নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সড়ক মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অন্যতম দায়িত্ব থাকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হাতে। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সড়কে অভিযান চালান। তবে সড়কে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। যেখানে সেখানে থামছে গণপরিবহন, তুলছে যাত্রী। মানা হচ্ছে না করোনার স্বাস্থ্যবিধি। এসবের বিরুদ্ধে অভিযানে মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না বিআরটিএকে। কর্তৃপক্ষ বলছে জনবল কম থাকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁরা।
বিআরটিএতে দায়িত্ব পালন করার জন্য সারা দেশের জন্য ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তবে তার মধ্যে বর্তমানে মাঠে কাজ করছেন নয়জন। বাকি চারজন বিভিন্ন কারণে ছুটিতে আছেন। ফলে সংস্থাটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সংকটে ভুগছে। এতোকম লোকবল দিয়ে সারা দেশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না সংস্থাটি।
কম ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কীভাবে অভিযান চলছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআরটিএর এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে বিআরটিএর নিবন্ধন করা ৪৮ হাজার ১২৬টি বাস চলাচল করে। তার মধ্যে রাজধানীতে চলে ৩৬ হাজার ৩৫৯ টি। এর বাইরেও অনেক ধরনের যানবাহন চলে। এদিকে বর্তমানে মাত্র ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট আছে। সড়কে সব জায়গায় নিয়মিত অভিযান করতে পারছি না।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরে দেখা যায়, নিয়ম অমান্য করে দিনের বেলায় রাজধানীতে চলছে ট্রাক। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী ও অধিক ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। চলছে রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল। যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে গণপরিবহন। এসব বিষয়গুলো দেখতে বিআরটিএকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁদের কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে রাজধানীর কোথাও অভিযান চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
সড়কে অভিযান হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে বিআরটিএ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে নতুন কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিআরটিএতে নিয়োগ হয়নি। ফলে লোকবল সংকটের বিষয়টি আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। কারণ সারা দেশে বর্তমানে কাজ করা ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে পুরো দেশে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয়।'
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'সড়কে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার জন্য দ্রুত অধিক-সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হবে। না হলে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজটি করা আরও কঠিন হবে। অভিযান পরিচালনা ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আর অনেক কাজ থাকে বিআরটিএতে।'
গত বছরে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছেন দুই কোটি ৩০ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৬০ টাকা। এর বিপরীতে মামলা হয়েছে ১০ হাজার ৫৫৮ টি। কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ১১১ জনকে এবং ৭২টি গাড়িকে ডাম্পিং করা হয়েছে।
বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট সংকট নিয়ে কী ভাবছে সরকার জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে বিআরটিএর জন্য নতুন করে কিছু ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার। নতুন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ পেলে এই সংকট আর থাকবে না।'
সড়ক মহাসড়কে শৃঙ্খলার বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) 'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আজকের আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'মাঠ পর্যায়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধুমাত্র অভিযান চালিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।'
ঢাকা: সড়ক মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অন্যতম দায়িত্ব থাকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হাতে। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সড়কে অভিযান চালান। তবে সড়কে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। যেখানে সেখানে থামছে গণপরিবহন, তুলছে যাত্রী। মানা হচ্ছে না করোনার স্বাস্থ্যবিধি। এসবের বিরুদ্ধে অভিযানে মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না বিআরটিএকে। কর্তৃপক্ষ বলছে জনবল কম থাকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁরা।
বিআরটিএতে দায়িত্ব পালন করার জন্য সারা দেশের জন্য ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তবে তার মধ্যে বর্তমানে মাঠে কাজ করছেন নয়জন। বাকি চারজন বিভিন্ন কারণে ছুটিতে আছেন। ফলে সংস্থাটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সংকটে ভুগছে। এতোকম লোকবল দিয়ে সারা দেশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না সংস্থাটি।
কম ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কীভাবে অভিযান চলছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআরটিএর এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে বিআরটিএর নিবন্ধন করা ৪৮ হাজার ১২৬টি বাস চলাচল করে। তার মধ্যে রাজধানীতে চলে ৩৬ হাজার ৩৫৯ টি। এর বাইরেও অনেক ধরনের যানবাহন চলে। এদিকে বর্তমানে মাত্র ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট আছে। সড়কে সব জায়গায় নিয়মিত অভিযান করতে পারছি না।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরে দেখা যায়, নিয়ম অমান্য করে দিনের বেলায় রাজধানীতে চলছে ট্রাক। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী ও অধিক ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। চলছে রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল। যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে গণপরিবহন। এসব বিষয়গুলো দেখতে বিআরটিএকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁদের কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে রাজধানীর কোথাও অভিযান চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
সড়কে অভিযান হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে বিআরটিএ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে নতুন কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিআরটিএতে নিয়োগ হয়নি। ফলে লোকবল সংকটের বিষয়টি আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। কারণ সারা দেশে বর্তমানে কাজ করা ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে পুরো দেশে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয়।'
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'সড়কে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার জন্য দ্রুত অধিক-সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হবে। না হলে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজটি করা আরও কঠিন হবে। অভিযান পরিচালনা ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আর অনেক কাজ থাকে বিআরটিএতে।'
গত বছরে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছেন দুই কোটি ৩০ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৬০ টাকা। এর বিপরীতে মামলা হয়েছে ১০ হাজার ৫৫৮ টি। কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ১১১ জনকে এবং ৭২টি গাড়িকে ডাম্পিং করা হয়েছে।
বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট সংকট নিয়ে কী ভাবছে সরকার জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে বিআরটিএর জন্য নতুন করে কিছু ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার। নতুন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ পেলে এই সংকট আর থাকবে না।'
সড়ক মহাসড়কে শৃঙ্খলার বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) 'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আজকের আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'মাঠ পর্যায়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধুমাত্র অভিযান চালিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।'
৫ বছর বিচার কাজ থেকে বিরত থাকার পর অবশেষে পদত্যাগ করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি। আজ মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে ৪৮২ শিশু মারা গেছে। ২০২৩ সালের প্রথম দশ মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪২১। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৮০ শিশু, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৯২০ জন।
২ ঘণ্টা আগেমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘মানবদেহে ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হচ্ছে। তার চেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো- আমরা যে অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছি
২ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে