মইনুল হাসান, ফ্রান্স
১১ জুলাই ১৯৪৯। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিছানায় সাদা কাপড়ে আপাদমস্তক আচ্ছাদিত দুর্ঘটনায় আক্রান্ত একজনকে আনা হয়েছে। চিকিৎসক রক্তে ভেজা কাপড় সরিয়ে দেখলেন, একজন তরুণী। নাক-ঠোঁটবিহীন আর বিশ্রী ক্ষতের কারণে বিকৃত অবয়ব। কিন্তু তখনো সজ্ঞান, কথা বলছেন। নাম জ্যাকলিন অরিওল। বয়স ৩২। এই ফরাসি নারী বিবাহিত এবং দুই সন্তানের মা। পেশায় তিনি বৈমানিক। মাত্র এক বছর আগে তিনি বিমান চালানোর অনুমতি অর্জন করেছেন। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি তখনকার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ভ্যানসো অরিওলের পুত্রবধূ।
সেদিন কো-পাইলটের আসনে বসে খুব নিচু দিয়ে একটি সি-প্লেন চালাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বা প্রায় ১০০ মাইল গতিতে পানির সঙ্গে তাঁদের বিমানটির ধাক্কা লাগে। ফলে জ্যাকলিনের মুখখানি বিমানের ড্যাশবোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। সেই ঘটনার পর জ্যাকলিনকে পুরো দুই বছর হাসপাতালে থাকতে হয়। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বিকৃত মুখমণ্ডল সারিয়ে সহনীয় একটি অবয়ব দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। আর তা করতে গিয়ে দুই বছরে তাঁর মুখমণ্ডলে মোট ২২ বার অস্ত্রোপচার করা হয়!
হাসপাতাল থেকে ফিরে নতুন সব নকশা ও প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের উপযোগিতা এবং কার্যকারিতা যাচাই করতে তিনি পরীক্ষামূলক বিমান উড্ডয়নের বৈমানিকের পেশাকে বেছে নেন। তাঁর হাত ধরে আকাশে উড়েছিল মোট ১৫০টি ভিন্ন ধরনের বিমান। একই সঙ্গে তিনি ‘বিশ্বের দ্রুততম মানবী’র শিরোপা অর্জনে এক বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের চৌকস নারী বৈমানিক জ্যাকলিন কখরেন। তীব্র গতিতে বিমান চালিয়ে এক জ্যাকলিন নতুন রেকর্ড গড়েন। তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে যেতে না যেতেই অন্যজন সেই রেকর্ড ভঙ্গে নতুন রেকর্ড করেন। দুজনের মধ্যে এমন মধুর ও রোমাঞ্চকর লড়াই চলে এক যুগ ধরে, ১৯৫১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত। অবশেষে ফ্রান্সের জ্যাকলিন ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৭ কিলোমিটার বা প্রায় ১ হাজার ৩০৩ মাইল গতিতে বিমান চালিয়ে বিশ্বের দ্রুততম মানবীর শিরোপা ছিনিয়ে নেন। জ্যাকলিন অরিওল ছিলেন একজন অকুতোভয় বৈমানিক। পুরুষের একচেটিয়া দখল থেকে বৈমানিকের সাহসী পেশায় নারীদের অবস্থানকে দৃঢ় করতে হাতে গোনা যে কজন নারী অবদান রেখেছিলেন, তিনি ছিলেন তাঁদের একজন।
১৯১৭ সালে জন্ম, মৃত্যু ২০০০ সালে। জ্যাকলিন ৮৩ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের প্রায় পুরোটাই উৎসর্গ করেছেন আকাশভ্রমণকে সুগম করতে। আকাশ তাঁকে থামিয়ে দিতে চাইলেও, তিনি মোটেই থেমে যাননি।
১১ জুলাই ১৯৪৯। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিছানায় সাদা কাপড়ে আপাদমস্তক আচ্ছাদিত দুর্ঘটনায় আক্রান্ত একজনকে আনা হয়েছে। চিকিৎসক রক্তে ভেজা কাপড় সরিয়ে দেখলেন, একজন তরুণী। নাক-ঠোঁটবিহীন আর বিশ্রী ক্ষতের কারণে বিকৃত অবয়ব। কিন্তু তখনো সজ্ঞান, কথা বলছেন। নাম জ্যাকলিন অরিওল। বয়স ৩২। এই ফরাসি নারী বিবাহিত এবং দুই সন্তানের মা। পেশায় তিনি বৈমানিক। মাত্র এক বছর আগে তিনি বিমান চালানোর অনুমতি অর্জন করেছেন। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি তখনকার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ভ্যানসো অরিওলের পুত্রবধূ।
সেদিন কো-পাইলটের আসনে বসে খুব নিচু দিয়ে একটি সি-প্লেন চালাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বা প্রায় ১০০ মাইল গতিতে পানির সঙ্গে তাঁদের বিমানটির ধাক্কা লাগে। ফলে জ্যাকলিনের মুখখানি বিমানের ড্যাশবোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। সেই ঘটনার পর জ্যাকলিনকে পুরো দুই বছর হাসপাতালে থাকতে হয়। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বিকৃত মুখমণ্ডল সারিয়ে সহনীয় একটি অবয়ব দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। আর তা করতে গিয়ে দুই বছরে তাঁর মুখমণ্ডলে মোট ২২ বার অস্ত্রোপচার করা হয়!
হাসপাতাল থেকে ফিরে নতুন সব নকশা ও প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের উপযোগিতা এবং কার্যকারিতা যাচাই করতে তিনি পরীক্ষামূলক বিমান উড্ডয়নের বৈমানিকের পেশাকে বেছে নেন। তাঁর হাত ধরে আকাশে উড়েছিল মোট ১৫০টি ভিন্ন ধরনের বিমান। একই সঙ্গে তিনি ‘বিশ্বের দ্রুততম মানবী’র শিরোপা অর্জনে এক বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের চৌকস নারী বৈমানিক জ্যাকলিন কখরেন। তীব্র গতিতে বিমান চালিয়ে এক জ্যাকলিন নতুন রেকর্ড গড়েন। তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে যেতে না যেতেই অন্যজন সেই রেকর্ড ভঙ্গে নতুন রেকর্ড করেন। দুজনের মধ্যে এমন মধুর ও রোমাঞ্চকর লড়াই চলে এক যুগ ধরে, ১৯৫১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত। অবশেষে ফ্রান্সের জ্যাকলিন ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৭ কিলোমিটার বা প্রায় ১ হাজার ৩০৩ মাইল গতিতে বিমান চালিয়ে বিশ্বের দ্রুততম মানবীর শিরোপা ছিনিয়ে নেন। জ্যাকলিন অরিওল ছিলেন একজন অকুতোভয় বৈমানিক। পুরুষের একচেটিয়া দখল থেকে বৈমানিকের সাহসী পেশায় নারীদের অবস্থানকে দৃঢ় করতে হাতে গোনা যে কজন নারী অবদান রেখেছিলেন, তিনি ছিলেন তাঁদের একজন।
১৯১৭ সালে জন্ম, মৃত্যু ২০০০ সালে। জ্যাকলিন ৮৩ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের প্রায় পুরোটাই উৎসর্গ করেছেন আকাশভ্রমণকে সুগম করতে। আকাশ তাঁকে থামিয়ে দিতে চাইলেও, তিনি মোটেই থেমে যাননি।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৫ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে