ফারিয়া ইসলাম দীপ্তি
সময়টা ১৯৪৮। সে সময় ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার যাত্রা শুরু করেছিল কলেজ হিসেবে। তখন নাম ছিল হ্যাটফিল্ড টেকনিক্যাল কলেজ। একে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর, ১৯৯২ সালে। একই সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে রাখা হয় ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার। বর্তমানে এর অবস্থান বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৬০১তম। কলেজ লেন এবং ডি হ্যাভিল্যান্ডের দুটি ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার ৯টি স্কুলে ৮০০টির বেশি স্নাতক, স্নাতকোত্তর, অনলাইন কোর্স, দূরশিক্ষণ এবং সংক্ষিপ্ত কোর্স অফার করে থাকে।
সেন্ট্রাল লন্ডনের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে পড়াশোনার ব্যয় ১৯ হাজার থেকে ২০ হাজার পাউন্ড, সেখানে ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে পড়তে প্রতিবছর ব্যয় হয় সাকল্যে ১৪ হাজার পাউন্ড! ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হলেও স্নাতক পর্যায়ে স্কলারশিপ তুলনামূলক কম। ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এটি মূলত দেওয়া হয় একাডেমিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ স্কোর থাকলে এই স্কলারশিপ মেলে।
সাধারণত বিদেশে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন চাকরি করতে আগ্রহী থাকেন। তবে ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারের শিক্ষার্থীদের আলাদা করে চাকরি খুঁজতে হয় না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অন্যতম সুবিধা হলো ওয়ার্ক রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ওয়ার্ক রিপ্লেসমেন্ট অফার করা হয়। এখানে ওয়ার্ক রিপ্লেসমেন্টের প্রসেসিংয়ের জন্য কোনো অর্থের প্রয়োজন হয় না, যেখানে অন্যান্য ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ পাউন্ড দরকার হয়। এ ছাড়া বাইরে বিভিন্ন চাকরি করে মাসে প্রায় ৮০০ পাউন্ড আয় করা সম্ভব।
সেন্ট্রাল লন্ডন এবং লন্ডনের বাইরের শহরের জীবনযাপনের খরচে বেশ পার্থক্য আছে। সেন্ট্রাল লন্ডনে খরচ তুলনামূলক বেশি। হার্ট ফোর্ডশায়ার লন্ডন থেকে ২৫ মিনিটের সড়কপথের দূরত্বে হওয়ায় এখানে সব সুবিধাই পাওয়া যায়। ইংল্যান্ডের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলে থাকার খরচ বেশি। ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে এক বছরের চুক্তিতে হোস্টেল ভাড়া নিতে হয়। খাবারের জন্য মাসে সাধারণত ১০০ পাউন্ডের মতো খরচ হয়। হোস্টেলে না থেকে আলাদা থাকলে মাসে প্রায় ২৫০ পাউন্ড ব্যয় হয়। ইউনিভার্সিটি হ্যাটফিল্ডে হলেও এর হোস্টেল লুটনে। সেখান থেকে প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী হ্যাটফিল্ডে যাতায়াত করেন। যাতায়াত খরচও বেশ সাশ্রয়ী। তা ছাড়া প্রায় হাতের নাগালে সবকিছু পাওয়া যায়।
এখানে পড়াশোনার ব্যবস্থা ও কোর্স ডেলিভারি সিস্টেম দারুণ। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীরা কতটা সন্তুষ্ট, তা জানতে স্টুডেন্ট সার্ভে করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টির হার ৭৫ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত মানের ল্যাব ফ্যাসিলিটি রয়েছে এখানে। থিওরি ও প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে ক্লাস নেওয়া হয়। শিক্ষকদের আচরণ অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। যেকোনো সমস্যায় তাঁদের কাছে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার শুধু পড়াশোনার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধ রাখে না; এখানে রয়েছে বিভিন্ন ক্লাবে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটির সুযোগ। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণেরও সুযোগ রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, এখানে অসংখ্য কুইজ ও কমপিটিশনের আয়োজন করা হয়। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় বায়োপার্ক সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত এই বিজ্ঞান পার্কে জীবনবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার জন্য ৬ হাজার বর্গমিটারের একটি ল্যাবরেটরি এবং অফিস স্পেস দেওয়া হয়।
সময়টা ১৯৪৮। সে সময় ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার যাত্রা শুরু করেছিল কলেজ হিসেবে। তখন নাম ছিল হ্যাটফিল্ড টেকনিক্যাল কলেজ। একে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর, ১৯৯২ সালে। একই সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে রাখা হয় ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার। বর্তমানে এর অবস্থান বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৬০১তম। কলেজ লেন এবং ডি হ্যাভিল্যান্ডের দুটি ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার ৯টি স্কুলে ৮০০টির বেশি স্নাতক, স্নাতকোত্তর, অনলাইন কোর্স, দূরশিক্ষণ এবং সংক্ষিপ্ত কোর্স অফার করে থাকে।
সেন্ট্রাল লন্ডনের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে পড়াশোনার ব্যয় ১৯ হাজার থেকে ২০ হাজার পাউন্ড, সেখানে ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে পড়তে প্রতিবছর ব্যয় হয় সাকল্যে ১৪ হাজার পাউন্ড! ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হলেও স্নাতক পর্যায়ে স্কলারশিপ তুলনামূলক কম। ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এটি মূলত দেওয়া হয় একাডেমিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ স্কোর থাকলে এই স্কলারশিপ মেলে।
সাধারণত বিদেশে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন চাকরি করতে আগ্রহী থাকেন। তবে ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারের শিক্ষার্থীদের আলাদা করে চাকরি খুঁজতে হয় না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অন্যতম সুবিধা হলো ওয়ার্ক রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ওয়ার্ক রিপ্লেসমেন্ট অফার করা হয়। এখানে ওয়ার্ক রিপ্লেসমেন্টের প্রসেসিংয়ের জন্য কোনো অর্থের প্রয়োজন হয় না, যেখানে অন্যান্য ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ পাউন্ড দরকার হয়। এ ছাড়া বাইরে বিভিন্ন চাকরি করে মাসে প্রায় ৮০০ পাউন্ড আয় করা সম্ভব।
সেন্ট্রাল লন্ডন এবং লন্ডনের বাইরের শহরের জীবনযাপনের খরচে বেশ পার্থক্য আছে। সেন্ট্রাল লন্ডনে খরচ তুলনামূলক বেশি। হার্ট ফোর্ডশায়ার লন্ডন থেকে ২৫ মিনিটের সড়কপথের দূরত্বে হওয়ায় এখানে সব সুবিধাই পাওয়া যায়। ইংল্যান্ডের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলে থাকার খরচ বেশি। ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে এক বছরের চুক্তিতে হোস্টেল ভাড়া নিতে হয়। খাবারের জন্য মাসে সাধারণত ১০০ পাউন্ডের মতো খরচ হয়। হোস্টেলে না থেকে আলাদা থাকলে মাসে প্রায় ২৫০ পাউন্ড ব্যয় হয়। ইউনিভার্সিটি হ্যাটফিল্ডে হলেও এর হোস্টেল লুটনে। সেখান থেকে প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী হ্যাটফিল্ডে যাতায়াত করেন। যাতায়াত খরচও বেশ সাশ্রয়ী। তা ছাড়া প্রায় হাতের নাগালে সবকিছু পাওয়া যায়।
এখানে পড়াশোনার ব্যবস্থা ও কোর্স ডেলিভারি সিস্টেম দারুণ। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীরা কতটা সন্তুষ্ট, তা জানতে স্টুডেন্ট সার্ভে করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টির হার ৭৫ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত মানের ল্যাব ফ্যাসিলিটি রয়েছে এখানে। থিওরি ও প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে ক্লাস নেওয়া হয়। শিক্ষকদের আচরণ অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। যেকোনো সমস্যায় তাঁদের কাছে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার শুধু পড়াশোনার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধ রাখে না; এখানে রয়েছে বিভিন্ন ক্লাবে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটির সুযোগ। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণেরও সুযোগ রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, এখানে অসংখ্য কুইজ ও কমপিটিশনের আয়োজন করা হয়। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় বায়োপার্ক সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত এই বিজ্ঞান পার্কে জীবনবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার জন্য ৬ হাজার বর্গমিটারের একটি ল্যাবরেটরি এবং অফিস স্পেস দেওয়া হয়।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৮ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে