কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
ঘর-সংসার সামলিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন, একটু ঘুরে আসতে চান একা একা। কিন্তু নারী বলে সাহসে কুলাচ্ছে না। তাহলে নিশ্চিন্তে যোগাযোগ করুন ‘ভ্রমণকন্যা’ নামের ফেসবুক পেজটিতে। মোবাইল ফোন নম্বরও পেয়ে যাবেন। তারপর বাক্স-পেটরা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।
যতই আমরা এগিয়ে যাওয়ার কথা বলি না কেন, নারীদের জন্য ভ্রমণ বিষয়টি এখনো খুব সহজ হয়ে ওঠেনি আমাদের দেশে। কিন্তু ভ্রমণকন্যা সেই কঠিন বিষয়টিকে খানিক সহজ করতে কাজ করে যাচ্ছে। গত ৭ বছরে ভ্রমণকন্যা নারীদের ভ্রমণে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই ভ্রমণবিষয়ক প্রতিষ্ঠানটি আয়োজন করেছে তাদের পঞ্চম প্রদর্শনী। সেটি চলছে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনের চারতলায়। অবশ্য এটি শুধু প্রদর্শনীই নয়, এখানে আয়োজন করা হয়েছে এক্সট্রিম ট্রাভেল এবং আলোকচিত্রবিষয়ক কর্মশালা। চলবে ৭ আগস্ট পর্যন্ত।
লিফট দিয়ে চারতলায় নেমেই সোজা চলে গেলাম গ্যালারির দিকে। গ্যালারি-৬-এর দরজা ঠেলে ঢুকতেই মেঘ আর ঝরনাঘেরা একটা বেঞ্চ। তুলা দিয়ে তৈরি মেঘ আর সাদা নেটের কাপড় দিয়ে তৈরি ঝরনার মধ্যে বাঁধনহারা একটা ব্যাপার আছে। একটু ভেতরে ঢুকতেই জলে ভাসা এক শিশুর হাস্যোজ্জ্বল মুখ। যে পানিতে ডুবে গা ভাসিয়ে শুধু মুখটা বের করে দিয়ে হাসছে। সেই হাসিতে আছে অপার তৃপ্তি। গ্যালারি ঘুরতেই মুগ্ধ করছে ছবিগুলো। কোনো ছবিতে ষাটোর্ধ্ব প্রৌঢ়ের বেলাশেষের ক্লান্তিমাখা হাসি, কোথাও ধরা দিচ্ছে কিশোর-কিশোরীর ডানপিটেপনা। কোথাও আবার নিবিড়ভাবে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কথা বলছে দুটি পাখি, কোথাও গৃহিণীর মুখে অচিন এক হাসি। কোনো ছবিতে পাহাড়ি মেয়েরা সারি বেঁধে হাঁটছে পাহাড়ের গা-ঘেঁষা জুমের জমিতে আবার কোথাও ফুটে উঠেছে দম্পতির প্রেম।
ছবিগুলো ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার। সেখানে একেক বয়সের, একেক জায়গার, একেক অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে। কোনো ছবি ডিএসএলআর ক্যামেরায় তোলা, আবার কোনোটি তোলা হয়েছে মোবাইল ফোন দিয়ে। কিন্তু ছবিগুলো যেন খুবই জীবন্ত। ঠিক যে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ২০১৬ সালে মেডিকেলপড়ুয়া দুই বন্ধু ফেসবুকে খুলে বসেছিলেন একটি ভ্রমণ গ্রুপ, ভ্রমণকন্যা—‘ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ’। দুজন মিলে তৈরি সে গ্রুপটি বর্তমানে ৭৩ হাজার ভ্রমণপিপাসু মানুষের বিরাট মিলনক্ষেত্র। যাঁরা এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশে ১৯৯টি ভ্রমণ শেষ করেছেন। সাত বছর আগে ১৯ জন মেয়েকে নিয়ে নরসিংদীর সরিষাখেত ভ্রমণ থেকে শুরু তাঁদের সে যাত্রা। বর্তমানে নানা বয়সের নারীরা এই গ্রুপের মাধ্যমে ভ্রমণ করছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পাহাড়, সমুদ্র আর হাওরাঞ্চলে। শুধু ভ্রমণেই সীমাবদ্ধ নেই তাঁরা। ভ্রমণকন্যা করেছে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম, সচেতনতামূলক আয়োজন, চিত্র প্রদর্শনী, ভ্রমণ ম্যাগাজিন প্রকাশসহ বেশ কিছু কার্যক্রম।
ঘর-সংসার সামলিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন, একটু ঘুরে আসতে চান একা একা। কিন্তু নারী বলে সাহসে কুলাচ্ছে না। তাহলে নিশ্চিন্তে যোগাযোগ করুন ‘ভ্রমণকন্যা’ নামের ফেসবুক পেজটিতে। মোবাইল ফোন নম্বরও পেয়ে যাবেন। তারপর বাক্স-পেটরা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।
যতই আমরা এগিয়ে যাওয়ার কথা বলি না কেন, নারীদের জন্য ভ্রমণ বিষয়টি এখনো খুব সহজ হয়ে ওঠেনি আমাদের দেশে। কিন্তু ভ্রমণকন্যা সেই কঠিন বিষয়টিকে খানিক সহজ করতে কাজ করে যাচ্ছে। গত ৭ বছরে ভ্রমণকন্যা নারীদের ভ্রমণে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই ভ্রমণবিষয়ক প্রতিষ্ঠানটি আয়োজন করেছে তাদের পঞ্চম প্রদর্শনী। সেটি চলছে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনের চারতলায়। অবশ্য এটি শুধু প্রদর্শনীই নয়, এখানে আয়োজন করা হয়েছে এক্সট্রিম ট্রাভেল এবং আলোকচিত্রবিষয়ক কর্মশালা। চলবে ৭ আগস্ট পর্যন্ত।
লিফট দিয়ে চারতলায় নেমেই সোজা চলে গেলাম গ্যালারির দিকে। গ্যালারি-৬-এর দরজা ঠেলে ঢুকতেই মেঘ আর ঝরনাঘেরা একটা বেঞ্চ। তুলা দিয়ে তৈরি মেঘ আর সাদা নেটের কাপড় দিয়ে তৈরি ঝরনার মধ্যে বাঁধনহারা একটা ব্যাপার আছে। একটু ভেতরে ঢুকতেই জলে ভাসা এক শিশুর হাস্যোজ্জ্বল মুখ। যে পানিতে ডুবে গা ভাসিয়ে শুধু মুখটা বের করে দিয়ে হাসছে। সেই হাসিতে আছে অপার তৃপ্তি। গ্যালারি ঘুরতেই মুগ্ধ করছে ছবিগুলো। কোনো ছবিতে ষাটোর্ধ্ব প্রৌঢ়ের বেলাশেষের ক্লান্তিমাখা হাসি, কোথাও ধরা দিচ্ছে কিশোর-কিশোরীর ডানপিটেপনা। কোথাও আবার নিবিড়ভাবে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কথা বলছে দুটি পাখি, কোথাও গৃহিণীর মুখে অচিন এক হাসি। কোনো ছবিতে পাহাড়ি মেয়েরা সারি বেঁধে হাঁটছে পাহাড়ের গা-ঘেঁষা জুমের জমিতে আবার কোথাও ফুটে উঠেছে দম্পতির প্রেম।
ছবিগুলো ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার। সেখানে একেক বয়সের, একেক জায়গার, একেক অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে। কোনো ছবি ডিএসএলআর ক্যামেরায় তোলা, আবার কোনোটি তোলা হয়েছে মোবাইল ফোন দিয়ে। কিন্তু ছবিগুলো যেন খুবই জীবন্ত। ঠিক যে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ২০১৬ সালে মেডিকেলপড়ুয়া দুই বন্ধু ফেসবুকে খুলে বসেছিলেন একটি ভ্রমণ গ্রুপ, ভ্রমণকন্যা—‘ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ’। দুজন মিলে তৈরি সে গ্রুপটি বর্তমানে ৭৩ হাজার ভ্রমণপিপাসু মানুষের বিরাট মিলনক্ষেত্র। যাঁরা এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশে ১৯৯টি ভ্রমণ শেষ করেছেন। সাত বছর আগে ১৯ জন মেয়েকে নিয়ে নরসিংদীর সরিষাখেত ভ্রমণ থেকে শুরু তাঁদের সে যাত্রা। বর্তমানে নানা বয়সের নারীরা এই গ্রুপের মাধ্যমে ভ্রমণ করছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পাহাড়, সমুদ্র আর হাওরাঞ্চলে। শুধু ভ্রমণেই সীমাবদ্ধ নেই তাঁরা। ভ্রমণকন্যা করেছে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম, সচেতনতামূলক আয়োজন, চিত্র প্রদর্শনী, ভ্রমণ ম্যাগাজিন প্রকাশসহ বেশ কিছু কার্যক্রম।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৩ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে