নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা মহামারির ঢেউ সামলে স্বাভাবিক আয়ে ফিরতে লড়াই করছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাদের এ লড়াই আরও কঠিন করে তুলেছে জীবনযাত্রার বাড়তি খরচ। চাল, ডাল, তেল, আটা থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম ক্রমাগতভাবেই বেড়েই চলেছে। বাজারের উত্তাপ সইতে না পেরে মধ্যবিত্তরাও টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়াচ্ছেন। নিত্যপণ্য পেতে সেখানেও হাহাকার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অনেকে ফিরছেন খালি হাতে।
নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা সামলাতে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া, ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার, নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি (ঋণপত্র) মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখাসহ বাজার তদারকি জোরদার করা হলেও ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। বাজারে বেশি মুনাফা লুটতে এখনো তৎপর মজুতদার ও সিন্ডিকেট চক্র। নিত্যপণ্যের দামে এখনো পুড়ছে প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষ। দীর্ঘ হচ্ছে সাধারণ, সীমিত ও প্রান্তিক আয়ের মানুষের দীর্ঘশ্বাস।
আজ মঙ্গলবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জনদুর্ভোগ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সুজন ঢাকা মহানগর কমিটির সহসভাপতি জনাব ক্যামেলিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে আছি, রকেটিং গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু জীবনযাত্রার খরচসহ নানা কারণে সাধারণ মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে। দ্রুতগতির উন্নয়নের ফলে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, আর দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে আছে ছয় বা আট কোটি মানুষ।’
জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা কমে গেছে বলে অভিযোগ করে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের দায়বদ্ধতা তাদের প্রতি আছে, যারা এদের ক্ষমতায় এনেছে এবং টিকিয়ে রেখেছে। এটাই সিন্ডিকেট। আমাদের দায়বদ্ধতার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যমূল্যের বিশাল পার্থক্যই বলে দিচ্ছে আমাদের বাজার ব্যবস্থা ভোক্তাবান্ধব নয়। উৎপাদন অথবা আমদানি পর্যায় এবং ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যমূল্যের যে বড় ব্যবধান, তা ন্যায্য ব্যবসার পরিচয় বহন করে না।’
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজধানীতে এক মাসের ব্যবধানে প্রয়োজনীয় ১৪টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্র্রেড করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, মাসের ব্যবধানে সরু চাল ৩.১৩ শতাংশ, মোটা চাল ৪.৩৫ শতাংশ, বড় দানার মসুর ডাল ২.৫৬ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৪.৬৯ থেকে ৬.৫৮ শতাংশ পর্যন্ত, পাম সুপার ১৬.৮৫ শতাংশ হারে দাম বেড়েছে। একই সময়ে খোলা আটা ৮.৭ শতাংশ, চিনি ৩.২৭, দেশি পেঁয়াজ ১০৮, চায়না রসুন ১৪.২৯ এবং আদা ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। ছোলার দাম এক লাফে সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে এক মাসে ব্রয়লার মুরগির দাম ৬.৯ শতাংশ ও গরুর মাংসের দাম ৫.৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচ ৭২.৭৩ শতাংশ ও আলুর দাম ৮.৫৭ শতাংশ বেড়েছে। ফার্মের ডিমের দাম বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ।’
সুজনের বৈঠকে বক্তারা জানান, মজুতদার ও সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য এবং সরকারের সুষ্ঠু তদারকির অভাবের কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
গোলটেবিল বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত চুরির সরকারকে সরাতে না পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দাম কমবে না। রোজার আর পাঁচ দিন বাকি, এই পাঁচ দিনে জিনিসপত্রের দাম আবার বাড়বে।’
সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি তদারকি করছে না বলে অভিযোগ করেন মান্না। এ সময় তিনি সরকারকে ‘সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট’ এবং একজন মন্ত্রীকে ‘স্টুপিড মিনিস্টার’ বলেও অভিহিত করেন।
দেশে ছয় কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে উল্লেখ করে মান্না জানান, ক্ষমতায় এলে তিনি এ মানুষগুলোর প্রত্যেককে মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়, তা বন্ধ করা গেলে দরিদ্র মানুষদের মাসে এক হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
করোনা মহামারির ঢেউ সামলে স্বাভাবিক আয়ে ফিরতে লড়াই করছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাদের এ লড়াই আরও কঠিন করে তুলেছে জীবনযাত্রার বাড়তি খরচ। চাল, ডাল, তেল, আটা থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম ক্রমাগতভাবেই বেড়েই চলেছে। বাজারের উত্তাপ সইতে না পেরে মধ্যবিত্তরাও টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়াচ্ছেন। নিত্যপণ্য পেতে সেখানেও হাহাকার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অনেকে ফিরছেন খালি হাতে।
নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা সামলাতে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া, ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার, নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি (ঋণপত্র) মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখাসহ বাজার তদারকি জোরদার করা হলেও ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। বাজারে বেশি মুনাফা লুটতে এখনো তৎপর মজুতদার ও সিন্ডিকেট চক্র। নিত্যপণ্যের দামে এখনো পুড়ছে প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষ। দীর্ঘ হচ্ছে সাধারণ, সীমিত ও প্রান্তিক আয়ের মানুষের দীর্ঘশ্বাস।
আজ মঙ্গলবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জনদুর্ভোগ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সুজন ঢাকা মহানগর কমিটির সহসভাপতি জনাব ক্যামেলিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে আছি, রকেটিং গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু জীবনযাত্রার খরচসহ নানা কারণে সাধারণ মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে। দ্রুতগতির উন্নয়নের ফলে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, আর দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে আছে ছয় বা আট কোটি মানুষ।’
জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা কমে গেছে বলে অভিযোগ করে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের দায়বদ্ধতা তাদের প্রতি আছে, যারা এদের ক্ষমতায় এনেছে এবং টিকিয়ে রেখেছে। এটাই সিন্ডিকেট। আমাদের দায়বদ্ধতার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যমূল্যের বিশাল পার্থক্যই বলে দিচ্ছে আমাদের বাজার ব্যবস্থা ভোক্তাবান্ধব নয়। উৎপাদন অথবা আমদানি পর্যায় এবং ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যমূল্যের যে বড় ব্যবধান, তা ন্যায্য ব্যবসার পরিচয় বহন করে না।’
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজধানীতে এক মাসের ব্যবধানে প্রয়োজনীয় ১৪টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্র্রেড করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, মাসের ব্যবধানে সরু চাল ৩.১৩ শতাংশ, মোটা চাল ৪.৩৫ শতাংশ, বড় দানার মসুর ডাল ২.৫৬ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৪.৬৯ থেকে ৬.৫৮ শতাংশ পর্যন্ত, পাম সুপার ১৬.৮৫ শতাংশ হারে দাম বেড়েছে। একই সময়ে খোলা আটা ৮.৭ শতাংশ, চিনি ৩.২৭, দেশি পেঁয়াজ ১০৮, চায়না রসুন ১৪.২৯ এবং আদা ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। ছোলার দাম এক লাফে সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে এক মাসে ব্রয়লার মুরগির দাম ৬.৯ শতাংশ ও গরুর মাংসের দাম ৫.৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচ ৭২.৭৩ শতাংশ ও আলুর দাম ৮.৫৭ শতাংশ বেড়েছে। ফার্মের ডিমের দাম বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ।’
সুজনের বৈঠকে বক্তারা জানান, মজুতদার ও সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য এবং সরকারের সুষ্ঠু তদারকির অভাবের কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
গোলটেবিল বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত চুরির সরকারকে সরাতে না পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দাম কমবে না। রোজার আর পাঁচ দিন বাকি, এই পাঁচ দিনে জিনিসপত্রের দাম আবার বাড়বে।’
সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি তদারকি করছে না বলে অভিযোগ করেন মান্না। এ সময় তিনি সরকারকে ‘সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট’ এবং একজন মন্ত্রীকে ‘স্টুপিড মিনিস্টার’ বলেও অভিহিত করেন।
দেশে ছয় কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে উল্লেখ করে মান্না জানান, ক্ষমতায় এলে তিনি এ মানুষগুলোর প্রত্যেককে মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়, তা বন্ধ করা গেলে দরিদ্র মানুষদের মাসে এক হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম আর নেই। আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
২২ মিনিট আগেহোটেল সোনারগাঁওয়ে চলছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধিসহ ৮০০ শোর অংশগ্রহণকারী রয়েছেন।
২৮ মিনিট আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
৩ ঘণ্টা আগে