মালদ্বীপের রাজধানী মালের একটি গাড়ির গ্যারেজে আগুন লেগে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে মাভেইয়ো মসজিদের কাছে অবস্থিত এম নিরুফেহির গ্যারেজে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে দেশটির গণমাধ্যম সান অনলাইন জানিয়েছে।  

ভোর ৪টা ৩৪ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয়। মালদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস, ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) ও মালদ্বীপের রেড ক্রিসেন্টের সহায়তা নিয়ে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

মালেতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল এ কে আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই অগ্নিকাণ্ডে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

সান অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বহুতল ভবনটির নিচতলায় অবস্থিত ওই গ্যারেজ। সেটার প্রথম তলার ঘরগুলিতে গাদাগাদি করে অভিবাসী শ্রমিকদের রাখা হয়েছে। বাতাস আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ একটি জানালা৷ সেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার প্রবাসীরা থাকতেন।

মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ) ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস বলছে, ভবনটি থেকে মোট ২৮ জনকে সরিয়ে নিতে পেরেছেন তারা। সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং দুজনকে গুরুতরভাবে দগ্ধ অবস্থায় ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে (আইজিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা যান। বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এছাড়া পরে ভবন থেকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এতে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে উন্নীত হলো।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ভবন থেকে উদ্ধার করা মৃতদেহগুলো মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে, যার ফলে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভবনটিতে বসবাসকারী আনুমানিক ১৫ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

ভবন থেকে উদ্ধার লোকজনকে মাফান্নু স্টেডিয়ামে জরুরি আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মালদ্বীপের রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং মানসিক সহায়তা দিচ্ছে।

ওই গ্যারেজটিতে এর আগেও দুটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যার সর্বশেষটি ছিল দুই মাস আগে।