
প্রাধান্য বৃহত্তর ফরিদপুরের
নতুন সরকারে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী পেতে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য। গোপালগঞ্জ-১ আসনের ফারুক খান মন্ত্রিত্ব ফিরে পেয়েছেন।
এ ছাড়া ফরিদপুর-১ আসনের মো. আব্দুর রহমান এবং রাজবাড়ী-২ আসনের জিল্লুল হাকিম মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিদায়ী সরকারে শেখ হাসিনা একাই এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
বৃহত্তর কুমিল্লাও পিছিয়ে নেই, চট্টগ্রাম নগর পেল মন্ত্রী
বিদায়ী সরকারে বৃহত্তর কুমিল্লা থেকে চার মন্ত্রী নতুন সরকারেও থাকছে। তবে কুমিল্লা থেকে একটি কমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি যোগ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনিসুল হক ও র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কুমিল্লার তাজুল ইসলাম ও চাঁদপুরের দীপু মনি আছেন।
কুমিল্লা-৯ আসনের বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তাজুল ইসলাম পদ ধরে রেখেছেন। চাঁদপুর-৩ আসনের দীপু মনিও মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হকও তাই। এবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
বিদায়ী সরকারে চট্টগ্রাম মহানগরে কোনো পূর্ণমন্ত্রী ছিল না। চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। তিনি এক লাফে হয়ে যাচ্ছেন মন্ত্রী।
চট্টগ্রাম-৭ আসনের হাছান মাহমুদ গত পাঁচ বছরে সামলেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়। আবারও তিনি মন্ত্রিত্ব পেতে যাচ্ছেন। এবার নতুন মন্ত্রিসভায় ঢুকছেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তবে পূর্ণমন্ত্রী নন, তিনি হতে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের সংসদ সদস্য হিসেবে গত তিন মেয়াদে একমাত্র মন্ত্রী ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালী-৫ আসনের এই এমপি এবারও আছেন।
এ অঞ্চলে এবারও তিনি একমাত্র মন্ত্রী। এই জেলার ছয়টি আসনের অন্য কাউকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। লক্ষ্মীপুর ও ফেনী থেকেও কাউকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি।
মন্ত্রিসভায় উত্তরের মুখ কমল
বিদায়ী সরকারে উত্তরবঙ্গ তথা রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের চারজন মন্ত্রী এবং তিনজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নতুন মন্ত্রিসভায় দুই বিভাগ মিলিয়ে মন্ত্রী আছেন দুজন। প্রতিমন্ত্রী আছেন কেবল একজন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গের চার মন্ত্রীর মধ্যে শুধু নওগাঁর সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্যমন্ত্রী) টিকে আছেন। তাঁর সঙ্গে এবার যোগ দিচ্ছেন নবম সংসদ নির্বাচনের পরের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪)।
তিন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও জুনাইদ আহমেদ পলক নতুন মন্ত্রিসভায় আছেন। এবার রংপুর জেলায় কেউ মন্ত্রিত্ব পাননি। বগুড়া ও জয়পুরহাটেও মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নেই কোনো।
রাজশাহী বিভাগে কেবল নওগাঁ একটি মন্ত্রী ও একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ পেয়েছে। রাজশাহী জেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জেও কারও ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি। বৃহত্তর পাবনাও কোনো মন্ত্রিত্ব পেল না।
ময়মনসিংহ ফিরে পেল মন্ত্রী
বিদায়ী সরকারে এ বিভাগের চার জেলার সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো মন্ত্রী ছিল না। তবে টেকনোক্র্যাট হিসেবে নেত্রকোনার মোস্তাফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। বিদায়ী সরকারে ময়মনসিংহের দুজন, জামালপুরের দুজন এবং ময়মনসিংহের একজন ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
তবে এবার এই বিভাগের দুই এমপি মন্ত্রী হচ্ছেন। তাঁরা হলেন ময়মনসিংহ-৯ আসন থেকে নির্বাচিত আব্দুস সালাম এবং জামালপুর-২ আসনের মো. ফরিদুল হক খান। বিদায়ী সরকারে ফরিদুল ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। এবার এ বিভাগে কোনো প্রতিমন্ত্রী নেই।
মন্ত্রী পেল খুলনা বিভাগ
বিদায়ী সরকারে গোটা বিভাগের ১০টি জেলায় কাউকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার দুজন মন্ত্রী পেতে যাচ্ছে বিভাগটি। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রথমে প্রতিমন্ত্রী ও পরে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে সরকারের পরের মেয়াদে মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তিনি।
মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন গত পাঁচ বছর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি পুরো মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
চার মন্ত্রী হারিয়ে এক মন্ত্রী পেল সিলেট
সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্যরা টানা চারটি সরকারে পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। এবার ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বাদ পড়েছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী সিলেট-৪ আসনের ইমরান আহমেদ বাদ পড়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। জোর গুঞ্জন ছিল, তিনি এবার অর্থমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু দেখা গেল তিনি বাদই পড়ে গেছেন। আর মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন বিদায়ী সরকারে সামলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তাকেও রাখা হয়নি নতুন সরকারে।
এই বিভাগ থেকে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হচ্ছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। আর সিলেটের বিশ্বনাথের সন্তান চিকিৎসক সামন্তলাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হচ্ছেন। পৈতৃক বাড়ি সিলেট হলেও তাঁর পরিচিতি ঢাকা শহর ঘিরেই। সেই হিসেবে সিলেটবাসী একটি মন্ত্রী পাওয়ার কথা ভাবতেও পারে।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের কাছে হারার পর দুবারের সংসদ সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়েছেন। এবার সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত শফিকুর রহমান চৌধুরী হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী।
বরিশাল বিভাগ এবারও মন্ত্রীশূন্য
বিদায়ী সরকারের মতো এবারও বরিশাল বিভাগের কাউকে মন্ত্রী করা হচ্ছে না। তবে বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক নতুন সরকারেও প্রতিমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
আর প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় ঢুকতে যাচ্ছেন পটুয়াখালী-৪ আসনের মহিবুর রহমান। এই বিভাগের বাকি জেলা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি।
বিদায়ী সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় বরিশাল অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকজন পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভা ৩৭ সদস্যের নাম গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ছাড়া নতুন সরকারে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁরা শপথ নেবেন। তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের।
নতুন মন্ত্রিসভায় রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল ও বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলেরও প্রাধান্য রয়েছে।
বিভাগের হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাধান্য বেশি। ঢাকা জেলায় চারজন পূর্ণমন্ত্রীর সঙ্গে আছে দুজন প্রতিমন্ত্রী। এর বাইরে এই বিভাগে গোপালগঞ্জ দুটি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ একটিসহ মোট ১০টি পূর্ণমন্ত্রী পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও ঢাকা বিভাগের প্রাধান্য বেশি। ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ঢাকা ও গাজীপুরের আছেন দুজন এবং টাঙ্গাইলে একজন মিলে ঢাকা বিভাগেরই আছেন ৫ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে বৃহত্তর কুমিল্লায় চারটি, নোয়াখালীতে একটি এবং চট্টগ্রাম জেলায় দুটিসহ মন্ত্রিত্ব মিলেছে সাতটি। বিদায়ী সরকারে সিলেটের গুরুত্ব এবার অনেকে কম। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের একই অবস্থা। এর বাইরে রংপুর, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ দুটি করে মন্ত্রিত্ব পেয়েছে। বরিশাল বিভাগ একটিও পায়নি।
উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর ও নাটোর, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বরিশাল ও পটুয়াখালীতে একজন করে প্রতিমন্ত্রী এবং সিলেট ও খাগড়াছড়িতে আছেন একজন করে।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ছড়াছড়ি ঢাকায়
রাজধানীর ১৬টি আসনের মধ্যে তিনটির সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২) ও জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন।
রাজধানীর সংসদ সদস্যদের মধ্যে সদ্য বিদায়ী সরকারের একমাত্র মন্ত্রী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন আসাদুজ্জামান। সম্ভবত নিজের পোর্টফোলিও তিনি ধরে রাখবেন।
সাবের হোসেন আওয়ামী লীগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, এর আগে উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার তাঁকে মন্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা।
পুরান ঢাকার টিকাটুলিতে বেড়ে ওঠা ইয়াফেস ওসমানের টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রিসভায় ফিরছেন। গত মেয়াদের আগে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সেই হিসাবে ঢাকা শহর থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন চারজন।
এ ছাড়া দুটি প্রতিমন্ত্রীও পাচ্ছে রাজধানী। ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবার মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে প্রতিমন্ত্রী করছেন শেখ হাসিনা। বিদায়ী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পোর্টফোলিও জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ঢাকা-৩ আসনের নসরুল হামিদ এবারও থাকছেন।
গাজীপুর-১ আসনের এমপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবারও পদ ধরে রেখেছেন। নতুন দুজন প্রতিমন্ত্রী পেয়েছে গাজীপুর। তাঁরা হলেন গাজীপুর-৩ আসনের রুমানা আলী ও গাজীপুর-৪ আসনের সিমিন হোসেন রিমি।
বৃহত্তর ঢাকার মধ্যে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের কেউ মন্ত্রিত্ব পাননি। নরসিংদী-৪ আসনের নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন নতুন সরকারেও মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন।
ঢাকা বিভাগে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য বর্তমানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় এ জেলার কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না।
টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটো প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁর বাবা মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৯ (সে সময়ের ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
প্রাধান্য বৃহত্তর ফরিদপুরের
নতুন সরকারে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী পেতে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য। গোপালগঞ্জ-১ আসনের ফারুক খান মন্ত্রিত্ব ফিরে পেয়েছেন।
এ ছাড়া ফরিদপুর-১ আসনের মো. আব্দুর রহমান এবং রাজবাড়ী-২ আসনের জিল্লুল হাকিম মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিদায়ী সরকারে শেখ হাসিনা একাই এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
বৃহত্তর কুমিল্লাও পিছিয়ে নেই, চট্টগ্রাম নগর পেল মন্ত্রী
বিদায়ী সরকারে বৃহত্তর কুমিল্লা থেকে চার মন্ত্রী নতুন সরকারেও থাকছে। তবে কুমিল্লা থেকে একটি কমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি যোগ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনিসুল হক ও র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কুমিল্লার তাজুল ইসলাম ও চাঁদপুরের দীপু মনি আছেন।
কুমিল্লা-৯ আসনের বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তাজুল ইসলাম পদ ধরে রেখেছেন। চাঁদপুর-৩ আসনের দীপু মনিও মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হকও তাই। এবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
বিদায়ী সরকারে চট্টগ্রাম মহানগরে কোনো পূর্ণমন্ত্রী ছিল না। চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। তিনি এক লাফে হয়ে যাচ্ছেন মন্ত্রী।
চট্টগ্রাম-৭ আসনের হাছান মাহমুদ গত পাঁচ বছরে সামলেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়। আবারও তিনি মন্ত্রিত্ব পেতে যাচ্ছেন। এবার নতুন মন্ত্রিসভায় ঢুকছেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তবে পূর্ণমন্ত্রী নন, তিনি হতে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের সংসদ সদস্য হিসেবে গত তিন মেয়াদে একমাত্র মন্ত্রী ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালী-৫ আসনের এই এমপি এবারও আছেন।
এ অঞ্চলে এবারও তিনি একমাত্র মন্ত্রী। এই জেলার ছয়টি আসনের অন্য কাউকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। লক্ষ্মীপুর ও ফেনী থেকেও কাউকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি।
মন্ত্রিসভায় উত্তরের মুখ কমল
বিদায়ী সরকারে উত্তরবঙ্গ তথা রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের চারজন মন্ত্রী এবং তিনজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নতুন মন্ত্রিসভায় দুই বিভাগ মিলিয়ে মন্ত্রী আছেন দুজন। প্রতিমন্ত্রী আছেন কেবল একজন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গের চার মন্ত্রীর মধ্যে শুধু নওগাঁর সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্যমন্ত্রী) টিকে আছেন। তাঁর সঙ্গে এবার যোগ দিচ্ছেন নবম সংসদ নির্বাচনের পরের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪)।
তিন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও জুনাইদ আহমেদ পলক নতুন মন্ত্রিসভায় আছেন। এবার রংপুর জেলায় কেউ মন্ত্রিত্ব পাননি। বগুড়া ও জয়পুরহাটেও মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নেই কোনো।
রাজশাহী বিভাগে কেবল নওগাঁ একটি মন্ত্রী ও একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ পেয়েছে। রাজশাহী জেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জেও কারও ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি। বৃহত্তর পাবনাও কোনো মন্ত্রিত্ব পেল না।
ময়মনসিংহ ফিরে পেল মন্ত্রী
বিদায়ী সরকারে এ বিভাগের চার জেলার সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো মন্ত্রী ছিল না। তবে টেকনোক্র্যাট হিসেবে নেত্রকোনার মোস্তাফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। বিদায়ী সরকারে ময়মনসিংহের দুজন, জামালপুরের দুজন এবং ময়মনসিংহের একজন ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
তবে এবার এই বিভাগের দুই এমপি মন্ত্রী হচ্ছেন। তাঁরা হলেন ময়মনসিংহ-৯ আসন থেকে নির্বাচিত আব্দুস সালাম এবং জামালপুর-২ আসনের মো. ফরিদুল হক খান। বিদায়ী সরকারে ফরিদুল ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। এবার এ বিভাগে কোনো প্রতিমন্ত্রী নেই।
মন্ত্রী পেল খুলনা বিভাগ
বিদায়ী সরকারে গোটা বিভাগের ১০টি জেলায় কাউকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার দুজন মন্ত্রী পেতে যাচ্ছে বিভাগটি। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রথমে প্রতিমন্ত্রী ও পরে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে সরকারের পরের মেয়াদে মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তিনি।
মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন গত পাঁচ বছর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি পুরো মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
চার মন্ত্রী হারিয়ে এক মন্ত্রী পেল সিলেট
সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্যরা টানা চারটি সরকারে পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। এবার ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বাদ পড়েছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী সিলেট-৪ আসনের ইমরান আহমেদ বাদ পড়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। জোর গুঞ্জন ছিল, তিনি এবার অর্থমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু দেখা গেল তিনি বাদই পড়ে গেছেন। আর মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন বিদায়ী সরকারে সামলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তাকেও রাখা হয়নি নতুন সরকারে।
এই বিভাগ থেকে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হচ্ছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। আর সিলেটের বিশ্বনাথের সন্তান চিকিৎসক সামন্তলাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হচ্ছেন। পৈতৃক বাড়ি সিলেট হলেও তাঁর পরিচিতি ঢাকা শহর ঘিরেই। সেই হিসেবে সিলেটবাসী একটি মন্ত্রী পাওয়ার কথা ভাবতেও পারে।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের কাছে হারার পর দুবারের সংসদ সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়েছেন। এবার সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত শফিকুর রহমান চৌধুরী হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী।
বরিশাল বিভাগ এবারও মন্ত্রীশূন্য
বিদায়ী সরকারের মতো এবারও বরিশাল বিভাগের কাউকে মন্ত্রী করা হচ্ছে না। তবে বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক নতুন সরকারেও প্রতিমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
আর প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় ঢুকতে যাচ্ছেন পটুয়াখালী-৪ আসনের মহিবুর রহমান। এই বিভাগের বাকি জেলা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি।
বিদায়ী সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় বরিশাল অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকজন পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর প্রসঙ্গে বঙ্গোপসাগর সংলাপে ভারত ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে পরে হাস্যরসের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন দুপক্ষের আলোচকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তাঁদের সংগঠন আরএফইডির পক্ষ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট এক দিনের সফরে আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, নিরাপত্তা, বাণিজ্য সহযোগিতা ও অভিবাসনের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তাঁর এই সফর
৬ ঘণ্টা আগেসরকার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৮ ঘণ্টা আগে