নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
ঋতুভেদে আমাদের দেশের কোনো কোনো এলাকার রূপ একেবারে বদলে যায়। আবার কোনো কোনো এলাকা নির্দিষ্ট ঋতুতেই ভালো লাগে। আবহাওয়া ও প্রকৃতির জন্যই এমন হয়। শীতে চা-বাগান বা বন খুব একটা ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু নিরাপদ সাগর এ সময় অনেকেরই ভালো লাগবে। আবার উত্তরবঙ্গের গরম অনেকের সহ্য না হলেও শীত কিন্তু উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের ভালো সময়। শীত চলে যাচ্ছে। তাই যেসব জায়গায় এখনো যেতে পারেননি, সেগুলো ঘুরে আসতে পারেন বছরের শুরুতেই।
শীতকালে ভ্রমণের টপ রেটিং জায়গা কোনগুলো?
সমুদ্র
শীতকালে ভ্রমণের জন্য সমুদ্র আদর্শ জায়গা। এ সময় সমুদ্র থাকে শান্ত। ফলে অন্য সময়ের চেয়ে শীতকাল অনেক বেশি নিরাপদ।
সেন্ট মার্টিন
আমাদের দেশে গভীর সমুদ্র ভ্রমণের একটিই জায়গা। সেটি হলো সেন্ট মার্টিন। নভেম্বর থেকে মার্চ এই পাঁচ মাস সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের আদর্শ সময়। এ সময় সেন্ট মার্টিনের অপার নীল আপনাকে ছুঁয়ে যাবে। সমুদ্র শান্ত বলে এ সময় এর মনোরম রূপ দেখা যাবে। নিরাপত্তার তেমন কোনো সমস্যা হবে না এ পাঁচ মাস।
সেন্ট মার্টিন যেতে হলে একটু আগে থেকে খোঁজখবর করে নিলে সুবিধা পাবেন।
সমুদ্র উপকূলের যেকোনো সৈকত, যেমন কক্সবাজার, কুয়াকাটা এমনকি পতেঙ্গা শীতে ভ্রমণের জন্য আদর্শ। এ সময় সৈকতের বালু খুব বেশি উত্তপ্ত হয় না বলে গরম কম থাকে। এতে ভ্রমণজনিত ক্লান্তি ও অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এ জন্য ইচ্ছেমতো সারা দিন ঘুরে বেড়ানো যায় সৈকতে। তা ছাড়া শীতে খাবারদাবারেও বৈচিত্র্য পাওয়া যায়।
শীতযাপন
যাঁরা শীত উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য এ সময় উপযুক্ত জায়গা হলো উত্তরবঙ্গ। উত্তরে দেশের শেষ জনপদ তেঁতুলিয়া। এটি হিমালয়ের একেবারে কাছে। এ সময় তেঁতুলিয়া ঘুরে আসতে পারেন। এ সময় কুয়াশা কম থাকলে, বিশেষত দুপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখা যেতে পারে সেখান থেকে।
তেঁতুলিয়া গেলে দেখে আসতে পারবেন পঞ্চগড়ের সমতলের চা-বাগান। তবে এ সময় সবুজ খুব একটা থাকে না বলে চা-বাগান দেখে আনন্দ নাও পেতে পারেন অনেকে। এ ছাড়া দেখতে পারবেন দিনাজপুরের টেরাকোটাশোভিত কান্তজিউ মন্দির ও শিঙাড়া ফরেস্ট। প্রচুর সরিষাখেত আছে এ অঞ্চলে। সেগুলোও দেখতে পারবেন।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো আমাদের দেশের প্রাচীন জনপদগুলোর মধ্যে অন্যতম। রংপুর ও দিনাজপুর শহর বেশ প্রাচীন। এ শহরগুলোতে একটি করে জাদুঘর আছে। চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন।
রাজশাহী ভ্রমণের উপযুক্ত সময় শীত। কারণ রাজশাহীর গরম সহ্য করা অনেকের পক্ষে কঠিন। এ সময় পদ্মা নদীতে পানি কম থাকে। বিকেলে পদ্মায় নৌকা ভ্রমণ হতে পারে আনন্দের ইভেন্ট। তারপর সন্ধ্যায় কালাইয়ের রুটি দিয়ে হাঁসের মাংস খাওয়া দিতে পারে আপনাকে অপার তৃপ্তি। রাজশাহী অঞ্চলে প্রাচীন অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে। সেগুলোও দেখে আসতে পারেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পুঠিয়া রাজবাড়ি, বাঘা মসজিদ, সোনামসজিদ, কুসুমবা মসজিদ ইত্যাদি।
পাখিপ্রেমীদের জন্য শীতকালের পদ্মার চর আকর্ষণীয় জায়গা। প্রচুর পরিযায়ী পাখি দেখা যাবে এ সময় পদ্মার চরে। নৌকা ভাড়া করে চর থেকে চরে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
হাওর
হাওর দেখার আদর্শ সময় বর্ষাকাল। তবে যাঁরা পাখি দেখতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য শীতকালের হাওর উপযুক্ত সময়। এখানে হাউস বোটে ঘুরে ঘুরে পাখি দেখতে পারেন।
সরিষার খেত
সম্প্রতি শীতকালে সরিষার খেত দেখার একটি ট্রেন্ড চালু হয়েছে। এ জন্য উপযুক্ত এলাকা হলো চলনবিল। নাটোর কিংবা পাবনা অঞ্চলের চলনবিল এলাকায় যেতে পারেন এ সময়। পুরো চলনবিলে দেশের সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ করা হয়। এ সময় যদি সড়ক বা রেলপথে রাজশাহী যান, তাহলেও সরিষার খেত দেখা যাবে। সে ক্ষেত্রে দিনের বেলা যেতে হবে।
এ ছাড়া ঢাকার অদূরে সাভার কিংবা মানিকগঞ্জ এলাকায়ও প্রচুর সরিষার চাষ হয়। সময় করে যেকোনো ছুটির দিন ঘুরে আসতে পারেন।
ঋতুভেদে আমাদের দেশের কোনো কোনো এলাকার রূপ একেবারে বদলে যায়। আবার কোনো কোনো এলাকা নির্দিষ্ট ঋতুতেই ভালো লাগে। আবহাওয়া ও প্রকৃতির জন্যই এমন হয়। শীতে চা-বাগান বা বন খুব একটা ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু নিরাপদ সাগর এ সময় অনেকেরই ভালো লাগবে। আবার উত্তরবঙ্গের গরম অনেকের সহ্য না হলেও শীত কিন্তু উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের ভালো সময়। শীত চলে যাচ্ছে। তাই যেসব জায়গায় এখনো যেতে পারেননি, সেগুলো ঘুরে আসতে পারেন বছরের শুরুতেই।
শীতকালে ভ্রমণের টপ রেটিং জায়গা কোনগুলো?
সমুদ্র
শীতকালে ভ্রমণের জন্য সমুদ্র আদর্শ জায়গা। এ সময় সমুদ্র থাকে শান্ত। ফলে অন্য সময়ের চেয়ে শীতকাল অনেক বেশি নিরাপদ।
সেন্ট মার্টিন
আমাদের দেশে গভীর সমুদ্র ভ্রমণের একটিই জায়গা। সেটি হলো সেন্ট মার্টিন। নভেম্বর থেকে মার্চ এই পাঁচ মাস সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের আদর্শ সময়। এ সময় সেন্ট মার্টিনের অপার নীল আপনাকে ছুঁয়ে যাবে। সমুদ্র শান্ত বলে এ সময় এর মনোরম রূপ দেখা যাবে। নিরাপত্তার তেমন কোনো সমস্যা হবে না এ পাঁচ মাস।
সেন্ট মার্টিন যেতে হলে একটু আগে থেকে খোঁজখবর করে নিলে সুবিধা পাবেন।
সমুদ্র উপকূলের যেকোনো সৈকত, যেমন কক্সবাজার, কুয়াকাটা এমনকি পতেঙ্গা শীতে ভ্রমণের জন্য আদর্শ। এ সময় সৈকতের বালু খুব বেশি উত্তপ্ত হয় না বলে গরম কম থাকে। এতে ভ্রমণজনিত ক্লান্তি ও অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এ জন্য ইচ্ছেমতো সারা দিন ঘুরে বেড়ানো যায় সৈকতে। তা ছাড়া শীতে খাবারদাবারেও বৈচিত্র্য পাওয়া যায়।
শীতযাপন
যাঁরা শীত উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য এ সময় উপযুক্ত জায়গা হলো উত্তরবঙ্গ। উত্তরে দেশের শেষ জনপদ তেঁতুলিয়া। এটি হিমালয়ের একেবারে কাছে। এ সময় তেঁতুলিয়া ঘুরে আসতে পারেন। এ সময় কুয়াশা কম থাকলে, বিশেষত দুপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখা যেতে পারে সেখান থেকে।
তেঁতুলিয়া গেলে দেখে আসতে পারবেন পঞ্চগড়ের সমতলের চা-বাগান। তবে এ সময় সবুজ খুব একটা থাকে না বলে চা-বাগান দেখে আনন্দ নাও পেতে পারেন অনেকে। এ ছাড়া দেখতে পারবেন দিনাজপুরের টেরাকোটাশোভিত কান্তজিউ মন্দির ও শিঙাড়া ফরেস্ট। প্রচুর সরিষাখেত আছে এ অঞ্চলে। সেগুলোও দেখতে পারবেন।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো আমাদের দেশের প্রাচীন জনপদগুলোর মধ্যে অন্যতম। রংপুর ও দিনাজপুর শহর বেশ প্রাচীন। এ শহরগুলোতে একটি করে জাদুঘর আছে। চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন।
রাজশাহী ভ্রমণের উপযুক্ত সময় শীত। কারণ রাজশাহীর গরম সহ্য করা অনেকের পক্ষে কঠিন। এ সময় পদ্মা নদীতে পানি কম থাকে। বিকেলে পদ্মায় নৌকা ভ্রমণ হতে পারে আনন্দের ইভেন্ট। তারপর সন্ধ্যায় কালাইয়ের রুটি দিয়ে হাঁসের মাংস খাওয়া দিতে পারে আপনাকে অপার তৃপ্তি। রাজশাহী অঞ্চলে প্রাচীন অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে। সেগুলোও দেখে আসতে পারেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পুঠিয়া রাজবাড়ি, বাঘা মসজিদ, সোনামসজিদ, কুসুমবা মসজিদ ইত্যাদি।
পাখিপ্রেমীদের জন্য শীতকালের পদ্মার চর আকর্ষণীয় জায়গা। প্রচুর পরিযায়ী পাখি দেখা যাবে এ সময় পদ্মার চরে। নৌকা ভাড়া করে চর থেকে চরে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
হাওর
হাওর দেখার আদর্শ সময় বর্ষাকাল। তবে যাঁরা পাখি দেখতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য শীতকালের হাওর উপযুক্ত সময়। এখানে হাউস বোটে ঘুরে ঘুরে পাখি দেখতে পারেন।
সরিষার খেত
সম্প্রতি শীতকালে সরিষার খেত দেখার একটি ট্রেন্ড চালু হয়েছে। এ জন্য উপযুক্ত এলাকা হলো চলনবিল। নাটোর কিংবা পাবনা অঞ্চলের চলনবিল এলাকায় যেতে পারেন এ সময়। পুরো চলনবিলে দেশের সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ করা হয়। এ সময় যদি সড়ক বা রেলপথে রাজশাহী যান, তাহলেও সরিষার খেত দেখা যাবে। সে ক্ষেত্রে দিনের বেলা যেতে হবে।
এ ছাড়া ঢাকার অদূরে সাভার কিংবা মানিকগঞ্জ এলাকায়ও প্রচুর সরিষার চাষ হয়। সময় করে যেকোনো ছুটির দিন ঘুরে আসতে পারেন।
ব্যাগ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা ভালো। ব্যাগের আকার ও রং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বে ছাপ রাখে বেশ গভীরভাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেসংবেদনশীল ত্বকের মানুষ সারা বছর ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এ ধরনের ত্বক আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ বা ত্বকের অনুপযুক্ত প্রসাধনীতে প্রভাবিত হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেশীতের হিমেল হাওয়া থেকে বাঁচতে বাইকারদের পোশাক নিয়ে থাকতে হয় সচেতন। তাই এ সময় বাইকারদের পোশাকে আসে বিশেষ পরিবর্তন। বাইকারদের পোশাক যেমন শীত নিবারক হতে হয়, তেমনি হতে হয় আরামদায়ক। কী কী থাকবে সে পোশাকে?
১৩ ঘণ্টা আগেএই ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিখ্যাত ফরাসি আবিষ্কারক লুই অটোইন ডি বোগেনভিলিয়ার নাম। তাঁর নামেই এ গাছের নাম রাখা হয়েছিল বোগেনভিলিয়া। আর এটিকে বাংলায় প্রথম বাগানবিলাস বলে ডেকেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কমবেশি সারা বছর ফুল দেখা গেলেও
১৩ ঘণ্টা আগে