আজাদুল আদনান ও আশিকুর রিমেল, ঢাকা
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিকার বিকল্প নেই। কিন্তু টিকা স্বল্পতার কারণে দেশের নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সময়ের প্রয়োজন। কাজেই টিকা যতক্ষণ না দেওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ মানুষ আক্রান্ত হবে। আক্রান্ত মানুষের জন্য প্রয়োজন হবে চিকিৎসা। সেটা ঠিকঠাক করতে হলে চিকিৎসাব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতেই হবে। এ জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি কাটিয়ে উঠতে হবে লোক-বলের ঘাটতি। কিন্তু গত দেড় বছরেও সেটা ঠিকঠাক করা যায়নি।
গত মার্চ থেকে চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাঁচ মাসের বেশি সময়ে করোনার ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোয় স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই সময়ে হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকা জেলাগুলোর ৭৮ শতাংশ রোগীই অক্সিজেন ও আইসিইউর সুবিধা পেতে ছুটে আসেন রাজধানীর হাসপাতালগুলোয়। এই সময়েই স্পষ্ট হয় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে হাসপাতালগুলোর অপ্রস্তুতি ও অব্যবস্থাপনার চিত্র।
এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি জেলায় আইসিইউ স্থাপনের নির্দেশনা দিলেও এখন পর্যন্ত ৩৬ জেলায় নেই এই সুবিধা। একই সঙ্গে সব জেলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেনব্যবস্থাও স্থাপন করা যায়নি। রাজধানীতে পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র একটি, তা-ও সেটি অর্ধেক শয্যা চালু করা হয়। বর্তমানে রোগীর চাপ কম থাকায় নতুন করে শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে চাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব জেলায় আইসিইউ স্থাপনের বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এ জন্য আমাদের বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রয়োজন। এ ছাড়া আপাতত একটি অস্থায়ী হাসপাতাল চালু করা হয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে বাকিগুলোও করা হবে।
গত ১৭ জুলাই আট হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সংকটাবস্থা মোকাবিলায় দুই হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বছরই আরও একটি বিসিএসের মাধ্যমে নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে অনিয়মের অভিযোগে আটকে থাকা ৮৮৯ টেকনোলজিস্টের নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে চূড়ান্ত হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে ফরিদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ৪০৯ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরেকটা বিসিএস শিগগিরই হবে। যেখান থেকে বেশ কিছু চিকিৎসক পাব। তবে সীমাবদ্ধতা তো আছেই। পরিস্থিতি যদি আগের চেয়ে খারাপ হয়, তাহলে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। অনেক নার্স নিয়োগ হয়েছে নতুন করে আরও কিছু নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে মৃত্যুর পাশাপাশি সংক্রমণের হারে নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অন্য দেশগুলোর পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করলে আশঙ্কা হয়, অবস্থা যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারে। তখন কী হবে?
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপ অর্ধেকের বেশি কমেছে। এই সুযোগে ঘাটতিগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। তবে তৃতীয় ঢেউ যদি এসে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে।
করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা সব সময় জরুরি। করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ যেহেতু এখন একটু নিম্নমুখী, তাই এটাকে সুযোগ মনে করে ঘাটতিগুলো পূরণ করে ফেলা উচিত।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিকার বিকল্প নেই। কিন্তু টিকা স্বল্পতার কারণে দেশের নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সময়ের প্রয়োজন। কাজেই টিকা যতক্ষণ না দেওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ মানুষ আক্রান্ত হবে। আক্রান্ত মানুষের জন্য প্রয়োজন হবে চিকিৎসা। সেটা ঠিকঠাক করতে হলে চিকিৎসাব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতেই হবে। এ জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি কাটিয়ে উঠতে হবে লোক-বলের ঘাটতি। কিন্তু গত দেড় বছরেও সেটা ঠিকঠাক করা যায়নি।
গত মার্চ থেকে চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাঁচ মাসের বেশি সময়ে করোনার ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোয় স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই সময়ে হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকা জেলাগুলোর ৭৮ শতাংশ রোগীই অক্সিজেন ও আইসিইউর সুবিধা পেতে ছুটে আসেন রাজধানীর হাসপাতালগুলোয়। এই সময়েই স্পষ্ট হয় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে হাসপাতালগুলোর অপ্রস্তুতি ও অব্যবস্থাপনার চিত্র।
এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি জেলায় আইসিইউ স্থাপনের নির্দেশনা দিলেও এখন পর্যন্ত ৩৬ জেলায় নেই এই সুবিধা। একই সঙ্গে সব জেলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেনব্যবস্থাও স্থাপন করা যায়নি। রাজধানীতে পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র একটি, তা-ও সেটি অর্ধেক শয্যা চালু করা হয়। বর্তমানে রোগীর চাপ কম থাকায় নতুন করে শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে চাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব জেলায় আইসিইউ স্থাপনের বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এ জন্য আমাদের বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রয়োজন। এ ছাড়া আপাতত একটি অস্থায়ী হাসপাতাল চালু করা হয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে বাকিগুলোও করা হবে।
গত ১৭ জুলাই আট হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সংকটাবস্থা মোকাবিলায় দুই হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বছরই আরও একটি বিসিএসের মাধ্যমে নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে অনিয়মের অভিযোগে আটকে থাকা ৮৮৯ টেকনোলজিস্টের নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে চূড়ান্ত হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে ফরিদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ৪০৯ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরেকটা বিসিএস শিগগিরই হবে। যেখান থেকে বেশ কিছু চিকিৎসক পাব। তবে সীমাবদ্ধতা তো আছেই। পরিস্থিতি যদি আগের চেয়ে খারাপ হয়, তাহলে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। অনেক নার্স নিয়োগ হয়েছে নতুন করে আরও কিছু নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে মৃত্যুর পাশাপাশি সংক্রমণের হারে নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অন্য দেশগুলোর পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করলে আশঙ্কা হয়, অবস্থা যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারে। তখন কী হবে?
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপ অর্ধেকের বেশি কমেছে। এই সুযোগে ঘাটতিগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। তবে তৃতীয় ঢেউ যদি এসে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে।
করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা সব সময় জরুরি। করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ যেহেতু এখন একটু নিম্নমুখী, তাই এটাকে সুযোগ মনে করে ঘাটতিগুলো পূরণ করে ফেলা উচিত।
‘অন্তরবর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত শিরোনামে’ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা। এই ১০০ দিন তাঁর মন্ত্রণালয়ে কী কী কাজ হয়েছে সেসবের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন তিনি।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ এবং বাক্স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলছেন সমালোচকেরা। বিশেষ করে ভারত বরাবর তাদের উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতিবাদ, সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রতি মাসেই মায়ের জন্য উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ওষুধ কেনেন সাভারের বাসিন্দা মতিউর রহমান। সঙ্গে কেনেন কিছু ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনও। মায়ের ওষুধের পেছনে তিন মাস আগেই তাঁর মাসিক খরচ ছিল ৬ হাজার টাকা। ওষুধের দাম বাড়ার কারণে এখন সেই খরচ বেড়ে ৯ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা থেকে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু–কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে থেকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ব্যবহার করব তাঁকে ফি
৩ ঘণ্টা আগে