মইনুল হাসান, ফ্রান্স
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট (১৮৯৭-১৯৩৭)। তাঁকে বলা হয় এভিয়েশন জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ৪০তম জন্মবার্ষিকীর মাত্র ২২ দিন আগেই যিনি হারিয়ে যান। আজও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মাত্র ২৩ বছর বয়সে অ্যামেলিয়া প্রথম বিমানে ওড়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেন। সেই থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, বৈমানিক হবেন। সে সময় আকাশ ছিল পুরুষদের একচেটিয়া দখলে। অ্যামেলিয়া মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, নারী এবং পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক ও সমকক্ষ। শুধু বিশ্বাস নয়, তিনি তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।
অ্যামেলিয়া বিমান চালনার প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে অল্প সময়ে দক্ষ বৈমানিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। নিজের জমানো অর্থ দিয়ে উজ্জ্বল হলুদ রঙের দুই আসনের পুরোনো একটি বিমানও কেনেন। বিমানটির নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য ক্যানারি’।
২২ অক্টোবর ১৯২২ অ্যামেলিয়া প্রথম ৪ হাজার ৩০০ মিটার বা ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এমন দুর্লভ সুনাম পুঁজি করে তিনি একটি এয়ারলাইনসের পাইলট হতে চেয়েছিলেন। তিনি একজন ‘নারী’—এই একটিমাত্র কারণে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট বেশ কয়েকটি রেকর্ড সৃষ্টি করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন বিমানে আটলান্টিক পাড়ি দেওয়ার। প্রথমবার দুজন সঙ্গীসহ এই মহাসাগর পাড়ি দেন। দ্বিতীয়বার ১৯৩২ সালের ২০ মে তিনি নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে প্যারিসের পথে একাকী যাত্রা করেন। যাত্রার শুরু থেকেই বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগ এবং বিরূপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হন অ্যামেলিয়া। একটানা ১৪ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট উড্ডয়নের পর অজানা একটি জায়গায় জরুরি অবতরণ করেন। সে স্থানটি ছিল আসলে উত্তর আয়ারল্যান্ড। এই অবতরণের সূত্র ধরে তিনি একাকী আটলান্টিক অতিক্রমকারী প্রথম নারী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেন। এর ঠিক পাঁচ বছর আগে ১৯২৭ সালের ২০ মে প্রথম একাকী আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিলেন চার্লস লিন্ডবার্গ (১৯০২-৭৪)। শুধু আটলান্টিক পাড়ি দিয়েই তিনি তুষ্ট থাকেননি, পাড়ি দিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরও।
নুনান নামে আরেকজন বৈমানিককে সঙ্গে নিয়ে ১৯৩৭ সালের ২১ মে লকহিড ইলেকট্রা বিমানে পৃথিবী ভ্রমণে বের হন অ্যামেলিয়া। ৪০ দিনে তিনি ও নুনান ৩৫ হাজার কিলোমিটার বা ২২ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পাপুয়া নিউগিনির লায়ে নামক এক জায়গায় এসে পৌঁছান। এরপর ২ জুলাই সকালে তাঁরা যাত্রা করেন ৪ হাজার কিলোমিটার বা ২ হাজার ৫০০ মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের ক্ষুদ্র একটি প্রবালদ্বীপ হাউল্যান্ডের পথে। সেই পথে বিমানসহ অ্যামেলিয়া ও নুনান চিরদিনের জন্য হারিয়ে যান। শেষ রেডিও সংকেতে তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে। সেই থেকে আজও তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সে এক গভীর রহস্য। সেই রহস্যের জট খোলেনি আজও।
আকাশভ্রমণের নেশায় তিনি ছিলেন একজন নক্ষত্র বৈমানিক, সে নক্ষত্র আকাশেই হারিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট (১৮৯৭-১৯৩৭)। তাঁকে বলা হয় এভিয়েশন জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ৪০তম জন্মবার্ষিকীর মাত্র ২২ দিন আগেই যিনি হারিয়ে যান। আজও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মাত্র ২৩ বছর বয়সে অ্যামেলিয়া প্রথম বিমানে ওড়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেন। সেই থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, বৈমানিক হবেন। সে সময় আকাশ ছিল পুরুষদের একচেটিয়া দখলে। অ্যামেলিয়া মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, নারী এবং পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক ও সমকক্ষ। শুধু বিশ্বাস নয়, তিনি তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।
অ্যামেলিয়া বিমান চালনার প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে অল্প সময়ে দক্ষ বৈমানিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। নিজের জমানো অর্থ দিয়ে উজ্জ্বল হলুদ রঙের দুই আসনের পুরোনো একটি বিমানও কেনেন। বিমানটির নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য ক্যানারি’।
২২ অক্টোবর ১৯২২ অ্যামেলিয়া প্রথম ৪ হাজার ৩০০ মিটার বা ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এমন দুর্লভ সুনাম পুঁজি করে তিনি একটি এয়ারলাইনসের পাইলট হতে চেয়েছিলেন। তিনি একজন ‘নারী’—এই একটিমাত্র কারণে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট বেশ কয়েকটি রেকর্ড সৃষ্টি করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন বিমানে আটলান্টিক পাড়ি দেওয়ার। প্রথমবার দুজন সঙ্গীসহ এই মহাসাগর পাড়ি দেন। দ্বিতীয়বার ১৯৩২ সালের ২০ মে তিনি নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে প্যারিসের পথে একাকী যাত্রা করেন। যাত্রার শুরু থেকেই বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগ এবং বিরূপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হন অ্যামেলিয়া। একটানা ১৪ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট উড্ডয়নের পর অজানা একটি জায়গায় জরুরি অবতরণ করেন। সে স্থানটি ছিল আসলে উত্তর আয়ারল্যান্ড। এই অবতরণের সূত্র ধরে তিনি একাকী আটলান্টিক অতিক্রমকারী প্রথম নারী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেন। এর ঠিক পাঁচ বছর আগে ১৯২৭ সালের ২০ মে প্রথম একাকী আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিলেন চার্লস লিন্ডবার্গ (১৯০২-৭৪)। শুধু আটলান্টিক পাড়ি দিয়েই তিনি তুষ্ট থাকেননি, পাড়ি দিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরও।
নুনান নামে আরেকজন বৈমানিককে সঙ্গে নিয়ে ১৯৩৭ সালের ২১ মে লকহিড ইলেকট্রা বিমানে পৃথিবী ভ্রমণে বের হন অ্যামেলিয়া। ৪০ দিনে তিনি ও নুনান ৩৫ হাজার কিলোমিটার বা ২২ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পাপুয়া নিউগিনির লায়ে নামক এক জায়গায় এসে পৌঁছান। এরপর ২ জুলাই সকালে তাঁরা যাত্রা করেন ৪ হাজার কিলোমিটার বা ২ হাজার ৫০০ মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের ক্ষুদ্র একটি প্রবালদ্বীপ হাউল্যান্ডের পথে। সেই পথে বিমানসহ অ্যামেলিয়া ও নুনান চিরদিনের জন্য হারিয়ে যান। শেষ রেডিও সংকেতে তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে। সেই থেকে আজও তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সে এক গভীর রহস্য। সেই রহস্যের জট খোলেনি আজও।
আকাশভ্রমণের নেশায় তিনি ছিলেন একজন নক্ষত্র বৈমানিক, সে নক্ষত্র আকাশেই হারিয়ে গেছে।
ব্যাগ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা ভালো। ব্যাগের আকার ও রং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বে ছাপ রাখে বেশ গভীরভাবে।
৩ ঘণ্টা আগেসংবেদনশীল ত্বকের মানুষ সারা বছর ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এ ধরনের ত্বক আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ বা ত্বকের অনুপযুক্ত প্রসাধনীতে প্রভাবিত হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেশীতের হিমেল হাওয়া থেকে বাঁচতে বাইকারদের পোশাক নিয়ে থাকতে হয় সচেতন। তাই এ সময় বাইকারদের পোশাকে আসে বিশেষ পরিবর্তন। বাইকারদের পোশাক যেমন শীত নিবারক হতে হয়, তেমনি হতে হয় আরামদায়ক। কী কী থাকবে সে পোশাকে?
৩ ঘণ্টা আগেএই ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিখ্যাত ফরাসি আবিষ্কারক লুই অটোইন ডি বোগেনভিলিয়ার নাম। তাঁর নামেই এ গাছের নাম রাখা হয়েছিল বোগেনভিলিয়া। আর এটিকে বাংলায় প্রথম বাগানবিলাস বলে ডেকেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কমবেশি সারা বছর ফুল দেখা গেলেও
৩ ঘণ্টা আগে