নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখানে চক্রান্ত আছে। চক্রান্ত করেই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করা, অগ্নি সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং দলের কৌশল ঠিক করতে এই কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়।
অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সামনে নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের এই অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠু ভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন শান্তিতে তখন এই বিএনপি আবার রাস্তায় নেমেছে অগ্নি সন্ত্রাস নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে। এই অশান্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।’
সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনো মতেই থেমে না যায়। আজকে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পর পর তিনবার ক্ষমতায়, সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে।’
আওয়ামী লীগ কখনো মানুষ পুড়িয়ে উল্লাস করেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাতো আন্দোলন করেছি, আমরাতো এইরকমভাবে মানুষকে পুড়িয়ে উল্লাস করে আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনের একটা গণতান্ত্রিক ধারা ছিল। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছি। আজকে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার প্রচেষ্টা।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, নীতি-আদর্শ, আমি জানি না আদর্শ-নীতি গুলিয়ে গেল কেন? আমরা দেখি চরম ডানপন্থীরা বামপন্থীদের সঙ্গে এক হয়ে গেল। চরমপন্থী ডানপন্থী জামায়াতে ইসলাম থেকে শুরু করে বামপন্থী কমিউনিস্টরা, যারা এত দিন যারা আদর্শের কথা বলছে তাঁরা সব একই সঙ্গে, একই সুরে একই কথা বলে কীভাবে? তারা এক হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ অপরাধটা কি করেছে সেটা জানতে চাই। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন আওয়ামী লীগের অপরাধ কি?’
পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত সরকার ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্যই আমাদের সংগ্রাম ও আন্দোলন। কৃষকদের সহযোগিতার জন্য সরকারে নানান উদ্যোগের কথা তুলে ধরনে সরকার প্রধান।
টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস করেছি, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছি। এর আগে ২৯ বছর (১৯৭৫-৯৬ এবং ২০০১-২০০৮) যারা ক্ষমতায় ছিল, তাঁরা কি দিয়েছে বাংলাদেশকে? মানুষ কি পেয়েছিল তাদের কাছে? কিছুই পায়নি। প্রতিনিয়ত দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকত, হাড্ডিসার, কঙ্কালসার মানুষগুলো, পেটে ক্ষুধার জ্বালা, পরনে ছেঁড়া বস্ত্র, ঘর নেই, থাকার জায়গা নেই, ওষুধ নেই, স্বাধীন দেশে এ চেহারা আমাদের দেখতে হয়েছে। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরেই বাংলাদেশ উন্নত হতো, কিন্তু সে সুযোগ তাকে দেওয়া হয়নি। চক্রান্ত করে তাঁকে হত্যা করা হল।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে জাতির পিতার খুনিদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারর করা কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন। সর্বক্ষেত্রে আমরা বিরাট সাফল্য অর্জন করেছি। এ জন্য যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখানে চক্রান্ত আছে। চক্রান্ত করেই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করা, অগ্নি সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং দলের কৌশল ঠিক করতে এই কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়।
অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সামনে নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের এই অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠু ভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন শান্তিতে তখন এই বিএনপি আবার রাস্তায় নেমেছে অগ্নি সন্ত্রাস নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে। এই অশান্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।’
সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনো মতেই থেমে না যায়। আজকে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পর পর তিনবার ক্ষমতায়, সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে।’
আওয়ামী লীগ কখনো মানুষ পুড়িয়ে উল্লাস করেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাতো আন্দোলন করেছি, আমরাতো এইরকমভাবে মানুষকে পুড়িয়ে উল্লাস করে আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনের একটা গণতান্ত্রিক ধারা ছিল। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছি। আজকে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার প্রচেষ্টা।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, নীতি-আদর্শ, আমি জানি না আদর্শ-নীতি গুলিয়ে গেল কেন? আমরা দেখি চরম ডানপন্থীরা বামপন্থীদের সঙ্গে এক হয়ে গেল। চরমপন্থী ডানপন্থী জামায়াতে ইসলাম থেকে শুরু করে বামপন্থী কমিউনিস্টরা, যারা এত দিন যারা আদর্শের কথা বলছে তাঁরা সব একই সঙ্গে, একই সুরে একই কথা বলে কীভাবে? তারা এক হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ অপরাধটা কি করেছে সেটা জানতে চাই। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন আওয়ামী লীগের অপরাধ কি?’
পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত সরকার ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্যই আমাদের সংগ্রাম ও আন্দোলন। কৃষকদের সহযোগিতার জন্য সরকারে নানান উদ্যোগের কথা তুলে ধরনে সরকার প্রধান।
টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস করেছি, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছি। এর আগে ২৯ বছর (১৯৭৫-৯৬ এবং ২০০১-২০০৮) যারা ক্ষমতায় ছিল, তাঁরা কি দিয়েছে বাংলাদেশকে? মানুষ কি পেয়েছিল তাদের কাছে? কিছুই পায়নি। প্রতিনিয়ত দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকত, হাড্ডিসার, কঙ্কালসার মানুষগুলো, পেটে ক্ষুধার জ্বালা, পরনে ছেঁড়া বস্ত্র, ঘর নেই, থাকার জায়গা নেই, ওষুধ নেই, স্বাধীন দেশে এ চেহারা আমাদের দেখতে হয়েছে। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরেই বাংলাদেশ উন্নত হতো, কিন্তু সে সুযোগ তাকে দেওয়া হয়নি। চক্রান্ত করে তাঁকে হত্যা করা হল।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে জাতির পিতার খুনিদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারর করা কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন। সর্বক্ষেত্রে আমরা বিরাট সাফল্য অর্জন করেছি। এ জন্য যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
বিচার বিভাগের অর্থবহ স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
৪১ মিনিট আগেকোরআন এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে লক্ষ্য করে অপ্রয়োজনীয়, বিবেক বর্জিত, ধৃষ্টতামূলক ও উসকানিমূলক আশালীন বক্তব্য ও আচরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তির বিধান থাকা বাঞ্ছনীয়, যা সংসদ বিবেচনা
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর পাঁচ থানার পৃথক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ পৃথক পৃথক আদেশে গ্রেপ্তার দেখানোর এই নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের খসড়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের শাস্তির বিধান যুক্ত করলেও শেষ মুহূর্তে পিছু হটল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
১ ঘণ্টা আগে