নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যে নামগুলো এসেছে, সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার রাতে সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তবে কে বা কারা কোন নাম প্রস্তাব করেছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জানিয়েছেন, কে বা কারা তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছেন, তা তাঁরা জানেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এসব নাম প্রস্তাব করেছেন, তালিকায় একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার থাকতে পারে। তালিকায় ছয়জনের নাম দুবার করে পাওয়া গেছে।
এসব নামের মধ্য থেকে সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য একেকটি পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। সেখান থেকে একজনকে সিইসি ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
আজকের পত্রিকার হিসাবে ৩২২ জনের তালিকায় ১০০ জন সাবেক আমলা, ৬১ জন শিক্ষাবিদ, ৩৮ জন বিচারপতি, ২৮ জন সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, ২৬ জন আইনজীবী, ১১ জন মানবাধিকারকর্মী, ৯ জন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, ৭ জন পেশাজীবী, ৩ জন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ৪ জন সাংবাদিক, ২ জন নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা, ৪ জন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, ২ জন সুশীল সমাজের, ২ জন প্রবাসী এবং অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ১৯ জন রয়েছেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি জে আর মোদাচ্ছির হোসেন (প্রকৃত নাম জে আর মোদাচ্ছির আলী) ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম তালিকায় রয়েছে। আছেন সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ ও জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ও ছহুল হোসাইনের সঙ্গে সাবেক দুজন পুলিশপ্রধানের নামও তালিকায় রয়েছে।
শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশিদ; সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ছাড়াও সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নাম তালিকায় রয়েছে।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও মুহিবুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলির নামও তালিকায় রয়েছে।
নাম দেখে প্রতিক্রিয়া
সার্চ কমিটির তালিকায় নিজের নাম দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেখানে কীভাবে নিজের নাম গেল, সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি অনেকে। তবে নিজের অজান্তে তালিকায় নাম ওঠায় অনেকেই খুশি হয়েছেন।
পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম দিয়েছে, তা তিনি জানেন না। এরপরেও ইসিতে দায়িত্ব দেওয়া হলে যাবেন কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও জানান, দায়িত্ব পেলে তা গ্রহণ করবেন তিনি। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমানের নাম কে দিয়েছেন, তা জানেন না তিনি। মোখলেছুর রহমান বলেন, ইসিতে রাখা হলে যাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত তিনি পরে নেবেন।
তালিকায় নাম আছে শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এসবের মধ্যে যেতে চাই না।’ সাবেক অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার সারা জীবনে যা অর্জন, তা আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে খোয়াতে চাই না। অনুমতি ছাড়া এভাবে নাম দেওয়া বিব্রতকর।’ সার্চ কমিটির তালিকায় নাম ওঠার বিষয়ে অবগত আছেন সাবেক সচিব সিরাজুল হক খান। তালিকায় নাম থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার চাইতে আরও অনেক বেশি যোগ্য লোক প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছেন। আমি মনে করি, তাঁরা দায়িত্বে এলে ভালো হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘মাত্র তো নামের প্রস্তাব এসেছে, দেখা যাক কী হয়।’ অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখানে অনেক মানুষের নাম দিয়েছে। যে বা যারা আমার নাম দিয়েছে, তারা আস্থার জায়গা থেকে শিক্ষক হিসেবে হয়তো আমার নাম দিয়েছে।’
তালিকায় নাম থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে আমি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের যে বিরূপ ধারণা, তা নিরসনে যথাযথভাবে কাজ করব।’ আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান, তালিকায় নাম থাকলেও তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগ দিতে আগ্রহী নন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, তিনিও জানেন না, তাঁর নাম কে দিয়েছে। তালিকায় নাম থাকা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি আগেই জানিয়েছি, নির্বাচন কমিশনে থাকব না।’
নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনে থাকা না থাকা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। তালিকায় নাম থাকা মডেল ও নকশাকার বিবি রাসেল বলেন, দায়িত্ব পেলে তা নিতে তিনি রাজি আছেন।
তালিকায় নাম থাকলেও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের অবস্থানকে বিতর্কিত করতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ দিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গত ৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে প্রথম বৈঠকের পর সিইসি ও ইসি পদে নাম প্রস্তাব করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সার্চ কমিটির দ্বিতীয় সভার পর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে নাম আহ্বান করা হয়। গত শনি ও রোববার আইনজীবী, শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করে সার্চ কমিটি। আজ মঙ্গলবার আরও আটজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি।
এদিকে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। কবে নতুন কমিশন গঠন করা হতে পারে, সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আগেই জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। কমিশন ফাঁকা থাকলেও আইনি কোনো জটিলতা নেই।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যে নামগুলো এসেছে, সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার রাতে সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তবে কে বা কারা কোন নাম প্রস্তাব করেছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জানিয়েছেন, কে বা কারা তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছেন, তা তাঁরা জানেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এসব নাম প্রস্তাব করেছেন, তালিকায় একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার থাকতে পারে। তালিকায় ছয়জনের নাম দুবার করে পাওয়া গেছে।
এসব নামের মধ্য থেকে সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য একেকটি পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। সেখান থেকে একজনকে সিইসি ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
আজকের পত্রিকার হিসাবে ৩২২ জনের তালিকায় ১০০ জন সাবেক আমলা, ৬১ জন শিক্ষাবিদ, ৩৮ জন বিচারপতি, ২৮ জন সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, ২৬ জন আইনজীবী, ১১ জন মানবাধিকারকর্মী, ৯ জন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, ৭ জন পেশাজীবী, ৩ জন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ৪ জন সাংবাদিক, ২ জন নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা, ৪ জন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, ২ জন সুশীল সমাজের, ২ জন প্রবাসী এবং অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ১৯ জন রয়েছেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি জে আর মোদাচ্ছির হোসেন (প্রকৃত নাম জে আর মোদাচ্ছির আলী) ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম তালিকায় রয়েছে। আছেন সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ ও জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ও ছহুল হোসাইনের সঙ্গে সাবেক দুজন পুলিশপ্রধানের নামও তালিকায় রয়েছে।
শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশিদ; সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ছাড়াও সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নাম তালিকায় রয়েছে।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও মুহিবুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলির নামও তালিকায় রয়েছে।
নাম দেখে প্রতিক্রিয়া
সার্চ কমিটির তালিকায় নিজের নাম দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেখানে কীভাবে নিজের নাম গেল, সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি অনেকে। তবে নিজের অজান্তে তালিকায় নাম ওঠায় অনেকেই খুশি হয়েছেন।
পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম দিয়েছে, তা তিনি জানেন না। এরপরেও ইসিতে দায়িত্ব দেওয়া হলে যাবেন কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও জানান, দায়িত্ব পেলে তা গ্রহণ করবেন তিনি। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমানের নাম কে দিয়েছেন, তা জানেন না তিনি। মোখলেছুর রহমান বলেন, ইসিতে রাখা হলে যাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত তিনি পরে নেবেন।
তালিকায় নাম আছে শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এসবের মধ্যে যেতে চাই না।’ সাবেক অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার সারা জীবনে যা অর্জন, তা আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে খোয়াতে চাই না। অনুমতি ছাড়া এভাবে নাম দেওয়া বিব্রতকর।’ সার্চ কমিটির তালিকায় নাম ওঠার বিষয়ে অবগত আছেন সাবেক সচিব সিরাজুল হক খান। তালিকায় নাম থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার চাইতে আরও অনেক বেশি যোগ্য লোক প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছেন। আমি মনে করি, তাঁরা দায়িত্বে এলে ভালো হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘মাত্র তো নামের প্রস্তাব এসেছে, দেখা যাক কী হয়।’ অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখানে অনেক মানুষের নাম দিয়েছে। যে বা যারা আমার নাম দিয়েছে, তারা আস্থার জায়গা থেকে শিক্ষক হিসেবে হয়তো আমার নাম দিয়েছে।’
তালিকায় নাম থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে আমি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের যে বিরূপ ধারণা, তা নিরসনে যথাযথভাবে কাজ করব।’ আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান, তালিকায় নাম থাকলেও তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগ দিতে আগ্রহী নন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, তিনিও জানেন না, তাঁর নাম কে দিয়েছে। তালিকায় নাম থাকা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি আগেই জানিয়েছি, নির্বাচন কমিশনে থাকব না।’
নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনে থাকা না থাকা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। তালিকায় নাম থাকা মডেল ও নকশাকার বিবি রাসেল বলেন, দায়িত্ব পেলে তা নিতে তিনি রাজি আছেন।
তালিকায় নাম থাকলেও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের অবস্থানকে বিতর্কিত করতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ দিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গত ৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে প্রথম বৈঠকের পর সিইসি ও ইসি পদে নাম প্রস্তাব করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সার্চ কমিটির দ্বিতীয় সভার পর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে নাম আহ্বান করা হয়। গত শনি ও রোববার আইনজীবী, শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করে সার্চ কমিটি। আজ মঙ্গলবার আরও আটজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি।
এদিকে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। কবে নতুন কমিশন গঠন করা হতে পারে, সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আগেই জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। কমিশন ফাঁকা থাকলেও আইনি কোনো জটিলতা নেই।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ যেখানে দৃঢ়, সেখানে চাইলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সম্ভব হয় না। আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ-২০২৪) এর শেষ দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে এসেছে...
১ ঘণ্টা আগেশুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের একমাত্র কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সোমবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে তার কার্যালয়ে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব প্রফেসর লুইস ফ্রান্সেচির সাক্ষাৎকালে তিনি এ...
১ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিকদের পলায়নের পর, তাঁরা ভিডিও ও সাক্ষাৎকারে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়েছেন। আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড
২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশে আগের সব নিরাপত্তা পাস স্থগিত করা হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর থেকে পাসগুলোর কার্যকারিতা থাকবে না। এর পর থেকে বিমানবন্দের প্রবেশের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) ইস্যু করা এভসেক
২ ঘণ্টা আগে