বাংলাদেশকে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ১৪: ২০

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বাংলাদেশকে একটি খ্রিষ্টান দেশ বানানোর ষড়যন্ত্র এবং দেশে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের বিমানঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সেখানে। জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, তিনি জানেন না ঠিক কাদের ইঙ্গিত করে এই মন্তব্য করা হয়েছে। তবে তা যদি যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে করা হয়ে থাকে, তা সত্য নয়। 

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি কোনো চাপ ছাড়াই ক্ষমতায় থাকতে পারবেন, যদি তিনি একটি বিদেশি রাষ্ট্রকে (বাংলাদেশে) বিমানঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেন।

প্রশ্নে আরও জানতে চাওয়া হয়, তিনি (শেখ হাসিনা) আরও বলেছেন যে, বাংলাদেশকে আরেকটি পূর্ব তিমুরে পরিণত করার এবং বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি তৈরি করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অংশ নিয়ে একটি খ্রিষ্টান দেশ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারা যেহেতু অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, আইনের শাসন ও দুর্নীতি দমনের দাবি করছেন, সে ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অনেকগুলো বাণ ছুড়ছেন? 

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না এই মন্তব্যগুলোতে কাদের ইঙ্গিত করা হয়েছে। তবে যদি যুক্তরাষ্ট্রকে করা হয়ে থাকে, তাহলে আমি বলব যে, সেগুলো সত্য নয়।’ 

এর আগে, গত ২৩ মে গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা কারও হাতে তুলে দিয়ে আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না, ক্ষমতার দরকার নেই। যদি জনগণ চায় ক্ষমতায় আসব, না হলে আসব না।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ক্ষমতায় আসতে অসুবিধা হবে না, যদি আমি বাংলাদেশে কারও এয়ার বেজ করতে দেই, ঘাঁটি করতে দেই। কোনো এক সাদা চামড়ারই প্রস্তাব। আমি একই জবাব দিয়েছি। আমি স্পষ্ট বলেছি, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি, দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা কারও হাতে তুলে দিয়ে আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না, ক্ষমতার দরকার নেই। যদি জনগণ চায় ক্ষমতায় আসব, না হলে আসব না। এই কথাগুলো বললাম, কারণ সকলের জানা উচিত।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। এই জায়গাটার ওপর অনেকেরই নজর। এ জায়গায় কোনো বিতর্ক নেই, এ নিয়ে কারও কোনো দ্বন্দ্ব নাই। সেটা আমি হতে দিচ্ছি না। এটাও আমার একটা অপরাধ। এখানে এয়ার বেজ করে কার ওপর হামলা করবে? আমাদের সব সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, আরও হবে। কিন্তু এটা পাত্তা দেই না, সোজা কথা। দেশের মানুষ আমাদের শক্তি, মানুষ যদি ঠিক থাকে আমরা আছি।’ 

‘দেশটা যে উন্নতি হচ্ছে, এটাও কারও পছন্দ না’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা যে খাদ্য উৎপাদন করি, খোদ এক বড় দেশ বলে ফেলল, এত খাদ্য উৎপাদনের দরকার কী? আমাদের তো যথেষ্ট আছে, আমরা তো দিতে পারি। আমি বললাম, হ্যাঁ ওই আশায় আমি বসে থাকব? আমরা বলেছি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছে, নিজের মাটি মানুষ দিয়ে দেশ গড়ব। আমরা সেটাই করব। নিজেদের মানুষের খাবার এখানেই যতটুকু পারি উৎপাদন করে খাদ্য নিরাপত্তা দেব। আমরা দিয়েছিও সেটা।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি আছি, আমাদের আরও সুসংগঠিত হয়ে মানুষের কাছে গিয়ে, মানুষকে এ চেতনায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশের সব নিরাপত্তা পাস স্থগিত

বিএনপি দখল–চাঁদাবাজিতে, আ.লীগের অনুশোচনা নেই হত্যাকাণ্ডে: টিআইবি

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থেকে ট্রেনে হামলা, কয়েকজন জখম, ট্রেন চলাচল বন্ধ

মহাখালী সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, সচিবালয়ে প্রতিনিধিদল

শিক্ষার্থীদের পাথরে ভেঙেছে ট্রেনের ৩৮টি কাচ, হতে পারে মামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত