মো. আরাফাত হোসেন
দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য চাই বিশেষ ধরনের প্রস্তুতি। এ জন্য প্রতিটি ট্রিপের আগে অবশ্যই একটি চেক লিস্ট তৈরি করে নেওয়া ভালো। তাতে ভ্রমণে যাওয়ার বিস্তারিত বুকিং করে রাখার পাশাপাশি ব্যাগপ্যাক গোছানো এবং অনেক সময় শারীরিকভাবেও নিজেকে প্রস্তুত রাখা সহজ হয়। ভ্রমণ আন্তর্জাতিক বা স্থানীয়, সমুদ্র কিংবা পাহাড়—যেখানেই হোক না কেন, ঠিকভাবে নিজেদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভ্রমণটা উপভোগ করা যাবে।
বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ফ্লাইট বুকিং এবং ভ্রমণ ভিসাসংক্রান্ত ডকুমেন্টস ট্যুরের অনেক আগে গুছিয়ে রাখতে হবে। ট্রাভেল ট্যাক্স, ইনস্যুরেন্স, হোটেল বুকিং ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। অনেক দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে গাড়ি বা বাইক ভাড়া নেওয়া যায়।তাতে ব্যয়ে যেমন সাশ্রয় হয়, তেমনি ভ্রমণে একটা ভিন্নমাত্রা যোগ হয়। সাধারণত ভ্রমণ দুই ধরনের হতে পারে—রিলাক্স ও ট্রেকিং ট্রিপ।
রিলাক্স ও ট্রেকিং ট্রিপের জন্য
» যে জায়গায় যাবেন, সে সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিন।
» দেশের বাইরে অর্থ-সংকটে যাতে না পড়েন, সেভাবে প্রস্তুতি নিন। ইমার্জেন্সি মানি, ব্যাকআপ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড সঙ্গে রাখুন।
» আপনার ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের ফটোকপি ও একাধিক কপি ছবি সঙ্গে রাখুন। দেশে ভ্রমণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র আর দেশের বাইরে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট কাছে রাখুন।
» যদি ট্রাভেল গ্রুপ বা এজেন্সির সঙ্গে যান, তাহলে আগে ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে নিন। ধারণা নিন, কী কী সার্ভিস রয়েছে প্যাকেজের মধ্যে। আলাদা খরচ
সম্পর্কেও আগেই ধারণা নিয়ে নিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে।
» যদি নিজেই সবকিছুর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে যে বিষয় খেয়াল রাখুন: যেখানে যাবেন, সেই জায়গার সিজন ও অফসিজন সময় জেনে পরিকল্পনা করুন। অবশ্যই বাস বা ফ্লাইটের টিকিট আগে কেটে রাখবেন। গাইডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। হোটেল ঠিক করে ফেলুন, সঙ্গে কোথায় খাওয়াদাওয়া করবেন খোঁজ নিন।
» দেশের বাইরের ট্রিপের জন্য অবশ্যই ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স করে ফেলুন। ১০ থেকে ১৮ দিনের ভ্রমণে সচরাচর ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ইনস্যুরেন্স করাতে পারবেন। তবে অবশ্যই দেশ অনুযায়ী খরচ কম-বেশি হবে।
» ব্যাগপ্যাক রেডি করে ফেলুন। ট্রিপের ধরন অনুযায়ী ব্যাগ গোছানো আলাদা হবে। ট্রেকিং ট্রিপ হলে ব্যাগ হালকা রাখার চেষ্টা করুন। রিলাক্স ট্রিপ হলে দুটির বেশি ব্যাগ না নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
» ট্রিপের প্রয়োজনীয় গিয়ার সঙ্গে রাখুন।
» প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ও মেডিকেল সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখুন।
ট্রেকিং ট্রিপ
» ভ্রমণের দু-তিন সপ্তাহ আগে থেকে শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন।
» ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখুন। রোলিং ব্যাগ কোনোভাবেই নেওয়া যাবে না।
» ঠান্ডা জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা
হলে সঙ্গে ডাউন জ্যাকেট ও উইন্ড ব্রেকার রাখুন।
» যেখানে যাবেন, সেই এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
» ট্রেকিং পোল, হেড টর্চ, ওয়াটার ফ্লাস্কের মতো বিষয়গুলো সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
» পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব ডকুমেন্ট ও ইলেকট্রিক ডিভাইস ছোট ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগে পুরে সঙ্গে রাখুন।
» ভালো গ্রিপের ট্রেকিং শু বা স্যান্ডেল থাকতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
» ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য আলাদা ব্যাটারি আর পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখুন।
» সাঁতার না জানলে সঙ্গে রাখুন লাইফ জ্যাকেট।
» সঙ্গে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রাখুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানি রিফিল করে নিন।
» মশা থেকে বাঁচতে সঙ্গে রাখুন মসকিউটো রিপেলেন্ট।
» ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ সঙ্গে রাখুন।
» যে এলাকায় যাচ্ছেন, সেই এলাকার ম্যাপ সঙ্গে রাখুন।
» পরিচিত কারও কাছে আপনার ভ্রমণের কনট্যাক্ট নম্বর ও ট্রিপের আইটিনারি জানিয়ে রাখুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, বেঙ্গল ট্রেকার্স
দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য চাই বিশেষ ধরনের প্রস্তুতি। এ জন্য প্রতিটি ট্রিপের আগে অবশ্যই একটি চেক লিস্ট তৈরি করে নেওয়া ভালো। তাতে ভ্রমণে যাওয়ার বিস্তারিত বুকিং করে রাখার পাশাপাশি ব্যাগপ্যাক গোছানো এবং অনেক সময় শারীরিকভাবেও নিজেকে প্রস্তুত রাখা সহজ হয়। ভ্রমণ আন্তর্জাতিক বা স্থানীয়, সমুদ্র কিংবা পাহাড়—যেখানেই হোক না কেন, ঠিকভাবে নিজেদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভ্রমণটা উপভোগ করা যাবে।
বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ফ্লাইট বুকিং এবং ভ্রমণ ভিসাসংক্রান্ত ডকুমেন্টস ট্যুরের অনেক আগে গুছিয়ে রাখতে হবে। ট্রাভেল ট্যাক্স, ইনস্যুরেন্স, হোটেল বুকিং ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। অনেক দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে গাড়ি বা বাইক ভাড়া নেওয়া যায়।তাতে ব্যয়ে যেমন সাশ্রয় হয়, তেমনি ভ্রমণে একটা ভিন্নমাত্রা যোগ হয়। সাধারণত ভ্রমণ দুই ধরনের হতে পারে—রিলাক্স ও ট্রেকিং ট্রিপ।
রিলাক্স ও ট্রেকিং ট্রিপের জন্য
» যে জায়গায় যাবেন, সে সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিন।
» দেশের বাইরে অর্থ-সংকটে যাতে না পড়েন, সেভাবে প্রস্তুতি নিন। ইমার্জেন্সি মানি, ব্যাকআপ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড সঙ্গে রাখুন।
» আপনার ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের ফটোকপি ও একাধিক কপি ছবি সঙ্গে রাখুন। দেশে ভ্রমণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র আর দেশের বাইরে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট কাছে রাখুন।
» যদি ট্রাভেল গ্রুপ বা এজেন্সির সঙ্গে যান, তাহলে আগে ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে নিন। ধারণা নিন, কী কী সার্ভিস রয়েছে প্যাকেজের মধ্যে। আলাদা খরচ
সম্পর্কেও আগেই ধারণা নিয়ে নিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে।
» যদি নিজেই সবকিছুর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে যে বিষয় খেয়াল রাখুন: যেখানে যাবেন, সেই জায়গার সিজন ও অফসিজন সময় জেনে পরিকল্পনা করুন। অবশ্যই বাস বা ফ্লাইটের টিকিট আগে কেটে রাখবেন। গাইডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। হোটেল ঠিক করে ফেলুন, সঙ্গে কোথায় খাওয়াদাওয়া করবেন খোঁজ নিন।
» দেশের বাইরের ট্রিপের জন্য অবশ্যই ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স করে ফেলুন। ১০ থেকে ১৮ দিনের ভ্রমণে সচরাচর ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ইনস্যুরেন্স করাতে পারবেন। তবে অবশ্যই দেশ অনুযায়ী খরচ কম-বেশি হবে।
» ব্যাগপ্যাক রেডি করে ফেলুন। ট্রিপের ধরন অনুযায়ী ব্যাগ গোছানো আলাদা হবে। ট্রেকিং ট্রিপ হলে ব্যাগ হালকা রাখার চেষ্টা করুন। রিলাক্স ট্রিপ হলে দুটির বেশি ব্যাগ না নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
» ট্রিপের প্রয়োজনীয় গিয়ার সঙ্গে রাখুন।
» প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ও মেডিকেল সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখুন।
ট্রেকিং ট্রিপ
» ভ্রমণের দু-তিন সপ্তাহ আগে থেকে শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন।
» ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখুন। রোলিং ব্যাগ কোনোভাবেই নেওয়া যাবে না।
» ঠান্ডা জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা
হলে সঙ্গে ডাউন জ্যাকেট ও উইন্ড ব্রেকার রাখুন।
» যেখানে যাবেন, সেই এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
» ট্রেকিং পোল, হেড টর্চ, ওয়াটার ফ্লাস্কের মতো বিষয়গুলো সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
» পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব ডকুমেন্ট ও ইলেকট্রিক ডিভাইস ছোট ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগে পুরে সঙ্গে রাখুন।
» ভালো গ্রিপের ট্রেকিং শু বা স্যান্ডেল থাকতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
» ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য আলাদা ব্যাটারি আর পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখুন।
» সাঁতার না জানলে সঙ্গে রাখুন লাইফ জ্যাকেট।
» সঙ্গে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রাখুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানি রিফিল করে নিন।
» মশা থেকে বাঁচতে সঙ্গে রাখুন মসকিউটো রিপেলেন্ট।
» ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ সঙ্গে রাখুন।
» যে এলাকায় যাচ্ছেন, সেই এলাকার ম্যাপ সঙ্গে রাখুন।
» পরিচিত কারও কাছে আপনার ভ্রমণের কনট্যাক্ট নম্বর ও ট্রিপের আইটিনারি জানিয়ে রাখুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, বেঙ্গল ট্রেকার্স
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
১ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে