নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান বিচারপতি হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, সর্বত্রই দুর্নীতি ক্যানসারের মতো কাজ করছে। এটা কমানোর ইচ্ছা থাকলে কিছু না কিছু কমানো যাবে। আমরা চেষ্টা করব, দুর্নীতি যাতে কমানো যায়, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। মিডিয়ারও পরামর্শ নেওয়া হবে। কারণ গণমাধ্যম মানুষের কথাগুলো বেশি শুনতে পান। আপনাদের কাছ থেকে শুনলে দুর্নীতি কমানোর ব্যাপারে আমরা আরও কিছু নতুন পথ বের করতে পারবো।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর খাস কামড়ায় সাংবাদিকেরা দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে ২৪ তম প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শপথের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে। বর্তমানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের বাইরে থাকায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালন করছেন।
বিচার বিভাগের প্রতি আস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আস্থার ঘাটতি সব জায়াগায়ই আছে। বিচার বিভাগের ওপরে আস্থার ঘাটতি নেই একথা আমি বলবো না। বিচার বিভাগের আস্থার কমতিটা যেটা হয়েছে, এটা শুধু বিচারকদের জন্য তা নয়। আইনজীবীসহ এই বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আমাদের কাজ করার মাধ্যমে দূর হবে।
মামলাজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলাজট, বিচারে দীর্ঘসূত্রতা একটা পুরোনো ব্যাধি। এই ব্যাধিটা যেন ক্রনিক না হয়ে যায় সেই চেষ্টা করব। আমি শপথ নেওয়ার পর আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে কথা বলব। আমার পূর্বসূরী প্রধান বিচারপতিগণ যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেগুলো অনুসরণ করব। চেষ্টা করব বিচার বিভাগকে আরও গতিশীল করা যায় কি না। এখানে আইনের সংস্কার একটি বড় বিষয়। মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য আইনকে যুগোপযোগী করার মধ্য দিয়েই একমাত্র সম্ভব হবে। আরেকটি হলো এডিআর (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা) এবং মেডিয়েশন।
হয়রানিমূলক মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমাদের আইনে আছে মামলা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। হয়রানিমূলক মামলা যে মানুষ করে না তা নয়। হয়তো করে। এর থেকে পরিত্রাণের পথ হলো সামাজিক পরিবর্তন আনতে হবে। সামাজিক পরিবর্তন না আনতে পারলে শুধু বিচার করে, আইন আদালত করে সমাধান হবে না।
বিচার বিভাগ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে অনেকের এমন অভিযোগের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা যারা বলেন তারা কেন বলেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। রাজনৈতিকভাবে বিচার বিভাগ ব্যবহার হচ্ছে, এটা আমি মনে করি না।
বিচারকেরা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মতো করেই। আমি শুধু একটি কথা বলবো, যে সব আইনজীবী বন্ধুরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, তারা রাজনীতিটা করুন। কিন্তু কোর্টের মধ্যে, কোর্ট অঙ্গনে তারা যেন সহনশীলতার পরিচয় দেন। তারা যেন একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। তাহলে কিন্তু এই উত্তাপগুলো আদালতে ছড়াবেনা। আর সমাজের রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, সর্বত্রই দুর্নীতি ক্যানসারের মতো কাজ করছে। এটা কমানোর ইচ্ছা থাকলে কিছু না কিছু কমানো যাবে। আমরা চেষ্টা করব, দুর্নীতি যাতে কমানো যায়, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। মিডিয়ারও পরামর্শ নেওয়া হবে। কারণ গণমাধ্যম মানুষের কথাগুলো বেশি শুনতে পান। আপনাদের কাছ থেকে শুনলে দুর্নীতি কমানোর ব্যাপারে আমরা আরও কিছু নতুন পথ বের করতে পারবো।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর খাস কামড়ায় সাংবাদিকেরা দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে ২৪ তম প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শপথের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে। বর্তমানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের বাইরে থাকায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালন করছেন।
বিচার বিভাগের প্রতি আস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আস্থার ঘাটতি সব জায়াগায়ই আছে। বিচার বিভাগের ওপরে আস্থার ঘাটতি নেই একথা আমি বলবো না। বিচার বিভাগের আস্থার কমতিটা যেটা হয়েছে, এটা শুধু বিচারকদের জন্য তা নয়। আইনজীবীসহ এই বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আমাদের কাজ করার মাধ্যমে দূর হবে।
মামলাজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলাজট, বিচারে দীর্ঘসূত্রতা একটা পুরোনো ব্যাধি। এই ব্যাধিটা যেন ক্রনিক না হয়ে যায় সেই চেষ্টা করব। আমি শপথ নেওয়ার পর আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে কথা বলব। আমার পূর্বসূরী প্রধান বিচারপতিগণ যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেগুলো অনুসরণ করব। চেষ্টা করব বিচার বিভাগকে আরও গতিশীল করা যায় কি না। এখানে আইনের সংস্কার একটি বড় বিষয়। মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য আইনকে যুগোপযোগী করার মধ্য দিয়েই একমাত্র সম্ভব হবে। আরেকটি হলো এডিআর (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা) এবং মেডিয়েশন।
হয়রানিমূলক মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমাদের আইনে আছে মামলা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। হয়রানিমূলক মামলা যে মানুষ করে না তা নয়। হয়তো করে। এর থেকে পরিত্রাণের পথ হলো সামাজিক পরিবর্তন আনতে হবে। সামাজিক পরিবর্তন না আনতে পারলে শুধু বিচার করে, আইন আদালত করে সমাধান হবে না।
বিচার বিভাগ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে অনেকের এমন অভিযোগের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা যারা বলেন তারা কেন বলেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। রাজনৈতিকভাবে বিচার বিভাগ ব্যবহার হচ্ছে, এটা আমি মনে করি না।
বিচারকেরা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মতো করেই। আমি শুধু একটি কথা বলবো, যে সব আইনজীবী বন্ধুরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, তারা রাজনীতিটা করুন। কিন্তু কোর্টের মধ্যে, কোর্ট অঙ্গনে তারা যেন সহনশীলতার পরিচয় দেন। তারা যেন একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। তাহলে কিন্তু এই উত্তাপগুলো আদালতে ছড়াবেনা। আর সমাজের রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর প্রসঙ্গে বঙ্গোপসাগর সংলাপে ভারত ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে পরে হাস্যরসের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন দুপক্ষের আলোচকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তাঁদের সংগঠন আরএফইডির পক্ষ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট এক দিনের সফরে আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, নিরাপত্তা, বাণিজ্য সহযোগিতা ও অভিবাসনের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তাঁর এই সফর
৬ ঘণ্টা আগেসরকার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৮ ঘণ্টা আগে