মইনুল হাসান, ফ্রান্স
সেদিন ছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ অক্টোবর। ক্যালিফোর্নিয়ার মেঘমুক্ত আকাশ। সকাল ঠিক ১০টা ১৮ মিনিটে আকাশে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বিকট এক আওয়াজ হলো। কিন্তু অনেক দিন কেউ জানতে পারল না, এমন তীব্র শব্দ কেন বা কোন কারণে ঘটেছিল!
মার্কিন বিমানবাহিনীর মাত্র ২৪ বছরের এক তরুণ ক্যাপ্টেন, নাম চক ইয়েগার (১৯২৩-২০২০), শব্দের গতিবেগ ছাড়িয়ে বিমান চালিয়ে শব্দপ্রাচীর ভেদ করাতেই এমন তীব্র শব্দে কেঁপে উঠেছিল চারপাশ। তিনি বিমানবাহিনীর জেট ইঞ্জিনচালিত বিমান নিয়ে ১৩ হাজার ৭ মিটার বা প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ১ হাজার ১৩৪ কিলোমিটার বা ৭০৫ মাইল গতিবেগে ছুটেছিলেন। এ কারণেই অসম্ভবকে সম্ভব করে ইতিহাস তৈরি হয়েছিল সেদিন। শব্দের গতিকে ছাড়িয়ে যাওয়া প্রথম মানুষ হিসেবে চক ইয়েগার গৌরবের মুকুটখানি তুলে নিয়েছিলেন নিজের মাথায়। বিমানের সোনালি ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল অধ্যায় যোগ হয় সেদিন। শব্দের গতিকে পেছনে ফেলে সুপারসনিক বিমানের যুগ শুরু হয়।
অথচ এক দিন আগেই ঘোড়া চালাতে গিয়ে খুব বিশ্রীভাবে ঘোড়া থেকে ছিটকে পড়ে চক ইয়েগারের পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙে যায়। এমন গুরুতর আহত হওয়ার খবরটি বেমালুম চেপে যান এবং
রেকর্ড সৃষ্টির অদম্য আকাঙ্ক্ষায় সকাল সকাল বিমানে চেপে বসেন। তাঁর বিমানটি ছিল ‘বেল এক্স-১’। এটি একটি বোমারু বিমান। তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে বিমানটির নাম রেখেছিলেন ‘গ্ল্যামারাস গ্লেনিস’ বা ‘রূপসী গ্লেনিস’।
যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তির এমন অগ্রগতির খবরটি অনেক দিন গোপন রেখেছিল। কারণ, সে সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে।
চক ইয়েগার ছিলেন একজন সত্যিকারের বীর। মাত্র ১৮ বছর বয়সে মার্কিন বিমানবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যে জার্মান নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমানযুদ্ধে অসম বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি ছিলেন জার্মান বায়ু সেনাদের
ত্রাস। একাই ১৩টি জার্মান বিমান ভূপাতিত করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছিলেন চক ইয়েগার। একবার আকাশে তাঁকে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি শত্রু বিমান ঘিরে ফেলে। সে সময় তাঁর বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। তিনি প্যারাসুটে ভর করে যখন নিচে নামছিলেন, তখন যুদ্ধনীতি ভঙ্গ করে শত্রুসেনারা তাঁর দিকে গুলি ছুড়েছিল। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন। এমন অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়ার ঘটনা তাঁর জীবনে বেশ কয়েকবারই ঘটেছে।
জেনারেল চক ইয়েগার বেঁচে ছিলেন ৯৭ বছর। এমন দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে ছিল অসংখ্য অ্যাডভেঞ্চার আর নানান দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডে ভরপুর। সাধারণ পরিবারে জন্ম নিলেও এককালে মার্কিন তরুণদের চোখে তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের হিরো, কিংবদন্তিতুল্য অসাধারণ মানুষ। আর মাটির মানুষ হলেও তাঁর ঠিকানা ছিল আকাশে।
সেদিন ছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ অক্টোবর। ক্যালিফোর্নিয়ার মেঘমুক্ত আকাশ। সকাল ঠিক ১০টা ১৮ মিনিটে আকাশে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বিকট এক আওয়াজ হলো। কিন্তু অনেক দিন কেউ জানতে পারল না, এমন তীব্র শব্দ কেন বা কোন কারণে ঘটেছিল!
মার্কিন বিমানবাহিনীর মাত্র ২৪ বছরের এক তরুণ ক্যাপ্টেন, নাম চক ইয়েগার (১৯২৩-২০২০), শব্দের গতিবেগ ছাড়িয়ে বিমান চালিয়ে শব্দপ্রাচীর ভেদ করাতেই এমন তীব্র শব্দে কেঁপে উঠেছিল চারপাশ। তিনি বিমানবাহিনীর জেট ইঞ্জিনচালিত বিমান নিয়ে ১৩ হাজার ৭ মিটার বা প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ১ হাজার ১৩৪ কিলোমিটার বা ৭০৫ মাইল গতিবেগে ছুটেছিলেন। এ কারণেই অসম্ভবকে সম্ভব করে ইতিহাস তৈরি হয়েছিল সেদিন। শব্দের গতিকে ছাড়িয়ে যাওয়া প্রথম মানুষ হিসেবে চক ইয়েগার গৌরবের মুকুটখানি তুলে নিয়েছিলেন নিজের মাথায়। বিমানের সোনালি ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল অধ্যায় যোগ হয় সেদিন। শব্দের গতিকে পেছনে ফেলে সুপারসনিক বিমানের যুগ শুরু হয়।
অথচ এক দিন আগেই ঘোড়া চালাতে গিয়ে খুব বিশ্রীভাবে ঘোড়া থেকে ছিটকে পড়ে চক ইয়েগারের পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙে যায়। এমন গুরুতর আহত হওয়ার খবরটি বেমালুম চেপে যান এবং
রেকর্ড সৃষ্টির অদম্য আকাঙ্ক্ষায় সকাল সকাল বিমানে চেপে বসেন। তাঁর বিমানটি ছিল ‘বেল এক্স-১’। এটি একটি বোমারু বিমান। তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে বিমানটির নাম রেখেছিলেন ‘গ্ল্যামারাস গ্লেনিস’ বা ‘রূপসী গ্লেনিস’।
যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তির এমন অগ্রগতির খবরটি অনেক দিন গোপন রেখেছিল। কারণ, সে সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে।
চক ইয়েগার ছিলেন একজন সত্যিকারের বীর। মাত্র ১৮ বছর বয়সে মার্কিন বিমানবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যে জার্মান নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমানযুদ্ধে অসম বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি ছিলেন জার্মান বায়ু সেনাদের
ত্রাস। একাই ১৩টি জার্মান বিমান ভূপাতিত করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছিলেন চক ইয়েগার। একবার আকাশে তাঁকে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি শত্রু বিমান ঘিরে ফেলে। সে সময় তাঁর বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। তিনি প্যারাসুটে ভর করে যখন নিচে নামছিলেন, তখন যুদ্ধনীতি ভঙ্গ করে শত্রুসেনারা তাঁর দিকে গুলি ছুড়েছিল। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন। এমন অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়ার ঘটনা তাঁর জীবনে বেশ কয়েকবারই ঘটেছে।
জেনারেল চক ইয়েগার বেঁচে ছিলেন ৯৭ বছর। এমন দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে ছিল অসংখ্য অ্যাডভেঞ্চার আর নানান দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডে ভরপুর। সাধারণ পরিবারে জন্ম নিলেও এককালে মার্কিন তরুণদের চোখে তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের হিরো, কিংবদন্তিতুল্য অসাধারণ মানুষ। আর মাটির মানুষ হলেও তাঁর ঠিকানা ছিল আকাশে।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
১০ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে