রজত কান্তি রায়, ঢাকা
তারেক অণু ও কনক আদিত্যের সঙ্গে তাঁদের সদ্য শেষ করা ভ্রমণ নিয়ে আড্ডাটা হয়েছিল দীর্ঘ। না হয়ে উপায় ছিল না। ৬০ দিনের ভ্রমণ, তা-ও আবার অস্ট্রেলিয়ার প্রায় অর্ধেক! ডিঙ্গ, ইমু আর অস্ট্রেলিয়ার পোস্টার বয় ক্যাঙারুর গল্প করতেই তো পেরিয়ে যাওয়ার কথা কয়েক ঘণ্টা। হয়েছিল তা-ই।
আয়তন ৭৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৩০ বর্গকিলোমিটার! এই বিশাল আয়তনের প্রায় অর্ধেক ঘুরে ফেলা যেকোনো অর্থেই বিশাল ব্যাপার। সেটাই করেছেন তাঁরা। ঘুরেছেন প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার! দেখেছেন প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্যসহ মানুষ এবং তাদের সংস্কৃতি। বোঝার চেষ্টা করেছেন, অনুভবের চেষ্টা করেছেন প্রকৃতির বিশালতা। বিষয়টি ভাবতেই যাঁদের শরীর হিম হয়ে যাচ্ছে, তাঁরা যদি জানেন, এই দলের প্রধান ছিলেন পর্যটক ও পাখিবিশারদ ইনাম আল হক, তাহলে অনেকেই বলবেন, ঠিক আছে, আর কিছু বলতে হবে না।
মূল দলটি ছিল ইনাম আল হক, তারেক অণু, কনক আদিত্য এবং অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী মাহবুব চৌধুরী—এই চারজনের। কখনো কখনো অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়েকজন যুক্ত হয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য। এত বড় আয়োজনের একটা নিখুঁত পরিকল্পনা খুব জরুরি। চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া এই ভ্রমণের পরিকল্পনা বেশ পুরোনো। বছর চারেক আগে শুরু হয়েছিল সেটা। এরপর বিভিন্ন কারণে পিছিয়েছে। এসেছে করোনা মহামারি। আবারও পিছিয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা যখন হয়েছে, সেটা তো বাস্তবায়ন করতে হবে! এবার তা-ও হয়ে গেল।
অস্ট্রেলিয়া কেন
অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী শিল্পকলার প্রতি কনক আদিত্যের আগ্রহ ছিল অনেক আগে থেকে। সেটা দেখা এবং অভিজ্ঞতা অর্জনটা ছিল প্রধান বিষয়। ইনাম আল হকের সঙ্গে দীর্ঘ সফরের ইচ্ছাটাও এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে সবকিছু একসঙ্গে মিলে যায় কনক আদিত্যের। আর তারেক অণু এর আগেও ঘুরে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে।
যদিও পুরোপুরি তৃপ্ত হতে পারেননি তিনি। এর জীববৈচিত্র্য, সংস্কৃতি, ভূমিরূপ, উদ্ভিদ ইত্যাদি দেখে অস্ট্রেলিয়া আরও গভীরভাবে দেখার তীব্র ইচ্ছা জেগেছিল। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনার পর সুযোগ তৈরি করে নিয়েছেন।
স্থানীয় প্রজাতির প্রায় ৪০০ পাখি পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ায়। পৃথিবীর কোথাও যা আর দেখা যায় না। ইনাম আল হকের এর বেশি আর কী প্রয়োজন হতে পারে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের?
২০ হাজার কিলোমিটার পুরো ভারত উপমহাদেশের চেয়ে আয়তনে বড় অস্ট্রেলিয়া। সে জন্যই পরিকল্পনা করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অংশ বাদ রেখে পূর্ব অংশ ঘুরে ফেলা। এর কারণ, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব বড় বড় শহর ও জনপদ এবং জীববৈচিত্র্য এই পশ্চিম অংশে।
কনক আদিত্য জানালেন, এই বিশাল আয়তনের প্রায় অর্ধেক ভ্রমণও আসলে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া মাত্র।
তারেক অণু জানালেন, চোখের সামনে একটি মহাদেশের জীববৈচিত্র্য ও ভূপ্রকৃতির বদলে যাওয়া দেখা এক অসাধারণ অনুভূতি। অস্ট্রেলিয়ার সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ তাসমানিয়া, সর্ব উত্তরের অংশ নর্দান টেরিটরি ও কুইন্সল্যান্ড, ডারউইন, কেয়ার্নস—সবকিছুই দেখা হয়েছে এ ভ্রমণে। এই দুই অংশ একেবারে দুই রকম জলবায়ুর অংশ। ফলে এদের বৈচিত্র্যেও ফারাক আছে বিস্তর। যেমন পুরো তাসমানিয়া পাহাড়ি অঞ্চল এবং ইউনেসকো হেরিটেজ সাইট। আবার ভিক্টোরিয়া উঁচু বৃক্ষের বনসমৃদ্ধ এলাকা।
গ্রেট বেরিয়ার রিফ একেবারে আলাদা অঞ্চল। আবার অস্ট্রেলিয়ার বাদাবন ডারউইন, সে নাকি আবার আমাদের সুন্দরবনের মতো দেখতে! সেখানকার আমাদের নোনাপানির কুমিরের মতো। এই পুরো যাত্রা যেকোনো মানুষের জন্য স্মরণীয় ঘটনা বলে মনে করেন তারেক অণু।
এই পুরো অংশ দেখতে চলতে হয়েছে ২০ হাজার কিলোমিটার! আর যাত্রা শুরু হয়েছিল সিডনি থেকে।
ছোট ছোট স্মৃতি
পুরো ভ্রমণই স্মৃতিময়, সেটি কনক আদিত্য কিংবা তারেক অণুর কথায় বোঝা গেল পরিষ্কার। কিন্তু কিছু ঘটনা ছিল, যেগুলো কখনো কিছুটা বিস্ময় জাগিয়েছে, কিছুটা হাস্যরসও তৈরি করেছে।
অচেনা পাখির জগৎ
ইনাম আল হক পাখি চিনতে পারেননি! এটা আশ্চর্যজনক ঘটনাই বটে। কনক আদিত্য খোলাসা করলেন সেই ঘটনা। অসংখ্য পাখির ছবি তুলেছিলেন তিনি। সেগুলো দেখাচ্ছেন ইনাম আল হককে। কিন্তু তিনি ঠিক চিনতে পারছেন না। এবার কনক আদিত্য খানিক আশ্চর্য হলেন।
ইনাম আল হক জানালেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪০০ প্রজাতির স্থানীয় পাখি আছে, যেগুলো পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তিনি সেগুলো আগে কখনো দেখেননি। ফলে সেগুলো ঠিক চেনা যাচ্ছে না।
বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া
অস্ট্রেলিয়ায় যখন যেখানে গেছেন, আবহাওয়ার সহায়তা পেয়েছেন প্রাকৃতিকভাবে। অণু জানালেন, তাসমানিয়ায় কুয়াশা আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি থাকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা পেলেন রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। আবার সেখান থেকে চলে আসার ঠিক পরেই সেখানে শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি! প্রচণ্ড গরমের জায়গা এলিস স্প্রিং, যেখানে তাপের জন্য শরীরের কোনো অংশ উন্মুক্ত রাখা যায় না। মধ্য অস্ট্রেলিয়ার সেই শহরে যেদিন তাঁরা উপস্থিত হলেন, সেদিন ভীষণ বৃষ্টি। পুরো যাত্রায় আবহাওয়ার এমন সহায়তা পেয়েছিলেন তাঁরা।
ভয়ংকর সুন্দর ৪৫০ কিলোমিটার
অস্ট্রেলিয়ায় নো ফুয়েল লেখা কোনো এলাকা ভীষণ ভয়ংকর। প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার তেমন একটি রাস্তা পাড়ি দিতে হয়েছিল তাঁদের। সে রাস্তায় ছিল না খাবারের কোনো দোকান কিংবা পেট্রলপাম্প। রাস্তাটির এক অংশে ছিল চমৎকার সোনারঙা ঘাস। কনক আদিত্য সেই অপার্থিব আলো শরীরে মাখবেন বলে মাহবুব চৌধুরীকে গাড়ি দাঁড় করাতে অনুরোধ করলেন। মাহবুব জানালেন, থামার পর গোসল করা যাবে। গাড়ি চলতে লাগল। তিন মিনিট পর কনক আদিত্য থাকতে না পেরে মাহবুব চৌধুরীকে বললেন, এই সোনারোদে শরীর ভেজাতে হবে। গাড়ি থামান।
তারেক অণু ও কনক আদিত্যের সঙ্গে তাঁদের সদ্য শেষ করা ভ্রমণ নিয়ে আড্ডাটা হয়েছিল দীর্ঘ। না হয়ে উপায় ছিল না। ৬০ দিনের ভ্রমণ, তা-ও আবার অস্ট্রেলিয়ার প্রায় অর্ধেক! ডিঙ্গ, ইমু আর অস্ট্রেলিয়ার পোস্টার বয় ক্যাঙারুর গল্প করতেই তো পেরিয়ে যাওয়ার কথা কয়েক ঘণ্টা। হয়েছিল তা-ই।
আয়তন ৭৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৩০ বর্গকিলোমিটার! এই বিশাল আয়তনের প্রায় অর্ধেক ঘুরে ফেলা যেকোনো অর্থেই বিশাল ব্যাপার। সেটাই করেছেন তাঁরা। ঘুরেছেন প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার! দেখেছেন প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্যসহ মানুষ এবং তাদের সংস্কৃতি। বোঝার চেষ্টা করেছেন, অনুভবের চেষ্টা করেছেন প্রকৃতির বিশালতা। বিষয়টি ভাবতেই যাঁদের শরীর হিম হয়ে যাচ্ছে, তাঁরা যদি জানেন, এই দলের প্রধান ছিলেন পর্যটক ও পাখিবিশারদ ইনাম আল হক, তাহলে অনেকেই বলবেন, ঠিক আছে, আর কিছু বলতে হবে না।
মূল দলটি ছিল ইনাম আল হক, তারেক অণু, কনক আদিত্য এবং অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী মাহবুব চৌধুরী—এই চারজনের। কখনো কখনো অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়েকজন যুক্ত হয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য। এত বড় আয়োজনের একটা নিখুঁত পরিকল্পনা খুব জরুরি। চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া এই ভ্রমণের পরিকল্পনা বেশ পুরোনো। বছর চারেক আগে শুরু হয়েছিল সেটা। এরপর বিভিন্ন কারণে পিছিয়েছে। এসেছে করোনা মহামারি। আবারও পিছিয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা যখন হয়েছে, সেটা তো বাস্তবায়ন করতে হবে! এবার তা-ও হয়ে গেল।
অস্ট্রেলিয়া কেন
অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী শিল্পকলার প্রতি কনক আদিত্যের আগ্রহ ছিল অনেক আগে থেকে। সেটা দেখা এবং অভিজ্ঞতা অর্জনটা ছিল প্রধান বিষয়। ইনাম আল হকের সঙ্গে দীর্ঘ সফরের ইচ্ছাটাও এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে সবকিছু একসঙ্গে মিলে যায় কনক আদিত্যের। আর তারেক অণু এর আগেও ঘুরে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে।
যদিও পুরোপুরি তৃপ্ত হতে পারেননি তিনি। এর জীববৈচিত্র্য, সংস্কৃতি, ভূমিরূপ, উদ্ভিদ ইত্যাদি দেখে অস্ট্রেলিয়া আরও গভীরভাবে দেখার তীব্র ইচ্ছা জেগেছিল। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনার পর সুযোগ তৈরি করে নিয়েছেন।
স্থানীয় প্রজাতির প্রায় ৪০০ পাখি পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ায়। পৃথিবীর কোথাও যা আর দেখা যায় না। ইনাম আল হকের এর বেশি আর কী প্রয়োজন হতে পারে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের?
২০ হাজার কিলোমিটার পুরো ভারত উপমহাদেশের চেয়ে আয়তনে বড় অস্ট্রেলিয়া। সে জন্যই পরিকল্পনা করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অংশ বাদ রেখে পূর্ব অংশ ঘুরে ফেলা। এর কারণ, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব বড় বড় শহর ও জনপদ এবং জীববৈচিত্র্য এই পশ্চিম অংশে।
কনক আদিত্য জানালেন, এই বিশাল আয়তনের প্রায় অর্ধেক ভ্রমণও আসলে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া মাত্র।
তারেক অণু জানালেন, চোখের সামনে একটি মহাদেশের জীববৈচিত্র্য ও ভূপ্রকৃতির বদলে যাওয়া দেখা এক অসাধারণ অনুভূতি। অস্ট্রেলিয়ার সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ তাসমানিয়া, সর্ব উত্তরের অংশ নর্দান টেরিটরি ও কুইন্সল্যান্ড, ডারউইন, কেয়ার্নস—সবকিছুই দেখা হয়েছে এ ভ্রমণে। এই দুই অংশ একেবারে দুই রকম জলবায়ুর অংশ। ফলে এদের বৈচিত্র্যেও ফারাক আছে বিস্তর। যেমন পুরো তাসমানিয়া পাহাড়ি অঞ্চল এবং ইউনেসকো হেরিটেজ সাইট। আবার ভিক্টোরিয়া উঁচু বৃক্ষের বনসমৃদ্ধ এলাকা।
গ্রেট বেরিয়ার রিফ একেবারে আলাদা অঞ্চল। আবার অস্ট্রেলিয়ার বাদাবন ডারউইন, সে নাকি আবার আমাদের সুন্দরবনের মতো দেখতে! সেখানকার আমাদের নোনাপানির কুমিরের মতো। এই পুরো যাত্রা যেকোনো মানুষের জন্য স্মরণীয় ঘটনা বলে মনে করেন তারেক অণু।
এই পুরো অংশ দেখতে চলতে হয়েছে ২০ হাজার কিলোমিটার! আর যাত্রা শুরু হয়েছিল সিডনি থেকে।
ছোট ছোট স্মৃতি
পুরো ভ্রমণই স্মৃতিময়, সেটি কনক আদিত্য কিংবা তারেক অণুর কথায় বোঝা গেল পরিষ্কার। কিন্তু কিছু ঘটনা ছিল, যেগুলো কখনো কিছুটা বিস্ময় জাগিয়েছে, কিছুটা হাস্যরসও তৈরি করেছে।
অচেনা পাখির জগৎ
ইনাম আল হক পাখি চিনতে পারেননি! এটা আশ্চর্যজনক ঘটনাই বটে। কনক আদিত্য খোলাসা করলেন সেই ঘটনা। অসংখ্য পাখির ছবি তুলেছিলেন তিনি। সেগুলো দেখাচ্ছেন ইনাম আল হককে। কিন্তু তিনি ঠিক চিনতে পারছেন না। এবার কনক আদিত্য খানিক আশ্চর্য হলেন।
ইনাম আল হক জানালেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪০০ প্রজাতির স্থানীয় পাখি আছে, যেগুলো পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তিনি সেগুলো আগে কখনো দেখেননি। ফলে সেগুলো ঠিক চেনা যাচ্ছে না।
বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া
অস্ট্রেলিয়ায় যখন যেখানে গেছেন, আবহাওয়ার সহায়তা পেয়েছেন প্রাকৃতিকভাবে। অণু জানালেন, তাসমানিয়ায় কুয়াশা আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি থাকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা পেলেন রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। আবার সেখান থেকে চলে আসার ঠিক পরেই সেখানে শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি! প্রচণ্ড গরমের জায়গা এলিস স্প্রিং, যেখানে তাপের জন্য শরীরের কোনো অংশ উন্মুক্ত রাখা যায় না। মধ্য অস্ট্রেলিয়ার সেই শহরে যেদিন তাঁরা উপস্থিত হলেন, সেদিন ভীষণ বৃষ্টি। পুরো যাত্রায় আবহাওয়ার এমন সহায়তা পেয়েছিলেন তাঁরা।
ভয়ংকর সুন্দর ৪৫০ কিলোমিটার
অস্ট্রেলিয়ায় নো ফুয়েল লেখা কোনো এলাকা ভীষণ ভয়ংকর। প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার তেমন একটি রাস্তা পাড়ি দিতে হয়েছিল তাঁদের। সে রাস্তায় ছিল না খাবারের কোনো দোকান কিংবা পেট্রলপাম্প। রাস্তাটির এক অংশে ছিল চমৎকার সোনারঙা ঘাস। কনক আদিত্য সেই অপার্থিব আলো শরীরে মাখবেন বলে মাহবুব চৌধুরীকে গাড়ি দাঁড় করাতে অনুরোধ করলেন। মাহবুব জানালেন, থামার পর গোসল করা যাবে। গাড়ি চলতে লাগল। তিন মিনিট পর কনক আদিত্য থাকতে না পেরে মাহবুব চৌধুরীকে বললেন, এই সোনারোদে শরীর ভেজাতে হবে। গাড়ি থামান।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৭ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে